৮০ বছরের চালকজীবনে একটিও দুর্ঘটনা ঘটেনি
রহমান : রাইজিংবিডি ডট কম
Published:17 Jan 2016 08:24:59 PM Sunday

প্রাক্তন দুধ ও আইসক্রিম বিক্রেতা জিওভান্নি বর্তমানে বসবাস করছেন ক্যামব্রিজে। স্ত্রী মারা গেছেন গত বছর। এখনও তিনি ২৩ বছরের পুরনো নীল রঙের মিৎসুবিসি ল্যান্সার গাড়িটি নিয়ে প্রতিদিন স্ত্রীর কবরের কাছে যান। গাড়িটি দিয়ে জিওভান্নি যখন যাত্রী আনা-নেওয়া করতেন, স্ত্রী ছিলেন তার সার্বক্ষণিক সঙ্গি।
তিন সন্তানের জনক জিওভান্নি রজ্জো। রয়েছে চারটি নাতি-নাতনি। তিনি জানান, ৮২ বছর ধরে তিনি গাড়ি চালিয়ে আসছেন। এখন পর্যন্ত গাড়ির চাবিটি তুলে রাখার ইচ্ছা তার নেই। কারণ এ দেশে গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে বয়সসীমা সংক্রান্ত কোনো আইন নেই। তিনি জানাচ্ছেন, দীর্ঘ এই চালকজীবনে তাকে মাত্র দুবার গতিসীমা ভঙ্গের জন্য জরিমানা গুনতে হয়েছে। কিন্তু কোনো দুর্ঘটনার ইতিহাস তার নাই।
দ্য টেলিগ্রাফ পত্রিকাকে রজ্জো বলেন, ‘২০ বছর বয়স থেকেই আমি গাড়ি চালানো শুরু করি। ওই সময় আমি ইটালিতে সেনাবাহিনীতে করনিকের কাজ করতাম। ইংল্যান্ডে ফিরে আসার আগে ইটালির সেনাবাহিনীর যান চালানোর মধ্য দিয়ে আমার চালকজীবনের শুরু। এরপর ইংল্যান্ডে এসে ১৯৫৩ সালে ড্রাইভিং পরীক্ষা দিয়ে গাড়ি চালানো শুরু করে। সে থেকে অদ্যাবধি গাড়ির হুইলের সঙ্গেই আছি।’
‘এখনো আমি যথেষ্ট শক্তসামর্থ। আমার দৃষ্টিশক্তিও ভালো। গাড়ি চালানোর ব্যাপারে এখনো আমি আত্মবিশ্বাসী। আমি তা চালিয়ে যেতে চাই। গতিসীমা ভাঙার জন্য আমাকে দুবার মাত্র জরিমানা গুনতে হয়েছে, কিন্তু তা অনেক বছর আগের কথা। আমি সারাদিন অনেক মাইল পথ পাড়ি দিয়েছিলাম। এখনো আমার ড্রাইভিং লাইসেন্স ত্রুটিমুক্ত।’
১৯৬২ সালে রয়েল সোসাইটি থেকে দুর্ঘটনা প্রতিরোধ বিষয়ক ডিপ্লোমা পদক পান রজ্জো। ‘দুর্ঘটনামুক্ত’ লাইসেন্সের জন্য তাকে সম্মানিত করা হয়।
যুক্তরাজ্যে ১৭ বছর বয়স হলেই একজন ব্যক্তি ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে পারেন। কিন্তু লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়স কোনো বাধা নয়। তবে ৭০ বছর বয়স হলে তিন বছর পর পর লাইসেন্স নবায়ন করতে হয়।
দেশটির এক সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, প্রবীণ ড্রাইভারের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ৭০ বছর ঊর্ধ্ব চালকের সংখ্যা ৯০ শতাংশে গিয়ে দাঁড়াবে।
তথ্যসূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইন।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৭ জানুয়ারি ২০১৬/রহমান
No comments:
Post a Comment