কর্মজীবী মা হওয়ার ৫ সুবিধা
রাসনা মিথি : রাইজিংবিডি ডট কম
Published:06 Mar 2016 02:48:55 PM Sunday

প্রতীকি ছবি
এখন অবশ্য শিক্ষিত তরুণ প্রজন্মের পুরুষদের ভাবনা পাল্টাচ্ছে। বিয়ের সময় এখন তারা বেশির ভাগ সময়ই পাত্রী হিসেবে কর্মজীবী নারীদের পছন্দ করেন। মানসিকতার ধরণ পাল্টাচ্ছে পুরুষ সমাজের।আর নারীদেরও বাড়ছে স্বনির্ভর হওয়ার মানসিকতা।
রক্ষণশীল পরিবারের মানুষরা সবসময় একই ধরণের অভিযোগ আনে কর্মজীবী নারীদের বেলায়। সংসার করে নাকি ঘর সামলানো দায় হয়ে পড়ে। কিন্তু গবেষণা বলছে ভিন্ন কথা। মায়েরা কর্মজীবী হলেই নাকি লাভ। তাতে নাকি তারা সংসারের প্রতি বেশি যত্নআত্তি নিতে পারেন।
১. মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, কর্মজীবী নারীরা কম অবসাদে ভোগনে। আর মা মানসকি ভাবে সুস্থ থাকলে সন্তানদের বিকাশে তার প্রভাব পড়বেই।
২. মেয়েদের ঘরেই মানায়, এ ধারণা শিশুদের মধ্যেও প্রভাবিত হয়। কারণ, আশৈশব যদি শিশুরা দেখে তার মা শুধু সংসারই সামলাচ্ছে তবে তার মধ্যে নারীকে ঘরের ভেতরে দেখার মানসিকতা তৈরি হবে। আর যদি দেখে,মা কর্মজীবী তবে মাকে দেখেই শিশুদের স্বনির্ভর হওয়ার মানসিকতা জন্মাবে।
৩. চাকরি করার সুবাদে হয়তো সারাদিন কর্মজীবী মায়ের বাড়িতে থাকা হয় না। তবে এটা সত্য, চাকরীর বাইরে মা যতটা সময় পান তার শত ভাগই ঢেলে দেন পরিবারের সদস্যদের মাঝে। বাবাদের মতো অফিস সেরে বাইরের আড্ডা, মোবাইল বা ল্যাপটপে মা কখনো সময় নষ্ট করে না। কারণ, শুধু একজন মা জানে তার সন্তানকে একা রেখে কর্মক্ষেত্রে যাওয়া কতটা বেদনার।
৪. কর্মজীবী নারীরা সারাক্ষণ শিশুদের লেখাপড়ার দিকে নজর রাখতে পারেন না। তাতে শিশুরা ফাঁকিবাজি করার সুযোগ পায়। আর নিশ্চিত ভাবে মা বাড়িতে না থাকলে বইখাতা গুছিয়ে নিজের মতো খেলাধুলা করার সময় পাচ্ছে তারা। এতে পুরোই যে গোল্লায় যাচ্ছে শিশু ব্যাপারটা তা না। সারাক্ষণ পড়াশোনা নিয়ে থাকলে বরং শিশুদের মানসিক বিকাশ হয় না। আর খেলাধূলার মধ্যেই কাটালে মানসিক বিকাশ হয় এবং স্কুলের ফলাফল ভাল হয়।
৫. সবশেষে স্বামীর উপর নির্ভরতা কমে এর ফলে পরিবারকে আর্থিকভাবে সাহায্য করা যায়। সংসারে স্বচ্ছ্যলতা আসে।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/৬ মার্চ ২০১৬/ মিথি
No comments:
Post a Comment