১ ডলারের বাড়ির মূল্য ২৪ লাখ ডলার
মোখলেছুর রহমান : রাইজিংবিডি ডট কম
Published:23 Nov 2016 08:03:07 AM Wednesday || Updated:23 Nov 2016 01:33:50 PM Wednesday

২২০ টনের বাড়িটি এভাবেই ভাসিয়ে নিয়ে ২০ মাইল দূরে পুনঃস্থাপন করা হয়
কিন্তু এক দিনে তা সম্ভব হয়নি। জর্জ-ন্যান্সি দম্পতির সাত বছরের কঠোর পরিশ্রমের ফলেই ভিক্টোরিয়ান যুগের প্রাসাদের আদলে ১৯১০ সালে নির্মিত এ বাড়িটির বর্তমানে এ বাজারদর উঠেছে।
জর্জ-ন্যান্সি দম্পতি বাড়িটি কেনার পর এটিকে টাম্পা বে দিয়ে ভাসিয়ে ২০ মাইল উজানে গিয়ে তাদের নিজস্ব মালিকানাধীন পাঁচ কাঠা জায়গার ওপর বাড়িটিকে পুনঃস্থাপন করেন।

এটি ছিল ধনী এই দম্পতির কাছে খুবই আবেগী একটি প্রকল্প। ২২০ টন ওজনের এই পরিত্যক্ত বাড়িটিকে পানির ওপর দিয়ে ভাসিয়ে নিয়ে এসে রাস্কিনে পুনঃস্থাপন করতে তাদের আনুমানিক খরচ হয়েছিল ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার।
পূর্বে আরো ছয়টি বাড়ি পুনঃস্থাপন বা মেরামতের অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও এই বাড়িটি মেরামত যে কত বড় একটি কাজ হতে যাচ্ছে তারা তা অনুধাবন করতে পারেননি।

করবেট দম্পতি প্রথমে ভেবেছিলেন যে তারা এই বাড়িটি সংস্কারে সর্বোচ্চ তিন বছর সময় ব্যয় করবেন, কিন্তু তাদের দ্বিগুণেরও বেশি সময় লাগে বাড়িটি সংস্কারে। তারা প্রথমে একটি দ্বিতীয় তলা নির্মাণ করেন। পরবর্তীতে আরো দুই তলা নির্মাণ করেনে তারা।
বর্তমানে সাত হাজার বর্গফুটের চারতলা এই প্রাসাদটিতে সাতটি বেডরুম, পাঁচটি ফায়ারপ্লেস, একটি লিফট রয়েছে। এর পার্টিশন ও দরজা-জনালায় ব্যবহৃত হয়েছে দামী বাদামি রংয়ের ওক কাঠ এবং স্টেইনড গ্লাস।
পাশে আছে একটি পৃথক দুই তলা অতিথিশালা, ছোট ঝরনা, চার গাড়ি রাখা যায় এরকম একটি গ্যারেজ এবং বাইরের জলাধার পর্যন্ত বিস্তৃত একটি ডক। টাম্পা বের পাশে এটি এখন সেখানকার ঐতিহাসিক স্থান হিসেবে জাতীয় নিবন্ধন তালিকাভুক্ত।

২০১৪ সালে এ বাড়িটির দাম হাঁকা হয়েছিল ৪৯ লাখ ৯৫ হাজার ডলার। তখন জর্জ টাম্পা বে টাইমসকে বলেন, ‘আর্থিক মূল্য দিয়ে এর বিচার করা যাবে না। এটা আসলে একটা স্বপ্ন, যা আমরা পূরণ করতে চেয়েছিলাম।’
কিন্তু সম্পত্তি বিকিকিনি সম্পর্কিত ওয়েবসাইট জিলৌর তথ্য অনুযায়ী বাড়িটি সেসময় ১১ লাখ ৫০ হাজার ডলারে বিক্রি হয়। যদিও এটি এখনো জানা যায়নি যে ২০১৪ সালে বাড়িটি ওই দামে কে ক্রয় করেছিলেন। গত সপ্তাহে বাড়িটি আবার নিলামে তোলা হয় এবং এটির দাম ওঠে ২৪ লাখ ডলার।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৩ নভেম্বর ২০১৬/ফিরোজ/এএন/এনএ
No comments:
Post a Comment