Monday, 29 February 2016

3 lac RS 1 cup Tea

যার এক কাপ চায়ের দাম তিন লাখ রুপি

টিপু : রাইজিংবিডি ডট কম
Published:01 Mar 2016   11:30:38 AM   Tuesday   ||   Updated:01 Mar 2016   01:10:53 PM   Tuesday
নীতা আম্বানি

নীতা আম্বানি

ডেস্ক রিপোর্ট : নীতা আম্বানি। ভারতের অন্যতম ধনকুবেরের ঘরণী। আবার, মুম্বাই ইন্ডিয়ানস ক্রিকেট টিমেরও মালকিন তিনি।  ফ্যাশনেবল এই নারী সম্পর্কে জানার আগ্রহ অনেকেরই। তার যাপিত জীবনের অনেক খবরই চমকে ওঠার মতো। নীতা আম্বানির অনেক শখের মধ্যে একটি, এক কাপ নরিতেক চা সকালে চাই তার। অবাক করা খবর হলেও এটাই সত্যি, নীতা আম্বানির সকালের এই এক কাপ চায়ের দামই তিন লক্ষ রুপি!

জাপানের প্রাচীনতম ক্রোকারি ব্র্যান্ড নরিতাকে থেকে ২২ ক্যারেট সোনা ও প্ল্যাটিনাম খচিত ক্রোকারি সেটও কিনেছেন নীতা আম্বানি। যার দাম দেড় কোটি রুপি।

ঘড়ি, ব্যাগ, জুতো এসব নিয়েও যথেষ্ট খুঁতখুঁতে তিনি। তার ঘড়ির কালেকশনে রয়েছে বুলগারি, র‌্যাডো, গুচি, কেলভিন ক্লেন, ফসিল বিশ্বের সেরা ব্র্যান্ডগুলি। হ্যান্ডব্যাগের তালিকায় রয়েছে স্নেল, গোয়ার্ড ও জিমি চু। যার দামই শুরু হয় ৩০ লক্ষ রুপি থেকে।

জুতোর ব্যাপারেও তার পছন্দটা একেবারেই আলাদা। পাদ্রো, গ্রাসিয়া, জিমি চু, পেলমোধা, মার্লিন ব্র্যান্ড শোভিত জুতোর র‌্যাক থেকে একই জুতো কখনই দু’বার পরেন না তিনি। ন’বছর আগে তার জন্মদিনে স্বামীর কাছ থেকে উপহার পেয়েছিলেন ৬০ লক্ষ মার্কিন ডলার মূল্যের এয়ারবাস।
২০১৬ সালের নিরিখে মুকেশ অম্বানির সম্পত্তির পরিমাণ ২০.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১ মার্চ ২০১৬/টিপু

Tiger vs Lion T 20 World Cup Cricket

টাইগারদের কাছে সিংহ ধরাশায়ী : প্রধানমন্ত্রী

এনআর : রাইজিংবিডি ডট কম
Published:01 Mar 2016   01:44:55 AM   Tuesday   ||   Updated:01 Mar 2016   10:53:49 AM   Tuesday
টাইগারদের কাছে সিংহ ধরাশায়ী : প্রধানমন্ত্রী
সংসদ প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এশিয়া কাপ টি-টুয়েন্টিতে রয়েল বেঙ্গল টাইগাররা সিংহল দ্বীপের সিংহকে ধরাশায়ী করেছে। ইনশাআল্লাহ একদিন বিশ্বকাপও জিতব।

সোমবার রাতে জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ কি না পারে। শ্রীলংকার মতো একটি দেশ, যারা সিংহল দ্বীপের আর আমরা রয়েল বেঙ্গল টাইগার। রয়েল বেঙ্গল টাইগাররা সিংহল দ্বীপের সিংহকে ধরাশায়ী করেছে। খেলাধুলায় আমাদের যাত্রা শুরু হয়েছে। আমাদের দুই কন্যা মাবিয়া ও শিলা স্বর্ণ জয় করেছে।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ফুটবল সেখানেও আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। কাজেই আমরা খেলাধুলা থেকে থেকে শুরু করে সবদিকেই এগিয়ে যাব। তার জন্য দরকার আমাদের আত্মবিশ্বাস। নিজেদের ওপর আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে। কারণ আমরা এই দেশ স্বাধীন করেছি। মাথা উঁচু করে বিশ্বসভায় চলব। এই মর্যাদাবোধ নিয়ে আমাদের চলতে হবে। ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে নয়, নিজের পায়ে দাঁড়াব। নিজের দেশ গড়ব। বিশ্বে বাংলাদেশ উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হবে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১ মার্চ ২০১৬/এনআর/সাইফ

Google celebarate 29 feb 2016


লিপইয়ারকে গুগলের ডুডলে দারুণ সেলিব্রেট

টিপু : রাইজিংবিডি ডট কম
Published:29 Feb 2016   12:53:31 PM   Monday   
লিপইয়ার গুগল ডুডলে

লিপইয়ার গুগল ডুডলে

ডেস্ক রিপোর্ট : এবারের ফেব্রুয়ারি মাস লিপইয়ার।আজ  তাই ফেব্রুয়ারির শেষদিন।চার বছর পরপর এভাবে লিপইয়ার আসে। গুগল লিপইয়ারকে তার ডুডলে দারুণ সেলিব্রেট করেছে। গুগল ওপেন হতেই দেখা যাচ্ছে খরগোশদের মাতামাতি।১ ও ২৮ নাম্বার সম্বলিত খোরগোশ ঘুমিয়ে গেলে ২৯ নাম্বার খোরগোশ তার সরব উপস্থিতি জানান দিচ্ছে। এভাবে খোরগোশ দিয়ে ফেব্রুয়ারির ২৯টি দিনকে খুব সুন্দর উপস্থাপন করা হয়েছে গুগল ডুডলে।

দৃশ্যটিও খুব মজার। কিছুক্ষণ পর পর একটি খরগোশ লাফ দিয়ে এসে ১ ও ২৮ নাম্বার সম্বলিত খোরগোশদ্বয়ের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে চাইছে। যার গায়ে লেখা ২৯। সাধারণত ফেব্রুয়ারি মাসের ক্যালেন্ডারে ২৯ তারিখের ‘ঠাঁই’ না থাকায় ঘুমন্ত দুই খরগোশকে চেপে জায়গা করে নিচ্ছে ‘২৯ খরগোশটি’।অর্থাৎ এবারের ফেব্রুয়ারি মাস ২৯ দিনে, লিপইয়ার।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/টিপু

Naughty boy

দুরন্ত শৈশব এবং শহুরে বাস্তবতা

জাহাঙ্গীর আলম বকুল : রাইজিংবিডি ডট কম
Published:29 Feb 2016   07:17:18 AM   Monday   ||   Updated:29 Feb 2016   10:17:37 AM   Monday
দুরন্ত শৈশব এবং শহুরে বাস্তবতা
জাহাঙ্গীর আলম বকুল : অনেকের মতো আমিও বড় হয়েছি গ্রামে। একেবারে অজপাড়াগাঁয়। চারদিকে সবুজ বনানী আর পাকপাখালির কলকাকলিতে ভরা সেই গ্রাম। সন্ধ্যায় বাঁশঝাড়ে দূরদূরান্ত থেকে পাখিরা এসে জটলা পাকাত। গোধূলিলগ্নে সেখানে বিচিত্র পাখির কিচিরমিচির ডাক আর ঝিঁঝি পোকার বিরামহীন ডাকে সন্ধ্যায় আবহ তৈরি হতো। একটু রাত হলে ঘুটঘুটে অন্ধকারে ঝোপ-ঝাড়ের মধ্যে অগুনতি জোনাকির আলো জ্বালাত। সেখানে নিয়ন বাতির আলো জ্বলত না। অমাবস্যার রাত যে কতটা অন্ধকারের, তা গ্রামে বাস করলেই কেবল ধারণা করা যায়।

গ্রামের অমাবস্যার রাত যেমন অন্ধকারের, পূর্ণিমার রাত ঠিক বিপরীত। জ্যোৎস্নায় আলোকিত চারদিক। আকাশ মেঘমুক্ত থাকলে জ্যোৎস্নায় ভাসত মাঠঘাট, প্রান্তর। আমাদের বাড়িটি মাঠের কাছাকাছি হওয়ায় এবং বাড়িতে বিশাল আঙিনা থাকায় জ্যোৎস্নার মোহনীয় রূপ আলাদাভাবে ধরা পড়ত। আমার বাবা-চাচারা একসঙ্গে পৈতৃক ভিটায় বাস করতেন। সেই সূত্রে আমরা চাচাতো ভাই-বোনরা একসঙ্গে বড় হয়েছি। এ ছাড়া সারা বছরই ফুফুতো ভাই-বোনরা আমাদের বাড়িতে থাকত। অনেকে এখানে থেকে আমাদের গ্রামের স্কুলে পড়ত। ফলে ছোট-বড় মিলিয়ে অনেকগুলো ভাই-বোনের সঙ্গে কেটেছে আমাদের ছোট বেলা।

সন্ধ্যায় আমাদের নিয়মিত দায়িত্ব ছিল হারিকেনের চিবনিটা মেজে পরিষ্কার করে আলো জ্বালানো এবং পড়তে বসা। প্রতিটা ঘরের বারান্দায় একাধিক হারিকেন ঘিরে এক-দুজন করে বসতাম। এরপর চলত স্কুলের পড়া তৈরি করা। বড়দের নির্দেশ ছিল জোরে জোরে উচ্চারণ করে পড়তে হবে। তাদের ধারণা ছিল, জোরে জোরে না পড়লে পড়া মুখস্থ হবে না। এতে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যেত- কে কত স্পষ্ট উচ্চারণে পড়তে পারে। কার পড়াটা বড়দের কানে পৌঁছাবে, তাহলে বাহবা পাওয়া যাবে। এতে পড়া মুখস্থ হতো কি না জানি না, তবে পড়া ফাঁকি দিতে পারতাম না। পড়ার ভান করে মুখ বুজে বসে থাকার সুযোগ থাকত না।

সন্ধ্যায় পড়তে বসে স্কুলের পড়া তৈরি করতে হতো, কিন্তু কানটা খাড়া করে রাখতাম। কখন ঈশার আজান দেয়। আজান দিলে মুক্তির ঘণ্টা বাজবে। আজানের কিছুক্ষণ পরে মা ভাত খেতে ডাকবেন। ভাত খেতে পারলেই ঘুম। পুরো রাত গভীর ঘুম শেষে ফজরের আজানের পরপরই সবাইকে উঠতে হতো। একইভাবে সকালে দু-তিন ঘণ্টা পড়ে গোসল সেরে স্কুলে যেতে হতো। সকাল-সন্ধ্যায় পড়ার রুটিন নিয়মিতভাবে সবাইকে মেনে চলতে হতো।

স্কুল থেকে আসার পর দুপুরের খাবার খেয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম। এরপর বিকেলটা ছিল একেবারে আমাদের। তখন আমরা সবাই রাজা আমাদের রাজত্বে। আমাদের চোখের সামনে ছিল দিগন্ত বিস্তৃত প্রান্তর, সবুজ বনানী আর খোলা মাঠে অবাধে দৌড়-ঝাঁপ করার সুযোগ। কত দিন যে সুতা-কাটা ঘুড়ির পেছনে ছুটতে ছুটতে দূরের গ্রামে চলে গেছি, তার হিসাব নেই।

বিকেলে গ্রামের স্কুল মাঠে বন্ধুরা মিলে মৌসুমভেদে ফুটবল, ক্রিকেট বা ভলিবল খেলায় মেতে উঠতাম।। যারা দাঁড়িয়াবান্ধা বা হা-ডু-ডু খেলায় পারদর্শী ছিল, তাদের জন্য গ্রামের বাজারসংলগ্ন মাদ্রাসার মাঠে সেই সুযোগ ছিল। বর্ষাকালে এবং চৈত্র-বৈশাখ মাসে খেলার মাঠ জমে উঠত না। বর্ষাকালে পানি যখন পুকুর ছাপিয়ে মাছ খাল-বিলে বেরিয়ে যেত, কপোতাক্ষ নদে তখন প্রচুর মাছ পাওয়া যেত। তখন বড়দের সঙ্গে জাল দিলে মাছ ধরার আনন্দে মেতে উঠতাম। সারা দিন পানিতে ভিজে মাছ ধরতাম।

চৈত্র-বৈশাখ মাসে গ্রামে ছিল উদাম বাতাস। প্রকৃতিতে তখন বসন্ত শেষে গ্রীষ্মের আনাগোনা। মাঠে ধান কাটা হয়ে গেছে। চারদিকে ধু ধু প্রান্তর। বিকেলে বন্ধুরা মিলে মাঠে মিলতাম। মেতে উঠতাম ঘুড়ি ওড়ানোর প্রতিযোগিতায়। আকাশে শোভা পেত নানান রঙের ঘুড়ি। কার ঘুড়িটা কত ওপরে উঠছে তাই নিয়ে চলত প্রতিযোগিতা। কারো ঘুড়ির সুতা কেটে গেলে তার পেছনে দল বেঁধে ছুটতাম। ঘুড়িটা ঘুরতে ঘুরতে এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রামে গিয়ে পড়ত। আর আমরা ছুটতাম পিছু পিছু। পেরিয়ে যেত গ্রাম। এভাবে পথ হারিয়ে বুকের মধ্যে চাপা উত্তেজনা আর শঙ্কা নিয়ে পথ খুঁজতে খুঁজতে বাড়ি ফিরে আসতাম।

যে দিন ঘুড়ি ওড়ানোর উপযোগী বাতাস থাকত না, সেদিন দল বেঁধে চলত পাখি তাড়ানো। আমাদের এই অসাধ্য খেয়ালের শিকার হতো দোয়েল পাখি। কারণ পাখিটি তেমন উড়তে পারে না। ঢিল খেয়ে কিছু দূর উড়ে আরেক গাছে বসে। ঢিল খেতে খেতে একসময় হয়রান হয়ে যেত। কখনো কখনো ধরতে পারতাম।

বৈশাখ মাসে পাশের গ্রামে বৈশাখী মেলা বসত। সেই বৈশাখী মেলায় মিলত পিস্তল, বন্দুক, ফুটবলসহ নানান খেলনা। এ মেলা নিয়ে আমাদের প্রস্তুতিও থাকত আগে থেকে। দীর্ঘদিন ধরে পয়সা জমাতাম। দুই-তিন জন বন্ধু মিলে মেলায় যেতাম। সেটা ছিল দুরন্ত অ্যাডভেঞ্জার। চেনা-অচেনা মেঠোপথ পেরিয়ে, গ্রাম ছাড়িয়ে অদেখাকে দেখার চাপা উত্তেজনায় একসময় মেলায় পৌঁছাতাম। মিঠায় আর আইসক্রিম খেতাম। কম দামের সেই সব খেলনা কিনতাম দোকান ঘুরে ঘুরে। বিপত্তি বাধত ভিড়ের মধ্যে বন্ধুরা হারিয়ে একা হলে গেলে। এদিকে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসত, আবার একা। বাড়ি ফিরতে হবে সন্ধ্যার আগে। বাড়ি যেতে না পারলে রাতে কী হবে, থাকব কোথায় সেই ভয় পেয়ে বসত। বন্ধুদের ওপর জিদ চাপত, কেন তারা হারিয়ে গেল। তখন ভরসা- এলাকার পরিচিত কারোর যদি দেখা মেলে। তাও না মিললে ফিরতে হতো একা একা। গা ছম ছম করা ভয়ে, চেনা-অচেনা মেঠোপথে একা একা ছুটতাম ডুবন্ত সূর্যটার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে। আগের রাতে দাদির কাছে যে ভূতের গল্প শুনেছি, সেটাও কেন জানি মনে পড়ে যেত তখন। ছুটতে ছুটতে একসময় দূরে আমাদের বাড়িটার দেখা মিলাত, তখন হাঁপ ছেড়ে বাঁচতাম। তখন নিজের মধ্যে বিজয়ের গর্ব অনুভাব করতাম।

এমনই বিচিত্র অভিজ্ঞতায়, আনন্দে-ভয়ে সাহসিকতায়, মুক্ত সবুজ-প্রান্তরের নির্মল বাতাসে, চাচাতো-ফুফাতো ভাই-বোনদের সঙ্গে মিলে কেটেছে- আমরা যারা গ্রামে বড় হয়েছি, তাদের ছোট বেলা। সেখানে প্রতিদিনের পড়ার রুটিন ছিল, কিন্তু পড়ার চাপে রুদ্ধশ্বাস অবস্থা ছিল না। ক্লাসে প্রথম হওয়ার প্রতিযোগিতা ছিল কিন্তু সেই প্রতিযোগিতা প্রতিদিনের খেলার আনন্দে ব্যাঘাত ঘটাতে পারেনি কখনো। যে সবুজ প্রান্তরে আমরা খেলেছি, যে বিস্তীর্ণ নীল আকাশে প্রতিদিন গোধূলিলগ্নে সূর্য ডোবা দেখেছি, যে সহপাঠী-বন্ধুদের সঙ্গে অভিমানে-অনুরাগে জীবনের সেই স্বপ্নিল সময় কাটিয়েছি, তাদের প্রতি, সেই জন্মভূমির প্রতি একটা অজানা ভালোবাসা, মনের মধ্যে টান অনুভাব করি।

আজ ঢাকা শহরের চার দেয়ালে বন্দি শিশুদের দেখলে বড্ড কষ্ট লাগে। এদের শৈশব, কৈশোরের প্রায় প্রতিটি দিন কাটে চার দেয়ালের মধ্যে। এদের সামনে সবুজ প্রান্তর নেই। এরা কখনো দূর গ্রামে গিয়ে পথ হারিয়ে পথ খোঁজে না। দুরু দুরু বুকে রোমাঞ্চকর পথ চলার অভিজ্ঞতা এরা অর্জন করে না। এরা বৃষ্টি দেখে তুলতুলে বিছানায় বসে কাচের গ্লাসের ভেতর দিয়ে। কালো মেঘের আকাশে ঝুম ঝুম বৃষ্টির মধ্যে বন্ধুদের সঙ্গে দস্যিপনা- এরা শুধু গল্পে পড়ে। ঝড়ের মধ্যে আম কুড়ানোর যে আনন্দ তা এদের জানা নেই। এদের শৈশব-কৈশোরের আনন্দ চাপা পড়ে গাদি গাদি বইয়ে। এদের কাছে খেলা মানে কম্পিউটারে স্ক্রিনে মুখ গুঁজে বসে থাকা। এরা ভীষণ নিঃসঙ্গ। ভাই-বোনদের সঙ্গে খুনসুটি করতে এরা শেখে না। দাদা-দাদির কোলে শুয়ে রূপকথার গল্প শুনতে শুনতে রাজকন্যা উদ্ধার করতে যায় না।   

যখন ব্যালকুনিতে কোনো নিঃসঙ্গ শিশুকে উদাস নয়নে বাইরে তাকিয়ে থাকতে দেখি, নিজেকে অপরাধী মনে হয়। কত নিষ্ঠুরভাবে দমন করে ওদের সম্ভাবনাকে ‘বিকলাঙ্গ’ করে দিচ্ছি আমরা। যান্ত্রিক সভ্যতার বাস্তবতায় আমরাও যে অসহায়।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/বকুল/ এএন

Sofa entertainment

একাকীত্বে প্রিয়জনের ছোঁয়া দেবে সোফা

মনিরুল হক ফিরোজ : রাইজিংবিডি ডট কম
Published:29 Feb 2016   01:12:35 PM   Monday   ||   Updated:29 Feb 2016   02:15:23 PM   Monday
একাকীত্বে প্রিয়জনের ছোঁয়া দেবে সোফা
লাইফস্টাইল ডেস্ক : একা? সঙ্গীহীন? স্বান্তনা ও পরশ পাওয়ার জন্য ব্যাকুল? কিন্তু মনের মধ্যে মানুষের প্রতি বিরক্তে ভরা?

তাহলে আপনার জন্য সমাধান হতে পারে সোফা! যুক্তরাজ্যের ডিজাইনার ইয়ুন ইয়াং তৈরি করেছেন একাকীত্ব ঘরানার মানুষের জন্য আকর্ষণীয় ডিজাইনের সোফা। এটি খুবই নরম পশমের ফেব্রিকে তৈরি। আর অন্যসব সোফা থেকে এই সোফাটির বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এই সোফার বাহু রয়েছে!

সোফার এই বাহুর মাধ্যমে হাগের আরাম (কেউ জড়িয়ে ধরার অনুভূতি) পাওয়া যাবে। সুতরাং এমন সোফা যদি আপনার থাকে তাহলে আর অন্য মানুষের দরকার কী!

ইয়ুন ইয়াং বলেন, ‘এই আরামদায়ক সোফার নরম বাহু একাকীত্বের সময়ে মা, বন্ধু কিংবা প্রিয়জনের স্পর্শের মতোই।’

অভিনব এই সোফাটির কিছু ছবি দেখুন






তথ্যসূত্র: মেট্রো

 http://www.risingbd.com/%E0%A6%B8%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A7%80%E0%A6%B9%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9B%E0%A7%8B%E0%A6%81%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%AF%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A7%8B%E0%A6%AB%E0%A6%BE/149552

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/ফিরোজ