আয়-ব্যয় সম্পর্কের ভিত্তি যেন না হয়
রাজিব হোসেন : রাইজিংবিডি ডট কম
Published:31 Dec 2016 10:40:18 PM Saturday

প্রতীকী ছবি
একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে পৃথিবীতে বেশিরভাগ সম্পর্কেই আয় নিয়ে যথেষ্ট স্বচ্ছতা নেই। নিজের গুরুত্ব কমে যাওয়ার ভয়েই অনেকে এই নিয়ে বিশেষ কিছু বলতে চান না। তাতেই আরো সমস্যা বাড়ে। সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি হয়।
* প্রথম থেকেই উপার্জন নিয়ে স্বচ্ছ থাকা খুব দরকার। আপনি মাস গেলে কত টাকা উপার্জন করেন, সেটা জানার অধিকার যেমন আপনার সঙ্গীর আছে, তেমন সে কতটা আয় করছে সেটাও জেনে নেওয়া দরকার। আর প্রথম দিন থেকে সেটা নিয়ে সত্যি কথা বলে দেওয়া দরকার। একবার সত্যি কথা বলাটা অভ্যাস হয়ে গেলে আর অসুবিধা হবে না। কিন্তু একবার মিথ্যা বললে, সত্যিটা আর বলা হয়ে উঠবে না কোনোদিনই।
* দিনের শুরুতেই টাকা পয়সা নিয়ে কথা বলুন। রাতে শুতে যাওয়ার আগে আয় ব্যয়ের হিসাব করাটা কাজের কথা নয়। কারণ, যদি আলোচনা দীর্ঘ হয়, তাহলে ঘুমের ঘোরে ভুল বোঝাবুঝির সম্ভবনা থেকে যায়। সকালে উঠে এই নিয়ে আলোচনা করলে নানা রকম সুবিধা আছে। সকালে, মস্তিষ্ক অনেক পরিষ্কার থাকে। তখন ঠাণ্ডা মাথায় এ নিয়ে আলোচনা করা যায়। আয় ব্যয় নিয়ে কথা বলার সময় তাই মাথা ঠাণ্ডা রাখাও খুব দরকার। রেগে গেলে বা বেশি চিন্তা করলে অকারণে সম্পর্কে সমস্যা বাড়বে।
* মনে রাখবেন, আয় সম্পর্কের একটি দিক মাত্র। কোনো সম্পর্কেই আয়কে প্রধান গুরুত্ব দেওয়া উচিত নয়। সত্যি কথা বলতে, আয় বিষয়টি কোনো সম্পর্কের ক্ষেত্রেই মূল বিষয় হয়ে উঠতে পারে না। বরং, এটিকে যতটা গুরুত্ব দেওয়ার ততটাই গুরুত্ব দিন। আয় নিয়ে বেশি কথা বলার দরকার নেই। যতটা বলার ততটাই বলুন। মনে রাখবেন, এটা কোনো ব্যবসায়ীক বোঝাপড়া নয়।
* এক ধরনের চিন্তা করা দরকার। হ্যাঁ, আপনারা দুটো মানুষ। আপনাদের চিন্তাও আলাদা। কিন্তু টাকা খরচের বিষয়টি নিয়ে চিন্তার দিক থেকে একই বিন্দুতে পৌঁছে যাওয়া দরকার। হতে পারে আপনার সঙ্গী খেলা, সিনেমা, ঘোরাফেরা বেশি পছন্দ করেন। তার সেই শখকে গুরুত্ব দিন। দরকার পড়লে সেই জন্যও কিছুটা খরচ রেখে দিন। তাতে, দুজনেই খুশি থাকবেন অনেকটা।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩১ ডিসেম্বর ২০১৬/ফিরোজ
No comments:
Post a Comment