কোম্পানি নিবন্ধনে এখন দ্বিগুণ ফি
নঈমুদ্দীন : রাইজিংবিডি ডট কম
Published:02 May 2016 05:26:12 PM Monday

ফি দ্বিগুণ করে সোমবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে কোম্পানি আইন ১৯৯৪ এর তফসিল ২ এ উল্লিখিত ফিস (কর বহির্ভূত রাজস্ব) পুনর্নির্ধারণ প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে ‘ফি’ দ্বিগুণ করা হয়েছে। ২০০৭ সালে তফসিলটি যখন পুনর্বিন্যাস করা হয়, তখন কিছু ফি বৃদ্ধি করা হয়। এরপর ৮ বছর পর এটা আবার পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
শফিউল আলম বলেন, ‘শেয়ার মূলধন সম্পন্ন কোম্পানির নিবন্ধন ফি (কোম্পানির শেয়ার মূলধন সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা) ৩৬০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭০০ টাকা করা হয়েছে। শেয়ার ২০ মূলধন ২০ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত প্রতি ১০ হাজার টাকা বা এর অংশ বিশেষের জন্য ফি ১৮০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত প্রতি ১০ হাজার বা এর অংশ বিশেষের জন্য নিবন্ধন ফি ৪৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০০ টাকা করা হয়েছে। প্রথম, ১০ লাখ টাকার ঊর্ধ্বে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত প্রতি ১০ হাজার টাকা বা এর অংশ বিশেষের ফিস ২৪ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৫০ টাকা করা হয়েছে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কোম্পানি আইনের অধিনে প্রয়োজনীয় বা অনুমোদিত কোনো কিছু রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে লিপিবদ্ধ করানোর ফিস ২০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪০০ টাকা করা হয়েছে। একইভাবে রিসিভার নিয়োগ নিবন্ধন ফি ২০০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৪০০ টাকা করা হয়েছে।
শেয়ার-মূলধনবিহীন কোনো কোম্পানি এবং ধারা ২৮-এর অধীন দেওয়া লাইসেন্সের ভিত্তিতে নিবন্ধিত কোম্পানির ফি বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান সচিব। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে সংঘবিধি অনুসারে কোনো কোম্পানির সদস্য সংখ্যা সর্বোচ্চ ২০ জন হলে এ কোম্পানি নিবন্ধন ফিস ৬০০ টাকার স্থলে ১ হাজার ২০০ টাকা হয়েছে। সদস্য সংখ্যা ২০-এর বেশি কিন্তু ১০০ জনের বেশি না হলে এক্ষেত্রে নিবন্ধন ফি ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৩ হাজার টাকা করা হয়েছে।
শফিউল আলম বলেন, মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংঘ স্মারকের ফি ৩০০ টাকার স্থলে ৬০০ টাকা হয়েছে। অন্যান্য দলিলের ফি ১০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০০ টাকা করা হয়েছে। সাধারণ ক্ষেত্রে নথিপত্র পরিদর্শন ও সত্যায়িত অনুলিপির জন্য ফি ১০০ টাকার স্থলে ২০০ টাকা হয়েছে।
তিনি দ্বিগুণ ফি’র যৌক্তিকতা তুলে ধরে বলেন, ‘আমাদের রাজস্ব সংগ্রহজনিত বাধ্যবাধকতা আছে। এ খাতে আমরা ৭০ কোটি টাকার মতো পাই। যেহেতু আমাদের অর্থনীতির আকার অনেক বড়, এ জন্য এটাকে বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এটা অনুমোদিত হওয়ার প্রেক্ষিতে এ খাত থেকে রাজস্ব দ্বিগুণ হবে। আমরা আশা করছি, এখন ৭০ কোটির স্থলে দেড়শ কোটি টাকা পাওয়া যাবে।’
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২ মে ২০১৬/নঈমুদ্দীন/বকুল
No comments:
Post a Comment