ময়লা কাপড় না ধুয়েই পরিষ্কার করা যাবে!
মো. রায়হান কবির : রাইজিংবিডি ডট কম
Published:28 Mar 2016 07:06:03 PM Monday || Updated:28 Mar 2016 10:55:58 PM Monday

এখন আর কাপড় পরিস্কারের জন্যে কাজের বুয়া বা আপনার হাতের জোরের ওপর নির্ভর করতে হবেনা। এমনকি নির্ভর করতে হবেনা কোনো ওয়াশিং মেশিনের ওপর। শুধু চেয়ে থাকতে হবে আকাশের দিকে, রোদ আছে তো!
অস্ট্রেলিয়ার গবেষকরা বলছেন, এসবের দিন শেষ। চলে এসেছে নতুন প্রযুক্তি। এখন শুধুমাত্র একটি দ্রবণে আপনার ময়লা কাপড় ভিজিয়ে কিছুক্ষণ রোদে শুকিয়ে নিন। ব্যস, ম্যাজিকের মতো পরিস্কার হয়ে যাবে আপনার ময়লা কাপড়। এমনকি কাপড়ে লেগে থাকা চা কিংবা কফির দাগও দূর করে খুব সহজেই।
হ্যাঁ, এমনটাই বলছেন অস্ট্রেলিয়ার কয়েকজন গবেষক। তারা গবেষণা করে দেখেছেন, তাদের উদ্ভাবিত দ্রবণে (যা মাইক্রোস্কপিক কপার এবং সিলভারের পরমাণু দ্বারা গঠিত) কাপড় ভেজানোর পর তা কিছুক্ষণ রোদের আলোয় রাখলে তা রোদের আলোয় বিক্রিয়া করে ময়লা পরিস্কার করে।
গবেষকদের মতে, এই দ্রবণের কণাগুলো রোদের আলোয় আসলে তা কাপড় থেকে ছিটকে বেড়িয়ে আসে। ফলে কাপড়ে থাকা ময়লাও ওই কণার সঙ্গে বেড়িয়ে আসে। মূলত কাপড় পরিস্কারের মূল প্রযুক্তি এটাই।
তবে গবেষকরা এখনো এই প্রযুক্তি ‘সুতি’ কাপড়ে ব্যবহার করে সফল হতে পারেননি। তারা নাইলন ও পলিস্টারের কাপড়ে ব্যবহার সফলতা পেয়েছেন। সুতি কাপড়ে যেহেতু আঁশ থাকে, সে কারণে সুতি কাপড়ে এই প্রযুক্তি সফল হচ্ছেনা। যদিও গবেষকরা তাদের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
গবেষণার প্রেরণা গবেষকরা কোথায় পেলেন জানেন? প্রাচীন গ্রীক ও রোমান আমলে তখনকার মানুষেরা পানির পাত্রে রুপার মুদ্রা রাখতো পানিকে জীবাণুমুক্ত রাখার জন্যে। অর্থাৎ রুপার ছোট ছোট কণাকে দূর করার ক্ষমতা অনেক আগে থেকেই প্রমাণিত। এই প্রযুক্তিকে আরো বৈচিত্র দিয়ে একে ময়লা দূর করার প্রযুক্তিতে পরিণত করা হয়েছে।
এর আগে অবশ্য চীন এক ধরনের কাপড় আবিষ্কার করেছিল, যা নিজে থেকেই পরিস্কার হবে। তবে সে কাপড়ে অন্যসব উপাদান ব্যবহৃত হয়েছিল। কিন্তু সে কাপড় পরিস্কারের জন্যে সময় লাগতো প্রায় ১৮ ঘণ্টা। আর অস্ট্রেলিয়ার গবেষকদের উদ্ভাবিত দ্রবণ মাত্র ৪০ মিনিটেই পরিস্কার করে দেয়। ফলে গবেষকরা আশা করছেন তাদের এই প্রযুক্তি অতি শিগগির বাণিজ্যিক আকারে বাজারে ছাড়া হবে। সুতরাং কাজের মহিলার সঙ্গে কাপড় পরিস্কার নিয়ে নিত্যদিনের ঝুটঝামেলার দিন বোধহয় ফুরালো।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৮ মার্চ ২০১৬/ফিরোজ
No comments:
Post a Comment