অভিষেক : ২০০৯ বনাম ২০১৭
![]() |
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্থানীয় সময় শুক্রবার অভিষেক হলো
ডোনাল্ড ট্রাম্পের। আট বছর আগে এই দিনে ৪৪তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিষেক
হয়েছিল বারাক ওবামার।
সদ্যসাবেক ও নতুন প্রেসিডেন্টের অভিষেকের তুলনামূলক কিছু ছবিতে সেই সময় ও এই সময়ের পার্থক্য ফুটে উঠেছে।

২০০৯ সালের ২০ জানুয়ারি ৪৪তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ওবামার প্রথম মেয়াদের শপথের সময়ে (বাঁয়ে) ক্যাপিটল হিল জমসমুদ্রে পরিণত হয়েছিল। প্রায় ১৪ লাখ মানুষ সেই অনুষ্ঠানে অংশ নেয়। কিন্তু ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে সেই তুলনায় মানুষের উপস্থিতি ছিল বেশ কম

২০০৯ সালে ক্যাপিটল হিলে বুশ দম্পতিকে বিদায় জানান ওবামা দম্পতি । ২০১৭ সালে একইভাবে ট্রাম্প দম্পতি বিদায় জানান ওবামা দম্পতিকে

২০০৯ সালে ওবামার শপথ গ্রহণের মুহূর্ত এবং ২০১৭ সালে ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের মুহূর্ত

আট বছর আগে ওবামার অভিষেক ভাষণের সময় এবং ২০ জানুয়ারি ২০১৭-এ ট্রাম্পের অভিষেক ভাষণের সময়
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ জানুয়ারি ২০১৭/রাসেল পারভেজ
সদ্যসাবেক ও নতুন প্রেসিডেন্টের অভিষেকের তুলনামূলক কিছু ছবিতে সেই সময় ও এই সময়ের পার্থক্য ফুটে উঠেছে।

২০০৯ সালের ২০ জানুয়ারি ৪৪তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ওবামার প্রথম মেয়াদের শপথের সময়ে (বাঁয়ে) ক্যাপিটল হিল জমসমুদ্রে পরিণত হয়েছিল। প্রায় ১৪ লাখ মানুষ সেই অনুষ্ঠানে অংশ নেয়। কিন্তু ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে সেই তুলনায় মানুষের উপস্থিতি ছিল বেশ কম

২০০৯ সালে ক্যাপিটল হিলে বুশ দম্পতিকে বিদায় জানান ওবামা দম্পতি । ২০১৭ সালে একইভাবে ট্রাম্প দম্পতি বিদায় জানান ওবামা দম্পতিকে

২০০৯ সালে ওবামার শপথ গ্রহণের মুহূর্ত এবং ২০১৭ সালে ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের মুহূর্ত

আট বছর আগে ওবামার অভিষেক ভাষণের সময় এবং ২০ জানুয়ারি ২০১৭-এ ট্রাম্পের অভিষেক ভাষণের সময়
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ জানুয়ারি ২০১৭/রাসেল পারভেজ
বিদায় ওবামা
![]() |
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শেষ হলো
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৪তম প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার শাসনামল। ডোনাল্ড ট্রাম্পের
শপথের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ইতি ঘটল ওবামা আমলের।
সদ্যসাবেক ওবামাকে ধন্যবাদ জানিয়ে অভিষেক ভাষণ শুরু করেন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ ও তার অভিষেক ভাষণ এবং জাতীয় সংগীত বাজিয়ে শোনানোর পর ওবামা ও মিশেল ওবামাকে বিদায় জানান ট্রাম্প ও মেলানিয়া ট্রাম্প।
ক্যাপিটল হিল প্রাঙ্গণে রাখা বিশেষ হেলিকপ্টারে ওবামা দম্পতিকে তুলে দিয়ে আসেন নতুন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া। সর্বাধিনায়ক ওবামা এখন থেকে সাধারণ নাগরিক।
যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রে সবচেয়ে বড় বিষয় নির্বাচনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর। ট্রাম্পের হাতে ওবামার ক্ষমতা হস্তান্তর সেই দৃষ্টান্ত আরো পোক্ত করল। ব্যক্তি নয়, জনগণের রায়ই সবার ওপরে।
নির্বাচনের আগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন ওবামা দম্পতি। হিলারির পক্ষে সরাসরি প্রচারে নামেন ওবামা ও মিশেল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৮ নভেম্বরের নির্বাচনে সবাইকে অবাক করে দিয়ে বিজয়ী হন ট্রাম্প। তবে নির্বাচিত হওয়ার পরই ট্রাম্পকে স্বাগত জানান ওবামা। এ ছাড়া নির্বাচনের পর থেকে এ পর্যন্ত ট্রাম্পের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে উপদেশ দিয়েছেন ওবামা। বিদায়ী ভাষণ ও শেষ সংবাদ সম্মেলনেও ট্রাম্পকে পরামর্শ দিয়েছেন ওবামা।
নির্বাচনে মাঠে যাই হোক, শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরে যুক্তরাষ্ট্রের নজির উন্নত। নির্বাচনের ফল মেনে নেওয়া প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের স্বভাবসুলভ আচরণ। অভিষেক অনুষ্ঠানে ওবামার প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা দেখিয়েছেন ট্রাম্প।
এর আগে সকালে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প দম্পতিকে স্বাগত জানান ওবামা দম্পতি। এরপর একসঙ্গে কফি পানের পর মার্কিন জনগণকে বিদায় জানিয়ে শেষবারের মতো ওভাল অফিস ত্যাগ করেন। একটি চিঠি হাতে নিয়ে তিনি ওভাল অফিস ত্যাগ করেন এবং চিঠিটি ‘রিসোলুট ডেস্কে’ রেখে যান।
উত্তরসূরির জন্য একটি নোট রেখে যাওয়ার রীতি অনুযায়ী ওবামা চিঠিটি রেখে যান। আট বছর আগে ওবামা যখন হোয়াইট হাউসে পৌঁছান, তখন তিনি তার পূর্বসূরি জর্জ ডব্লিউ বুশের কাছ থেকেও একটি নোট পেয়েছিলেন। ওভাল অফিস ত্যাগ করার সময় স্মৃতিকাতর অনুভূতি হচ্ছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবামা বলেন, ‘অবশ্যই।’ যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের জন্য আপনার শেষ বাক্য কী- এর জবাবে সহজসরলভাবে ওবামা বলেন, ‘ধন্যবাদ।’
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ জানুয়ারি ২০১৭/রাসেল পারভেজ
সদ্যসাবেক ওবামাকে ধন্যবাদ জানিয়ে অভিষেক ভাষণ শুরু করেন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ ও তার অভিষেক ভাষণ এবং জাতীয় সংগীত বাজিয়ে শোনানোর পর ওবামা ও মিশেল ওবামাকে বিদায় জানান ট্রাম্প ও মেলানিয়া ট্রাম্প।
ক্যাপিটল হিল প্রাঙ্গণে রাখা বিশেষ হেলিকপ্টারে ওবামা দম্পতিকে তুলে দিয়ে আসেন নতুন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া। সর্বাধিনায়ক ওবামা এখন থেকে সাধারণ নাগরিক।
যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রে সবচেয়ে বড় বিষয় নির্বাচনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর। ট্রাম্পের হাতে ওবামার ক্ষমতা হস্তান্তর সেই দৃষ্টান্ত আরো পোক্ত করল। ব্যক্তি নয়, জনগণের রায়ই সবার ওপরে।
নির্বাচনের আগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন ওবামা দম্পতি। হিলারির পক্ষে সরাসরি প্রচারে নামেন ওবামা ও মিশেল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৮ নভেম্বরের নির্বাচনে সবাইকে অবাক করে দিয়ে বিজয়ী হন ট্রাম্প। তবে নির্বাচিত হওয়ার পরই ট্রাম্পকে স্বাগত জানান ওবামা। এ ছাড়া নির্বাচনের পর থেকে এ পর্যন্ত ট্রাম্পের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে উপদেশ দিয়েছেন ওবামা। বিদায়ী ভাষণ ও শেষ সংবাদ সম্মেলনেও ট্রাম্পকে পরামর্শ দিয়েছেন ওবামা।
নির্বাচনে মাঠে যাই হোক, শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরে যুক্তরাষ্ট্রের নজির উন্নত। নির্বাচনের ফল মেনে নেওয়া প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের স্বভাবসুলভ আচরণ। অভিষেক অনুষ্ঠানে ওবামার প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা দেখিয়েছেন ট্রাম্প।
এর আগে সকালে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প দম্পতিকে স্বাগত জানান ওবামা দম্পতি। এরপর একসঙ্গে কফি পানের পর মার্কিন জনগণকে বিদায় জানিয়ে শেষবারের মতো ওভাল অফিস ত্যাগ করেন। একটি চিঠি হাতে নিয়ে তিনি ওভাল অফিস ত্যাগ করেন এবং চিঠিটি ‘রিসোলুট ডেস্কে’ রেখে যান।
উত্তরসূরির জন্য একটি নোট রেখে যাওয়ার রীতি অনুযায়ী ওবামা চিঠিটি রেখে যান। আট বছর আগে ওবামা যখন হোয়াইট হাউসে পৌঁছান, তখন তিনি তার পূর্বসূরি জর্জ ডব্লিউ বুশের কাছ থেকেও একটি নোট পেয়েছিলেন। ওভাল অফিস ত্যাগ করার সময় স্মৃতিকাতর অনুভূতি হচ্ছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবামা বলেন, ‘অবশ্যই।’ যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের জন্য আপনার শেষ বাক্য কী- এর জবাবে সহজসরলভাবে ওবামা বলেন, ‘ধন্যবাদ।’
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ জানুয়ারি ২০১৭/রাসেল পারভেজ
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রথম টুইট
![]() |
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচার থেকে এ
পর্যন্ত তার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো টুইটারে নিজস্ব অ্যাকাউন্টে জানিয়েছেন।
অভিষেকের দিনও টুইট করতে ভোলেননি তিনি।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার প্রথম ধারাবাহিক টুইটে জানিয়েছেন, ‘আমরা আজ শুধু এক প্রশাসন থেকে অন্য প্রশাসনের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করছি না অথবা এক পার্টি থেকে অন্য পার্টির কাছে নয়, আজ আমরা ওয়াশিংটন ডিসি থেকে... ক্ষমতা হস্তান্তর করছি, ফিরিয়ে দিচ্ছি আপনাদের কাছে, আমেরিকার জনগণের কাছে।... আমরা আমাদের কর্মসংস্থান ফিরিয়ে আনব, আমরা আমাদের সীমানা ফিরিয়ে আনব, আমরা আমাদের সম্পদ ফিরিয়ে আনব, আমরা আমাদের স্বপ্ন ফিরিয়ে আনব।... আমরা সহজ দুটি সূত্র অনুসরণ করব : বাই আমেরিকান অ্যান্ড হায়ার আমেরিকান।’
নির্বাচনে প্রচারের সময় ট্রাম্পের স্লোগান ছিল ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’। অভিষেক ভাষণে তিনি বললেন, সব ক্ষেত্রে ‘আমেরিকা ফার্স্ট’। নির্বাচনের প্রচারের সঙ্গে তার অভিষেক ভাষণের অনেক মিল রয়েছে। তবে তার অভিষেক ভাষণকে কেন্দ্র করে এখনো কোনো বিতর্ক তৈরি হয়নি।
বিতর্ক ছড়িয়ে জনগণের কাছে পৌঁছানোই ছিল ট্রাম্পের কৌশল। সেই কৌশল স্বার্থক হয়েছে, পূর্ণতা পেয়েছে। এখন তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট। শান্তিপূর্ণভাবে সদ্যসাবেক প্রেসিডেন্ট ওবামার কাছ থেকে ক্ষমতা বুঝে নিয়েছেন তিনি।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ জানুয়ারি ২০১৭/রাসেল পারভেজ
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার প্রথম ধারাবাহিক টুইটে জানিয়েছেন, ‘আমরা আজ শুধু এক প্রশাসন থেকে অন্য প্রশাসনের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করছি না অথবা এক পার্টি থেকে অন্য পার্টির কাছে নয়, আজ আমরা ওয়াশিংটন ডিসি থেকে... ক্ষমতা হস্তান্তর করছি, ফিরিয়ে দিচ্ছি আপনাদের কাছে, আমেরিকার জনগণের কাছে।... আমরা আমাদের কর্মসংস্থান ফিরিয়ে আনব, আমরা আমাদের সীমানা ফিরিয়ে আনব, আমরা আমাদের সম্পদ ফিরিয়ে আনব, আমরা আমাদের স্বপ্ন ফিরিয়ে আনব।... আমরা সহজ দুটি সূত্র অনুসরণ করব : বাই আমেরিকান অ্যান্ড হায়ার আমেরিকান।’
নির্বাচনে প্রচারের সময় ট্রাম্পের স্লোগান ছিল ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’। অভিষেক ভাষণে তিনি বললেন, সব ক্ষেত্রে ‘আমেরিকা ফার্স্ট’। নির্বাচনের প্রচারের সঙ্গে তার অভিষেক ভাষণের অনেক মিল রয়েছে। তবে তার অভিষেক ভাষণকে কেন্দ্র করে এখনো কোনো বিতর্ক তৈরি হয়নি।
বিতর্ক ছড়িয়ে জনগণের কাছে পৌঁছানোই ছিল ট্রাম্পের কৌশল। সেই কৌশল স্বার্থক হয়েছে, পূর্ণতা পেয়েছে। এখন তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট। শান্তিপূর্ণভাবে সদ্যসাবেক প্রেসিডেন্ট ওবামার কাছ থেকে ক্ষমতা বুঝে নিয়েছেন তিনি।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ জানুয়ারি ২০১৭/রাসেল পারভেজ
ট্রাম্পের অভিষেক ভাষণের গুরুত্বপূর্ণ অংশ
![]() |
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার কিছু সময় পর ডোনাল্ড ট্রাম্পের পূর্ণাঙ্গ অভিষেক ভাষণ প্রকাশ করেছে হোয়াইট হাউস।
৭০ বছর বয়সি ট্রাম্প স্থানীয় সময় শুক্রবার দুপুরে ক্যাপিটল হিলে শপথ গ্রহণ করেন। এ সময় তার পাশে ছিলেন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়াসহ ট্রাম্প পরিবারের সদস্যরা। বারাক ওবামা ও মিশেল ওবামাও ছিলেন সেখানে।
যুক্তরাষ্ট্রকে ট্রাম্প কোথায় নিয়ে যেতে চান, অভিষেক ভাষণে তার পূর্বাভাস রয়েছে। এই ভাষণকে নতুন প্রেসিডেন্টের পথচলার নির্দেশিকা হিসেবে দেখা হয়। পাঠকদের জন্য ট্রাম্পের অভিষেক ভাষণের প্রথম থেকে কিছুটা তুলে ধরা হলো :
‘প্রধান বিচারপতি রবার্টস, প্রেসিডেন্ট কার্টার, প্রেসিডেন্ট ক্লিনটন, প্রেসিডেন্ট বুশ, প্রেসিডেন্ট ওবামা, দেশবাসী ও বিশ্ববাসী : আপনাদের ধন্যবাদ।
আমরা, আমেরিকার নাগরিকেরা, আমাদের দেশকে পুনর্গঠিত করতে এবং জনগণের প্রতি প্রতিশ্রুতির পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে আমরা এখন এক মহান প্রচেষ্টায় সম্মিলিত হয়েছি।
সামনের বছরগুলোর জন্য সবাই মিলে আমরা আমেরিকার ও বিশ্বের পথচলা নির্ধারণ করব।
আমরা চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলা করব। সব কষ্টের বিরুদ্ধে লড়ব। কিন্তু আমরা কাজ শেষ করতে চাই।
প্রতি চার বছর অন্তর সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য আমরা এই সিঁড়িগুলোতে জমায়েত হই এবং এই ক্ষমতা হস্তান্তরে সদয় সহযোগিতার জন্য প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। তারা মহত্ত্বের পরিচয় দিয়েছেন।
যাই হোক, আজকের অনুষ্ঠানের বিশেষ অর্থ রয়েছে। কারণ আমরা আজ শুধু এক প্রশাসন থেকে অন্য প্রশাসন অথবা এক পার্টি থেকে অন্য পার্টির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করছি না, বরং আমরা ওয়াশিংটন ডিসি থেকে ক্ষমতা হস্তান্তর করছি এবং তা আপনাদের কাছে ফিরিয়ে দিচ্ছি, আমেরিকার জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিচ্ছি।
দীর্ঘ সময় আমাদের রাজধানীর ছোট্ট একটি দল সরকারের কাছ থেকে পুরস্কৃত হয়েছে, যখন জনগণকে তার মূল্য দিতে হয়েছে। ওয়াশিংটন ফুলেফেঁপে উঠেছে, কিন্তু জনগণ সেই সম্পদের ভাগিদার হতে পারেনি। রাজনীতিকদের কপাল খুলেছে, কিন্তু কর্মসংস্থান হারিয়েছে এবং কলকারখানা বন্ধ হয়ে গেছে।
প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেরা নিজেদের রক্ষা করেছে কিন্তু আমাদের দেশের জনগণকে নয়। তাদের জয়গুলো আপনাদের জয় হয়ে ওঠেনি, তাদের বিজয় আপনাদের বিজয় হয়ে ওঠেনি এবং যখন তারা আমাদের রাজধানীতে উদযাপনে মেতেছে, তখন দেশজুড়ে টেনেহিঁচড়ে দিনচলা পরিবারগুলোর কাছে উদযাপনের জন্য তেমন কিছুই নেই।
সব ধরনের পরিবর্তন, যা এখান থেকে শুরু হবে এবং এখনই শুরু হবে, কারণ এই মুহূর্ত আপনাদের মুহূর্ত, এত আপনারা সবাই অন্তর্ভুক্ত হবেন।
আজ এখানে সমবেত এবং সারা বিশ্ব থেকে যারা দেখছেন, সবাই এর সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত। এটি আপনাদের দিন। এ তো আপনাদের উদযাপন। এবং এই যুক্তরাষ্ট্র আপনাদের দেশ।
কোন দল দেশ শাসন করছে, তা সত্যিই কোনো বিষয় নয়, জনগণের দ্বারা দেশ শাসিত হচ্ছে কি না, সেটিই বিষয়। ২০ জানুয়ারি ২০১৭ এই দিনকে আবার জনগণের এই দেশের শাসক হওয়ার দিন হিসেবে স্মরণ করা হবে। ভুলে যাওয়া নারী-পুরুষদের আর কখনোই ভুলে যাওয়া হবে না।’
ট্রাম্প তার অভিষেক ভাষণে আমেরিকার শিশুদের জন্য ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দিতে চেয়েছেন, দরিদ্র পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর কথা বলেছেন। বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষার নিশ্চয়তা দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। তা ছাড়া অপরাধ, বিভিন্ন চক্র ও মাদকের কারণে অনেক সম্ভাবনাময়ী শিক্ষার্থী মারা যাচ্ছে বলে মনে করেন তিনি। এ বিষয়ে অভিষেক ভাষণে তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ‘আমেরিকান হত্যাযজ্ঞ এখান থেকে এবং এখন থেকেই বন্ধ করতে হবে।’
নিজেদের দেশের সীমান্ত অরক্ষিত রেখে অন্য দেশের সীমান্ত সুরক্ষায় অর্থ বিনিয়োগ ও নিজেদের সেনাদের উন্নয়নের পরিবর্তে অন্য দেশের সেনাদের অর্থ দেওয়ার বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। তা ছাড়া অর্থনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রকে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তিনি।
ট্রাম্পের ভাষণের পুরোটা জুড়ে জাতীয়তাবাদ ও জাতীয় ঐক্য বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। তিনি ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন। একেবারে শেষের দিকে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা সবাই মিলে আমেরিকাকে আবারও শক্তিশালী করে তুলব। আমরা আবার সম্পদশালী হয়ে উঠব। আমরা আবার আমেরিকাকে গর্বিত করব। আমরা আবার আমেরিকাকে নিরাপদ করব। এবং অবশ্যই আমরা আমেরিকাকে আবার মহান করে তুলব। ধন্যবাদ। ঈশ্বর আপনাদের মঙ্গল করুন, এবং যুক্তরাষ্ট্রেরও মঙ্গল করুন।’
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ জানুয়ারি ২০১৭/রাসেল পারভেজ/এএন
৭০ বছর বয়সি ট্রাম্প স্থানীয় সময় শুক্রবার দুপুরে ক্যাপিটল হিলে শপথ গ্রহণ করেন। এ সময় তার পাশে ছিলেন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়াসহ ট্রাম্প পরিবারের সদস্যরা। বারাক ওবামা ও মিশেল ওবামাও ছিলেন সেখানে।
যুক্তরাষ্ট্রকে ট্রাম্প কোথায় নিয়ে যেতে চান, অভিষেক ভাষণে তার পূর্বাভাস রয়েছে। এই ভাষণকে নতুন প্রেসিডেন্টের পথচলার নির্দেশিকা হিসেবে দেখা হয়। পাঠকদের জন্য ট্রাম্পের অভিষেক ভাষণের প্রথম থেকে কিছুটা তুলে ধরা হলো :
‘প্রধান বিচারপতি রবার্টস, প্রেসিডেন্ট কার্টার, প্রেসিডেন্ট ক্লিনটন, প্রেসিডেন্ট বুশ, প্রেসিডেন্ট ওবামা, দেশবাসী ও বিশ্ববাসী : আপনাদের ধন্যবাদ।
আমরা, আমেরিকার নাগরিকেরা, আমাদের দেশকে পুনর্গঠিত করতে এবং জনগণের প্রতি প্রতিশ্রুতির পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে আমরা এখন এক মহান প্রচেষ্টায় সম্মিলিত হয়েছি।
সামনের বছরগুলোর জন্য সবাই মিলে আমরা আমেরিকার ও বিশ্বের পথচলা নির্ধারণ করব।
আমরা চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলা করব। সব কষ্টের বিরুদ্ধে লড়ব। কিন্তু আমরা কাজ শেষ করতে চাই।
প্রতি চার বছর অন্তর সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য আমরা এই সিঁড়িগুলোতে জমায়েত হই এবং এই ক্ষমতা হস্তান্তরে সদয় সহযোগিতার জন্য প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। তারা মহত্ত্বের পরিচয় দিয়েছেন।
যাই হোক, আজকের অনুষ্ঠানের বিশেষ অর্থ রয়েছে। কারণ আমরা আজ শুধু এক প্রশাসন থেকে অন্য প্রশাসন অথবা এক পার্টি থেকে অন্য পার্টির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করছি না, বরং আমরা ওয়াশিংটন ডিসি থেকে ক্ষমতা হস্তান্তর করছি এবং তা আপনাদের কাছে ফিরিয়ে দিচ্ছি, আমেরিকার জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিচ্ছি।
দীর্ঘ সময় আমাদের রাজধানীর ছোট্ট একটি দল সরকারের কাছ থেকে পুরস্কৃত হয়েছে, যখন জনগণকে তার মূল্য দিতে হয়েছে। ওয়াশিংটন ফুলেফেঁপে উঠেছে, কিন্তু জনগণ সেই সম্পদের ভাগিদার হতে পারেনি। রাজনীতিকদের কপাল খুলেছে, কিন্তু কর্মসংস্থান হারিয়েছে এবং কলকারখানা বন্ধ হয়ে গেছে।
প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেরা নিজেদের রক্ষা করেছে কিন্তু আমাদের দেশের জনগণকে নয়। তাদের জয়গুলো আপনাদের জয় হয়ে ওঠেনি, তাদের বিজয় আপনাদের বিজয় হয়ে ওঠেনি এবং যখন তারা আমাদের রাজধানীতে উদযাপনে মেতেছে, তখন দেশজুড়ে টেনেহিঁচড়ে দিনচলা পরিবারগুলোর কাছে উদযাপনের জন্য তেমন কিছুই নেই।
সব ধরনের পরিবর্তন, যা এখান থেকে শুরু হবে এবং এখনই শুরু হবে, কারণ এই মুহূর্ত আপনাদের মুহূর্ত, এত আপনারা সবাই অন্তর্ভুক্ত হবেন।
আজ এখানে সমবেত এবং সারা বিশ্ব থেকে যারা দেখছেন, সবাই এর সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত। এটি আপনাদের দিন। এ তো আপনাদের উদযাপন। এবং এই যুক্তরাষ্ট্র আপনাদের দেশ।
কোন দল দেশ শাসন করছে, তা সত্যিই কোনো বিষয় নয়, জনগণের দ্বারা দেশ শাসিত হচ্ছে কি না, সেটিই বিষয়। ২০ জানুয়ারি ২০১৭ এই দিনকে আবার জনগণের এই দেশের শাসক হওয়ার দিন হিসেবে স্মরণ করা হবে। ভুলে যাওয়া নারী-পুরুষদের আর কখনোই ভুলে যাওয়া হবে না।’
ট্রাম্প তার অভিষেক ভাষণে আমেরিকার শিশুদের জন্য ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দিতে চেয়েছেন, দরিদ্র পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর কথা বলেছেন। বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষার নিশ্চয়তা দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। তা ছাড়া অপরাধ, বিভিন্ন চক্র ও মাদকের কারণে অনেক সম্ভাবনাময়ী শিক্ষার্থী মারা যাচ্ছে বলে মনে করেন তিনি। এ বিষয়ে অভিষেক ভাষণে তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ‘আমেরিকান হত্যাযজ্ঞ এখান থেকে এবং এখন থেকেই বন্ধ করতে হবে।’
নিজেদের দেশের সীমান্ত অরক্ষিত রেখে অন্য দেশের সীমান্ত সুরক্ষায় অর্থ বিনিয়োগ ও নিজেদের সেনাদের উন্নয়নের পরিবর্তে অন্য দেশের সেনাদের অর্থ দেওয়ার বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। তা ছাড়া অর্থনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রকে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তিনি।
ট্রাম্পের ভাষণের পুরোটা জুড়ে জাতীয়তাবাদ ও জাতীয় ঐক্য বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। তিনি ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন। একেবারে শেষের দিকে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা সবাই মিলে আমেরিকাকে আবারও শক্তিশালী করে তুলব। আমরা আবার সম্পদশালী হয়ে উঠব। আমরা আবার আমেরিকাকে গর্বিত করব। আমরা আবার আমেরিকাকে নিরাপদ করব। এবং অবশ্যই আমরা আমেরিকাকে আবার মহান করে তুলব। ধন্যবাদ। ঈশ্বর আপনাদের মঙ্গল করুন, এবং যুক্তরাষ্ট্রেরও মঙ্গল করুন।’
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ জানুয়ারি ২০১৭/রাসেল পারভেজ/এএন
No comments:
Post a Comment