Monday, 14 November 2016

machine can read physical problem.

শারীরিক সমস্যা জানাবে পল্লবের উদ্ভাবিত যন্ত্র

স্বপ্নীল মাহফুজ : রাইজিংবিডি ডট কম
Published:14 Nov 2016   01:59:28 PM   Monday   ||   Updated:14 Nov 2016   05:16:02 PM   Monday
উদ্ভাবিত নতুন যন্ত্র এবং পল্লব কুমার গাইন

উদ্ভাবিত নতুন যন্ত্র এবং পল্লব কুমার গাইন

স্বপ্নীল মাহফুজ : পল্লব কুমার গাইন, খুলনার নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির তড়িৎ এবং ইলেকট্রনিক্স প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। সম্প্রতি তার উদ্ভাবিত যন্ত্র সাড়া ফেলেছে। তার আবিষ্কৃত যন্ত্র মুহূর্তেই জানিয়ে দেবে শরীরের কোন অংশ কতটুকু সুস্থ আছে অথবা কোন অংশে কি ধরনের সমস্যা থাকতে পারে।

এ ব্যাপারে পল্লবের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, ‘আমাদের কোনো অঙ্গে কোনো প্রকার সমস্যা হলে আমরা সেটা টের পাই। কারণ আমাদের সমস্ত অঙ্গগুলো স্নায়ুর মাধ্যমে মস্তিষ্কের সঙ্গে যুক্ত৷ যখনই দেহের কোনো অঙ্গে সমস্যার সৃষ্টি হয়, তখনই তা স্নায়ুর মাধ্যমে মস্তিষ্কে সংকেত পাঠাতে থাকে৷

কিন্তু এই সংকেতের মান খুব জোরালো না হলে মস্তিষ্ক বুঝতে পারেনা৷ যার ফলে আমাদের অগোচরেই কোনো অঙ্গ সমস্যায় থাকলেও আমরা বুঝতে পারিনা যতক্ষণ না সেখানে তা বেশি সমস্যার সৃষ্টি করে৷ যখন বুঝতে পারি তখন অনেক সময় আমাদের আর করার কিছুই করার থাকেনা, জটিল শারীরিক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। কেননা সেসময় উচ্চমাত্রায় সংকেত মস্তিষ্কে পাঠায় বলে আমরা বুঝতে পারি সমস্যাটা৷

এই সমস্যা সমাধানের লক্ষে কাজ শুরু করি৷ মানুষের নিউরাল সিস্টেম পর্যবেক্ষণ করে বুঝতে পারি, যখন কোনো একটা অঙ্গ থেকে কোনো একটা স্নায়ু মস্তিষ্কে যায় তখন সেটা অনেক শাখা প্রশাখায় ভাগ হয়ে যায়, ওই শাখা প্রশাখাগুলো দেহের বিভিন্ন অংশে এসে উন্মুক্ত হয়৷ এমনই ভাবে দেহের ৬৭টা অঙ্গের কানেকশন আমাদের বাম হাতের তালু ও পিঠে উন্মু্ক্ত হয়৷ যে পয়েন্টগুলাতে ওই স্নায়ু উন্মুক্ত হয় তাকে আমরা অ্যাকুপয়েন্ট নামে চিনি৷

ওই পয়েন্টগুলা থেকে আমরা সংকেতটা পেতে পারি যেটা মস্তিষ্কের জন্য পাঠাচ্ছিল কোনো দূর্বল অঙ্গ৷ অঙ্গটার সমস্যা যতই প্রাথমিক পর্যায়ের হোক না কেন, এখান থেকে ইলেকট্রনিক্স বর্তনির মাধ্যমে আমরা সেটা শণাক্ত করতে পারি৷’

অঙ্গের অবস্থা নির্ণয় করার পদ্ধতি
প্রথমে যে অঙ্গের অবস্থা নির্ণয় করতে হবে সেই অঙ্গের সংশ্লিষ্ট পয়েন্টে যন্ত্রের একটা নির্দিষ্ট প্রোব স্থাপন করতে হবে৷ যন্ত্র ওখান থেকে সংকেত গ্রহণ করে সেটাকে কয়েকটা ধাপে ব্যবহারের উপযোগী করে৷ এর মধ্যে থাকা প্রোগ্রামেবল ইন্টেগ্রেটেড সার্কিটের মাধ্যমে বিশ্লেষণ করে সেই তথ্য ব্লুটুথ সিস্টেমের মাধ্যমে পাঠায় একটা অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল/ট্যাবে৷

অ্যান্ড্রয়েডের জন্য একটা অ্যাপ্লিকেশনও তৈরি করেছে পল্লব, যেটা ওই তথ্য নিয়ে আবারও বিশ্লেষণ করে ব্যবহারকারিকে শতকরার মাধ্যমে দেখিয়ে দেবে, যে পয়েন্টে সমস্যা ধরা হয়েছে তা যে অঙ্গের, সেই অঙ্গটির শতকরা কত শতাংশ সমস্যায় আছে৷

এই যন্ত্র যে কাজ করতে পারবে তা হল- দেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলো কেমন আছে তা নির্ণয় করা যাবে, দেহের কোথাও ব্যথা থাকলে যন্ত্রটির মাধ্যমে ব্যথা কমানো যাবে, অ্যালার্জির সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে, অ্যাজমার সমস্যা কমানো যাবে।

এই উদ্ভাবন নিয়ে সম্প্রতি খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় প্রযুক্তি উৎসবে হার্ডওয়্যারে বিভাগে প্রথম রানার্সআপের পুরস্কার জিতে নেয় পল্লবের টিম গ্রিন টেক।


রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬/ফিরোজ

No comments:

Post a Comment