Tuesday, 19 April 2016

Nobab house in Bogra

বিক্রি হয়ে গেল ঐতিহ্যবাহী নওয়াব প্যালেস

এ কে আজাদ : রাইজিংবিডি ডট কম
Published:19 Apr 2016   02:02:13 PM   Tuesday   ||   Updated:19 Apr 2016   02:36:40 PM   Tuesday
বিক্রি হয়ে গেল ঐতিহ্যবাহী নওয়াব প্যালেস
বগুড়া প্রতিনিধি : জেলার ঐতিহ্যবাহী নওয়াব প্যালেস বিক্রি হয়ে গেছে। পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মরহুম সৈয়দ মোহাম্মদ আলীর দুই ছেলে সৈয়দ হাম্মাদ আলী ও সৈয়দ হামেদ আলী গোপনে এ প্যালেস বিক্রি করে দিয়েছেন।

বগুড়া শহরের সূত্রাপুর মৌজায় ১ দশমিক ৫৫ একর জায়গাসহ এ প্যালেস বগুড়ার তিন শীর্ষ ব্যবসায়ীর নামে দলিল করে দেওয়া হয়েছে। সরকারিভাবে এ সম্পত্তি অধিগ্রহণে বগুড়া জেলা প্রশাসন ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের চিঠি চালাচালির মধ্যেই এ ঘটনা ঘটল।

যে তিন ব্যবসায়ী এ প্যালেস কিনেছেন তারা হলেন- বগুড়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি ও বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিনের ছেলে মাছুদার রহমান মিলন, বগুড়া চেম্বারের সহসভাপতি শফিকুল হাসান জুয়েল ও প্রাক্তন সহসভাপতি আবদুল গফুর।



সৈয়দ হাম্মাদ আলী ও সৈয়দ হামেদ আলী ঢাকায় অবস্থানের কারণে সেখানেই দলিল সম্পাদন করা হয়। এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বগুড়া রেজিস্ট্রি অফিস থেকে নিয়োগ করা কমিশন গত ১৫ এপ্রিল শুক্রবার ঢাকায় সম্পাদিত দলিলে দুই ভাইয়ের স্বাক্ষর গ্রহণ করেন। তবে ছুটির দিনে এই দলিল স্বাক্ষরিত হলেও অফিশিয়ালি রেজিস্ট্রি হয়েছে ১৭ এপ্রিল রোববার।

প্যালেসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমি প্যালেস বিক্রি হয়ে যাওয়ার খবর শুনেছি।’

এদিকে মোহাম্মদ আলীর অন্য পুত্র মাহমুদ আলীর নিযুক্ত আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাজাহান আলী তালুকদার বলেন, ‘যেসব কারণে কমিশন বসিয়ে ঢাকায় গোপনে প্যালেস বিক্রির কাজ সম্পাদন করা হয়েছে, তা আইনত গ্রহণযোগ্য নয়।’



তিনি বলেন, প্যালেস বিক্রির ব্যাপারে বগুড়ায় চলমান আন্দোলনে সংহতি জানাতে কানাডা থেকে সম্প্রতি বগুড়ায় আসেন মোহাম্মদ আলীর ছোট ছেলে মাহমুদ আলী চৌধুরী। চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি বগুড়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ঐতিহ্যবাহী নওয়াব প্যালেস ও মিউজিয়াম রক্ষায় সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করে অ্যাডভোকেট শাজাহান বলেন, ‘মাহমুদ আলী ও তার বোন মাহমুদার অজান্তে কীভাবে নওয়াব প্যালেস বিক্রির দলিল সম্পাদন হয়, তা আমার বোধগম্য নয়।’

সোমবার বিকেলে ‘জাতীয় জাগরণ আন্দোলন’ নামের একটি সংগঠন বগুড়া জেলা প্রশাসককে এ ব্যাপারে একটি স্মারকরিপি প্রদান করে। স্মারকলিপিতে বলা হয়, ‘যেন এই প্যালেসের বিক্রেতা, ক্রেতা ও দলিল সম্পাদনকারীদের একত্র করে তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয় কীভাবে এবং কেন চরম গোপনীয়তার মাধ্যমে বিক্রির কাজ সম্পাদন করা হলো।’

বগুড়ার জেলা প্রশাসক মো. আশরাফ উদ্দিন অবশ্য বলেন, ‘যদি সরকারি নির্দেশনা পাওয়া যায় তাহলে বিক্রি হলেও নওয়াব প্যালেসটিকে সরকারিভাবে অধিগ্রহণ বা সংরক্ষণ করা এখনো সম্ভব।’




রাইজিংবিডি/বগুড়া/১৯ এপ্রিল ২০১৬/এ কে আজাদ/উজ্জল/এএন

No comments:

Post a Comment