Wednesday, 27 January 2016

Messi boy

পরিচয় পাওয়া গেছে মেসি বালকের

রুহুল : রাইজিংবিডি ডট কম
Published:27 Jan 2016   03:50:17 PM   Wednesday   ||   Updated:27 Jan 2016   04:31:36 PM   Wednesday
পরিচয় পাওয়া গেছে মেসি বালকের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পলিথিনের ব্যাগ কেটে বানানো মেসির নাম লেখা আর্জেন্টিনার  ‘জার্সি’ গায়ে দেওয়া একটি শিশুর ছবি বেশ কয়েকদিন ধরেই সামাজিক মাধ্যমে ঘুরছিল। তারপর বিবিসিসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবরও হয়েছিল সেই ছবিটি নিয়ে। মেসির কানেও গিয়েছিল সেই খবর। মেসি চেয়েছিলেন সত্যি সত্যি সেই ছেলেটিকে নিজের নাম লেখা একটি জার্সি উপহার দিবেন। কিন্তু ছেলেটির পরিচয় পাওয়া যাচ্ছিল না। কোন দেশের নাগরিক তাও জানা যাচ্ছিল না। কেউ বলছিল ইরাকের কুর্দি, কেউ আবার বলছিল আফগানিস্তানের প্রত্যন্ত অঞ্চলে তার বাড়ি। অবশেষে সমস্যার সমাধান হয়েছে। পাওয়া গেছে সেই মেসিবালকের পরিচয় এবং জানা গেছে তার অবস্থান।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে মেসির ‘সবচেয়ে বড় ভক্ত’ হিসেবে পরিচিত পাঁচ বছর বয়সের ওই ছেলেটির নাম মুর্তজা আহমাদি। আফগানিস্তানের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কৃষক পরিবারে তার জন্ম। মুর্তজার পরিবারটি আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ গজনির জাগুরি জেলায় বসবাস করে।
অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করা আজিম আহমাদি নামে ওই ছেলেটির চাচা ছেলেটির একটি প্রকৃত ছবি পোস্ট করে। তারপর ভাইরাল হওয়া মেসির ‘জার্সি’ পরিহিত ছেলেটির সাথে ওই ছবি হুবুহু মিল পাওয়া যায় বলে দাবি করে বিবিসি।

আজিম বিবিসি টেন্ডিংকে তার ভাই আরিফ, মুর্তজার বাবার সাথে যোগাযোগ করিয়ে দেয়। মোবাইলে আরিফ নিশ্চিত করে খুঁজতে থাকা ছবির সেই ছেলেটি তার সন্তান।



আরিফ জানায়, পলিথিনের জার্সি পরা মুর্তজার ছবিটি তার বড় ছেলে হামায়ুন তুলে ফেসবুকে পোস্ট করেছিল।

আরিফ বলেন, ছোট্ট ছেলেটি সত্যিই মেসিকে এবং ফুটবল খুব ভালবাসে। ছেলেটির জন্য একটি জার্সি কেনা আমাদের পক্ষে সম্ভব না। কারণ আমি একজন সাধারণ কৃষক। তাই ছেলেটি পলিথিন দিয়েই জার্সি বানায়।

আরিফ জানায়, মুর্তজা জানে সে খুব জনপ্রিয় হয়ে গেছে এবং এতে সে খুবই খুশি।



তিনি বলেন, সে (ছেলেটি) ইন্টারনেট ব্যবহারকারী এক বন্ধুর কাছ থেকে ব্যাপারটি শুনেছে। আমার ছোট ছেলে আশা করে অন্য দেশগুলো মেসির সাথে সাক্ষাৎ করতে আমাদের সাহায্য করবে এবং ভবিষ্যতে মেসির মতো যদি আমরা ভাল ফুটবল খেলোয়াড় হতে পারতাম।


রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৭ জানুয়ারি ২০১৬/রুহুল

No comments:

Post a Comment