গবেষণার কারণে মহাকাশে ২০ হাজার আবর্জনা! (ভিডিও)
মোখলেছুর রহমান : রাইজিংবিডি ডট কম
Published:30 Dec 2015 05:56:51 PM Wednesday || Updated:30 Dec 2015 06:10:39 PM Wednesday

ভিডিওটিতে দেখানো হয়েছে ১৯৫৭ থেকে ২০১৫- এই ৬০ বছরে পৃথিবীর চারপাশে এই আবর্জনাগুলো জমা হয়েছে।
৬০ বছরে পৃথিবীর চারপাশে কক্ষপথে ঘূর্ণায়মান আবর্জনা নাটকীয়ভাবে বেড়ে গেছে এবং আবর্জনার ছোট টুকরাগুলো জমে এর আকার ছোট একটি আপেল থেকে বৃহদাকার বাসের মত হয়ে গেছে।
প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে নিক্ষিপ্ত রকেট স্পুটনিক এর ধ্বংসাবশেষ থেকে প্রথম এ ধরনের মহাকাশ আবর্জনার সৃষ্টি হয়েছিল যেটি ১৯৫৭ সালের ৪ অক্টোবর মহাকাশ যাত্রার সূচনা হিসেবে নিক্ষিপ্ত হয়েছিল। তারপর থেকে পরিত্যক্ত উপগ্রহ, বিভিন্ন রকেটের নানা অংশ এবং অন্যান্য আবর্জনা যা অসংখ্য মহাকাশ যাত্রার ফলে সৃষ্টি হয়েছে, তার দ্বারা আমাদের এই গ্রহটির চারপাশ কক্ষপথ দূষিত হয়েছে।
এই মহাকাশ আবর্জনাগুলো বর্তমানে দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, কারণ এগুলো বড় রকম ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
ধারণা করা হচ্ছে, এমন একদিন আসবে যখন এই আবর্জনার ফলে পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে বস্তুর ঘনত্ব অনেক বেড়ে যাবে যাতে অনেক সংঘর্ষ ঘটবে এবং প্রতিটি সংঘর্ষের ফলে বিপুল পরিমাণ মহাকাশ আবর্জনার সৃষ্টি হবে। সৃষ্ট মহাকাশ আবর্জনাগুলোর কারণে আরো বেশি সংঘর্ষ ঘটবে যা ‘কেসলার ইফেক্ট’ নামে পরিচিত।
যার ফলস্বরুপ এক সময় প্রকৃতপক্ষে মহাকাশে যান পাঠানোই অসম্ভব হয়ে যাবে। কারণ মহাকাশ আবর্জনার কারণে তা যাত্রা করার সঙ্গে সঙ্গে ধ্বংস হয়ে যাবে।
লন্ডনের ইউনিভার্সিটি কলেজ এর প্রভাষক এবং মহাকাশ বিশেষজ্ঞ ড. স্টুয়ার্ট গ্রে তার একটি কল্পনা প্রসূত পরীক্ষায় প্রতিটি ধ্বংসাবশেষ বস্তুর সুনির্দিষ্ট অবস্থানের মানচিত্র ব্যবহার করে দেখিয়েছেন যে কীভাবে ১৯৫৭ থেকে ২০১৫-এই ৬০ বছরে মহাকাশ আবর্জনা বৃহৎ স্তূপাকারে পরিণত হয়েছে।
তার প্রকাশিত ৬০ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে মহাকাশ-আবর্জনার পূর্ণ ইতিহাস দেখা যাবে। দেখুন ভিডিওটি:
রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩০ ডিসেম্বর ২০১৫/ফিরোজ
No comments:
Post a Comment