Thursday, 10 March 2016

Penguin and love

Penguin and love এই গল্পটি ভালোবাসার

তাপস রায় : রাইজিংবিডি ডট কম
Published:10 Mar 2016   04:32:29 PM   Thursday   ||   Updated:10 Mar 2016   04:43:47 PM   Thursday
এই গল্পটি ভালোবাসার
তাপস রায় : জীবে প্রেম করে যেই জন সেই জন সেবিছে ঈশ্বর- যুগশ্রেষ্ঠ স্বামী বিবেকানন্দের এই বাণী চিরকালের। জীবে প্রেম, জীবের প্রতি প্রেম যেন জীবনেরই আরেকটি উদ্দেশ্য। সেই উদ্দেশ্য পূরণে সাড়া শুধু মানুষই দেয় এমন নয়, এর বাইরে অনেক প্রাণীকেও দেখা যায়, প্রেমে সাড়া দিতে। কৃতজ্ঞতার বাঁধনে নিজেকে জড়াতে। বিভিন্ন পূরাণে অথবা হালের অনেক চলচ্চিত্রে এর চমকপ্রদ উদাহরণ আছে। শুধু তাই নয়, আমাদের দৈনন্দিন জীবনেও এটি দেখা যায়।

দেবরাজ ইন্দ্রকে পরাজিত করে স্বর্গের সিংহাসন দখল করতে রাবণ যখন তার মুখোমুখি সে সময় প্রাণভয়ে ইন্দ্র পালানোর পথ খুঁজতে থাকেন। সামনে নিশ্চিত মৃত্যু, হঠাৎ ইন্দ্র লক্ষ্য করেন একঝাঁক ময়ূর উড়ে যাচ্ছে। তখন তিনি ময়ূররূপ ধরে তাদের দলে মিশে যান এবং রাবণের হাত থেকে প্রাণরক্ষা করেন। এরপর থেকেই ইন্দ্রের বরে ময়ূর পৃথিবীর সুদর্শন পাখি এবং সৌভাগ্যের প্রতীক। ময়ূর আজও ইন্দ্রের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে পেখম দুলিয়ে নাচে।



ময়ূরের এই নাচ আসলে ভালোবাসারও বহিঃপ্রকাশ। অন্যান্য প্রাণীরাও মানুষের প্রতি এই ভালোবাসা দেখাতে পারে। যেমনটি দেখিয়েছে এই পেঙ্গুইন। পাখিটি ৫ হাজার মাইল সাঁতার কেটে তার জীবন রক্ষাকারী মানুষটির কাছে ছুটে আসে প্রতি বছর। ঘটনাটি ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরিও শহরের পাশেই নির্জন দ্বীপে। পেঙ্গুইনটির ভালোবাসার মানুষ হচ্ছে সেই দ্বীপের বাসিন্দা। তার নাম জাও পেরেরা। তিনি পেশায় জেলে। ২০১১ সালে ছোট্ট একটা প্রায় মৃত পেঙ্গুইনকে সারা গায়ে তেল মাখা অবস্থায় বিচ থেকে উদ্ধার করেন তিনি। জাও পেঙ্গুইনটিকে বাড়ি নিয়ে গায়ের তেল পরিষ্কার করে খাবার খাইয়ে সুস্থ করার চেষ্টা করেন। তিনি এ সময় পেঙ্গুইনটির নাম রাখেন ‘ডিমডিম’। এরপর ধীরে ধীরে পেঙ্গুইনটি সুস্থ হয়ে উঠতে থাকে। সাতদিন পর পেঙ্গুইনটি একটু সুস্থ হয়ে উঠলে তাকে সাগরে ছেড়ে দেন। এ সময় অবাক হয়ে জাও পেরেরা দেখেন পাখিটি তাকে ছেড়ে যাচ্ছে না। সে থেকে যায় পেরেরার কাছে। অবশ্য ১১ মাস পর হঠাৎ একদিন পেঙ্গুইনটি গায়েব হয়ে যায় কিন্তু কয়েক মাস পরেই পেঙ্গুইনটি আবার ফিরে আসে পেরেরার কাছে।



পরে জানা যায়, প্রজননের জন্য পেঙ্গুইনটি আর্জেন্টিনা, চিলি, কোস্টারিকা চলে যায়। যা পেরেরার বাড়ি থেকে ৫০০০ কি.মি. দূরে। এ ভাবেই প্রতি বছর ডিমডিম প্রজনন শেষে পেরেরার কাছে ফিরে আসে। পেরেরা জানিয়েছে ডিমিডিম তার সন্তানের মতই, এবং পাখিটি এখন তার পরিবারেরই সদস্য।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১০ মার্চ ২০১৬/তারা

No comments:

Post a Comment