Wednesday, 2 December 2015

Global Fruits

Malta / orange in hilt-rack area - Hope this online collection introduce us.

পাহাড়ের মাল্টা এখন মুজিবনগরের সমতলে

মহাসিন : রাইজিংবিডি ডট কম
Published:02 Dec 2015   12:26:12 PM   Wednesday   ||   Updated:02 Dec 2015   02:14:40 PM   Wednesday
গাছে ধরা মাল্টা

গাছে ধরা মাল্টা

মহাসিন আলী, মেহেরপুর : পাহাড়ের মাল্টা এখন মেহেরপুর মুজিবনগরের সমতল ভূমিতে উৎপন্ন হচ্ছে। খরচ কম ও চাষ লাভ জনক হওয়ায় মুজিবনগর এলাকার চাষিরা মাল্টা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। দিনে দিনে মাল্টার চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে এই এলাকায়।

জেলার মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালী গ্রামের চাষি ইসমাইল হোসেন তার নিজের ১৫ কাঠা জমিতে মাল্টার চাষ করেন। প্রায় ৩ বছর আগে উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে ঢাকা থেকে মাত্র ৫০ টি মাল্টার চারা সংগ্রহ করেন তিনি। সে বছর তিনি সরকার থেকে বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় সার পেয়েছিলেন।

প্রথম বছরে তিনি কোন ফল তুলে বাজারে বিক্রি করতে পারেনি। দ্বিতীয় বছরে তার বাগানে পর্যপ্ত ফল আসে। নিজেরা খেয়ে ও প্রতিবেশীদের দিয়েও গেল বছর তিনি তার বাগানে উৎপন্ন মাল্টা বিক্রির ৬০ হাজার টাকা ঘরে তুলেছেন। এ বছরে তিনি বাগান পরিচর্যা করছেন প্রচুর ফলের আশায়।

মাল্টা চাষি ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘সুস্বাদু হওয়ায় স্থানীয় মেহেরপুরের বাজারে তার উৎপাদিত মাল্টার ভাল চাহিদা।’ এ বছর তিনি আরো সাড়ে ৬ বিঘা জমিতে মাল্টা চাষ করছেন।

তিনি জানান, ‘তার এলাকার চাষিরা মাল্টা চাষ করার জন্য তার কাছ থেকে চারা কেনা শুরু করেছেন। প্রতিটি কলমে (চারা) তিনি তিনশত টাকা করে বিক্রি করছেন। এ চারার চাহিদা বেশি থাকলেও তিনি চারা দিয়ে কুলিয়ে উঠতে পারছেন না। তারপরও মুজিবনগর উপজেলার দারিয়াপুর গ্রামের ন্যাড়া বিশ্বাস এক বিঘা, মানিকনগর গ্রামের চাঁদ আলী এক বিঘা জমিতে মাল্টা চাষ করতে তার নিকট থেকে এ বছর চারা কিনেছেন।



তিনি জানান- এলাকার অনেক চাষির মাল্টা চাষের আগ্রহ থাকলেও চারা না পাওয়ায় তারা চাষ করতে পারছেন না। এখানের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা খসরু হোসেন জানান, ইসমাইল হোসেনের মাল্টা বাগানের পরিচর্যায় মুজিবননগর উপজেলা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

মুজিবনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোফাফখারুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট গাজীপুরের উদ্ভাবিত এ মাল্টা উঁচু ও জলবদ্ধতাহীন দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটিতে চাষ হয়ে থাকে। ডিসেম্বর মাসে মাল্টা গাছে ফুল আসে এবং জানুযারি-ফেব্রুয়ারি মাসে গাছে ফল ধরে। এ ফল পাকতে আগষ্ট মাস পর্যন্ত সময় লাগে। ওই সময় দেশে উৎপন্ন উল্লেখযোগ্য অন্যান্য ফল বাজারে না থাকায় এ ফলের খুবই চাহিদা থাকে। জুলাই-আগস্ট মাসের দিকেও গাছে একবার ফুল আসে ও ফল ধরে। এ ফল পাকে এপ্রিল মাসের দিকে।


রাইজিংবিডি/মেহেরপুর/২ ডিসেম্বর ২০১৫/মহাসিন/টিপু

No comments:

Post a Comment