২০১৫ সালের আলোচিত ডিভাইসগুলো
মো. রায়হান কবির : রাইজিংবিডি ডট কম
Published:29 Dec 2015 01:41:58 PM Tuesday || Updated:29 Dec 2015 01:43:34 PM Tuesday

বিশেষ করে মোবাইল সংশ্লিষ্ট ডিভাইস এর মধ্যে অন্যতম। যদিও এর খুব কম পণ্য বা প্রযুক্তির সঙ্গে আমরা পরিচিত হতে পেরেছি। কারণ এসব প্রযুক্তি বা ডিভাইসগুলো বিশ্বব্যাপী সমাদর কুড়ালেও আমাদের কাছে রয়ে গেছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। এর যতটা না মূল্যের জন্যে, তার চেয়ে বেশি আমাদের এসব প্রযুক্তির ব্যবহারের অনভ্যস্ততার কারণে।
যা হোক, চলুন দেখি বিদায়ী বছরের আলোচিত ডিভাইসগুলো-
অ্যাপল পেন্সিল: অ্যাপল এর বিশেষত্বই এমন যে, এটা গতানুগতিক ধারাকে প্রযুক্তিতে বদলে দেয়। অ্যাপেল যখন ট্যাব নিয়ে আসে, তখন আমরা বলেছিলাম, এটা হচ্ছে একুশ শতকের স্লেট। কারণ স্লেটে যেমন খুশি আঁকিবুঁকি করতে যেমন কোনো মানা ছিলনা, তেমনি আপেলের ট্যাবগুলোও আমাদের দিয়েছিল অপার স্বাধীনতা মনের মত করে প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট আঁকিবুঁকি করার। তারই ধারাবাহিকতায় অ্যাপেল ২০১৫ সালে লঞ্চ করে আইপ্যাড-প্রো ট্যাবের জন্য অ্যাপেল পেন্সিল।
এটি এমন এক ডিভাইস, এর সঙ্গে আপনাকে যে পেন্সিল (যদিও ট্যাবের সঙ্গে দেয়া এ ধরনের কলম সদৃশ বস্তুটিকে এতদিন ‘পেন’ নামেই অভিহিত করা হত) দেয়া হবে সেটা বাস্তবের পেন্সিলের চেয়েও অনেক শক্তিশালী! এই পেন্সিলের সাহায্যে আপনি একেবারে পেন্সিলের মতোই আচরণ করতে পারবেন। যেমন, আপনি একটু গাঢ় করে কোনো দাগ কাটতে চাইলে একটু জোরে চাপ দিন, আবার আলতো চাপে হালকা দাগ কাটতে পারবেন। পারবেন, সাধারণ পেন্সিলের মতো ব্যবহার করতে আবার এটাকে পরিণত করতে পারবেন রং পেন্সিলে! তাই ২০১৫ সালের ডিভাইসগুলোর ভেতর অ্যাপেল পেন্সিল বা আইপ্যাড-প্রো একটি চমৎকার উদ্ভাবন।
স্যামসাং গিয়ার এস-টু স্মার্টওয়াচ: স্মার্টওয়াচ ২০১৫ সালে অনেক এসেছে। এমনকি অ্যাপলও এনেছে। তবে ইউরোপ- আমেরিকার বাজারে ইউজার ফ্রেন্ডলি স্মার্টওয়াচ হিসেবে স্যামসাং গিয়ার এস-টু বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এটার ডিজাইন করা হয়েছে খুব সাধারণ ঘড়ির মতো এবং সফটওয়্যারও ছিল বেশ সাবলিল। তাই অ্যাপল এর ব্র্যান্ডনেমও একে মার খাওয়াতে পারেনি।
স্মার্টফোন: ২০১৫ সালকে স্মার্ট ফোনের স্বর্ণ যুগ বলা যেতে পারে। এ বছরেই আইফোন এবং স্যামসাং তাদের অন্যতম সেরা ফোনগুলো বাজারে ছাড়ে। স্যামসাং তাদের বহুল প্রতিক্ষিত বাঁকানো গ্লাসের স্মার্টফোন গ্যালাক্সি এস সিক্স ও সিক্স এজ বাজারে ছাড়ে। যা ২০১৫ সালের সেরা ফোনও নির্বাচিত হয়েছে বিভিন্ন জরিপে। এদিকে আইফোন তাদের সুনাম ধরে রেখেছে আইফোন সিক্স এস এবং সিক্স এস প্লাস দিয়ে। যদিও অনেকে অভিযোগ করেছেন আইফোন সিক্স এস ফোনটি বেঁকে যায়। এছাড়াও এ বছর আরো বেশ কিছু আলোচিত ফোন বাজার মাত করেছে। তার ভেতর রয়েছে অপো আর-৭, অ্যালকাটেল আইডোল-৩, সনি এক্সপেরিয়া জেড-৫, নেক্সাস ৫এক্স ও সিক্স পি এবং মোটো-জি সেটগুলো।
অ্যাপেল টিভি: বিশ্বের তারবিহীন টিভির বাজারে প্রবেশ করলো অ্যাপেলও। তারা এ বছর লঞ্চ করে অ্যাপেল টিভি। অসাধারণ পিকচার কোয়ালিটি এবং সাউন্ড সিস্টেমের পাশাপাশি এর মূল বিশেষত্ব হচ্ছে এর স্মার্ট রিমোটে। সিরি নামে এই রিমোট বেশ পাওয়ারফুল। এর রিমোট খুব ইউজার ফ্রেন্ডলি এবং এর টাচও খুব মসৃণ। এই রিমোটের আরেকটি বিশেষত্ব হল, ভয়েস কমান্ড। আপনি মুখে যা বলবেন, আপনার টিভি তাই মেনে চলবে। আপনি মুভি চ্যানেল দেখতে চাইলে শুধু বললেই হবে, সঙ্গে সঙ্গে আপনার টিভি স্ক্রিনে ভেসে আসবে আপনার প্রিয় চ্যানেল!
সারফেস বুক: মাইক্রোসফট তাদের মোবাইল বাজারে সুবিধা করতে না পারলেও সফটওয়্যারে তাদের কারিশমা বহাল রেখেছে। যার দরুন মাইক্রোসফট লঞ্চ করে উইন্ডোজ ১০। উইন্ডোজ ৮ এরপর উইন্ডোজ ৯ বাদ দিয়ে সরাসরি উইন্ডোজ ১০ এর উপস্থাপন দিয়ে মাইক্রোসফট বুঝিয়ে দেয় তারা তাদের শেষ দেখে ফেলেনি। যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তারাও প্রস্তুত। উইন্ডোজ ৮ এর সকল দুর্বলতা দূর করে অতিমাত্রায় আপডেট একটি ভার্সন লঞ্চ করা চাট্টিখানি কথা নয়। একই সঙ্গে তারা লঞ্চ করে খুবই আপগ্রেডেড ল্যাপটপ ‘সারফেস বুক’। অনেকের মতে এই সারফেস বুকই হতে পারে মাইক্রোসফটের ভবিষ্যত। চমৎকার এই ল্যাপটপকে আপনি খুব সহজেই পরিণত করতে পারবেন ট্যাবে। তাছাড়া এ যাবতকালের সবচেয়ে পাওয়ারফুল ল্যাপটপও ধরা হচ্ছে এই সারফেস বুককে।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৯ ডিসেম্বর ২০১৫/ফিরোজ
No comments:
Post a Comment