Friday, 9 March 2018

small think can make high tension

যেসব ছোট চিন্তা তীব্র উদ্বেগ বাড়ায় (শেষ পর্ব)

এস এম গল্প ইকবাল : রাইজিংবিডি ডট কম
 
  
প্রকাশ: ২০১৮-০৩-০৪ ৯:১০:৫৫ এএম     ||     আপডেট: ২০১৮-০৩-০৪ ২:০১:৩৫ পিএম
প্রতীকী ছবি
এস এম গল্প ইকবাল : এই প্রতিবেদনে আলোচিত প্রচলিত শব্দগুচ্ছগুলো সর্বোপরি নির্দোষ নয়। প্রকৃতপক্ষে, এসব ভাবনা আপনার মধ্যে অ্যানজাইটি বা তীব্র উদ্বেগ সৃষ্টি করে। আপনি কিভাবে এসব ভাবনা পুনর্বিবেচনা করবেন তা এখানে তুলে ধরা হলো। এ নিয়ে দুই পর্বের প্রতিবেদনের আজ থাকছে শেষ পর্ব।

* ‘আমি এ কাজটি শেষ করতে পারব না’
‘আমি এ কাজটি শেষ করতে পারব না’- এ ধরনের চিন্তা সন্দেহ ও অনিশ্চয়তার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। এ প্রকৃতির চিন্তা কাজের প্রতি উৎসাহ কিংবা উদ্দীপনা হ্রাস করে। মনের ভেতর এরকম ভাবনা ঘুরপাক খেতে থাকলে আত্মবিশ্বাস তলানিতে নেমে যায়। কোনো দ্বিধাপূর্ণ বা কঠিন কাজ করার জন্য কাজটিকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে পর্যায়ক্রমে প্রত্যেকটি অংশ সম্পন্ন করতে পারেন। একটি অংশ সম্পন্ন করলে আপনার মধ্যে আত্মবিশ্বাস জন্মাবে, যার ফলে আপনি পরবর্তী অংশ সম্পন্ন করার জন্য উৎসাহ পাবেন। কোনো বিভক্ত অংশ বা কাজ কত ছোট সেটা কোনো ব্যাপার নয়, আত্মবিশ্বাসটাই মুখ্য। ‘আমি এ কাজটি কখনো সম্পন্ন করতে পারব না’- এরকম ভাবার পরিবর্তে মনকে বলার চেষ্টা করুন, ‘আমি এ ছোট কাজটি সম্পন্ন করতে যাচ্ছি’ এবং তা করা হয়ে গেলে বলুন, ‘আমি এটা করেছি। আমি আরো বেশি কাজ করতে পারব।’

* ‘আমি এ প্রেজেন্টেশন গুলিয়ে ফেলব’
‘আমি এ প্রেজেন্টেশন/প্রজেক্ট/স্পিচ/(অথবা অন্য কিছু) গুলিয়ে ফেলব’- এ ধরনের কথা নিজেকে বলা ভালো নয়।’ ভুল করাই যাবে না- এ জাতীয় অযৌক্তিক বিশ্বাস থেকে এরকম ভাবনার উদয় হয়। মানুষ মাত্রই ভুল করে। আপনি কোনো ভুল করতেই পারেন, তার মানে এই নয় যে সম্পূর্ণ বিষয়টি বা সবকিছু গুলিয়ে ফেলছেন। এরকম নেতিবাচক চিন্তার দ্বারা নিজের কনফিডেন্সকে ব্লক না করে নিজের ওপর আস্থা রাখুন। ‘আমি কাজটি গুলিয়ে ফেলতে যাচ্ছি’- এরকম না ভেবে নিজেকে বলার চেষ্টা করুন, ‘আমি ভুল করতে পারি এবং তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো মানে হয় না, কারণ আমি নিজেকে সংশোধন করে নেব এবং আমার কাজ চালিয়ে যাব। প্রত্যেক মানুষই ভুল করে।’

* ‘আমার এ কথা বলা উচিত হয়নি’
আপনি যা বলে ফেলেছেন তা আর ফিরিয়ে নিতে পারবেন না। আপনি হয়তো এমন কথা বলেছেন যা বলা উচিত হয়নি, কিন্তু তা সত্ত্বেও ‘উচিত’ শব্দটি নিয়ে আর মাথা ঘামাবেন না, অন্যথায় আপনার উদ্বেগ বেড়ে যেতে পারে। কখনো কখনো আমরা ‘কেন এমনটা বলেছি’ এটা ভেবে হতাশ হয়ে পড়ি এবং নিজেদের বা অন্যদের প্রতি ক্রুদ্ধ হই। কি বলা উচিত ছিল কিংবা কি বলা উচিত হয়নি- এসবের ওপর ফোকাস না করে যা বলা হয়ে গেছে তা থেকে মন ফিরিয়ে নিন এবং পরবর্তীতে সুন্দর আলাপের প্রত্যাশায় থাকুন। ‘আমার এ কথা বলা উচিত হয়নি’- এরকম ভাবার পরিবর্তে ভাবুন, ‘আমি তা বলে ফেলেছি। হয়তো তার চেয়ে ভালো কিছু বলতে পারতাম। যাইহোক, আমি আশাবাদী যে পরবর্তীতে সুন্দর কথা বলতে পারব।’

* ‘সবাই আমাকে নির্বোধ মনে করছে’
অধিকাংশ লোক তাদের আশপাশে কি ঘটছে তাতে খুব বেশি মনোযোগ দেন। তারা ‘অন্যদের সামনে আমাকে কেমন লাগছে বা অন্যরা আমার সম্পর্কে কি ভাবছে’- এ জাতীয় ভাবনায় ব্যস্ত থাকে এবং তাদের প্রতি অন্য কেউ ততটা মনোযোগ না দিলে তারা নিজেদেরকে বোকা মনে করে উদ্বিগ্ন হয়। ‘সবাই আমাকে নির্বোধ  মনে করছে’- এরকম চিন্তা না করে নিজেকে বলুন, ‘প্রত্যেকে নিজেকে নির্বোধ দেখাচ্ছে ভেবে উদ্বিগ্ন এবং তারা আসলেই আমার প্রতি ফোকাস করছে না।’

* ‘আমি খুব মোটা’
‘আমি খুব মোটা’- এরকম ভাবনা আপনাকে মেদ কমাতে সাহায্য করবে না। আপনার অস্বস্তিদায়ক অনুভূতি দূর করার জন্য উপায় অনুসন্ধান করুন। মেদ কমানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আপনি অস্বস্তি ও উদ্বেগের কবল থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন। ‘আমি খুব মোটা’- এরকম না ভেবে নিজেকে বলুন, ‘আমি এক্সারসাইজ করবো এবং ভালো-সুষম খাবার খাবো।’

* ‘আমি ভীত’
‘আমি চিকিৎসা/খবর/আবহাওয়া/(অথবা অন্য কিছু) নিয়ে ভীত’- এরকম পরিস্থিতির ক্ষেত্রে আপনি আউটকাম বা ফলাফল সম্পর্কে অনিশ্চিত- যার ওপর আপনার রয়েছে জিরো কন্ট্রোল। এটি স্নায়ু-বিধ্বংসী, তাই মেনে নিন যে আপনি যেটার মধ্য দিয়ে যাবেন সেটা ভীতিকর। কিন্তু নিজের মনে শক্তি যোগানোর জন্য স্মরণ করুন যে আপনি এর পূর্বে ভীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছেন এবং আপনি আবার তা পারবেন। নিজের ভেতর আত্মবিশ্বাস জাগ্রত করা এবং নিজেকে আশ্বস্ত করা গুরুত্বপূর্ণ। ‘আমি ভীত’- এরকম ভাবার পরিবর্তে ভাবতে চেষ্টা করুন, ‘এটি একটি ভীতিকর পরিস্থিতি, কিন্তু আমি তা মোকাবেলা করতে পারবো।’

পড়ুন : যেসব ছোট চিন্তা তীব্র উদ্বেগ বাড়ায় (প্রথম পর্ব)

তথ্যসূত্র : রিডার্স ডাইজেস্ট



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৪ মার্চ ২০১৮/ইকবাল/ফিরোজ

dog value 2 crore actor in India

রজনীকান্তের কুকুরের মূল্য ২ কোটি

আমিনুল ইসলাম শান্ত : রাইজিংবিডি ডট কম
 
  
প্রকাশ: ২০১৮-০৩-১০ ৭:৪৭:৫৫ এএম     ||     আপডেট: ২০১৮-০৩-১০ ৮:১৪:৩৩ এএম
বিনোদন ডেস্ক : পরনে কালো রঙের পাঞ্জাবি, চোখে চশমা। মুখে সাদা দাড়ি। হাতলওয়ালা একটি চেয়ারে পায়ের ওপর পা রেখে বসে আছেন রজনীকান্ত। এক হাত চেয়ারের হাতলে রাখা, অন্য হাত একটি কুকুরের পিঠে। এই দৃশ্যটি ভারতের তামিল ভাষার ‘কালা’ সিনেমার। সম্প্রতি এই পোস্টারটি প্রকাশিত হয়েছে।

মজার ব্যাপার হলো, পোস্টারে রজনীকান্ত যে কুকুরটির পিঠে হাতে রেখে বসে আছেন তার মূল্য এখন ২ কোটি রুপি। ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে কুকুরটির প্রশিক্ষক সাইমন বলেন, ‘‘কালা’ সিনেমায় রজনীকান্তের প্রাণী প্রীতি রয়েছে। এজন্য রাস্তা থেকে এই কুকুরটি আমি তুলে আনি এবং প্রশিক্ষণ দিই। এর নাম মনি। কিন্তু এরই মধ্যে রজনীকান্তের ‘পাগল’ ভক্তরা কুকুরটি কিনতে চাইছেন। শুধু তাই নয়, কেউ কেউ এর দাম হেঁকেছেন ২ কোটি রুপি। তবে রজনী ভক্তদের এমন প্রস্তাব আমি প্রত্যাখান করেছি। কারণ এটি আমার কাছে সন্তানের মতো।’’

‘কালা’ সিনেমার পরিচালক পিএ রঞ্জিত অডিশনের মাধ্যমে এই কুকুরটি চূড়ান্ত করেন। ৩০টি কুকুরের মধ্যে থেকে এই কুকুরটি বেছে নেন বলেও জানান প্রাণী প্রশিক্ষক সাইমন।

রজনীকান্ত ছাড়াও ‘কালা’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন নানা পাটেকার, হুমা কুরেশি, অঞ্জলি প্রমুখ। সিনেমাটি প্রযোজনা করছেন ধানুশ। আগামী ২৭ এপ্রিল সিনেমাটি মুক্তির কথা রয়েছে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১০ মার্চ ২০১৮/শান্ত/মারুফ

Women Enterpreneurship info

‘নারী উদ্যোক্তা হতে গেলে কথায় কান দেয়া যাবে না’

হাসান ওয়ালী : রাইজিংবিডি ডট কম
 
  
প্রকাশ: ২০১৮-০৩-১০ ৭:৫৫:১৯ এএম     ||     আপডেট: ২০১৮-০৩-১০ ৮:১৩:০৭ এএম
হাসান ওয়ালী: ডা. সালমা সুলতানা। কাজ করেন প্রাণি সম্পদ উন্নয়নে জনশক্তি তৈরিতে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় থেকেই তিনি ভাবতেন প্রাণি সম্পদ উন্নয়ন নিয়ে। স্নাতক শেষ করে ২৭ বছর বয়সেই প্রাণিসম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠা করেন ‘মডেল লাইভস্টক ইনস্টিটিউট ঢাকা’ (এমলিড)। যা দেশের প্রথম বেসরকারি প্রাণিচিকিৎসা প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট।

শুরুটা মোটেও সুখের ছিলো না। শুরুতে মানুষের ঠাট্টা বিদ্রুপের শিকার হলেও পরিশ্রমই তাকে এনে দিয়েছে বিভিন্ন দেশি-বিদেশি সম্মাননা।

‘২০১২ সালে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিন (ডিভিএম) বিষয়ে স্নাতক শেষ করি। প্রাণি চিকিৎসকদের আমাদের দেশে খুব একটা সম্মানের চোখে দেখা হয় না বলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই হতাশ ছিলাম। স্নাতকোত্তরের ক্লাস শুরুর জন্য অপেক্ষা না করে বাকৃবির অধীনে চাকরি নিই কমিউনিটি বেইজড ডেইরি ভেটেরিনারি ফাউন্ডেশনে ভেটেরিনারি অফিসার হিসেবে।’ বলছিলেন সালমা সুলতানা।

এই চাকরিই তাকে আজকের এই অবস্থানে আনতে সহযোগিতা করেছে। সেখানে মাত্র পাঁচ মাস চাকরি করেই ঠিক করে ফেলেন প্রাণি চিকিৎসার জন্য একটি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট চালু করবেন। ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠা করেন স্বপ্নের সেই প্রতিষ্ঠান। শুরুর গল্প জানতে চাইলে সালমা সুলতানা বলেন, ‘শুরুতে আমি যখন উদ্যোক্তা হতে চাই তখন আমার পরিবারের মধ্যে দুই ভাগ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আমার বাবা আমার পক্ষে ছিলেন। শুরুতে অনেক ফ্রেন্ড এই কাজ ছোট করে দেখতো, তারা প্রাণি চিকিৎসা নিয়ে কাজ করার পক্ষে ছিলো না। তবে সময়ের সাথে সাথে তাদের দৃষ্টিভঙ্গীর পরিবর্তন হয়েছে।’
 

দক্ষ জনশক্তি তৈরির জন্য সালমা সুলতানার প্রতিষ্ঠানে এক বছর দুই মাস মেয়াদি ‘অ্যানিমেল হেলথ অ্যান্ড প্রোডাকশন’ ও ‘পোলট্রি ফার্মিং’ এর ওপর সার্টিফিকেট ও বিভিন্ন স্বল্পমেয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স করানো হয়। প্রাণীর চিকিৎসার জন্য এখানে হাসপাতালের কার্যক্রমও চালু রয়েছে। এখানে সপ্তাহের ছয় দিন বহির্বিভাগে গবাদিপশুর চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়। ডায়াগনস্টিক-সুবিধাও রয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে শুক্রবারও সেবা দেওয়া হয়। এসব করতে গিয়ে অন্যান্য চিকিৎসকদের বাধার মুখেও পড়তে হয়েছে অদম্য এই নারী উদ্যোক্তাকে। ‘যখন আমি ফ্রেন্ডদের এনে মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট হিসেবে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করলাম, তখন কিছু চিকিৎসক তাদের অবস্থানের ক্ষতি হবে ভেবে ভয় পেলেন।কিন্তু আসলে তো তা না। প্রাথমিক চিকিৎসা তো সহকারীরাই করেন। সবকিছু উপেক্ষা করেই আসলে আমি এগিয়েছি।’

এই কর্মযজ্ঞের জন্য এখন পর্যন্ত বেশ কিছু সম্মাননা পেয়েছেন। সম্প্রতি ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে নারী উদ্যোক্তা হিসেবে সম্মাননা পেয়েছেন তিনি। এছাড়াও ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড-২০১৭’, সফল প্রাণী চিকিৎসক হিসেবে পেয়েছেন ‘মাদার তেরেসা অ্যাওয়ার্ড-২০১৭’। এই মার্চের ১৮ তারিখে জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে আনুষ্ঠানিকভাবে হাতে পাবেন ‘ইন্টারন্যাশনাল আর্চ অব ইউরোপ ফর কোয়ালিটি অ্যান্ড টেকনোলজি অ্যাওয়ার্ড-২০১৮’।

যে সকল নারী উদ্যোক্তা হতে চান তাদের উদ্দেশ্যে সালমা সুলতানার পরামর্শ ‘নারী উদ্যোক্তা হতে গেলে মানুষের কথায় কান দেওয়া যাবে না। আর সবকিছু সম্পর্কে চিন্তা করেই এগুতে হবে। প্রথম দিকে সে সহযোগিতা পাবে না। এ জন্য তাকে শক্ত থাকতে হবে এবং একবার কাজে নামলে শক্তভাবে সামনের দিকে যেতে হবে। যতো বাধা আসুক থামা যাবে না। উদীয়মান সূর্যকে দাবিয়ে রাখা যাবে না, সূর্য উদয় হবেই।’




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১০ মার্চ ২০১৮/তারা

Vietnam tourism info

ভিয়েতনামের পথে: ১৬তম পর্ব

ফেরদৌস জামান : রাইজিংবিডি ডট কম
 
  
প্রকাশ: ২০১৮-০৩-০৯ ৪:৩৫:২৪ পিএম     ||     আপডেট: ২০১৮-০৩-০৯ ৪:৩৫:২৪ পিএম
ফেরদৌস জামান: পাই ক্যানিয়নকে বিদায় জানিয়ে এখনই ফিরতি পথ না ধরতে পারলে বিপদ হয়ে যাবে। তবে কোনো অপঘাতের আশঙ্কা নেই। সন্তুষ্টির ব্যাপর হলো, পরিকল্পনা মাফিক আজকের লক্ষ্য দুটি অত্যান্ত সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। মাঝখান থেকে অর্জিত হয়েছে বিচিত্র কিছু অভিজ্ঞতা। আসলে ঘর থেকে বেরুলেই চারপাশে দেখার উপভোগের বা উপলব্ধি করার কত কী যে ছড়িয়ে থাকে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে তা আমাদের নজরে আসে না। নিজের মাঝ থেকে দেখার সেই দৃষ্টিভঙ্গি আবিষ্কারের অবিরত প্রচেষ্টা একজন পর্যটকের অন্যতম কাজ।

ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কত বিষয় যে আছে যার মাঝে সঞ্চিত থাকে অসাধারণ সব গল্পমালা। আজ অব্দি যা দেখছি তা কেবলই গতানুগতিক, বিশেষ কিছু নয়, যেন পূর্বসূরীগণ যা দেখে গেছেন বারংবার তারই পুণরাবৃত্তি ঘটছে। চোখের দেখা; মনের দেখা হয়ে উঠছে না। এখনও অনেক পর্যটক আসছে। বিশেষত তাদের লক্ষ্য ক্যানিয়ন থেকে সূর্যাস্ত দেখা। আর এদের প্রায় শতভাগ প্যাকেজ ট্যুর অপারেটরের ব্যবস্থাপনায় আগত। সাইট সীং করানো প্যাকেজে সাধারণত দিনের সর্বশেষ গন্তব্য হিসেবে থাকে পাই ক্যানিয়নে সূর্যাস্ত উপভোগ করা। চলতি পথে চেনা জানা হওয়া দু’এক জনের সাথে আবারও দেখা হলো। তাদের উৎসাহ আর সাধুবাদের ভাষা এমন যে, তোমরা পারোও বটে! তাতে করে গর্বে আমাদের বুকটা যে সমান্য স্ফীত হয়ে উঠল না তা নয়। ওদিকে স্থানীয়রা শুনে তো এমনভাবে আঁতকে ওঠে যেন চোখ দুটো কোটর ভেঙে এখনই মাটিতে খুলে পরবে! এরা অলস বা ফাঁকিবাজ নয়, তবে হাঁটার বেলায় নারাজ। বস্তবতা হলো, গতিময় বাস্তবতার সাথে চলতে গিয়ে সময়ের হিসাব তাদের একটু কর্কশভাবেই কষতে হয়।


পথ এগুলো অনেকটাই। চলে এসেছি সেই একাকি রেস্টুরেন্টে। অর্জনের উৎফুল্লতায় এবার তবে আবারও কফি পান করা যাক। বাইরে বসা কিশোরী ফ্রিজ দেখিয়ে বললো, ওখান থেকে ক্যান বের করে নিয়ে ভেতরে বসে পান করুন। যেন কত দিনের চেনা। অথচ, দেখা আজই এবং মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে। পর্যটক হিসেবে একটু ব্যাতিক্রম ঠেকায় হয়তো মনে রাখতে পেরেছে। অন্ধকার নেমে এসেছে, বাকি আছে পথের প্রায় দশ ভাগের আরও আট ভাগ। তারপরও চিন্তা নেই, পথের পাশ দিয়ে এগিয়ে চলবো সমান তালে। যেখানে মন চাইবে সেখানে বসে একটু বিশ্রাম নিয়ে আবারও চলতে থাকবো। পথে কোনো বাহণ পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। কারণ এখানে পাবলিক পরিবহণ বলতে আছে শুধু পিক-আপ ধরনের ট্যাক্সি। তাও আবার সংখ্যায় একেবারেই হাতে গোনা। সুতরাং, দেখা মেলার সম্ভাবনা আজ আর নেই। যদি রিজার্ভ কোনো ট্যাক্সিতে জায়গা করে নেয়া যায় তাহলেও চলে। মাথা প্রতি ভাড়া যা আসে তা নিয়ে নেবে। অতিরিক্ত এই সম্ভাবনাকে সামনে রেখে আপাতত পায়েই ভরসা।


রাত তার সমস্ত অন্ধকার ঢেলে দিয়ে জাপটে ধরেছে চারপাশের সব কিছু। চোখের পাতা টানটান করে ধরলেও কিছু দেখা যায় না। কেবল পায়ের নিচে সটান পরে থাকা পথের এগিয়ে যাওয়া দেখা যায়। মাঝে মাঝে পথের ও-মাথা থেকে হঠাৎ হঠাৎ আকাশের দিকে তাক করা একজোড়া লম্বা আলো এগিয়ে আসে। কিছুক্ষণের মধ্যেই খাড়া পথের বাহণ উপরে এসে সমতল পেয়েই যেন ধপাস করে সড়কের উপর ফেলে দেয় তার লম্বা আলোর রেখা। অমনি সব ফকফকা হয়ে এগিয়ে আসতে আসতে আমাদের ঘুটঘুটে অন্ধকারে রেখে এগিয়ে চলে যায় আপন গন্তব্যে। পেছন থেকে ধেয়ে আসা দু’একটা গাড়ি সংকেত দিলে কারও দাঁড়াবার ফুরসত হলো না। মহাসড়কে যানবাহণের সংখ্যা এত কম হলে খুব বেমানান দেখায়। একটু ভয় ভয় লাগছে। ভূত-প্রেত বা জ্বিন-পরীর নয়, অকারণ ভয়। কোন কোন গাড়ি থেকে হৈ হৈ উল্লাস ধ্বনি ছড়িয়ে পড়ছে রাতের অন্ধকারের নিস্তব্ধতায়। সফলতার আনন্দে তারাও উদযাপন করতে করতে ফিরে যাচ্ছে। তারা জানে না তাদের ফেলে যাওয়া ক্ষণিকের উল্লাস ধ্বনি আমাদের জন্য কতটা সাহসের বস্তু হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। আবার এমনও মনে হচ্ছে যদি পুলিশ-প্রশাসনের কোনো গাড়ি এসে ধরে বসে- তোমরা কারা? ও, পর্যটক! তাহলে এ অবস্থা কেন? নির্জন অন্ধকার পথে হাঁটাহাঁটির মানে কী? সন্দেহজনক, ওঠো গাড়িতে এবং চলো আমাদের সাথে। নির্ঘাৎ তাদের আদেশ পালন করতে বিনাবাক্যে উঠে পরতে হবে, কারণ এদেরকে আমাদের অভিপ্রায় ভাষায় বোঝাবার সাধ্য কার! এই সমস্ত ভাবনা যে কেবল আমার মনের মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে তা নয়, সুজিতও বেশ চুপচাপ। না! এমন হলে তো চলে না। এই সমস্ত অমূলক ও উটকো ভাবনায় পথ ভারাক্রান্ত করা অনুচিত। ভয় পেলে মানুষ কথা বলে, জোরে শব্দ করে কথা বলে, চিৎকার করতে চায়, গান গায়। অতএব, আমরা অবলম্বন করলাম শেষেরটাকে। পথ এগুলো তার স্বাভাবিক নিয়ম এবং আমাদের সক্ষমতায়। কোন কোন গাড়ির আচমকা বাঁক পরিবর্তন দেখে মনে হয় তারা হকচকিয়ে গেছে। যেন অদ্ভুত কোনো প্রাণীর মুখোমুখি হয়ে প্রাণ ভয়ে পাশ কেটে পালিয়ে বাঁচলো। এরই মধ্যে টিপটিপ বৃষ্টি শুরু হলো। অন্ধকার ঠেলে রাস্তাটা পূর্বের তুলনায় আরও কালো অথচ, উজ্জল হয়ে উঠল। ব্যাগ থেকে টর্চলাইট বের করতে হলো। তা না হলে ভেজা পথে পাশ কাটাবার সুযোগ না পেয়ে ঘটে যেতে পারতো যে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা।
 

বৃষ্টির ফোঁটা একটু ভারি হতে শুরু করল। এখন যে একটা বিরতি দরকার তা যেন প্রকৃতি ঠিকই আন্দাজ করে নিয়েছে। চারপাশে খোলা ছাউনি পেয়ে একটু বসবার সুযোগ হলো। পথ এখনও অর্ধেকটা পরে আছে। সামনেই অনেকটা ওঠা তারপর কতখানি নেমে গেছে মনে করতে পারছি না। পেছনের উপত্যকা থেকে ধানের শীষ দোলা হাওয়া ভেসে আসছে। ফুরফুরে বাতাসে ঘাম ও বৃষ্টির ফোঁটা উভয় কারণে ভিজে যাওয়া শরীরে যেন প্রশান্তির ধারা বয়ে গেল। এখন বেশ রোমাঞ্চ অনুভূত হচ্ছে। পথ যত দীর্ঘ হয় হোক, প্রয়োজনে সারা রাত হাঁটব! বৃষ্টি থেমে যাওয়ার প্রতীক্ষা বিফলে গেল। অতএব, পুনরায় শুরু করলাম। সামনে থেকে কোনো গাড়ি আসছে দেখলেই টর্চ জ্বালিয়ে নিচু করে ধরার কাজটা আমাকেই করতে হলো। তাতে করে সামনে থেকে আসা গাড়ি এবং আমরা উভয়েই যার যার পথে এগিয়ে যাওয়াটা সহজ ও নিরাপদ। সম্মুখে দূরের আকাশে হালকা হলুদের আভা, শহরের নানান বর্ণের আলোর মিশ্রণ কালো কুচকুচে আকাশের গায়ে আভার মত জড়িয়ে আছে। পথের এই উঁচু জায়গায় এসে দৃষ্টি সীমায় ধরা দিল নদীর ওপারেই সড়ক বাতির আলো। এরপর এক ঘণ্টায় পৌঁছে গেলাম পরিচিত দোকানটায়, যেখান থেকে আগের রাতে বিস্কুট, চিপস এবং কী কী যেন কিনেছিলাম। আমাদের দেখে দোকানী অভিভূত এবং বিস্মিত- আপনারা তাহলে শেষ পর্যন্ত পারলেন! তখন তো সে পারলে আমদের অভিজ্ঞতার সবটুকুই শোনে। ওদিকে দোকানের সামনে কয়লার আগুনে কাঁকড়া চড়িয়েছে, সেটা আবার পুড়ে না যায়। উভয় টানে হন্তদন্ত দোকনাদারকে এই বলে বিদায় নিলাম, আজ আর নয় বরং কাল একবার এদিকটায় এলে গল্প করা যাবে। 


রাইজিংবিডি/ঢাকা/৯ মার্চ ২০১৮/তারা  

Richest man in the world

বিল গেটসকে হটিয়ে শীর্ষ ধনী জেফ বেজস

এনএ : রাইজিংবিডি ডট কম
 
  
প্রকাশ: ২০১৮-০৩-০৮ ৩:৩৭:২৫ পিএম     ||     আপডেট: ২০১৮-০৩-০৮ ৮:১৮:০৭ পিএম
বিশ্বের শীর্ষ ধনী জেফ বেজস
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিল গেটসকে পেছনে ফেলে এবার বিশ্বের শীর্ষ ধনী হয়েছেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজস।

তার মোট সম্পদের পরিমাণ ১১২ বিলিয়ন ডলার বলে জানিয়েছে ফোর্বেস৷ আর এই প্রথম কোনো এক ব্যক্তির সম্পত্তির পরিমাণ ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে৷

ফোর্বেস বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের নাম প্রকাশের পর অ্যামাজনের শেয়ারমূল্য বেড়ে যাওয়ায় বেজসের সম্পত্তির পরিমাণ বেড়ে ১২৭ বিলিয়ন ডলার হয়ে গিয়েছিল৷ গত এক বছরে অ্যামাজনের শেয়ারমূল্য ৫৯ শতাংশ বাড়ায়  মাইক্রোসফটের বিল গেটসকে পেছনে ফেলে প্রথমবারের মতো ধনী ব্যক্তিদের তালিকার শীর্ষে উঠে আসেন বেজস৷

ফোর্বেস ম্যাগাজিন বুধবার তাদের ৩২তম বার্ষিক প্রতিবেদনে ৭২ দেশের শীর্ষ ধনীদের এই তালিকা প্রকাশ করে। তাদের হিসেবে বিশ্বে বর্তমানে বিলিওনেয়ারের সংখ্যা ২ হাজার ২০৮ - যা একটি রেকর্ড৷ বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের সম্পদের পরিমাণ গত বছরের চেয়ে ১৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৯ দশমিক ১ ট্রিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। গড়ে একজন ধনীর সম্পদের পরিমাণ ৪ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার।

বিলিওনেয়ার তালিকায় নতুন যুক্ত হয়েছেন ২৫৯ জন৷ আর সবচেয়ে বেশি ধনীর বসবাস যুক্তরাষ্ট্রে ৫৮৫ জন। এর মধ্যে দেশটির ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যেই আছে ১৪৪ জন। যা অন্য অনেক দেশের চেয়ে বেশি।

৪৭৬ জন ধনী নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চীন (হংকং, ম্যাকাও, তাইওয়ানসহ)। জার্মানিতে ১২৩ জন, ভারতে ১১৯ জন এবং রাশিয়ায় রয়েছেন ১০২ জন ধনী।

এদিকে ফোর্বেসের হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্পদের পরিমাণ কমেছে প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার৷ বর্তমানে তিনি ৩ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের মালিক৷ এবার ফোর্বেসের তালিকায় তাঁর অবস্থান ৭৬৬ নম্বরে৷ গত বছর তার অবস্থান ছিল ৫৪৪৷

ভারতের তেল ও গ্যাস জায়ান্ট রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের মুকেশ আম্বানি রয়েছেন তালিকার ১৯ নম্বরে। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ৪০ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার৷ 

ফোর্বেস আরো জানিয়েছে, সৌদি আরবের রাজনৈতিক ক্ষমতায় পরিবর্তন আসায় সে দেশের ১০ নাগরিকের সম্পদ কমে যাওয়ায় বিলিওনেয়ার তালিকা থেকে এবার তাঁদের নাম বাদ পড়েছে।


শীর্ষ ধনীর কাতারে এবার দ্বিতীয় স্থানে বিল গেটস

ফোর্বেসের তালিকা অনুযায়ী শীর্ষ ১০ ধনী :
১। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজস। তার সম্পদের পরিমাণ ১১২ বিলিয়ন ডলার।

২। বেশ কয়েক বছর শীর্ষে ছিলেন মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস৷ এবার তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন তিনি। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৯০ বিলিয়ন ডলার৷

৩। ফোর্বসের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন ওয়ারেন বাফেট। তার সম্পদের পরিমাণ ৮৭ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার।

৪। ৭২ বিলিয়ন ডলার নিয়ে তালিকার চতুর্থ স্থানে আছেন ফরাসি ধনকুবের বার্নার্ড আরনল্ট । অভিজাত পণ্য বিক্রিতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় কোম্পানি এলভিএমএই-এর চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী তিনি৷ গত বছর তালিকার ১১তম অবস্থানে ছিলেন তিনি৷ ডলারের বিপরীতে ইউরো শক্তিশালী হয়ে ওঠায় তাঁর সম্পদের পরিমাণ বেড়ে যায়৷

৫। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ এবার ৭১ বিলিয়ন ডলার নিয়ে রয়েছেন তালিকার পাঁচ নম্বরে।

৬। ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছেন ইউরোপের ধনাঢ্য ব্যক্তি ইনডিটেক্সের সহপ্রতিষ্ঠাতা আমানসিও ওরতেগো। তার সম্পদের পরিমাণ ৭০ বিলিয়ন ডলার।

৭। ৬৭ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার নিয়ে তালিকার সপ্তম অবস্থানে রয়েছেন টেলমেক্সের প্রধান নির্বাহী মেক্সিকোর কার্লোস স্লিম হেলু।

৮। কোচ ইন্ডাস্ট্রিজের প্রধান নির্বাহী চার্লস কোচ রয়েছেন তালিকার অষ্টম স্থানে। তার সম্পদের পরিমাণ ৬০ বিলিয়ন ডলার।

৯। ৬০ বিলিয়ন ডলার নিয়ে তালিকার নবম স্থানে রয়েছেন কোচ ইন্ডাস্ট্রিজের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেভিড কোচ।

১০। ওরাকল করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী ল্যারি এলিসন রয়েছেন দশম অবস্থানে। তার সম্পদের পরিমাণ ৫৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৮ মার্চ ২০১৮/এনএ/শাহনেওয়াজ

snack and kids play info usa

শিশুর খেলার সঙ্গী অজগর!

শাহিদুল ইসলাম : রাইজিংবিডি ডট কম
 
  
প্রকাশ: ২০১৮-০৩-১০ ৭:৫০:৩৯ এএম     ||     আপডেট: ২০১৮-০৩-১০ ৮:১৪:০৩ এএম
শাহিদুল ইসলাম: অ্যালিসার বয়স তখন মাত্র ১৪ মাস। এই বয়সের একটি শিশুর সারাদিন কাটে নানা রকম খেলনা সামগ্রী নিয়ে। অ্যালিসাও তার বয়সি শিশুদের থেকে ব্যতিক্রম ছিল না। তারও দিন কেটেছে খেলে। তবে আর দশটা শিশুর চেয়ে তার খেলার সঙ্গী ছিল ভিন্ন। তের ফুট লম্বা অজগর সাপের সঙ্গে খেলে বড় হয়েছে সে। 

অ্যালিসার বাবা জেমি গাউরিনো সাপুড়ে। বাড়ি যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ডেট্রয়েট শহরে। সাপ পোষা তার শখ। সাপ যে মানুষের পোষা প্রাণী হতে পারে এটা বোঝানোর জন্য তিনি তার মেয়ের সাথে সাপের খেলা করার দৃশ্যটি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। আর তাতেই চমকে উঠেছেন অনেকে।  

দৃশ্যটি ছয় বছর আগে ধারণ করা হলেও গত মঙ্গলবার জেমি তার ফেসবুক পাতায় ভিডিওটি দিয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়েছে। অধিকাংশ মানুষ ভিডিওটি দেখে ভয়ে শিউরে উঠেছেন। অনেকেই পোষা অজগর সাপ নিয়ে তাদের বাজে অভিজ্ঞতার কথা কমেন্ট বক্সে লিখেছেন।

এত আগে ধারণ করা ভিডিও এখন ফেসবুকে দেওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হলে জেমি বলেন, ‘সাপকে মানুষ যতটা ক্ষতিকর ভাবে আসলে সাপ ততটা ক্ষতিকর নয়। একটি কুকুরের চেয়েও সাপ মানুষের জন্য কম ক্ষতিকর। এটিও একটি চমৎকার পোষা প্রাণী হয়ে মানুষের ঘরে থাকতে পারে। সাপ সম্পর্কে মানুষের মন থেকে নেতিবাচক ধরণা দূর করতেই তিনি এতদিন পরে ভিডিওটি ফেসবুকে দিয়েছেন।’     



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১০ মার্চ ২০১৮/মারুফ/তারা

Red chili bogra bangladesh

বগুড়ায় মরিচ চাষে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে

একে আজাদ : রাইজিংবিডি ডট কম
 
  
প্রকাশ: ২০১৮-০৩-১০ ৯:৪২:১৫ এএম     ||     আপডেট: ২০১৮-০৩-১০ ৯:৪৩:২৩ এএম
বগুড়া প্রতিনিধি : পরপর দুই বার বন্যা ও অতি বৃষ্টিতে বগুড়ায় মরিচের আবাদ ব্যাপকহারে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এ বছর আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।

ফলনও বাড়ছে বলে জানায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। তবে জেলার মরিচের ঘাঁটি বলে খ্যাত সারিয়াকান্দি উপজেলায় আবাদ কম হলেও চাষিরা জানিয়েছেন ফলন ও মান ভালো।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণে অধিদপ্তর থেকে জানা যায়, এ বছর বন্যা ও অতি বৃষ্টির কারণে মরিচ চাষ বিলম্বিত হয়। ফলে সারিয়াকান্দিতে অনেক কৃষক মরিচ চাষ করতে পারেনি।

২০১৮ সালে জেলায় মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ৬ হাজার ৬৯০ হেক্টর। আর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৯ হাজার ৭০১ মেট্রিক টন। সেখানে আবাদ হয়েছে ৭ হাজার ৬৫০ হেক্টরে। গত বছর চাষের লক্ষ্যমাত্রা ৭ হাজার ৫৮০ হেক্টর। আর চাষ হয় ৭ হাজার হেক্টরে। এখন পর্যন্ত ৩ হাজার হেক্টর জমিতে প্রায় ৫ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন ফলন পাওয়া গেছে। যেখানে গড় ফলন প্রতি হেক্টরে ১ দশমিক ৯ মেট্রিক টন করে। এতে কৃষি কর্মকর্তারা আশা করছেন, মোট উৎপাদন ১৩ হাজার মেট্রিক টন হতে পারে।

সারিয়াকান্দি উপজেলার বাটির চর এলাকার রফিকুল ইসলাম জানান, তিনি ছয় বিঘা জমির মধ্যে তিন বিঘায় মরিচ, আর বাকি জমিতে ধানের আবাদ করেছেন। এ থেকে মরিচের ফলন পেয়েছেন গড়ে প্রতি বিঘায় নয় মণ করে। তিনি বলেন, বৃষ্টি হওয়ায় সময়মতো মরিচ চাষ করতে পারেননি।

ওই এলাকার শাহিন ইসলাম জানান, এখন বাজারে প্রতি মণ শুকনো মরিচের দাম ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা, গত বছর ছিল ৪ থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা। তিনি জানান, গতবার দাম কম পাওয়ায় এবার কম আবাদ করেছেন। গতবার চাষ করেছিলেন সাড়ে তিন বিঘা। এবার করেছেন এক বিঘায়।

ওই উপজেলার শাহিদুল, মোফাজ্জল, মিঠু জানান একই কথা। তারা বলেন, এক বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করতে প্রায় ২০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়ে যায়। অথচ সেই মরিচ বিক্রি করে যদি খরচ ঠিকমতো না ওঠে তাহলে পোষায় কীভাবে?

তারা জানান, উপজেলার ফুলবাড়ী ইউনিয়নে বেশ কিছু ডিলার আছে, যারা বিভিন্ন কোম্পানিকে মরিচ সরবরাহ করে। কিন্তু তারা স্থানীয় মরিচ না কিনে কম দামে আমদানিকৃত মরিচ সরবরাহ করে। এতে করে চাষিরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।

মরিচের ফলন সব জায়গায় ভালো হচ্ছে। জেলার ধুনট উপজেলার মরিচ চাষি জানান, বৃষ্টির জন্য এবার মরিচ চাষে অনেক দেরি হয়ে গেছে। এতে লোকসানের আশঙ্কা ছিল। কিন্তু এখন যেমন ফলন দেখা যাচ্ছে, তাতে খরচ পুষিয়ে যাবে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ প্রতুল চন্দ্র সরকার রাইজিংবিডিকে জানান, পরপর দুই বার বন্যায় মরিচ চাষ কিছুটা ব্যাহত হয়। এতে সারিয়াকান্দি উপজেলায় মরিচের আবাদ কম হলেও জেলার চাষের ও ফলনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রভাব ফেলেনি। শীতের আবহাওয়ায় মরিচ একটু বড় ও পুষ্ট হয় কিন্তু গরমকাল এসে যাওয়ায় তা হয়ত কিছুটা ছোট হবে। তবুও এর গড় ফলন হেক্টর প্রতি প্রায় ১ দশমিক ৬ থেকে ৮ এর মধ্যে থাকবে বলে তিনি আশা করছেন।



রাইজিংবিডি/বগুড়া/১০ মার্চ ২০১৮/একে আজাদ/বকুল

Wednesday, 7 March 2018

clock 10000 years

বিশাল ঘড়ি নষ্ট হবে না হাজার বছরেও

আহমেদ শরীফ : রাইজিংবিডি ডট কম
 
  
প্রকাশ: ২০১৮-০৩-০৭ ২:০৮:১৭ পিএম     ||     আপডেট: ২০১৮-০৩-০৭ ২:১০:৪৬ পিএম
আহমেদ শরীফ: ভাবুন তো, ১০ হাজার বছর একটানা সঠিক সময় বলে দেবে একটি ঘড়ি। অদ্ভুত ব্যাপার তাই না?  এমন এক ঘড়ি তৈরির কাজ চলছে। উদ্যোক্তা বলছেন, ঘড়িটি ১০ হাজার বছরেও নষ্ট হবে না।

বিখ্যাত অনলাইন প্রতিষ্ঠান আমাজনের উদ্যোক্তা ও সিইও জেফ বেজোস অদ্ভুত এই উদ্যোগ হাতে নিয়েছেন। তিনি বিশাল এক ঘড়ি নির্মাণের কাজে বিনিয়োগ করেছেন। ঘড়ি নির্মাণে বেজোসকে খরচ করতে হচ্ছে ৪২ মিলিয়ন ডলার। এর কিছু ফুটেজ টুইটারে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সাড়া জাগে মানুষের মনে। টেক্সাসের সিয়েরা ডায়াবলো মাউন্টেনের ভেতর ৫০০ ফুট দীর্ঘ  এই বিশাল ঘড়ির নির্মাণ কাজ চলছে। প্রতিদিন দর্শনার্থীরা পাহাড়ের ভেতর ফাঁকা অংশে গিয়ে এই ঘড়ির বিশাল ঘণ্টার শব্দ শুনতে পারবেন। এক্ষেত্রে প্রতি ঘণ্টায় নয়, বরং প্রতিদিন একবার করে শব্দ শোনা যাবে। প্রযুক্তিবিদরা এমন উপায়ে ঘড়িটি নির্মাণ করছেন, যাতে পৃথিবীর থারমাল চক্রের মাধ্যমে শক্তি পেয়ে চলমান থাকবে ঘড়িটি। ১০ হাজার বছর ধরে ঘড়ির ঘণ্টা পৃথক শব্দ করবে, প্রযুক্তিগতভাবে সেভাবেই তৈরি করা হচ্ছে এই ঘড়ি।
 

ঘড়িটি নির্মাণের জন্য ১৯৮৯ সাল থেকেই ভাবছিলেন নির্মাতা ড্যানি হিলস। জেফ বেজোস এই প্রকল্পের সাথে যুক্ত হন ২০১১ সালে। ঘড়িটি স্টেইনলেস স্টিল, টাইটেনিয়াম ও সিরামিক বল বিয়ারিং দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে। পাথরের পাহাড় কেটে এই ঘড়ি নির্মাণের ব্যাপারটা মিশরের পিরামিড নির্মাণের মতো অনেকটা। হাজার হাজার বছর পর যেন মানুষ এই বিশেষ ঘড়ি দেখে সময় জানতে পারে, সেটাই মূল লক্ষ্য।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/৭ মার্চ ২০১৮/তারা