যেমন হবে ভবিষ্যতের শহুরে জীবন
মোখলেছুর রহমান : রাইজিংবিডি ডট কম
Published:15 Feb 2016 05:10:39 PM Monday || Updated:15 Feb 2016 08:40:00 PM Monday

কিন্তু তারা প্রতিবেদনে এটিও তুলে ধরেন যে, ১০০ বছর পরে মানুষের জীবনে অনেক বেশি মজাদার হবে, মানুষের কাজের সময় অনেক কমে আসবে এবং মানুষ ড্রোন চালিত ক্যারাভেন এ তাদের ছুটির দিনগুলো কাটাবে।
প্রতিবেদনে তারা আরও বলেন যে, ভবিষ্যতে মানুষ নমনীয় এবং উন্নতমানের আসবাবপত্রে ভরা আকাশচুম্বি উঁচু তলার বাড়ি বা পানির নিচে ডুবো যানে বসবাস করবে এবং পাশাপাশি তখন মানুষ সপ্তাহে মাত্র তিন দিন কর্ম দিবস পালন করবে এবং বাকি দিনগুলো উপভোগ করবে।
‘ভবিষ্যতর আধুনিক বস্তু এবং জীবন-যাপন’ নামক এই প্রতিবেদনটি সমন্বিতভাবে লিখেছেন মহাকাশ বিজ্ঞানী ড. ম্যাগি অ্যাডেরিন পক্কক, জ্যোতিষী এবং স্থাপত্যবিদ আর্থার মামৌও-মনি, টবি বার্গেস, আরবানিস্টস লিন্ডা এইটক্যান এবং এলস লেখরেক। বলা হয়েছে, সময়ের চলমান প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে পরবর্তী শতাব্দীতে অবশ্যই মানুষের বসবাস করা, কাজ এবং খেলার ধরন বদলে যাবে।
এই প্রতিবেদনে এই ভবিষ্যত বাণী করা হয়েছে যে, বিশ্ব জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে শহরগুলোতে ভবিষ্যতে আরও অনেক বেশি মানুষ এক সঙ্গে গাদাগাদি হয়ে বসবাস করবে এবং ফলাফল রুপে শহরে পরিবেশের পরিবর্তন ঘটবে। সুতরাং তখন স্থাপত্যবিদদের ভূগর্ভস্থ গভীর গর্তে, পানির নিচে অথবা এবং ক্রমবর্ধমান আকাশচুম্বি উঁচু দালান নির্মাণ করতে হবে।
ঠিক এ কথারই প্রমাণ স্বরুপ- একটি চিত্র অঙ্কন করা হয়েছে যেখানে দেখানো হয়েছে আধুনিক লন্ডনে দিগন্তচূড়া সমউচ্চ অ্যাপার্টমেন্ট নির্মিত হবে। ইউরোপের সবচেয়ে উঁচু ভবনকেও তখন খুব ছোট মনে হবে।
রিপোর্ট বলা হয়েছে যে, কার্বন ন্যানোটিউবস এবং হীরা ন্যানোথ্রেডস এর ব্যবহার এখনকার চাইতে অনেক উচ্চ মহাদালান তৈরি করতে ইঞ্জিনিয়ারদের সাহায্য করবে যেখানে ২৫ তলা ভবন ভূগর্ভস্থেই লুকায়িত থাকবে। এছাড়া চাঁদ ও মঙ্গল গ্রহে প্রতিনিয়ত চলবে বাণিজ্যিক বিমান।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/ফিরোজ
No comments:
Post a Comment