ফিঙ্গার প্রিন্ট এত সহজে হ্যাক করা যায়!
মো. রায়হান কবির : রাইজিংবিডি ডট কম
Published:02 Apr 2016 11:28:11 AM Saturday || Updated:02 Apr 2016 11:56:52 AM Saturday

এই সিনেমায় সকল যৌক্তিক বিষয়কে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে ‘বৃদ্ধাঙ্গুলের’ ফিঙ্গার প্রিন্ট হ্যাক করার ঘটনা দেখানো হয়। সেখানে দেখানো হয় আটার ঢেলা বা কাঠের কাজে ব্যবহৃত পুটিং এর মতো একটি পদার্থে আঙ্গুলের ছাপ নেয়া হয়। পরে সেই ছাপ দিয়ে ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়ে করা লক খোলা হয়। ২০১৪ সালের সিনেমায় যখন এই দৃশ্য দেখানো হয়, তখন ব্যাপারটিকে গাঁজাখুরি মনে হয়েছিল।
কিন্তু ২০১৬ সালে যখন প্রায় একই পদ্ধতিতে স্যামসাং এস৬ বা হুয়াই অনার-৭ হ্যাক করা হলো তখন বিজ্ঞান কল্প লেখক জুলভার্নের কথা মনে পরে গেল। এই লেখকের দেখানো পথে বিজ্ঞানীরা পরে অনেক কাল্পনিক বিষয়কে বাস্তবে রুপ দিয়েছিলেন। বেলুনে চড়ে যে বিশ্বভ্রমণ সম্ভব এটা জুলভার্নই প্রথম দেখিয়েছিলেন।
এবার দেখা গেল কীভাবে ফিঙ্গার প্রিন্ট হ্যাক করা যায়। যদিও হ্যাপি নিউ ইয়ার সিনেমার মতো পুরোপুরি একই কনসেপ্ট না তবুও এর কাছাকাছি একটি কনসেপ্টে হ্যাক করা হয় স্যামসাং এবং হুয়াওয়ে এর ফিঙ্গার প্রিন্ট সিকিউরিটি। কয়েকজন গবেষক শুধুমাত্র দ্বিমাত্রিক প্রিন্টারে তর্জনী আঙ্গুলের ফিঙ্গার প্রিন্ট এর স্ক্যান কপি প্রিন্ট করেন। এরপর সেই প্রিন্টযুক্ত কাগজ দিয়েই খুলে ফেলা হয় স্মার্টফোনগুলোর লক। অর্থাৎ অ্যান্ড্রয়েড ললিপপ ভার্সনের সবচেয়ে আকর্ষণীয় অ্যাপ্লিকেশনটি এই পরীক্ষায় শূণ্য পেয়ে ফেল করে!
গবেষকরা ফিঙ্গার প্রিন্ট সিকিউরিটিকে আরো উন্নত করার আহবান জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, এতে করে যে কারো মোবাইল হ্যাক করে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ডাটা চুরি হয়ে যেতে পারে। কেননা ফিঙ্গার প্রিন্ট সিকিউরিটিকে অনেকে বেশ নিরাপদ সিকিউরিটি সিস্টেম ভেবে থাকেন। ফলে মানুষের আস্থার জায়গায় চলে এসেছে অশনি সংকেত। এখন দেখা যাক অ্যান্ড্রয়েড বা স্মার্টফোন নির্মাতারা এই বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেয়।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২ এপ্রিল ২০১৬/ফিরোজ
No comments:
Post a Comment