Thursday, 26 January 2017

waterbording usa system

সেই ‘ওয়াটারবোর্ডিং’ ফিরিয়ে আনতে চান ট্রাম্প (ভিডিও)

রাসেল পারভেজ : রাইজিংবিডি ডট কম
     
প্রকাশ: ২০১৭-০১-২৬ ১২:২১:১১ পিএম     ||     আপডেট: ২০১৭-০১-২৬ ২:০৩:২৫ পিএম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জিজ্ঞাসাবাদের নামে নির্যাতনের সেই পুরোনো কৌশল ‘ওয়াটারবোর্ডিং’ ফিরিয়ে আনতে চান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

তিনি বিশ্বাস করেন, ওয়াটারবোর্ডিংয়ে কাজ হয়। ‘আগুনের সঙ্গে আগুন দিয়ে লড়াই’ করতে চান তিনি।

ধর্মীয় উগ্রবাদী বিশেষ করে ইসলামের নামে মৌলবাদীরা যে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে, তার বিরুদ্ধে শক্তিশালী অবস্থান নিতে চান যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কীভাবে লড়াই করা যায়, সে বিষয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস মাত্তিস ও সিআইএর প্রধান মাইক পমপেওর সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি।

ট্রাম্প বলেন, ‘মৌলবাদীরা মধ্যপ্রাচ্যে যখন মানুষের শিরশ্ছেদ করছে, তখন আমরা একটি ক্ষেত্রেও লড়ছি না।’ মৌলবাদী, উগ্রবাদী বা জঙ্গি যা-ই বলা হোক, তাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের নামে যেকোনো বন্দির ওপর ওয়াটারবোর্ডিং কৌশল প্রয়োগের বিরোধিতা করে আসছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো।

সিআইএর সাবেক পরিচালক লিওন প্যানেট্টা ওয়াটারবোর্ডিং কৌশল ব্যবহারের ঘোর বিরোধী। নির্যাতনমূলক এই কৌশলে ফিরে যাওয়া ‘বড় ভুল’ হবে বলে মনে করেন তিনি।

ট্রাম্পের দাবি, তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে নিরাপদ রাখতে চান। এ জন্য সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দেবেন না তিনি। তবে নির্যাতনমূলক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সোচ্চার রয়েছে ডেমোক্রেটিক পার্টি।

ওয়াটারবোর্ডিং ফিরিয়ে আনার বিষয়ে ট্রাম্পের যুক্তি হলো : ‘যখন তারা গুলি চালায়, যখন তারা আমাদের লোকজন ও অন্য মানুষদের শিরশ্ছেদ করে, যখন মধ্যপ্রাচ্যে খ্রিষ্টান হওয়ায় তাদের শরীর থেকে মাথা কেটে ফেলা হয়, যখন আইএস এতসব করে যাচ্ছে, যা মধ্যযুগের পর প্রায় শোনাই যায়নি, তখন কি আমার মধ্যে ওয়াটারবোর্ডিং প্রয়োগের প্রশ্ন উঠতে পারে না?’

বুধবার এবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প এসব বলেছেন। ওই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি গোয়েন্দাদের সর্বোচ্চ পর্যায়ে কথা বলেছি এবং তাদের কাছে জানতে চয়েছি, এতে কি কাজ হয়? তারা উত্তর দিয়েছে, হ্যাঁ, হয়।’

ট্রাম্প বলতে থাকেন, ‘...তারা তাদের মাথা কাটছে, তারপর ক্যামেরায় ধারণ করে বিশ্বজুড়ে প্রচার করছে। ফলে আমাদেরও ওয়াটারবোর্ডিং রাখতে হবে এবং আমরা তাদের এমন আর কিছু করতে দেব না।’

তবে তিনি আরো বলেন, ‘আমি পমপেও, মাত্তিস ও আমার টিমের ওপর ভরসা করি। তারা যদি না চায়, তাহলে ভালো। তবে যদি চায়, তাহলে এটি বহাল করব আমি।’
উল্লেখ্য, বারাক ওবামা ২০০৯ সালে ওয়াটারবোর্ডিং বাতিল করে।
ওয়াটারবোর্ডিং কী?
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর ব্যবহৃত একধরনের জিজ্ঞাসাবাদ কৌশল হলো ওয়াটারবোর্ডিং। বন্দিদের টেবিলের ওপর শুইয়ে বেল্ট দিয়ে হাত-পা বেঁধে নাক-মুখে পানি ঢালা হয় এবং প্রশ্ন করা হয়। কখনো কখনো গরম পানিও ঢালা হয়। প্রচণ্ড যন্ত্রণা হলেও কিছুই করার থাকে না। নির্যাতনের মাত্রা এতটাই বেশি যে, সহ্য করতে না পেরে অভিযুক্তরা তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ স্বীকার করে দেয় এবং অনেকে ভয়ে ভুল তথ্য দেয়।

ওয়াটারবোর্ডিংয়ের একটি ভিডিও দেওয়া হলো, যা দেখলে নির্যাতনমূলক এই জিজ্ঞাসাবাদ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৬ জানুয়ারি ২০১৭/রাসেল পারভেজ/ এএন

No comments:

Post a Comment