Grab the Opportunity!!!
Be a proud of Technical Skill and build your career in Hospitality
Industry.
Admission on …..
·
Name of Course : THM
Professional Course
Including *
Front Office * Housekeeping * Food and Beverage service
* Sales and
Marketing * HR and Account etc. class start soon.
· Course fee: Total Course fee tk 25,000 only after 50% discount
including theory and industrial attachment in 3/5 star hotel.
· Faculty: Govt. and Private University/Institute / Tourism consultant,
15+ years.
* Also you can take this course under Fareast international university, rd 11, banani.
·
Admission requirements: *
Minimum HSC
·
Pls contact to : Shaikh
Sayeed Hossain, MBA in THM , University of Dhaka, sshbd777@gmail.com, www.globalecotourismandtrade.com
·
Office Address: Euro
Bangle Professional Institute, Prio Prangon, House# 15, RD#17 Banani Avenue,
level #-1. Banani, Dhaka.
Management
|
Global Tourism Entertainment
Friday, 17 August 2018
THM professional course
Thursday, 26 July 2018
West Bengol become Bangla , india
পশ্চিমবঙ্গের নাম হচ্ছে ‘বাংলা’
শাহেদ হোসেন : রাইজিংবিডি ডট কম
প্রকাশ: ২০১৮-০৭-২৭ ৯:১১:৫১ এএম || আপডেট: ২০১৮-০৭-২৭ ৯:১২:৫১ এএম
![]() |
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের পশ্চিমবঙ্গের একটাই নাম, ‘বাংলা’। বৃহস্পতিবার রাজ্য বিধানসভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই প্রস্তাব পাশ হয়েছে। এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিলেই ‘পশ্চিমবঙ্গ’ ও ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল’ পাল্টে রাজ্যের নাম হবে ‘বাংলা’।
বৃহস্পতিবার বিধানসভায় হাজির ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অধিবেশনে হাজির সকল বিধায়কের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘দুবছর আগে আমরা সর্বসম্মত হয়ে কেন্দ্রের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছিলাম, তিনটি ভাষায় রাজ্যের নাম হোক। কিন্তু, ওরা রাজি হয়নি। আমরা অনেকবার অনুরোধ করেছি। কিন্তু কেন্দ্র বলেছিল, একটা নামই হোক। তাই আজ সর্বসম্মতভাবে রাজ্যের একটাই নাম করতে চাই, বাংলা। বাংলা থেকেই শুরু হোক বাংলা।’
মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রস্তাবে বিরোধীরা কোনও আপত্তি জানায়নি। ফলে রাজ্যের নাম সর্বসম্মতিক্রমে ‘বাংলা’ই হচ্ছে।
বিরোধীরা ঐকমত্য হলেও, তারা দু’বছর আগের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছেন। কংগ্রেস বিধায়ক শঙ্কর মালাকার বলেন, ‘দুবছর আগেই আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে বলেছিলাম, একটাই নাম করুন। তখন করেননি। তা হলে আর এতটা সময় নষ্ট হত না।’ একই সুর শোনা গেল সিপিআইয়ের প্রদীপ সাহার গলাতেও।
২০১৬ সালের ২ আগস্ট রাজ্য মন্ত্রিসভায় প্রস্তাব পাশ হয়েছিল, রাজ্যের নাম তিনটি ভাষায় হবে। বাংলা ভাষায় নাম হবে ‘বাংলা’, ইংরেজিতে ‘বেঙ্গল’ এবং হিন্দিতে ‘বঙ্গাল’— এটাই চেয়েছিল রাজ্য। তারপর বিধানসভায় সেই প্রস্তাব পাশ করিয়ে কেন্দ্রের কাছে পাঠানো হয়। কিন্তু, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় সেই প্রস্তাব ফের ফিরিয়ে দেয় রাজ্যের কাছে। তারা জানায়, তিনটি নয়, একটাই নাম হতে হবে রাজ্যের। সেই মতোই বৃহস্পতিবার বিধানসভায় একটা নামেই প্রস্তাব পাশ হয়।
বাম আমলে শুরু হয়েছিল রাজ্যের নাম বদলের উদ্যোগ। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত সেই উদ্যোগ ফলপ্রসূ হয়নি। ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও চেয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের নাম বদলাতে। কিন্তু, সেই উদ্যোগেও ভাটা দেখা যায়। ২০১৬ সালে জিতে এসেই ফের তিনি নামবদলে উৎসাহী হন তিনি।
রাজ্যের নাম সব ভাষাতেই ‘পশ্চিমবঙ্গ’ করার জন্য ১৯৯৯ সালের ২০ জুলাই প্রস্তাব এসেছিল বিধানসভায়। আলোচনার মধ্যেই ঠিক হয়, পশ্চিমবঙ্গের চেয়ে ‘বাংলা’ নামটা ভাল। সহমতের ভিত্তিতে তৎকালীন শাসক বাম ও বিরোধী কংগ্রেস-তৃণমূলের তরফে প্রস্তাবের উপরে সংশোধনী আনা হয়। পরে সেই উদ্যোগ কোথাও থমকে যায়। প্রায় ১৭ বছর পর উদ্যোগী হয়ে মাঠে নামেন মমতা।
সূত্র : আনন্দবাজার
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৭ জুলাই ২০১৮/শাহেদ
বৃহস্পতিবার বিধানসভায় হাজির ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অধিবেশনে হাজির সকল বিধায়কের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘দুবছর আগে আমরা সর্বসম্মত হয়ে কেন্দ্রের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছিলাম, তিনটি ভাষায় রাজ্যের নাম হোক। কিন্তু, ওরা রাজি হয়নি। আমরা অনেকবার অনুরোধ করেছি। কিন্তু কেন্দ্র বলেছিল, একটা নামই হোক। তাই আজ সর্বসম্মতভাবে রাজ্যের একটাই নাম করতে চাই, বাংলা। বাংলা থেকেই শুরু হোক বাংলা।’
মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রস্তাবে বিরোধীরা কোনও আপত্তি জানায়নি। ফলে রাজ্যের নাম সর্বসম্মতিক্রমে ‘বাংলা’ই হচ্ছে।
বিরোধীরা ঐকমত্য হলেও, তারা দু’বছর আগের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছেন। কংগ্রেস বিধায়ক শঙ্কর মালাকার বলেন, ‘দুবছর আগেই আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে বলেছিলাম, একটাই নাম করুন। তখন করেননি। তা হলে আর এতটা সময় নষ্ট হত না।’ একই সুর শোনা গেল সিপিআইয়ের প্রদীপ সাহার গলাতেও।
২০১৬ সালের ২ আগস্ট রাজ্য মন্ত্রিসভায় প্রস্তাব পাশ হয়েছিল, রাজ্যের নাম তিনটি ভাষায় হবে। বাংলা ভাষায় নাম হবে ‘বাংলা’, ইংরেজিতে ‘বেঙ্গল’ এবং হিন্দিতে ‘বঙ্গাল’— এটাই চেয়েছিল রাজ্য। তারপর বিধানসভায় সেই প্রস্তাব পাশ করিয়ে কেন্দ্রের কাছে পাঠানো হয়। কিন্তু, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় সেই প্রস্তাব ফের ফিরিয়ে দেয় রাজ্যের কাছে। তারা জানায়, তিনটি নয়, একটাই নাম হতে হবে রাজ্যের। সেই মতোই বৃহস্পতিবার বিধানসভায় একটা নামেই প্রস্তাব পাশ হয়।
বাম আমলে শুরু হয়েছিল রাজ্যের নাম বদলের উদ্যোগ। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত সেই উদ্যোগ ফলপ্রসূ হয়নি। ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও চেয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের নাম বদলাতে। কিন্তু, সেই উদ্যোগেও ভাটা দেখা যায়। ২০১৬ সালে জিতে এসেই ফের তিনি নামবদলে উৎসাহী হন তিনি।
রাজ্যের নাম সব ভাষাতেই ‘পশ্চিমবঙ্গ’ করার জন্য ১৯৯৯ সালের ২০ জুলাই প্রস্তাব এসেছিল বিধানসভায়। আলোচনার মধ্যেই ঠিক হয়, পশ্চিমবঙ্গের চেয়ে ‘বাংলা’ নামটা ভাল। সহমতের ভিত্তিতে তৎকালীন শাসক বাম ও বিরোধী কংগ্রেস-তৃণমূলের তরফে প্রস্তাবের উপরে সংশোধনী আনা হয়। পরে সেই উদ্যোগ কোথাও থমকে যায়। প্রায় ১৭ বছর পর উদ্যোগী হয়ে মাঠে নামেন মমতা।
সূত্র : আনন্দবাজার
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৭ জুলাই ২০১৮/শাহেদ
Moon eclipse act from 11.13pm longest in this century
শতাব্দীর দীর্ঘতম পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ আজ, দেখা যাবে বাংলাদেশেও
![]() |
রাইজিংবিডি ডেস্ক : শতাব্দীর দীর্ঘতম চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে আজ শুক্রবার মধ্যরাতে। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে ছায়াচ্ছন্ন থাকবে চাঁদ।
প্রায় পৌনে দুই ঘণ্টা (১ ঘণ্টা ৪৩ মিনিট) ধরে চাঁদ পুরোপুরি ঢেকে যাবে পৃথিবীর ছায়ায়। পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণের আগে ও পরে আরো দুইবার হবে আংশিক চন্দ্রগ্রহণ।
পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ আর আগে-পরের দুটি আংশিক চন্দ্রগ্রহণ মিলিয়ে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা আলো-আঁধারিতে ঢাকা থাকবে চাঁদ।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের জলবায়ু মহাশাখা জানিয়েছে, শুক্রবার পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা ১৩ মিনিট ৬ সেকেন্ডে শুরু হওয়া চন্দ্রগ্রহণ শেষ হবে ভোর ৫টা ৩০ মিনিট ২৪ সেকেন্ডে।
কেন্দ্রীয় গ্রহণ হবে বাংলাদেশ সময় রাত ২টা ২১ মিনিট ৪৮ সেকেন্ডে এবং গ্রহণের সর্বোচ্চ মাত্রা হবে ১.৬১৪। আকাশ মেঘমুক্ত থাকলে বাংলাদেশ থেকে গ্রহণটি সম্পূর্ণ দেখা যাবে।
এদিকে নরওয়েভিত্তিক ওয়েবসাইট টাইম অ্যান্ড ডেট ডটকম জানাচ্ছে, শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা ১৪ মিনিটে শুরু হবে আংশিক চন্দ্রগ্রহণ। চলবে রাত ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত।
তারপর শুরু হবে শতাব্দীর দীর্ঘতম পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ। তা শেষ হবে রাত ৩টা ১৩ মিনিটে। এরপর আবার ৩টা ১৩ মিনিটে ফের শুরু হবে আংশিক গ্রাস, যা শেষ হবে রাত ৪টা ১৯ মিনিটে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের আকাশ থেকে শুক্রবার স্থানীয় সময় রাতে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণটি দেখা যাবে। এটি হবে একুশ শতকের (২০০১-২১০০) সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৭ জুলাই ২০১৮/সাইফ
প্রায় পৌনে দুই ঘণ্টা (১ ঘণ্টা ৪৩ মিনিট) ধরে চাঁদ পুরোপুরি ঢেকে যাবে পৃথিবীর ছায়ায়। পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণের আগে ও পরে আরো দুইবার হবে আংশিক চন্দ্রগ্রহণ।
পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ আর আগে-পরের দুটি আংশিক চন্দ্রগ্রহণ মিলিয়ে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা আলো-আঁধারিতে ঢাকা থাকবে চাঁদ।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের জলবায়ু মহাশাখা জানিয়েছে, শুক্রবার পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা ১৩ মিনিট ৬ সেকেন্ডে শুরু হওয়া চন্দ্রগ্রহণ শেষ হবে ভোর ৫টা ৩০ মিনিট ২৪ সেকেন্ডে।
কেন্দ্রীয় গ্রহণ হবে বাংলাদেশ সময় রাত ২টা ২১ মিনিট ৪৮ সেকেন্ডে এবং গ্রহণের সর্বোচ্চ মাত্রা হবে ১.৬১৪। আকাশ মেঘমুক্ত থাকলে বাংলাদেশ থেকে গ্রহণটি সম্পূর্ণ দেখা যাবে।
এদিকে নরওয়েভিত্তিক ওয়েবসাইট টাইম অ্যান্ড ডেট ডটকম জানাচ্ছে, শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা ১৪ মিনিটে শুরু হবে আংশিক চন্দ্রগ্রহণ। চলবে রাত ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত।
তারপর শুরু হবে শতাব্দীর দীর্ঘতম পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ। তা শেষ হবে রাত ৩টা ১৩ মিনিটে। এরপর আবার ৩টা ১৩ মিনিটে ফের শুরু হবে আংশিক গ্রাস, যা শেষ হবে রাত ৪টা ১৯ মিনিটে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের আকাশ থেকে শুক্রবার স্থানীয় সময় রাতে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণটি দেখা যাবে। এটি হবে একুশ শতকের (২০০১-২১০০) সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৭ জুলাই ২০১৮/সাইফ
video and skill development from online ssh 2018
*video learn for skill dev.
https://www.linkedin.com/learning/teaching-technical-skills-through-video/welcome?autoplay=true&trk=course_preview&upsellOrderOrigin=slideshare_sv_learning
https://www.linkedin.com/learning/teaching-technical-skills-through-video/welcome?autoplay=true&trk=course_preview&upsellOrderOrigin=slideshare_sv_learning
*Develop Your 2011 Content Marketing Strategy":
https://www.slideshare.net/bdorland/develop-your-2011-content-marketing-strategy?qid=70ecccd4-980b-4f27-89ba-273714174f5e&v=&b=&from_search=10
*The Neuroscience of Learning:
https://www.linkedin.com/learning/the-neuroscience-of-learning?trk=slideshare_sv_learning
Available Excellent Same Day Fiscal Endorsement With Easiest Way:
https://www.slideshare.net/instantsamedayloans/available-excellent-same-day-fiscal-endorsement-with-easiest-way
Harry Surden - Artificial Intelligence and Law Overview:
https://www.slideshare.net/HarrySurden/harry-surden-artificial-intelligence-and-law-overview
start robot Olympiad in Dhaka
শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াড
প্রকাশ: ২০১৮-০৭-২৬ ৭:৫০:২৭ পিএম || আপডেট: ২০১৮-০৭-২৬ ৯:৪৫:৪৬ পিএম
![]() |
বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক : আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশের প্রতিনিধি প্রেরণ এবং দেশে শিশু-কিশোরদের মধ্যে রোবটিক্সকে জনপ্রিয় করার লক্ষ্য নিয়ে দেশে প্রথমবারের জন্য আয়োজিত হচ্ছে বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াড (বিডিআরও)।
যৌথভাবে এ আয়োজন করার জন্য ২৬ জুলাই, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবটিক্স অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এবং বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (বিডিওএসএন)-এর মধ্যে এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. লাফিফা জামাল এবং প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর জেসমিন আকতার নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন রোবটিক্স ও মেকাট্রনিক্স বিভাগের শিক্ষক ড. সুগত আহমেদ, শামীম আহমেদ দেওয়ান, বিডিএওসএনের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান, বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াডের সমন্বয়কারী রেদওয়ান ফেরদৌস প্রমুখ।
এ সময় ড. লাফিফা জামাল জানান, বিশ্বব্যাপী শিশু-কিশোররা রোবটিক্সের নতুন জগৎ নিয়ে আগ্রহী হয়ে উঠছে। আমাদের নতুন প্রজন্ম যাতে পিছিয়ে না পড়ে সে জন্য এ আয়োজন। তিনি এ আয়োজনে সহায়তা করার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে আহবান জানান।
বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াডের সমন্বয়কারী রেদওয়ান ফেরদৌস জানান, ৭ থেকে ১৩ বছরের শিশু-কিশোররা রোবট সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে। এ সকল বিষয়ে শিক্ষার্থীদের তৈরি করার জন্য বিভিন্ন স্কুলে একাধিক কর্মশালার আয়োজন করা হবে বলে তিনি জানান।
এ বছরের ডিসেম্বর মাসে ফিলিপিনের ম্যানিলাতে অনুষ্ঠেয় আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে বিজয়ীরা অংশ নিতে পারবে।
আগ্রহীরা বিস্তারিত তথ্যের জন্য ভিজিট: www.bdosn.org, www.facebook.com/RobotOlympiadBD
যৌথভাবে এ আয়োজন করার জন্য ২৬ জুলাই, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবটিক্স অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এবং বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (বিডিওএসএন)-এর মধ্যে এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. লাফিফা জামাল এবং প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর জেসমিন আকতার নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন রোবটিক্স ও মেকাট্রনিক্স বিভাগের শিক্ষক ড. সুগত আহমেদ, শামীম আহমেদ দেওয়ান, বিডিএওসএনের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান, বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াডের সমন্বয়কারী রেদওয়ান ফেরদৌস প্রমুখ।
এ সময় ড. লাফিফা জামাল জানান, বিশ্বব্যাপী শিশু-কিশোররা রোবটিক্সের নতুন জগৎ নিয়ে আগ্রহী হয়ে উঠছে। আমাদের নতুন প্রজন্ম যাতে পিছিয়ে না পড়ে সে জন্য এ আয়োজন। তিনি এ আয়োজনে সহায়তা করার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে আহবান জানান।
বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াডের সমন্বয়কারী রেদওয়ান ফেরদৌস জানান, ৭ থেকে ১৩ বছরের শিশু-কিশোররা রোবট সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে। এ সকল বিষয়ে শিক্ষার্থীদের তৈরি করার জন্য বিভিন্ন স্কুলে একাধিক কর্মশালার আয়োজন করা হবে বলে তিনি জানান।
এ বছরের ডিসেম্বর মাসে ফিলিপিনের ম্যানিলাতে অনুষ্ঠেয় আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে বিজয়ীরা অংশ নিতে পারবে।
আগ্রহীরা বিস্তারিত তথ্যের জন্য ভিজিট: www.bdosn.org, www.facebook.com/RobotOlympiadBD
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৬ জুলাই ২০১৮/ফিরোজ
cv details info update
জীবনবৃত্তান্ত নষ্ট করে দেয়া শব্দ ও পরিভাষা
আহমেদ শরীফ : রাইজিংবিডি ডট কম
প্রকাশ: ২০১৮-০৭-২৫ ৯:৫৩:৫৮ পিএম || আপডেট: ২০১৮-০৭-২৫ ১০:০০:০৭ পিএম
![]() |
আহমেদ শরীফ : আপনার জীবনবৃত্তান্ত আপডেট করা জরুরি। বেশিরভাগ প্রার্থীর মতোই যদি জীবনবৃত্তান্ত হয় আপনার, তাহলে বুঝতে হবে সেটি যতোটুকু ভালো হওয়া উচিত ছিল তা হয়নি। ভাষাই হলো এখানে মূল সমস্যা।
বেশিরভাগ জীবনবৃত্তান্ত অপ্রচলিত শব্দ, পরিভাষার কারণে ‘মরা গাছে ভরা জঙ্গল’ এর মতো হয়ে যায়। গতানুগতিক, বিরক্তিকর, পরিভাষা বা শব্দ ব্যবহারের কারণে নিয়োগদাতারা ওই ধরনের জীবনবৃত্তান্ত বার বার দেখে হতাশ হয়ে পড়েন। তাই নিচের কিছু শব্দ বা পরিভাষা থেকে জীবনবৃত্তান্তকে মুক্ত রাখলে সুফল পাবেন আপনি।
* ‘Salary negotiable’ : নিয়োগদাতারা জানেন আপনি বেতন নিয়ে কথা বলতে চান। যদি ওই বিষয়ে জীবনবৃত্তান্তে কিছু লেখেন আপনি, তাহলে তারা হয়তো বুঝবেন যে নিজের বা কাজের ব্যাপারে আর কিছু জানানোর নেই বলেই আপনি অনেকটা শূন্যস্থান পূরণ করেছেন বেতন প্রসঙ্গ টেনে। অনেক কোম্পানিতে বেতন নিয়ে কথা বলার সুযোগ থাকে না। সেক্ষেত্রেও বেতন নিয়ে সমঝোতা প্রসঙ্গে জীবনবৃত্তান্তে কিছু লেখা ঠিক না।
* ‘References available by request’ : অনেকে জীবনবৃত্তান্তে এ ধরনের উদ্ধৃতি দেন। এটিও ঠিক না। জীবনবৃত্তান্ত লিখতে যথা সম্ভব অপ্রয়োজনীয় শব্দ, বাক্য পরিহার করুন।
* ‘Responsible for---------’ : এই টার্মটি দেখে নিয়োগদাতা আপনার সম্পর্কে সাদামাটা একটি ধারণা পাবেন। আপনাকে হয়তো খুব সাধারণ একজন চাকরিপ্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করবেন তিনি। কারণ অফিসে দায়িত্বশীলতা আপনার কোনো গুণ নয়। বরং কাজের খাতিরে অন্য সবার মতো আপনাকেও দায়িত্ব নিতে হয়েছে। এটি আলাদা করে উল্লেখ করার কোনো বিষয় নয়। তাই ‘রেসপন্সিবল ফর’ শব্দের পরিবর্তে ‘ম্যানেজড’, ‘লেড’ বা এ ধরনের সুস্পষ্ট, স্ট্রং ভার্ব ব্যবহার করুন।
* ‘Experience working in---------’ : আবারো মনে রাখতে হবে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অভিজ্ঞতা বাড়বে আপনার। এটা ব্যক্তিগত কোনো গুণ নয়। তাই জীবনবৃত্তান্তে কি কি কাজে আপনার অভিজ্ঞতা আছে, তা উল্লেখ না করে বরং আপনি কি কি সাফল্য অর্জন করেছেন তা উল্লেখ করুন।
* ‘Problem solving skills’ : সমস্যা সমাধানের দক্ষতা আপনার আছে, এ কথাও জীবনবৃত্তান্তে জানানো জরুরি নয়।
* ‘Detail oriented’ : অফিসে মূলত সবাই যার যার কাজে সম্পূর্ণভাবে মনোযোগ দেন। এটি সবার কর্তব্য। আলাদা করে নিয়োগদাতাকে এ ব্যাপারে জানানোর কোনো প্রয়োজন নেই। বিষয়টি হাস্যকর হয়ে যেতে পারে। বরং অন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানান জীবনবৃত্তান্তে।
* ‘Hardworking’ : যেকোনো কাজ করার আগে এ নিয়ে বেশি কথা না বলে তা করে দেখানোই উত্তম। অফিসে এ নীতি খুব বেশি প্রযোজ্য। নিজেকে কঠোর পরিশ্রমী দাবী করতে পারেন যে কেউ। কিন্তু কাজের মাধ্যমে বসকে যদি তা প্রমাণ করতে না পারেন তাহলে সে কথার কোনো মূল্য নেই। তাই আগের অফিসে কী ধরনের কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে নিয়োগদাতাকে মুনাফা এনে দিয়েছিলেন, তা জানান। অযথা কঠোর পরিশ্রমের কথা না বলাই ভালো।
* ‘Team player’ : আবারো একই কথা। বলার চেয়ে কাজ করার ব্যাপারে মনোযোগী হতে হবে আপনাকে। নিজেকে টিম প্লেয়ার হিসেবে জাহির না করে, প্রমাণ করুন আপনি সত্যিকার অর্থেই কাজের প্রতি দায়িত্বশীল। অনেক কোম্পানিতে অবশ্য দলবদ্ধ হয়ে কাজ না করে একক ভাবে কাজ করতে হয়। সেক্ষেত্রে যদি অন্যদের সঙ্গে সফলভাবে কাজ করার ঘটনা থাকে, তা জীবনবৃত্তান্তে উল্লেখ করুন। কেমন টিমের সঙ্গে আপনি কাজ করে সাফল্য পেয়েছেন, সেটাও জানাতে পারেন।
* ‘Proactive’ : এটা একটা ফাঁকা বুলি ছাড়া আর কিছু নয়। ইতিবাচক চিন্তা ধারা বোঝাতে এ শব্দটি ব্যবহার করা হলেও আবারো বলতে হচ্ছে, কথার মাধ্যমে নয়, কাজের মাধ্যমে নিজেকে প্রমাণ করুন।
* ‘Objective’ : এই শব্দটিও ব্যবহারের কোনো প্রয়োজন নেই। যেহেতু চাকরিটা পাওয়াই আপনার লক্ষ্য, তাই শব্দটি জীবনবৃত্তান্তে উল্লেখ না করে ক্যারিয়ার সামারি উল্লেখ করুন। তবে যদি পদটির বিপরীতে আপনার পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা না থাকে, বা কোনো নির্দিষ্ট পদে আপনি আবেদন করে না থাকেন, তাহলে এ শব্দটি ব্যবহার করতে পারেন।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৫ জুলাই ২০১৮/ফিরোজ
বেশিরভাগ জীবনবৃত্তান্ত অপ্রচলিত শব্দ, পরিভাষার কারণে ‘মরা গাছে ভরা জঙ্গল’ এর মতো হয়ে যায়। গতানুগতিক, বিরক্তিকর, পরিভাষা বা শব্দ ব্যবহারের কারণে নিয়োগদাতারা ওই ধরনের জীবনবৃত্তান্ত বার বার দেখে হতাশ হয়ে পড়েন। তাই নিচের কিছু শব্দ বা পরিভাষা থেকে জীবনবৃত্তান্তকে মুক্ত রাখলে সুফল পাবেন আপনি।
* ‘Salary negotiable’ : নিয়োগদাতারা জানেন আপনি বেতন নিয়ে কথা বলতে চান। যদি ওই বিষয়ে জীবনবৃত্তান্তে কিছু লেখেন আপনি, তাহলে তারা হয়তো বুঝবেন যে নিজের বা কাজের ব্যাপারে আর কিছু জানানোর নেই বলেই আপনি অনেকটা শূন্যস্থান পূরণ করেছেন বেতন প্রসঙ্গ টেনে। অনেক কোম্পানিতে বেতন নিয়ে কথা বলার সুযোগ থাকে না। সেক্ষেত্রেও বেতন নিয়ে সমঝোতা প্রসঙ্গে জীবনবৃত্তান্তে কিছু লেখা ঠিক না।
* ‘References available by request’ : অনেকে জীবনবৃত্তান্তে এ ধরনের উদ্ধৃতি দেন। এটিও ঠিক না। জীবনবৃত্তান্ত লিখতে যথা সম্ভব অপ্রয়োজনীয় শব্দ, বাক্য পরিহার করুন।
* ‘Responsible for---------’ : এই টার্মটি দেখে নিয়োগদাতা আপনার সম্পর্কে সাদামাটা একটি ধারণা পাবেন। আপনাকে হয়তো খুব সাধারণ একজন চাকরিপ্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করবেন তিনি। কারণ অফিসে দায়িত্বশীলতা আপনার কোনো গুণ নয়। বরং কাজের খাতিরে অন্য সবার মতো আপনাকেও দায়িত্ব নিতে হয়েছে। এটি আলাদা করে উল্লেখ করার কোনো বিষয় নয়। তাই ‘রেসপন্সিবল ফর’ শব্দের পরিবর্তে ‘ম্যানেজড’, ‘লেড’ বা এ ধরনের সুস্পষ্ট, স্ট্রং ভার্ব ব্যবহার করুন।
* ‘Experience working in---------’ : আবারো মনে রাখতে হবে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অভিজ্ঞতা বাড়বে আপনার। এটা ব্যক্তিগত কোনো গুণ নয়। তাই জীবনবৃত্তান্তে কি কি কাজে আপনার অভিজ্ঞতা আছে, তা উল্লেখ না করে বরং আপনি কি কি সাফল্য অর্জন করেছেন তা উল্লেখ করুন।
* ‘Problem solving skills’ : সমস্যা সমাধানের দক্ষতা আপনার আছে, এ কথাও জীবনবৃত্তান্তে জানানো জরুরি নয়।
* ‘Detail oriented’ : অফিসে মূলত সবাই যার যার কাজে সম্পূর্ণভাবে মনোযোগ দেন। এটি সবার কর্তব্য। আলাদা করে নিয়োগদাতাকে এ ব্যাপারে জানানোর কোনো প্রয়োজন নেই। বিষয়টি হাস্যকর হয়ে যেতে পারে। বরং অন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানান জীবনবৃত্তান্তে।
* ‘Hardworking’ : যেকোনো কাজ করার আগে এ নিয়ে বেশি কথা না বলে তা করে দেখানোই উত্তম। অফিসে এ নীতি খুব বেশি প্রযোজ্য। নিজেকে কঠোর পরিশ্রমী দাবী করতে পারেন যে কেউ। কিন্তু কাজের মাধ্যমে বসকে যদি তা প্রমাণ করতে না পারেন তাহলে সে কথার কোনো মূল্য নেই। তাই আগের অফিসে কী ধরনের কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে নিয়োগদাতাকে মুনাফা এনে দিয়েছিলেন, তা জানান। অযথা কঠোর পরিশ্রমের কথা না বলাই ভালো।
* ‘Team player’ : আবারো একই কথা। বলার চেয়ে কাজ করার ব্যাপারে মনোযোগী হতে হবে আপনাকে। নিজেকে টিম প্লেয়ার হিসেবে জাহির না করে, প্রমাণ করুন আপনি সত্যিকার অর্থেই কাজের প্রতি দায়িত্বশীল। অনেক কোম্পানিতে অবশ্য দলবদ্ধ হয়ে কাজ না করে একক ভাবে কাজ করতে হয়। সেক্ষেত্রে যদি অন্যদের সঙ্গে সফলভাবে কাজ করার ঘটনা থাকে, তা জীবনবৃত্তান্তে উল্লেখ করুন। কেমন টিমের সঙ্গে আপনি কাজ করে সাফল্য পেয়েছেন, সেটাও জানাতে পারেন।
* ‘Proactive’ : এটা একটা ফাঁকা বুলি ছাড়া আর কিছু নয়। ইতিবাচক চিন্তা ধারা বোঝাতে এ শব্দটি ব্যবহার করা হলেও আবারো বলতে হচ্ছে, কথার মাধ্যমে নয়, কাজের মাধ্যমে নিজেকে প্রমাণ করুন।
* ‘Objective’ : এই শব্দটিও ব্যবহারের কোনো প্রয়োজন নেই। যেহেতু চাকরিটা পাওয়াই আপনার লক্ষ্য, তাই শব্দটি জীবনবৃত্তান্তে উল্লেখ না করে ক্যারিয়ার সামারি উল্লেখ করুন। তবে যদি পদটির বিপরীতে আপনার পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা না থাকে, বা কোনো নির্দিষ্ট পদে আপনি আবেদন করে না থাকেন, তাহলে এ শব্দটি ব্যবহার করতে পারেন।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৫ জুলাই ২০১৮/ফিরোজ
Friday, 9 March 2018
small think can make high tension
যেসব ছোট চিন্তা তীব্র উদ্বেগ বাড়ায় (শেষ পর্ব)
এস এম গল্প ইকবাল : রাইজিংবিডি ডট কম
প্রকাশ: ২০১৮-০৩-০৪ ৯:১০:৫৫ এএম || আপডেট: ২০১৮-০৩-০৪ ২:০১:৩৫ পিএম
![]() |
এস এম গল্প ইকবাল : এই প্রতিবেদনে আলোচিত প্রচলিত শব্দগুচ্ছগুলো সর্বোপরি নির্দোষ নয়। প্রকৃতপক্ষে, এসব ভাবনা আপনার মধ্যে অ্যানজাইটি বা তীব্র উদ্বেগ সৃষ্টি করে। আপনি কিভাবে এসব ভাবনা পুনর্বিবেচনা করবেন তা এখানে তুলে ধরা হলো। এ নিয়ে দুই পর্বের প্রতিবেদনের আজ থাকছে শেষ পর্ব।
* ‘আমি এ কাজটি শেষ করতে পারব না’
* ‘আমি এ কাজটি শেষ করতে পারব না’
‘আমি এ কাজটি শেষ করতে পারব না’- এ ধরনের চিন্তা সন্দেহ ও অনিশ্চয়তার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। এ প্রকৃতির চিন্তা কাজের প্রতি উৎসাহ কিংবা উদ্দীপনা হ্রাস করে। মনের ভেতর এরকম ভাবনা ঘুরপাক খেতে থাকলে আত্মবিশ্বাস তলানিতে নেমে যায়। কোনো দ্বিধাপূর্ণ বা কঠিন কাজ করার জন্য কাজটিকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে পর্যায়ক্রমে প্রত্যেকটি অংশ সম্পন্ন করতে পারেন। একটি অংশ সম্পন্ন করলে আপনার মধ্যে আত্মবিশ্বাস জন্মাবে, যার ফলে আপনি পরবর্তী অংশ সম্পন্ন করার জন্য উৎসাহ পাবেন। কোনো বিভক্ত অংশ বা কাজ কত ছোট সেটা কোনো ব্যাপার নয়, আত্মবিশ্বাসটাই মুখ্য। ‘আমি এ কাজটি কখনো সম্পন্ন করতে পারব না’- এরকম ভাবার পরিবর্তে মনকে বলার চেষ্টা করুন, ‘আমি এ ছোট কাজটি সম্পন্ন করতে যাচ্ছি’ এবং তা করা হয়ে গেলে বলুন, ‘আমি এটা করেছি। আমি আরো বেশি কাজ করতে পারব।’
* ‘আমি এ প্রেজেন্টেশন গুলিয়ে ফেলব’
* ‘আমি এ প্রেজেন্টেশন গুলিয়ে ফেলব’
‘আমি এ প্রেজেন্টেশন/প্রজেক্ট/স্পিচ/(অথবা অন্য কিছু) গুলিয়ে ফেলব’- এ ধরনের কথা নিজেকে বলা ভালো নয়।’ ভুল করাই যাবে না- এ জাতীয় অযৌক্তিক বিশ্বাস থেকে এরকম ভাবনার উদয় হয়। মানুষ মাত্রই ভুল করে। আপনি কোনো ভুল করতেই পারেন, তার মানে এই নয় যে সম্পূর্ণ বিষয়টি বা সবকিছু গুলিয়ে ফেলছেন। এরকম নেতিবাচক চিন্তার দ্বারা নিজের কনফিডেন্সকে ব্লক না করে নিজের ওপর আস্থা রাখুন। ‘আমি কাজটি গুলিয়ে ফেলতে যাচ্ছি’- এরকম না ভেবে নিজেকে বলার চেষ্টা করুন, ‘আমি ভুল করতে পারি এবং তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো মানে হয় না, কারণ আমি নিজেকে সংশোধন করে নেব এবং আমার কাজ চালিয়ে যাব। প্রত্যেক মানুষই ভুল করে।’
* ‘আমার এ কথা বলা উচিত হয়নি’
* ‘আমার এ কথা বলা উচিত হয়নি’
আপনি যা বলে ফেলেছেন তা আর ফিরিয়ে নিতে পারবেন না। আপনি হয়তো এমন কথা বলেছেন যা বলা উচিত হয়নি, কিন্তু তা সত্ত্বেও ‘উচিত’ শব্দটি নিয়ে আর মাথা ঘামাবেন না, অন্যথায় আপনার উদ্বেগ বেড়ে যেতে পারে। কখনো কখনো আমরা ‘কেন এমনটা বলেছি’ এটা ভেবে হতাশ হয়ে পড়ি এবং নিজেদের বা অন্যদের প্রতি ক্রুদ্ধ হই। কি বলা উচিত ছিল কিংবা কি বলা উচিত হয়নি- এসবের ওপর ফোকাস না করে যা বলা হয়ে গেছে তা থেকে মন ফিরিয়ে নিন এবং পরবর্তীতে সুন্দর আলাপের প্রত্যাশায় থাকুন। ‘আমার এ কথা বলা উচিত হয়নি’- এরকম ভাবার পরিবর্তে ভাবুন, ‘আমি তা বলে ফেলেছি। হয়তো তার চেয়ে ভালো কিছু বলতে পারতাম। যাইহোক, আমি আশাবাদী যে পরবর্তীতে সুন্দর কথা বলতে পারব।’
* ‘সবাই আমাকে নির্বোধ মনে করছে’
* ‘সবাই আমাকে নির্বোধ মনে করছে’
অধিকাংশ লোক তাদের আশপাশে কি ঘটছে তাতে খুব বেশি মনোযোগ দেন। তারা ‘অন্যদের সামনে আমাকে কেমন লাগছে বা অন্যরা আমার সম্পর্কে কি ভাবছে’- এ জাতীয় ভাবনায় ব্যস্ত থাকে এবং তাদের প্রতি অন্য কেউ ততটা মনোযোগ না দিলে তারা নিজেদেরকে বোকা মনে করে উদ্বিগ্ন হয়। ‘সবাই আমাকে নির্বোধ মনে করছে’- এরকম চিন্তা না করে নিজেকে বলুন, ‘প্রত্যেকে নিজেকে নির্বোধ দেখাচ্ছে ভেবে উদ্বিগ্ন এবং তারা আসলেই আমার প্রতি ফোকাস করছে না।’
* ‘আমি খুব মোটা’
* ‘আমি খুব মোটা’
‘আমি খুব মোটা’- এরকম ভাবনা আপনাকে মেদ কমাতে সাহায্য করবে না। আপনার অস্বস্তিদায়ক অনুভূতি দূর করার জন্য উপায় অনুসন্ধান করুন। মেদ কমানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আপনি অস্বস্তি ও উদ্বেগের কবল থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন। ‘আমি খুব মোটা’- এরকম না ভেবে নিজেকে বলুন, ‘আমি এক্সারসাইজ করবো এবং ভালো-সুষম খাবার খাবো।’
* ‘আমি ভীত’
* ‘আমি ভীত’
‘আমি চিকিৎসা/খবর/আবহাওয়া/(অথবা অন্য কিছু) নিয়ে ভীত’- এরকম পরিস্থিতির ক্ষেত্রে আপনি আউটকাম বা ফলাফল সম্পর্কে অনিশ্চিত- যার ওপর আপনার রয়েছে জিরো কন্ট্রোল। এটি স্নায়ু-বিধ্বংসী, তাই মেনে নিন যে আপনি যেটার মধ্য দিয়ে যাবেন সেটা ভীতিকর। কিন্তু নিজের মনে শক্তি যোগানোর জন্য স্মরণ করুন যে আপনি এর পূর্বে ভীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছেন এবং আপনি আবার তা পারবেন। নিজের ভেতর আত্মবিশ্বাস জাগ্রত করা এবং নিজেকে আশ্বস্ত করা গুরুত্বপূর্ণ। ‘আমি ভীত’- এরকম ভাবার পরিবর্তে ভাবতে চেষ্টা করুন, ‘এটি একটি ভীতিকর পরিস্থিতি, কিন্তু আমি তা মোকাবেলা করতে পারবো।’
পড়ুন : যেসব ছোট চিন্তা তীব্র উদ্বেগ বাড়ায় (প্রথম পর্ব)
তথ্যসূত্র : রিডার্স ডাইজেস্ট
রাইজিংবিডি/ঢাকা/৪ মার্চ ২০১৮/ইকবাল/ফিরোজ
পড়ুন : যেসব ছোট চিন্তা তীব্র উদ্বেগ বাড়ায় (প্রথম পর্ব)
তথ্যসূত্র : রিডার্স ডাইজেস্ট
রাইজিংবিডি/ঢাকা/৪ মার্চ ২০১৮/ইকবাল/ফিরোজ
Subscribe to:
Posts (Atom)