মস্তিষ্কের অদ্ভুত ব্যায়াম, যা স্মৃতি বাড়াবে
প্রকাশ:
২০১৮-০১-১১ ১১:১৬:৫১ এএম
|| আপডেট:
২০১৮-০১-১১ ২:১৫:৩৫ পিএম
![]() |
|
প্রতীকী ছবি
|
বাম হাত দিয়ে দাঁত ব্রাশ করা
আমরা বেশিরভাগ মানুষ আমাদের প্রায় সব কাজই ডান হাত দিয়ে করি। এর কারণ আমাদের মস্তিষ্কের ডান অংশ বেশি অনুভূতিশীল। গবেষণার মাধ্যমে বলা হয়, মস্তিষ্কের অপর পাশের ব্যবহার করটেক্সের বিভিন্ন অংশের দ্রুত এবং উল্লেখযোগ্য সম্প্রসারণ ঘটায়। তাই আপনি যদি ডানহাতি হন তাহলে বাম হাত দিয়ে ব্রাশে টুথপেস্ট লাগান এবং বাম হাত দিয়েই দাঁত ব্রাশ করুন। এবং বামহাতি হলে ডান হাত দিয়ে কাজগুলো করুন।
চোখ বন্ধ করে গোসল করা
আমাদের হাত শরীরের বিভিন্ন অঙ্গবিন্যাস পর্যবেক্ষণ করতে পারে যা আমাদের চোখ দেখতে পারে না এবং সেই তথ্য মস্তিষ্কে প্রদান করে। মস্তিষ্ককে নতুন অভিজ্ঞতা প্রদান করার জন্য চোখ বন্ধ করে গোসল করুন। তবে পানির তাপমাত্রা চোখ খোলা অবস্থায় ঠিক করে নিন।
সকালের কার্যক্রমে পরিবর্তন আনা
আমরা যে কাজগুলো নিয়মিত এবং বার বার করি, মস্তিষ্ক সেই কাজগুলোর নির্দেশনা দেয় বেশি বা মস্তিষ্কে সেই কাজের অনুশীলন হয় বেশি। আপনার মস্তিষ্ক ততক্ষণ পর্যন্ত নতুন কাজের কথা ভাববে না যতক্ষণ না পর্যন্ত আপনি তাকে নতুন কোনো কাজ দিবেন। তাই সকালের শুরুতেই কাজের কিছুটা পরিবর্তন আনুন। যেমন নাস্তা করার পর আপনার পোষা প্রাণীকে নিয়ে একটু হেঁটে আসতে পারেন অথবা টেলিভিশনে বাচ্চাদের কোনো অনুষ্ঠান দেখতে পারেন।
পরিচিত জিনিসগুলো উল্টে রাখুন
আমরা যখন কোনো কিছু ঠিক ভাবে দেখি তখন আমাদের মস্তিষ্কের যে অংশ কম সাড়া দেয়, যেমন সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের বাম অংশ চেষ্টা করে আমাদের মনোযোগ অন্যত্র সরানোর। কিন্তু যখন আমরা কোনো কিছু উল্টানো অবস্থায় দেখি তখন আমাদের মস্তিষ্কের ডান অংশের মনোযোগ বেড়ে যায় সেই জিনিসটির প্রতি এবং এটি তখন তার আকার, বর্ণ বিশ্লেষণ করতে থাকে। তাই আপনার মস্তিষ্ককে নতুন অভিজ্ঞতা দিতে চাইলে ঘরে রাখা পারিবারিক ছবি, টেবিলে রাখা ঘড়ি এবং ক্যালেন্ডার উল্টে রাখুন।
খাবার টেবিলের চেয়ার পরিবর্তন করা
প্রায় প্রত্যেক পরিবারে সবার আলাদা আলাদা চেয়ার থাকে যেটাতে বসে খাওয়া হয়। আপনার ও থাকাটা স্বাভাবিক। কিন্তু নতুন অভিজ্ঞতা আপনার মস্তিষ্কের জন্য ভালো তাই আপনার ঘরের খাবার টেবিলের চেয়ারগুলো উল্টিয়ে পাল্টিয়ে বা পরিবর্তন করুন নিজের ইচ্ছামতো।
(আগামী পর্বে সমাপ্য)
তথ্যসূত্র : রিডার্স ডাইজেস্ট
রাইজিংবিডি/ঢাকা/১১ জানুয়ারি ২০১৮/ফিরোজ
No comments:
Post a Comment