Monday, 1 February 2016

Beauty excercise

সৌন্দর্য চর্চার ৬ গ্যাজেট

মনিরুল হক ফিরোজ : রাইজিংবিডি ডট কম
Published:01 Feb 2016   06:46:12 PM   Monday   
সৌন্দর্য চর্চার ৬ গ্যাজেট
মনিরুল হক ফিরোজ : নিজেকে সুন্দর দেখাতে কে না চায়? আর তাই সৌন্দর্য চর্চার উপকরণগুলো মানুষের জীবনের অতি প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে।

বাজারের নানা ধরনের প্রসাধনী সামগ্রীর পাশাপাশি ঘরোয়া নানা উপকরণেও মানুষ সৌন্দর্য চর্চা করে আসছে।

তবে সময়টা যেহেতু এখন প্রযুক্তির, তাই প্রযুক্তির এই যুগে সৌন্দর্য্য চর্চায় নানা ধরনের গ্যাজেটও ব্যবহার করছেন অনেকেই। প্রতিনিয়ত বাজারে আসছে সৌন্দর্য চর্চার জন্য নিত্যনতুন সব গ্যাজেট। এ ধরনের ৬টি গ্যাজেট এ প্রতিবেদনে তুলে ধরা হলো।


অয়্যারড বিউটি মাপো মাস্ক

এটা মুখে পড়ার পর আপনাকে ভৌতিক সিনেমার মতো উদ্ভট দেখাতে পারে, কিন্তু ওয়্যারড বিউটি মাপো মাস্ক মেডিকেল-গ্রেড সিলিকন দিয়ে তৈরি এবং এতে বিভিন্ন সেন্সরযুক্ত রয়েছে, যা আপনার ত্বকের তাপমাত্রা এবং ময়েশ্চারাইজার লেভেল মাপতে সক্ষম। এই গ্যাজেটটি আপনার ত্বকের তথ্যগুলো স্মার্টফোনের অ্যাপে পাঠাবে এবং আপনাকে ত্বক অনুযায়ী যত্নের সঠিক পরামর্শ দেবে। যেমন কোন ধরনের প্রসাধনী আপনার ত্বকের জন্য উপযুক্ত।
সঠিক ময়েশ্চারাইজার কেনার পর, সেটা মাস্কটিতে লাগিয়ে মুখে রাখলে, মাস্কটি তাপের সাহায্যে ত্বকের রোমকূপ খুলে, ত্বকের ভেতর তা পৌঁছাবে। কিকস্ট্যার্টার প্রজেক্টের মাধ্যমে এই মাস্কটি বাজারে নিয়ে আসার জন্য তহবিল সংগ্রহের কাজ চলছে। প্রি-অর্ডার করা যাবে ২৯৯ ইউরো মূল্যে। ভ্যাট, ট্যাক্স ও শিপিং খরচ ছাড়াই বাংলাদেশি টাকায় যার দাম প্রায় ২৬ হাজার টাকা।

জেনু আল্ট্রাসনিক ইনফিউজার সিস্টেম

আপনি হয়তো মনে করছেন যে, ক্রিম এবং লোশন ব্যবহারই আপনার ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখতে যথেষ্ট। কিন্তু এ ধারণাটি ভুল, এমন দাবী জেনু নামক প্রতিষ্ঠানটির। এর কারণ হচ্ছে আপনার ত্বক আবরণ বাঁধা হিসেবে কাজ করে, ত্বকের ভেতরে পৌঁছাতে পারে না। জেনু আল্ট্রাসনিক ইনফিউজার সিস্টেমটি প্রতি সেকেন্ডে ত্বকে আল্ট্রা সনিক শক্তির ৩৬৫,০০০ পালস নির্গত করে ত্বককে শোষণ করে আদ্রতা নিয়ে আসে এবং প্রসাধনী সামগ্রি ব্যবহারে উপযোগী করে দেয়। অনলাইন শপিং সাইট অ্যামাজনে এর মূল্য ২৪৯ ইউএস ডলার। ভ্যাট ও ট্যাক্স ছাড়া বাংলাদেশি টাকায় যার দাম প্রায় ২০ হাজার টাকা।

হেয়ারম্যাক্স লেজার ব্যান্ড

দেখলেই আতংক জাগে অদ্ভূত এই গ্যাজেটির নাম- হেয়ারম্যাক্স লেজার ব্যান্ড। এটি এমন একটি হেডসেট, যার কাজ হচ্ছে চুলের যত্ন। এই ডিভাইসটি মাথার খুলিতে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করতে ৯০ সেকেন্ড পরপর ৮২ লেজার রশ্মি ব্যবহার করে এবং চুল পাতলা হয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে। নির্মাতাদের দাবি, কিছু ক্ষেত্রে এটি চুলের ঘনত্বও বাড়ায়। ছেলে-মেয়ে উভয়েই এটি ব্যবহার করতে পারবে এবং এটি মাথার কোনো ক্ষতিসাধন করবে না, এমন গ্যারান্টি দিচ্ছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হেয়ারম্যাক্স। ১২ সপ্তাহের মধ্যে কার্যকরী ফল পাওয়া যাবে। প্রতিষ্ঠানটি নিজেদের সাইটে এটি বিক্রি করছে ৫৬০.১৮ বিট্রিশ পাউন্ড মূল্যে। ভ্যাট ও ট্যাক্স ছাড়া বাংলাদেশি টাকায় যার দাম প্রায় ৬৩ হাজার টাকা।

ভিশন আই কেয়ার মেসেঞ্জার

সারাদিন বাইরে কাজের শেষে ঘরে ফেরার পর অনেকেই হাত-পায়ের যত্ন নেন, কিন্তু চোখের যত্ন? ভিশন কেয়ার প্রতিষ্ঠানটি দাবী করেছে, তাদের আই মেসেজার ডিভাইসটি চোখ থেকে ক্লান্তির ছাপ ও কালো দাগ দূর করবে চোখের চারপাশে ভাইব্রেশন ও মেসেজের মাধ্যমে। এটি আলতো করে চোখের চারপাশের এলাকায় উষ্ণ ভাবে মেসেজ করে চোখকে আরাম দেবে।

ট্রিয়া এজ-ডিফাইনিং লেজার

নানা কারণে অনেকেই বয়সের তুলনায় বয়স্ক দেখায়। ত্বকের বলিরেখা ও বয়সের ছাপ দূরীকরণে বেশ কার্যকরী ট্রিয়া’র এজ-ডিফাইনিং লেজার ডিভাইসটি। এটি ত্বক থেকে কোলাজেন দূর করে উন্নত ত্বক দেবে। ত্বকের বিবর্নতা, বলিরেখা দক্ষভাবে কমিয়ে উজ্জ্বলতা ও কোমলতা এনে দেয়। নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটির দাবী, এটি ব্যবহারে মাত্র দুই সপ্তাহ পরেই বয়স অনেক খানি কম দেখাবে। অনলাইন শপিং সাইট অ্যামাজনে এর মূল্য ৪৫০ ব্রিটিশ পাউন্ড। ভ্যাট ও ট্যাক্স ছাড়া বাংলাদেশি টাকায় যার দাম প্রায় ৫১ হাজার টাকা।

আইনেইল ইন্টিলিজেন্ট প্রিন্টার

এটি এমন একটি প্রিন্টার, যেটি আঙুলের নখে পছন্দমতো নানা ডিজাইন প্রিন্ট করার সুবিধা দেবে। আইনেইল ইন্টেলিজেন্ট প্রিন্টারটিতে ১০০শ’র বেশি ডিজাইন রয়েছে, নখকে দর্শণীয় ফ্যাশনের মাত্রা দেবে প্রিন্টারটির প্রিন্ট। অনলাইন শপিং সাইট ইবে-তে এর মূল্য ৩৫০০ ইউএস ডলার। ভ্যাট ও ট্যাক্স ছাড়া বাংলাদেশি টাকায় যার দাম প্রায় ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।

তথ্যসূত্র: মিরর

 http://www.risingbd.com/%E0%A6%B8%E0%A7%8C%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%9A%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A7%AC-%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%9F/145471

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/ফিরোজ

No comments:

Post a Comment