Thursday, 7 April 2016

Meditation for mind strong

মেডিটেশনে অ্যাটেনশন

মৃন্ময়ী হাসান : রাইজিংবিডি ডট কম
Published:07 Apr 2016   07:43:48 AM   Thursday   ||   Updated:07 Apr 2016   10:04:50 AM   Thursday
মেডিটেশনে অ্যাটেনশন
মৃন্ময়ী হাসান : জীবন গতিশীল। সুখ, দুঃখ, আনন্দ, হাসি, কান্না নিয়েই আমাদের জীবন। হঠাৎ যখন  হতাশা ধেয়ে আসে তখন দৈনন্দিন জীবনের গতি থমকে যায়। তবে সারাদিনের ক্লান্তি, হতাশা, মলিনতা পেছনে ফেলে পৌঁছে যেতে পারেন সুস্থ-শান্তিময় পরিবেশে। এ জন্য শুধুমাত্র সঠিক ডায়েট ও পর্যাপ্ত ঘুমই যথেষ্ট নয়। যদি নিয়ম করে রোজ সকালে বা সামান্য সময় দিতে পারেন মনের সঠিক বিশ্রামের জন্য, তবে সাফল্য-সুখ-শান্তি ও সুস্বাস্থ্য থাকবে সমপরিমাণে। এ জন্য মেডিটেশন রাখতে পারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।

মেডিটেশনের জন্য জরুরি:

সুতির আরামদায়ক যে কোনো পোশাকই মেডিটেশনের জন্য উপযোগী।
যে পোশাকই পরুন না কেন পরিষ্কার হতে হবে।
ঢিলেঢালা পোশাক পরলে ভালো।
শরীরে অলংকার না রাখাই উত্তম।
খোলামেলা জায়গা বা যেখানে বাতাস প্রবেশে বাধা নেই এমন জায়গা নির্বাচন করতে হবে।

মেডিটেশন করার পদ্ধতি:

মেডিটেশন বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। তবে সহজ হলো ব্রিদিং মেডিটেশন। দিনে যদি আপনি দুই থেকে তিন বার ১০-১৫ মিনিট সময় ব্যয় করতে পারেন তা হলেই ব্রিদিং মেডিটেশন করা সম্ভব। সাধারণত মেডিটেশন করতে হয় পদ্মাসন, সুখাসন, অর্ধপদ্মাসন, স্বস্তিকা আসনে বসে।
দুই হাত থাকবে দু’ধারে, ধ্যান মুদ্রায়। কোমর, কাঁধ, মাথা সরল রেখায় থাকবে। শিথিল করে রাখতে হবে কাঁধ। এই ভঙ্গিতে বসে কিছুক্ষণ অন্য সব চিন্তা দূরে সরিয়ে মনকে কেন্দ্রীভূত করুন। দুর্বল, অসুস্থ শরীর মেডিটেশনের জন্য উপযোগী নয়। তাই সুস্থ হতে হবে আগে।

বাদ দিতে হবে অতিরিক্ত ভোজন। প্রয়োজনের অতিরিক্ত ঘুম পরিহার করতে হবে। শান্ত জায়গা খুঁজে নিন যেখানে আপনি আরামে বসতে পারবেন। দুই পা একটির ওপর আরেকটি তুলে ক্রুশ করে বসুন। তবে পিঠ ও শিরদাঁড়া সোজা রেখে আপনি যেকোনো পজিশনে বসতে পারেন। পিঠ সোজা করে না বসলে ঘুম পাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। দুচোখ অল্প খোলা রেখে শ্বাস-প্রশ্বাসের উপর মনোনিবেশ করুন। স্বাভাবিকভাবে নিঃশ্বাস নিন। নিজের শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করবেন না। বোঝার চেষ্টা করুন কীভাবে হাওয়া নাকের ভেতর দিয়ে ঢুকে ফুসফুসে যাচ্ছে। কীভাবে ফুসফুস হাওয়া ভরছে আর আপনার বুক ওঠা-নামা করছে।

একইভাবে যখন শ্বাস ছাড়ছেন সেই ব্যাপারটাও অনুভব করার চেষ্টা করুন। কীভাবে হাওয়া আপনার নাকের ভেতর দিয়ে আবার শরীরের বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে, এটা বোঝাও মেডিটেশনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। শ্বাস-প্রশ্বাসের এই প্রক্রিয়া ছাড়া আর কোনো কিছুর ওপরই জোর দেয়া যাবে না। মেডিটেশন করার সময় যতবার আপনার মন অন্যদিকে যাবে ততবার শ্বাস-প্রশ্বাসের ওপর মনোনিবেশ করবেন। যত দিন যাবে দেখবেন যে আপনার মনসংযোগ বাড়বে এবং আপনি আরও বেশি মানসিক প্রশান্তি অনুভব করবেন।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/৭ এপ্রিল ২০১৬/তারা

No comments:

Post a Comment