বামন গ্রহের রহস্যময় জায়গায় বড় কিছুর ইঙ্গিত (ভিডিও)
মোখলেছুর রহমান : রাইজিংবিডি ডট কম
Published:20 Mar 2016 01:25:42 PM Sunday || Updated:20 Mar 2016 01:41:09 PM Sunday

পৃথিবী থেকে ২৫০ মিলিয়ন মাইল দূরে মঙ্গল ও বৃহস্পতির কক্ষপথের মাঝখানে গ্রহাণু বেল্টের মধ্যে থাকা সেরেসের মধ্যে একটি বৃহদাকার উজ্জ্বল স্থানের অবাক করা কিছু কার্যক্রম বিজ্ঞানীদের ভাবিয়ে তুলেছিল। পৃথিবীর সোলার সিস্টেমের মধ্যে পরিলক্ষিত এ যাবত কালের সবচেয়ে বিভ্রান্তিকর বস্তু বলে বিবেচনা করা হয়েছে এটিকে।
সম্প্রতি ইতালির আইএনএএফ-ত্রিয়েস্তে অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অবজারভেটরির জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের নেতৃত্বে পরিচালিত গবেষণায়, সেরেজের এই অনন্য উজ্জ্বল এলাকাজুড়ে অপ্রত্যাশিত কিছু কার্যকলাপ ধরা পড়েছে যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তিত হচ্ছিল।
এবং ওই অঞ্চলটিকে সেরেজের ভূগর্ভস্থ পাথরের তলদেশে বিশাল সমুদ্র থাকার সবচেয়ে জোরালো প্রমাণ হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে।
গবেষক দলটি জানান, আমরা প্রথম এই পাথুরে বড় বস্তুটির একটি চমৎকার দৃশ্যই দেখেছিলাম এবং গত বছর যখন ডন মহাকাশযান কক্ষপথে চারপাশে প্রদক্ষিণ করছিল তখন এটাকে আড়াআড়ি একটি অবস্থায়ই আমরা দেখেছিলাম।’
কিন্তু ডনই একমাত্র যন্ত্র নয় বিজ্ঞানীরা যা এই গবেষণার কাজে ব্যবহার করছেন। ইউরোপিয়ান সাউদার্ন অবজারভেটরি ৩.৬ মিটার টেলিস্কোপ ব্যবহার করে, দলটি লক্ষ্য করে যে, সেরেসে সময়ের ব্যবধানে এই উজ্জ্বল দাগটিতে তারতম্য দেখা দিয়েছে। এর উজ্জ্বলতা ফিকে হয়ে যাওয়ার আগে এটি একটি গ্রীষ্মের রাতের একটি বাজ বাগ এর মত ক্রমবর্ধমানভাবে জ্বল জ্বল করছিল।
মজার ব্যাপার হলো, এই উজ্জ্বল দাগটি সবচেয়ে বেশি উজ্জ্বল দেখায় যখন এটি সূর্যের সম্মুখ দিকে থাকে। এর ফলে এই গবেষক দলটির সন্দেহ হচ্ছে, এই বিস্ময়কর পরিবর্তন এর কারণ একটি কঠিন একটি গ্যাস ।
দলটি রয়েল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির এক মাসিক রিপোর্টে বলেন ‘সূর্যের আলোর তাপের কারণে কিছু নির্দিষ্ট উপকরণ নির্গত হয় যা পরে এই দাগটির ওপরে একটি দৃশ্যমান কুয়াশাচ্ছন্ন আবরণ তৈরি করে।’
তবে এই কুয়াশা শুধুমাত্র সাময়িক সময়ের জন্য থাকে। এটি গঠনের পর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে উধাও হয়ে যায়। দাগের জায়গাটির ওপর ঝুলন্ত কোনো কুয়াশা ছাড়া দাগ তখন অস্পষ্ট হয়ে যায়, যা দাগটির পরিবর্তনশীলতারই ব্যাখ্যা প্রদর্শন করে।
পৃথিবীর সোলার সিস্টেমের শুরু থেকেই এই দাগটি আমাদের সৌরজগতে ছিল এবং এটি মোটামুটিভাবে ৪.৬ বিলিয়ন বছর বয়সী বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই দাগটি যদি দীর্ঘদিনের কুয়াশার জন্য তৈরি হয়ে থাকে তাহলে এখন তা উধাও হয়ে যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু এখনো কিছু উৎস ক্রমাগত উপাদান সরবরাহ করে আসছে।
তো কি ঘটতে যাচ্ছে?
গবেষক দলের অনেকেই মনে করেন যে, একটি শক্তিশালী প্রভাব ভূগর্ভস্থ পাথর স্তরে ফাটল ধরবে এবং পরে ফাটলের মাধ্যমে একটি সুবিশাল ভূগর্ভস্থ সমুদ্রের সন্ধান মিলবে।
দলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘আমরা ধারণা করছি যে ঐ গ্রহের অভ্যন্তরভাগ থেকে কিছু একটা বের হয়ে আসবে যেখানে বিপুল পরিমাণ জলরাশি রয়েছে আছে এবং যা জ্বালামুখ ভর্তি। যদি পৃষ্ঠ তলদেশে তরল জাতীয় পদার্থ থাকে তাহলে তার মানে সেখানে একটি তাপের উৎসও রয়েছে। তখন এটি বিশ্বের কাছে আমাদের ভাবনার চেয়েও অনেক বেশি আকর্ষণীয় হবে।’
এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও দেখুন:
http://www.risingbd.com/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%A8-%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B9%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A6%B9%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AE%E0%A7%9F-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%AC%E0%A7%9C-%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%9B%E0%A7%81%E0%A6%B0-%E0%A6%87%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BF%E0%A6%A4/152543
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২০ মার্চ ২০১৬/ফিরোজ
No comments:
Post a Comment