৩১৯ বছরের পুরোনো মন্দির
প্রকাশ: ২০১৭-১২-২১ ৫:৩৪:৪৬ পিএম || আপডেট: ২০১৭-১২-২১ ৫:৪৯:০৮ পিএম
![]() |
ফয়সাল উদ্দীন নীরব: জামালপুর পৌর
শহরের প্রাণকেন্দ্রে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় নিদর্শন শ্রী শ্রী
দয়াময়ী মন্দির। নবাব মুর্শিদকুলি খাঁর সময়ে মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন
বর্তমানে গৌরিপুর রামগোপালপুরের জমিদারের জাফরশাহী পরগণার জায়গীরদার
শ্রীকৃষ্ণ রায় চৌধুরী।
সে সময় নবাবরা শাসনকাজ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য এলাকা ভেদে জায়গীর নিয়োগ দিতেন। জায়গীরদারদের কাজ ছিল এলাকাভিত্তিক শাসন। তেমনি একজন ছিলেন শ্রীকৃষ্ণ রায় চৌধুরী। মন্দিরটি ১৬৯৮ খ্রিস্টাব্দে, বাংলা ১১০৪ সনে আজ থেকে প্রায় ৩১৯ বছর আগে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। জনশ্রুতি রয়েছে, শ্রীকৃষ্ণ রায় চৌধুরীর ঔরসজাত সন্তান রাজা যোগেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরীর সহধর্মিণী রাধারঙ্গিনী দেবী চৌধুরানি। তিনি স্বপ্নে আদেশ পেয়ে স্বামীকে অনুরোধ করে পরবর্তী সময়ে মন্দিরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করেন।
এখানে শিবমন্দির, কালিমন্দির, নাটমন্দির, মনসা দেবীর মন্দির একই জায়গায় ভিন্ন ভিন্নভাবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। পুরো মন্দিরটি ৬৫ শতাংশ জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত। মন্দিরে শতবর্ষের কারুকার্য খচিত দৃষ্টিনন্দন বিভিন্ন চিত্রকর্ম রয়েছে।

প্রতিদিন প্রায় ৩০০ ভক্ত এখানে পূজা অর্চনা করতে আসেন। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা পুরোনো এই ঐতিহাসিক মন্দিরটি দেখতে আসেন। দুর্গা পূজার সময় মন্দির প্রাঙ্গণে প্রায় দেড় লাখ ভক্তের আগমন ঘটে। এছাডা চৈত্র মাসে ব্রক্ষপুত্র নদে স্নান অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় এখানে ৪ দিনের মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
মন্দিরটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন সীতার্থ শংকর রায়। তিনি রাইজিংবিডিকে জানান, প্রতিদিনই ভক্তরা এখানে আসেন। মন্দির সকাল ৬টায় খোলা হয় এবং রাত ১০টায় বন্ধ করা হয়। এখানে বর্তমানে ৪ জন পুরোহিত ও ১২ জন কর্মচারী রয়েছেন।
কমলাপুর থেকে জামালপুরের ট্রেন রয়েছে সকাল ৭টা ২০ এবং ৮টা ২০ মিনিটে। এছাড়া বেলা ৩ টায় ও ৫ টায়। ভাড়া ১৪৫ টাকা, সময় লাগবে ৩ ঘণ্টা। জামালপুর স্টেশন থেকে রিকশায় ১০ টাকার ভাড়া। এছাডা মহাখালী থেকে ‘রাজীব’ বাস সার্ভিস রয়েছে। ভাড়া ৩০০ টাকা। দেখে আসতে পারেন প্রায় সাড়ে তিনশ বছরের পুরোনো দয়াময়ী মন্দির।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ ডিসেম্বর ২০১৭/ফিরোজ/তারা
সে সময় নবাবরা শাসনকাজ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য এলাকা ভেদে জায়গীর নিয়োগ দিতেন। জায়গীরদারদের কাজ ছিল এলাকাভিত্তিক শাসন। তেমনি একজন ছিলেন শ্রীকৃষ্ণ রায় চৌধুরী। মন্দিরটি ১৬৯৮ খ্রিস্টাব্দে, বাংলা ১১০৪ সনে আজ থেকে প্রায় ৩১৯ বছর আগে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। জনশ্রুতি রয়েছে, শ্রীকৃষ্ণ রায় চৌধুরীর ঔরসজাত সন্তান রাজা যোগেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরীর সহধর্মিণী রাধারঙ্গিনী দেবী চৌধুরানি। তিনি স্বপ্নে আদেশ পেয়ে স্বামীকে অনুরোধ করে পরবর্তী সময়ে মন্দিরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করেন।
এখানে শিবমন্দির, কালিমন্দির, নাটমন্দির, মনসা দেবীর মন্দির একই জায়গায় ভিন্ন ভিন্নভাবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। পুরো মন্দিরটি ৬৫ শতাংশ জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত। মন্দিরে শতবর্ষের কারুকার্য খচিত দৃষ্টিনন্দন বিভিন্ন চিত্রকর্ম রয়েছে।

প্রতিদিন প্রায় ৩০০ ভক্ত এখানে পূজা অর্চনা করতে আসেন। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা পুরোনো এই ঐতিহাসিক মন্দিরটি দেখতে আসেন। দুর্গা পূজার সময় মন্দির প্রাঙ্গণে প্রায় দেড় লাখ ভক্তের আগমন ঘটে। এছাডা চৈত্র মাসে ব্রক্ষপুত্র নদে স্নান অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় এখানে ৪ দিনের মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
মন্দিরটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন সীতার্থ শংকর রায়। তিনি রাইজিংবিডিকে জানান, প্রতিদিনই ভক্তরা এখানে আসেন। মন্দির সকাল ৬টায় খোলা হয় এবং রাত ১০টায় বন্ধ করা হয়। এখানে বর্তমানে ৪ জন পুরোহিত ও ১২ জন কর্মচারী রয়েছেন।
কমলাপুর থেকে জামালপুরের ট্রেন রয়েছে সকাল ৭টা ২০ এবং ৮টা ২০ মিনিটে। এছাড়া বেলা ৩ টায় ও ৫ টায়। ভাড়া ১৪৫ টাকা, সময় লাগবে ৩ ঘণ্টা। জামালপুর স্টেশন থেকে রিকশায় ১০ টাকার ভাড়া। এছাডা মহাখালী থেকে ‘রাজীব’ বাস সার্ভিস রয়েছে। ভাড়া ৩০০ টাকা। দেখে আসতে পারেন প্রায় সাড়ে তিনশ বছরের পুরোনো দয়াময়ী মন্দির।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ ডিসেম্বর ২০১৭/ফিরোজ/তারা
No comments:
Post a Comment