রেস্তোরাঁর টেবিলে ‘সুপারফুড’ ক্যাকটাস
এসএন : রাইজিংবিডি ডট কম
Published:05 Apr 2016 12:52:20 PM Tuesday || Updated:05 Apr 2016 03:11:45 PM Tuesday

ক্যাকটাস
বর্তমানে বৃটেনের বেশকিছু রেস্তোরাঁর টেবিলে ‘সুপারফুড’ ক্যাকটাসের পাতা, কাণ্ড ও ফলের তৈরি বিভিন্ন খাবার দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। ক্যাকটাসের উপরের আবরণ তুলে বিভিন্ন অংশ সালাদ, জুস ও স্যান্ডউইচ তৈরিতে ব্যবহৃত হচ্ছে। শুধু তাই নয় বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এতে বিদ্যমান অনেক খাদ্য উপাদান বেশ কয়েকটি রোগের প্রতিরোধক হিসেবে খুবই কার্যকরি। ক্যাকটাসের জুস ও জেলি এখন সে দেশের অনেক স্থানীয় দোকানেও পাওয়া যাচ্ছে।
রিয়েল নিউট্রিশন নিউইয়র্ক সিটির পুষ্টি বিষেশজ্ঞ অ্যামি শেপিরো জানান, মরুভূমির এই উদ্ভিদ মাথা ব্যাথা ও ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সহায়তা করে। অন্যান্য সব উদ্ভিদের মতো এতেও রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি উপাদান।
তিনি জানান, কেউ যখন অতিরিক্ত আঁশযুক্ত বা জেলি সমৃদ্ধ খাবার খাবে তখন তার রক্তে উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে এসব খাবার। একই সঙ্গে কোলেস্টেরল দূর করে দেয়। আঁশযুক্ত খাবার শর্করা জাতীয় খাবার হজমে সহায়তা করে বদ হজম দূর করে এবং তা চিনিতে রূপান্তর হতে দেয় না। এতে করে ডায়াবেটিস থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
তিনি আরো বলেন, ক্যাকটাসে কম মাত্রার ক্যালোরি থাকে। এ কারণে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে এটা ভালো কাজ করে। এছাড়া ক্যাকটাসে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ‘এ’ ও ‘সি’ রয়েছে। যা ত্বক ও কোষের টিকে থাকার ক্ষেত্রে সহায়তা করে। এছাড়া ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও সোডিয়াম জাতীয় খনিজ পদার্থ ছাড়াও রয়েছে ইলেক্ট্রোলাইট যা মাংশ পেশীর গঠন, তৃষ্ণা মেটানো ও কোষের কার্যকারিতার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
পুষ্টিবিদ জানান, ক্যাকটাসে প্রচুর পরিমাণ পানি থাকায় এটা তৃষ্ণা মেটানোর সবজিতে পরিণত হয়েছে।
তবে ক্যাকটাসের স্বাদ সবার জন্য প্রযোজ্য নয় বলে মনে করেন পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা। ক্যাকটাসের স্বাদ অনেকটা শসার মতো। তবে সামান্য তিতা। এ কারণে সাধারণত এর সঙ্গে অন্যকিছু না থাকলে শুধু ক্যাকটাস খাওয়া যায় না।
পুষ্টিবিদরা বলেন, ক্যাকটাসের পাতা, কাণ্ড ও ফল বিভিন্ন উপায়ে খাওয়া হয়। এগুলো রান্না, সিদ্ধ, ঝলসানো অথবা ছিলে (ওপরেরর আবরণ তুলে) ও কুচি কুচি করে কেটে কাঁচায় খাওয়া যায়।
আবার কেউ কেউ এটা অ্যালোভেরার মতো জুস বা জেলির মতো খেতে পছন্দ করে। অচিরেই এটা ক্লান্তি দূর করা পানীয় হিসেবে চালু হবে মনে করেন শেপিরো।
ক্যাকটাস অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর হওয়ায় অনেক ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে এর। এ কারণেই ক্যাকটাস ‘সুপারফুড’ হিসেবে খ্যাত যোগ করেন শেপিরো।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/৫ এপ্রিল ২০১৬/এসএন
No comments:
Post a Comment