Sunday, 30 April 2017

look to moon info



যে কারণে আমরা চাঁদের একপাশই দেখি

অহ নওরোজ : রাইজিংবিডি ডট কম
 
   
প্রকাশ: ২০১৭-০৪-২৯ :৪৭:১৫ পিএম     ||     আপডেট: ২০১৭-০৪-২৯ :৪৭:১৫ পিএম
অহ নওরোজ : ছোটবেলা থেকেই আমরা চাঁদের সঙ্গে পরিচিত। গরমের দিনে উঠোনে বসে প্রবল জ্যোৎস্নার ভেতর বড়দের কাছ থেকে চাঁদকে নিয়ে দু-চারটি গল্প শোনেনি এমন লোক পাওয়া মুশকিল। সে সময়ে চাঁদের দিকে তাকিয়ে কত কল্পনাই না আসতো।

এরপর বড় হয়ে আমরা জেনেছি চাঁদ পৃথিবীর একটি উপগ্রহ। নিজের অক্ষের ওপর পাক খাওয়ার পাশাপাশি পৃথিবী যেমন সূর্যকে কেন্দ্র করে তার চারিদিকে ঘুরে থাকে, চাঁদও তেমন নিজের অক্ষের ওপর পাক খাওয়ার পাশাপাশি পৃথিবীর চারিদিকে ঘুরে থাকে। কিন্তু এটা নিয়ে কৌতূহল জাগা স্বাভাবিক যে, নিজের অক্ষের ওপর পাক খেলে পৃথিবী থেকে সবসময়ই আমরা কেন চাঁদের একপাশ দেখি। চলুন তাহলে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

এটা সত্য যে চাঁদ গোলাকার, অনেকটা চাকতির মতো এবং নিজ অক্ষের ওপর পাক খেতে খেতে এটি পৃথিবীর চারিদিকে আবর্তিত হয়। কিন্তু নিজের অক্ষের ওপর পাক খেলেও পৃথিবী থেকে আমরা সবসময় চাঁদের এক পাশই দেখি। কারণ চাঁদ পৃথিবীর চারিদিকে ঘোরার পাশাপাশি তার নিজের অক্ষের ওপরে যে ঘোরে, এই ঘোরা বৃত্তাকার, কিংবা উপবৃত্তাকারভাবে না, বরং এটি ঘোরে সমলয় বা যুগপৎভাবে। অর্থাৎ অবস্থান বদলানোর সাপেক্ষে ঘূর্ণন। এছাড়া পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ঘুরতে চাঁদের যে সময় লাগে, নিজের অক্ষের ওপরে পাক খেতেও চাঁদের একই সময় লাগে। এই আশ্চর্যমিল অন্য কোনো গ্রহের উপগ্রহদের বেলায় দেখা যায় না। এসব কারণেই পৃথিবী থেকে চাঁদের একটা পিঠই সবসময় আমাদের চোখে পড়ে



নিজের চারিদিকে এবং পৃথিবীর চারিদিকে একবার ঘুরতে চাঁদের সময় লাগে প্রায় ২৭ দিন, ঘন্টা, ৪৩ মিনিট এবং ১১ সেকেন্ড আর সমসাময়িক আবর্তনের ফলে পৃথিবী থেকে সময়টি ২৯. দিন হিসেবে গণনা করা হয়। পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ঘোরার সময়ে একটি ঘণ্টা আবর্তনের মধ্যে অর্ধেক ডিগ্রি দূরত্ব করে দূরত্ব অতিক্রম করে চাঁদ। এইভাবে পশ্চিম থেকে পূর্বে পৃথিবীকে কেন্দ্র করে যে অক্ষরেখায় চাঁদ আবর্তন করে থাকে, সেই অক্ষরেখায় সে একদিন বা ২৪ ঘন্টায় ১৩°কোণ অতিক্রম করে। তবে এই সময়ে চাঁদের কক্ষপথের উৎকেন্দ্রিকতা থেকে যে ক্ষুদ্র পরিবর্তনের সৃষ্টি হয় তার কারণে পূর্ণিমার সময়ে পৃথিবী থেকে চন্দ্রপৃষ্ঠের শতকরা প্রায় ৫৯ ভাগ দেখা যায়।

চাঁদের যে পৃষ্ঠটি পৃথিবী থেকে দেখা যায় তাকে নিকট পাশ বলা হয় এবং এর বিপরীত পৃষ্ঠটিকে বলা হয় দূর পার্শ্ব। আর চাঁদের চাঁদের যে গোলার্ধে কোনো নির্দিষ্ট সময়ে সূর্যের আলো পৌঁছায় না সে গোলার্ধকে অন্ধকারাচ্ছন্ন পার্শ্ব বলা হয়। ১৯৫৯ সালে প্রথমবারের মতো চাঁদের অপর পৃষ্ঠের ছবি তোলে সোভিয়েত ইউনিয়নের লুনা- নামক নভোযান। তবে চাঁদের অপর পৃষ্ঠে কালো দাগের সংখ্যা কম। পৃথিবী থেকে চাঁদের বুকে যে কালো রেখা দেখা যায় তাকে বলা হয়মারিয়া সাহিত্যে একে চাঁদের কলঙ্ক বলে আখ্যায়িত করা হয়। বিশেষ করে পূর্ণিমার সময় এই দাগ স্পষ্টভাবে দেখা যায়। প্রাচীনকালে জ্যোতির্বিজ্ঞানীগণ এই দাগগুলোকে মনে করতেন চাঁদের বুকে বয়ে যাওয়া সাগর। যে কারণে নাম দেওয়া হয়মারিয়া এইমারিয়াশব্দের একবচন হলমারে লাতিন ভাষায় যার অর্থ হল সাগর। তবে এখন আবিষ্কৃত হয়েছে চাঁদে বাতাস কিংবা পানি কোনোটিই নেই। ফলে সেখানে জীবের অস্তিত্ব থাকাও প্রায় অসম্ভব।

এখনো পর্যন্ত চাঁদ সম্পর্কে অনেক কিছুই রয়েছে আমাদের কাছে অজানা। তবে ভবিষ্যতে বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রার কারণে হয়তো আমরা পৃথিবীর এই একটিমাত্র উপগ্রহ সম্পর্কে আরও জানতে পারবো।

ভিডিওতে চাঁদের ঘূর্ণন দেখুন : http://www.risingbd.com/scienceand-technology-news/223982

তথ্য সূত্র :
*সৌরজগৎ : সুব্রত বড়ুয়া,
*মুন ফ্যাক্ট শিট : ডেভিড উইলিয়ামস
*উইকিপিডিয়া।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৯ এপ্রিল ২০১৭/ফিরোজ

chicken process info



মুরগির মাংস ধুয়ে রান্না করেন? সাবধান!

শাহিদুল ইসলাম : রাইজিংবিডি ডট কম
 
   
প্রকাশ: ২০১৭-০৪-৩০ :১৫:৪১ পিএম     ||     আপডেট: ২০১৭-০৪-৩০ :১৫:৪১ পিএম
প্রতীকী ছবি
শাহিদুল ইসলাম : মুরগির কাঁচা মাংস রান্না করার আগে আমরা সাধারণত ধুয়ে নিই। কারণ, কাঁচা মুরগির মধ্যে ক্যাম্পিলোব্যাকটর সালমোনেলা নামক দুটি ব্যাকটেরিয়া থাকে, যা ফুড পয়জনিং-এর অন্যতম কারণ। সুতরাং রান্না করার আগে মুরগির মাংস ধুয়ে নেওয়াটাই স্বাভাবিক।

কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ড্রেক্সেল বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক জানিয়েছেন, রান্না করার আগে কাঁচা মুরগি ধোয়ার সময় ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া মাংসের সমগ্র পৃষ্ঠ অভ্যন্তরে এবং ছিটে আসা পানি থেকে মানব শরীরেও বিস্তার ঘটতে পারে।

ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচারের অর্থায়নে পরিচালিত এই গবেষণায় দেখা গেছে, এই ব্যাকটেরিয়া শরীরে গেলে ডায়রিয়া, জ্বর, পেট ব্যথা, বমির মতো সমস্যা হতে পারে। সাধারণত এই ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত হলে মানুষ দুই থেকে দশদিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠে। তবে দীর্ঘ মেয়াদে মাংসপেশিতে দূর্বলতা, শিরার বিভিন্ন সমস্যা আথ্রাইটিসের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে



গবেষক দল বলছেন, মুরগির মাংস ধোয়ার সময় ক্যাম্পিলোব্যাকটর সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়া আরো বেশি ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই তারা কিছু উপায় বাতলে দিয়েছেন।

প্রথমতো মুরগির কাঁচা মাংস ধোয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নিজেকে পরিষ্কার করতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব আশপাশের স্থান এবং হাত ভালোভাবে ধুয়ে নিয়ে হবে এছাড়া কাঁচা মুরগির মাংস অন্যান্য খাবারের সংস্পর্শে যেন না আসে। মুরগির মাংস ভালো করে রান্না করতে হবে। কমপক্ষে চুয়াত্তর ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রান্না করতে হবে। সময়মতো রেফ্রিজারেটরে রাখতে হবে।

তথ্যসূত্র : লিফটার



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩০ এপ্রিল ২০১৭/ফিরোজ