Wednesday, 31 January 2018

zinger can make healthy life

যে খাবারে পেটের গ্যাস দূর হবে

এস এম গল্প ইকবাল : রাইজিংবিডি ডট কম
     
প্রকাশ: ২০১৮-০২-০১ ১০:২৬:৪০ এএম     ||     আপডেট: ২০১৮-০২-০১ ১০:২৯:২৭ এএম
প্রতীকী ছবি
এস এম গল্প ইকবাল : সবাই একটি চমৎকার চ্যাপ্টা পেট চায়। আপনার এ আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারে আদা। আদা আপনার পেটে গ্যাস-উৎপাদনকারী অন্ত্রের অণুজীবকে বাধা দিয়ে পেটফাঁপা হওয়া থেকে আপনাকে রক্ষা করতে পারে।

বিশ্বখ্যাত সংগীতশিল্পী সেলেনা গোমেজ ‘দ্যা লেইট লেইট শো’র জনপ্রিয় অংশ ‘কারপুল কারাওকে’তে জেমস করডেনের কাছে প্রকাশ করেন যে, তিনি প্রতিদিন সকালে আদার রস অথবা কখনো কখনো আদার একটি টুকরো গ্রহণ করেন। এটা অস্বীকার করা যাবে না যে, সেলেনা গোমেজকে ভোগ ম্যাগাজিনে তার প্রথম প্রচ্ছদে সুস্থ ও চমৎকার দেখা গেছে। কিন্তু এতে আদার ভূমিকা কি?

আদার স্বাস্থ্য উপকারিতা প্রসঙ্গে সেলেনা গোমেজ কর্ডনকে বলেন, ‘এটি ভেতরের সবকিছু ধ্বংস করে! খারাপ সবকিছু।’ আদা বিভিন্ন উপায়ে ইমিউন সিস্টেমের উন্নতিসাধন করে, যেমন- টক্সিন অপসারণ করে এবং টি-সেল সক্রিয় করে। আদার মধ্যে এমন কেমিক্যাল থাকে যা প্রদাহ হ্রাস করে। তীব্র প্রদাহ ইমিউন সিস্টেমের সুস্থ কার্যক্রম ব্যাহত করতে পারে।

আদা প্রধানত পাকস্থলী ও অন্ত্রে কাজ করে, প্রাকৃতিকভাবে পাকস্থলীর নানারকম সমস্যা উপশম করে- যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, বমিবমি ভাব ও বদহজম। এটি প্রেগন্যান্সি, মোশন সিকনেস বা যানবাহনে ভ্রমণজনিত অসুস্থতা এবং ক্যানসার চিকিৎসা- এ তিনের ফলে উদ্ভূত সমস্যা উপশম করে। এটি ডাইজেস্টিভ ট্র্যাক্টের গ্যাস কমাতে পারে, যার ফলে পেট ফাঁপা হ্রাস পায়। পেট ফাঁপা হচ্ছে, উদরিক স্থানের ডায়ামিটারে কোনো ফোলা বা স্ফীতি এবং এর সর্বাধিক কমন কারণ হচ্ছে, ডাইজেস্টিভ গ্যাস জমা হওয়া।

যদিও পেট ফাঁপা সাধারণত ডায়েটের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত, তবে অত্যধিক মারাত্মক শারীরিক সমস্যার কারণেও এটি হতে পারে। নিউ ইয়র্কের রেজিস্টার্ড ডায়েটিশিয়ান এলিসা ব্রেমনার পেট ফাঁপা ও ডায়েট সম্পর্কিত সমস্যার জন্য আদাকে প্রাকৃতিক চিকিৎসা হিসেবে গ্রহণ করতে উপদেশ দিচ্ছেন।

আদার স্বাস্থ্য উপকারিতা পেতে হলে একে ‘আদার রস’ হিসেবেই গ্রহণ করতে হবে এমন কোনো কথা নেই। আপনি স্বাস্থ্যকর ঘরোয়া খাবারে কাঁচা আদা অথবা আদা বাটা যুক্ত করে খেতে পারেন। পেটের গ্যাস বা বমিবমি ভাবের চিকিৎসা করতে এবং অবিলম্বে উপসর্গ প্রশমন করতে ডায়েটিশিয়ান ব্রেমনার কাঁচা আদার একটি টুকরো চাবাতে অথবা কাঁচা আদা কুচিকুচি করে কেটে এককাপ গরম পানিতে দিতে পরামর্শ দিচ্ছেন।

আদার স্বাস্থ্য উপকারিতা থাকা সত্ত্বেও কিছু সম্ভাব্য ঝুঁকি আছে। ডায়েটিশিয়ান ব্রেমনার বলেন, ‘যেকোনো সুপার ফুড অতিরিক্ত খেলে উপকারের চেয়ে অপকারই বেশি হতে পারে।’ অনেকে আদা সহ্য করতে পারে না, যেমন- কিছু লোকের মুখে এটি ইরিটেশন সৃষ্টি করে। একটি মারাত্মক বিষয় হচ্ছে, আদার মধ্যে একটি অ্যান্টি-প্লেটলেট অ্যাজেন্ট পাওয়া গেছে যা কিছু ক্ষেত্রে অ্যাসপিরিনের চেয়েও শক্তিশালী। যদি আপনি রক্ত পাতলাকরণের জন্য অ্যাসপিরিন গ্রহণ করেন, তাহলে নিয়মিত আদা খাওয়া ক্ষতিকর হতে পারে। আদা অন্যান্য ওষুধ যেমন- প্রেসক্রিপশন ওষুধ ও ওভার-দ্য-কাউন্টার ওষুধ উভয়ের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া করতে পারে, তাই দৈনিক আদা চিকিৎসা নেওয়ার পূর্বে একজন ডাক্তারের সঙ্গে আলোচনা করা ভালো।

তথ্যসূত্র : রিডার্স ডাইজেস্ট



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/ফিরোজ

Tuesday, 30 January 2018

brain exercise info

 মস্তিষ্কের অদ্ভুত কিছু ব্যায়াম (শেষ পর্ব)

আফরিনা ফেরদৌস : রাইজিংবিডি ডট কম
     
প্রকাশ: ২০১৮-০১-৩০ ৯:২৩:৫৩ এএম     ||     আপডেট: ২০১৮-০১-৩০ ১১:৪৪:১৭ এএম
প্রতীকী ছবি
আফরিনা ফেরদৌস : আপনার মস্তিষ্ককে নতুন অভিজ্ঞতা প্রদান করলে, তা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য আরো ভালো রাখবে।

স্মৃতিক্ষয় প্রতিরোধ এবং মনকে উৎফুল্ল রাখার জন্য ছোট ছোট কিছু মানসিক ব্যায়াম নিয়ে দুই পর্বের প্রতিবেদনের আজ থাকছে শেষ পর্ব।

নাকের সঙ্গে মস্তিষ্কের সম্পর্ক তৈরি
কফি শব্দটা মাথায় এলেই কেমন জানি মনে হয় এর গন্ধ পাচ্ছি আমরা। এটা নাকের সঙ্গে মস্তিষ্কের একটা সম্পর্ক। মস্তিষ্ককে আরো নতুন গন্ধের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিন। তবে সেটা যেন এমন হয় যে আপনি মুখে একটি নাম বলছেন এবং আপনার মনে হচ্ছে যে আপনি সেটার গন্ধ পাচ্ছেন। এটার অনুশীলন হিসেবে আপনি আপনার পছন্দের কোনো সেন্ট আপনার বালিশের পাশে রেখে দিতে পারেন এবং প্রতিদিন সকালে উঠে সেটার গন্ধ নিয়ে তারপর অন্য কাজ করবেন।

গাড়ির জানালা খুলে দিন
হিপোক্যাম্পাস আমাদের মস্তিষ্কের এমন একটি জায়গা যেটি গন্ধ এং শব্দের স্মৃতি প্রক্রিয়া করে। তাই চেষ্টা করুন চলতি পথের বিভিন্ন গন্ধ এবং শব্দগুলোকে বুঝতে এবং মনে রাখতে। তার জন্য খুলে রাখুন আপনার গাড়ির জালানা অথবা বের হয়ে একটু হেঁটে বেড়ান।

সুপার মার্কেটে পর্যবেক্ষণ
সুপার মার্কেটে বা অন্যান্য দোকানে অনেক জিনিস সাজানো থাকে কিন্তু আমরা কখনোই তা ভালো করে খেয়াল করি না। মস্তিষ্কের অনুশীলন হিসেবে সময় নিয়ে দোকানে সাজানো সব জিনিসের প্রতি ধীরে ধীরে চোখ বুলান। কি লেখা আছে সেটা পড়ার চেষ্টা করুন। কোনো কিছু কেনার পূর্বে উক্ত পণ্যের গায়ে থাকা তথ্যগুলো ভালো করে পড়ে দেখুন। এমন অনেক পণ্য আছে যা আপনি কিনবেন না কিন্তু মস্তিষ্কের অনুশীলনের জন্য তা পড়ে দেখতে পারেন।

দলবদ্ধ হয়ে ছবি আঁকুন
ছবি আঁকা মস্তিষ্কের নন ভারবাল এবং ইমোশনাল অংশকে কর্মক্ষম করে তোলে। যখন আপনি কোনো ছবি আঁকেন, তখন আপনি তাই আঁকেন যা আপনার মস্তিষ্ক চিন্তা করে। মস্তিষ্কের অনুশীলন হিসেবে কয়েকজন একত্রিত হয়ে নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ের ওপর ছবি আকুঁন।

সামাজিক যোগাযোগ বৃদ্ধি
চিকিৎসাবিজ্ঞান এটি বেশ গবেষণার মাধ্যমে প্রমাণ করেছে যে, সামাজিক যোগাযোগ থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখলে তার খারাপ প্রভাব পড়ে মস্তিষ্কে। মস্তিষ্ককে নতুন অভিজ্ঞতা দিতে চাইলে সামাজিক যোগাযোগগুলো বাড়ান। বেশি করে কথা বলুন আশপাশের মানুষের সঙ্গে।

ভিন্ন ভাবে পড়া
যখন আমাদের পাশে বসে কেউ কিছু জোরে জোরে পড়ে এবং আমরা শুনতে থাকি তখন মস্তিষ্ক তার আলাদা আলাদা অংশ একই সঙ্গে ব্যবহার করে। কিন্তু যখন আমরা নীরবে একা একা পড়ি তখন এটি ঘটে না। তাই নীরবে পড়ার থেকে জোরে পড়ুন। এতে করে মস্তিষ্কের অনুশীলন হবে। আর যদি আপনার সঙ্গী আপনাকে কোনো কিছু পড়ে শোনায় তাহলে অতিরিক্ত লাভ হিসেবে আপনার কিছু ভালো মুহূর্ত কাটানোর সুযোগ পাবেন।

অপরিচিত খাবার খাওয়া
আমাদের মস্তিষ্ক একটি খাবারকে শণাক্ত করে তার গন্ধের মাধ্যমে। এবং এটি সরাসরি মস্তিষ্কের ইমোশনাল সেন্টারের সঙ্গে সংযুক্ত। তাই এখন থেকে কোথাও খেতে গেলে অপরিচিত খাবার রাখুন খাদ্য তালিকায়। কিছু অপরিচিত খাবারের রেসিপি শিখে নিতে পারেন অন্যদের কাছ থেকে। এতে করে নতুন খাবারের স্বাদও নেওয়া হবে এবং মস্তিষ্কের অনুশীলনও হবে।

টেন থিংস খেলা
আমরা কোনো কিছু দেখার সঙ্গে সঙ্গে সেটি আমাদের ঠিক কি কাজে লাগে তা চিন্তা করে ফেলতে পারি তার কারণ আমাদের মস্তিষ্ক আগে থেকেই ওই জিনিসটির সঙ্গে পরিচিত। মস্তিষ্কের অনুশীলন হিসেবে কোনো কিছু দেখলে ‘টেন থিংস’ বা দশ কাজ খেলাটি খেলবেন অর্থাৎ ওই জিনিসটি দিয়ে আরো কি কি কাজ করা যায় বা ওই জিনিসটি আরো কত ভাবে ব্যবহার করা যায় তা চিন্তা করা।

তথ্যসূত্র : রিডার্স ডাইজেস্ট

পড়ুন : মস্তিষ্কের অদ্ভুত কিছু ব্যায়াম (প্রথম পর্ব)



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩০ জানুয়ারি ২০১৮/ফিরোজ

মস্তিষ্কের অদ্ভুত ব্যায়াম, যা স্মৃতি বাড়াবে

আফরিনা ফেরদৌস : রাইজিংবিডি ডট কম
     
প্রকাশ: ২০১৮-০১-১১ ১১:১৬:৫১ এএম     ||     আপডেট: ২০১৮-০১-৩০ ১১:২২:০৪ এএম
প্রতীকী ছবি
আফরিনা ফেরদৌস : মস্তিষ্ককে নতুন অভিজ্ঞতা দিলে এটি ভালো থাকে। আমরা বার বার যা করি মস্তিষ্ক তাই ধারণ করে এবং স্মৃতি হিসেবে রেখে দেয়। অভ্যাসের বাইরে গিয়ে কিছু করাটাই মস্তিষ্কে নতুন অভিজ্ঞতা প্রদান। এতে মস্তিষ্কের স্মৃতিক্ষয় হওয়া রোধ পায়।

স্মৃতিক্ষয় প্রতিরোধ এবং আপনার মনকে উৎফুল্ল রাখার জন্য ছোট ছোট কিছু মানসিক ব্যায়াম নিয়ে দুই পর্বের প্রতিবেদনের আজ থাকছে প্রথম পর্ব।

মস্তিষ্ককে সজাগ রাখা
মস্তিষ্ককে নতুন অভিজ্ঞা দিলে শারীরিক অনুভূতি- শোনা, দেখা, স্বাদ নেওয়া, গন্ধ নেওয়া, স্পর্শ করা- এসব সঙ্গে মানসিক অনুভূতি যুক্ত হয়ে মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশগুলোর মধ্যে আরো বেশি সংযোগ সৃষ্টি করে। নার্ভ কোষগুলো মস্তিষ্কের পুষ্টি উৎপাদন করে যা নাটকীয় ভাবে স্মৃতি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং পার্শ্ববর্তী কোষগুলোকে শক্তিশালী করে তোলে এবং বার্ধক্যজনিত প্রভাবগুলো অনেক বেশি প্রতিরোধী করে তোলে।

বাম হাত দিয়ে দাঁত ব্রাশ করা
আমরা বেশিরভাগ মানুষ আমাদের প্রায় সব কাজই ডান হাত দিয়ে করি। এর কারণ আমাদের মস্তিষ্কের ডান অংশ বেশি অনুভূতিশীল। গবেষণার মাধ্যমে বলা হয়, মস্তিষ্কের অপর পাশের ব্যবহার করটেক্সের বিভিন্ন অংশের দ্রুত এবং উল্লেখযোগ্য সম্প্রসারণ ঘটায়। তাই আপনি যদি ডানহাতি হন তাহলে বাম হাত দিয়ে ব্রাশে টুথপেস্ট লাগান এবং বাম হাত দিয়েই দাঁত ব্রাশ করুন। এবং বামহাতি হলে ডান হাত দিয়ে কাজগুলো করুন।

চোখ বন্ধ করে গোসল করা
আমাদের হাত শরীরের বিভিন্ন অঙ্গবিন্যাস পর্যবেক্ষণ করতে পারে যা আমাদের চোখ দেখতে পারে না এবং সেই তথ্য মস্তিষ্কে প্রদান করে। মস্তিষ্ককে নতুন অভিজ্ঞতা প্রদান করার জন্য চোখ বন্ধ করে গোসল করুন। তবে পানির তাপমাত্রা চোখ খোলা অবস্থায় ঠিক করে নিন।

সকালের কার্যক্রমে পরিবর্তন আনা
আমরা যে কাজগুলো নিয়মিত এবং বার বার করি, মস্তিষ্ক সেই কাজগুলোর নির্দেশনা দেয় বেশি বা মস্তিষ্কে সেই কাজের অনুশীলন হয় বেশি। আপনার মস্তিষ্ক ততক্ষণ পর্যন্ত নতুন কাজের কথা ভাববে না যতক্ষণ না পর্যন্ত আপনি তাকে নতুন কোনো কাজ দিবেন। তাই সকালের শুরুতেই কাজের কিছুটা পরিবর্তন আনুন। যেমন নাস্তা করার পর আপনার পোষা প্রাণীকে নিয়ে একটু হেঁটে আসতে পারেন অথবা টেলিভিশনে বাচ্চাদের কোনো অনুষ্ঠান দেখতে পারেন।

পরিচিত জিনিসগুলো উল্টে রাখুন
আমরা যখন কোনো কিছু ঠিক ভাবে দেখি তখন আমাদের মস্তিষ্কের যে অংশ কম সাড়া দেয়, যেমন সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের বাম অংশ চেষ্টা করে আমাদের মনোযোগ অন্যত্র সরানোর। কিন্তু যখন আমরা কোনো কিছু উল্টানো অবস্থায় দেখি তখন আমাদের মস্তিষ্কের ডান অংশের মনোযোগ বেড়ে যায় সেই জিনিসটির প্রতি এবং এটি তখন তার আকার, বর্ণ বিশ্লেষণ করতে থাকে। তাই আপনার মস্তিষ্ককে নতুন অভিজ্ঞতা দিতে চাইলে ঘরে রাখা পারিবারিক ছবি, টেবিলে রাখা ঘড়ি এবং ক্যালেন্ডার উল্টে রাখুন।

খাবার টেবিলের চেয়ার পরিবর্তন করা
প্রায় প্রত্যেক পরিবারে সবার আলাদা আলাদা চেয়ার থাকে যেটাতে বসে খাওয়া হয়। আপনার ও থাকাটা স্বাভাবিক। কিন্তু নতুন অভিজ্ঞতা আপনার মস্তিষ্কের জন্য ভালো তাই আপনার ঘরের খাবার টেবিলের চেয়ারগুলো উল্টিয়ে পাল্টিয়ে বা পরিবর্তন করুন নিজের ইচ্ছামতো।

(আগামী পর্বে সমাপ্য)

তথ্যসূত্র : রিডার্স ডাইজেস্ট



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১১ জানুয়ারি ২০১৮/ফিরোজ 

Monday, 22 January 2018

Electrnic fighter biman by china info

ইলেক্ট্রনিক যুদ্ধবিমান তৈরি করেছে চীন

রাসেল পারভেজ : রাইজিংবিডি ডট কম
     
প্রকাশ: ২০১৮-০১-২২ ৫:৫৬:১১ পিএম     ||     আপডেট: ২০১৮-০১-২২ ৬:০৭:৩০ পিএম
প্রতীকী ছবি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানের চেয়েও বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন নতুন এক ধরনের ইলেক্ট্রনিক যুদ্ধবিমান তৈরি করেছে চীন, যা যুদ্ধের সময় অপেক্ষাকৃত বেশি এলাকা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।

এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, দক্ষিণ ও পূর্ব চীন সাগরের মতো বিশাল এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইলেক্ট্রনিক যুদ্ধবিমান কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে। এর মধ্য দিয়ে চীনের নৌবাহিনীর সক্ষমতা এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে গেছে।

চীনের পিপল’স লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) নেভির দক্ষিণ চীন সাগরের নৌবহরের সঙ্গে এইচ-৬জি নামের ইলেক্ট্রনিক যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে চীনা নৌবাহিনীর রণকৌশলে নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে।

পাখার নিচে ইলেক্ট্রনিক কাউন্টারমেজার্স (ইসিএম) পডযুক্ত নতুন ধরনের এই বিমান আগামী ১০ বছরের জন্য মোতায়েন করা হয়েছে। চীনা সেন্ট্রাল টেলিভিশন (সিসিটিভি) গত সপ্তাহে এক খবরে জানিয়েছে, নতুন এই যুদ্ধবিমান ইলেক্ট্রনিক যুদ্ধক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারবে, যা হবে ইতিহাসে প্রথম।

ইলেক্ট্রনিক জ্যামিং, সাপ্রেশন ও অ্যান্টি-রেডিয়েশন ব্যবহার করে যুদ্ধের অভিযানে মোতায়েন করা যাবে এ ধরনের বিমান। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমসকে সামরিক বিশেষজ্ঞ ও টেভিশন ভাষ্যকার সং ঝংপিং বলেছেন, ইলেক্ট্রনিক যুদ্ধবিমানের প্রধান ভূমিকা হবে শত্রু পক্ষের ইলেক্ট্রনিক জ্যামিং ডিভাইসে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা। যেমন- রাডারের কথাই ধরুন। সাময়িক বা স্থায়ী যাই হোক, আমরা যদি যথেষ্ট শক্তিশালী হই, তাহলে তা শত্রুদের গোয়েন্দা কাজে ব্যবহৃত বস্তুগুলো শনাক্ত করতে পারবে এবং আমরা যেখান থেকে হামলা করব, সেই স্থান আড়াল করতে পারবে।

যুদ্ধের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের যুদ্ধবিমান আধুনিকায়নের জন্য অত্যাধুনিক ও উন্নত মানের ইসিএম পড তৈরি করছে চীন। দেশটির জে-১৫ যুদ্ধবিমানেও অত্যাধুনিক ইসিএম পড যুক্ত করা হয়েছে। সং ঝংপিং বলেছেন, যুদ্ধবিমানে ইসিএম পড ব্যবহার খুবই কার্যকরী। তিনি আরো বলেছেন, চীনের বিমানবাহী রণতরির বিমানেও ইসিএম পড ব্যবহার করা যায়।

দক্ষিণ চীন সাগর ও পূর্ব চীন সাগরের মালিকানা নিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে চীনের বিরোধ দীর্ঘদিনের। কিন্তু চীন দাবি করে, এই দুই সাগর তাদের সার্বভৌম অঞ্চলের অন্তর্গত। এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সাগরের বিভিন্ন দ্বীপ ও রিফে সামরিকায়ন ঘটিয়েছে বেইজিং। বেশ কিছু কৃত্রিম দ্বীপও তৈরি করেছে তারা এবং এসব দ্বীপে তাদের সামরিক উপস্থিতিও নিশ্চিত করেছে।

চীনের পাশাপাশি ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, ব্রুনেই ও তাইওয়ান দক্ষিণ চীন সাগরের মালিকানা দাবি করে থাকে। খনিজ সম্পদ, তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসে ভরপুর এই সাগরের মালিকানা ছাড়তে চায় না কেউ।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২২ জানুয়ারি ২০১৮/রাসেল পারভেজ

Sunday, 21 January 2018

Final doa in tablig estama tongi.

আখেরি মোনাজাতে অংশ নিলেন রাষ্ট্রপতি

সাইফ : রাইজিংবিডি ডট কম
     
প্রকাশ: ২০১৮-০১-২১ ২:২৫:০৮ পিএম     ||     আপডেট: ২০১৮-০১-২১ ২:২৭:৩০ পিএম

রাইজিংবিডি ডেস্ক : বঙ্গভবন থেকে বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতের শেষ পর্বে অংশগ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

রাষ্ট্রপতি দরবার হলে বঙ্গভবনের কর্মকর্তাদের নিয়ে সরাসরি সম্প্রচারকৃত আখেরি মোনাজাতে যোগ দেন। এ সময় ঢাকার কাকরাইল মসজিদের জ্যেষ্ঠ পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ জুবায়ের দেশ ও জাতিসহ মুসলিম উম্মার শান্তি, সমৃদ্ধি কামনা করে পরম করুনাময়ের কাছে মোনাজাত করেন।

টঙ্গীর তুরাগ তীরে রোববার সকালে আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে তিন দিনব্যাপী ৫৩তম বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব সমাপ্ত হয়।

এর আগে গত ১২ জানুয়ারি থেকে দেশের ১৭টি জেলার মুসল্লিদের নিয়ে তিন দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

তথ্যসূত্র : বাসস

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ জানুয়ারি ২০১৮/সাইফ

First ladies award - to Oysoria indian film actress

‘ফার্স্ট লেডিস অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন ঐশ্বরিয়া

আমিনুল ইসলাম শান্ত : রাইজিংবিডি ডট কম
     
প্রকাশ: ২০১৮-০১-২১ ৩:১১:২৬ পিএম     ||     আপডেট: ২০১৮-০১-২১ ৪:০২:৪৮ পিএম
অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে এমন সাজে হাজির হন ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন
বিনোদন ডেস্ক : বলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। অভিনয় আর রূপের দ্যুতিতে ভক্তদের মন জয় করেছেন বহু আগে। তার প্রাপ্তির ঝুলিতে জমা পড়েছে অনেক সম্মাননা। এবার ‘ফার্স্ট লেডিস অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন এই অভিনেত্রী। ভারতীয় একাধিক সংবাদমাধ্যম এ খবর প্রকাশ করেছে।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, যেসব মহিলারা কর্মক্ষেত্রে কোনো মাইলস্টোন তৈরি করতে পারেন তারাই রাষ্ট্রপতির হাত থেকে এই পুরস্কার গ্রহণ করে থাকেন। গতকাল শনিবার রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ঐশ্বরিয়ার হাতে এ সম্মাননা স্মরক তুলে দেন।

১১২টি ক্ষেত্র থেকে পুরস্কার প্রাপ্তদের বেছে নেওয়া হয়। প্রথম ভারতীয় অভিনেত্রী হিসেবে কানের জুরি সদস্য হন ঐশ্বরিয়া। গত ১৫ বছর ধরে কান চলচ্চিত্র উৎসবে নিয়মিত যান তিনি। আর এই মাইলস্টোন তৈরি করার জন্য তাকে  ‘ফার্স্ট লেডিস অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হয়েছে।

নয়া দিল্লিতে পুরস্কার গ্রহণের জন্য হাজির হয়েছিলেন ঐশ্বরিয়া-অভিষেক। এদিন সব্যসাচী মুখার্জির ডিজাইন করা ধূসর রঙের শাড়ি পড়েছিলেন ঐশ্বরিয়া। লাল টিপের সঙ্গে মানানসই সিলভার রঙের গহনাও পড়েছিলেন এই অভিনেত্রী।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ জানুয়ারি ২০১৮/শান্ত

Robot making fair for kids

রোবট তৈরি করা শিখল শিশুরা

মনিরুল হক ফিরোজ : রাইজিংবিডি ডট কম
     
প্রকাশ: ২০১৮-০১-২১ ২:১০:৫৭ পিএম     ||     আপডেট: ২০১৮-০১-২১ ২:১৪:৪১ পিএম

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক : বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরামের আয়োজনে শনিবার, রাজধানীর সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের কনফারেন্স রুমে বেলা ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত শিশুদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হলো ‘নিজের হাতে রোবট বানাই-প্রথম পর্ব’ শীর্ষক কর্মশালা।

ঢাকাতে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয় শিশুদের নিয়ে বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরামের এই আয়োজন। পরবর্তীতে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

আয়োজনটিতে শিশুদের ২টি গ্রুপে বিভক্ত করে কর্মশালা পরিচালনা করা হয়। ১ম থেকে ৪র্থ শ্রেণী পর্যন্ত একটি গ্রুপ এবং ৫ম থেকে ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত আরেকটি গ্রুপে বিভক্ত করে ওয়ার্কশপটিতে শিশুদের নিয়ে আয়োজনস্থলেই রোবট বানানোর ব্যবস্থা করা হয়। ১০ জন অভিজ্ঞ মেনটর এই কর্মশালায় শিশুদের রোবট বানানোর জন্য যাবতীয় সহযোগিতা করেন। কর্মশালায় ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৪০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। শিশুরা তাদের মেনটরের সহযোগিতায় আয়জনস্থলেই লাইট ফলোয়িং রোবট, ড্রয়িং রোবট, ওয়াকিং রোবট নিজেরাই তৈরি করে।



বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা আরিফুল হাসান অপু বলেন, আমাদের দেশের শিশুদের মেধার বিকাশ এবং উদ্ভাবনী চিন্তার ধারাবাহিকতায় আনার জন্য আমরা এমন উদ্যোগ নিয়েছি। প্রাথমিকভাবে ঢাকাতে শুরু করলেও, আমরা সমগ্র দেশব্যাপী শিশুদের নিয়ে এমন আয়োজন করতে চাই।

কর্মশালায় উপস্থিত বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবটিক্স অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান লাফিফা জামাল বলেন, আমাদের দেশের শিশুদের মেধার বিকাশের জন্য এমন উদ্যোগ প্রশংসনীয়। শিশুদের জন্য এমন সুযোগ তৈরি করলে, আমাদের দেশের শিশুরা অনেক ভালো কিছু করবে বলেই আশা করি। বিজ্ঞান নিয়ে সারা বিশ্বে এখন প্রতিনিয়ত গবেষণা, কার্যক্রম চলছে। আমাদের দেশের শিশুদের নিয়ে বিজ্ঞানভিত্তিক কার্যক্রম আরো বেশি করা উচিৎ, যার ফলে শিশুরা ছোট থেকেই বিজ্ঞানের প্রতি তাদের আগ্রহ এবং উদ্ভাবনী বিকাশ ঘটাবে বলেই আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।



বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরামের এই আয়োজনে সহযোগিতায় ছিল রেভারি, ইনোভেটিভ লিমিটেড, রোবটিক শপ এবং বাইল্যাব।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ জানুয়ারি ২০১৮/ফিরোজ

Friday, 19 January 2018

Cancer medicine info

ক্যান্সার চিকিৎসায় যুগান্তকারী আবিষ্কার

শাহেদ হোসেন : রাইজিংবিডি ডট কম
     
প্রকাশ: ২০১৮-০১-১৯ ১২:৩৯:১৮ পিএম     ||     আপডেট: ২০১৮-০১-১৯ ৪:০৩:০৮ পিএম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শরীরে ছড়িয়ে পড়ার আগেই রক্তের একটি মাত্র পরীক্ষার মাধ্যমে দেহে আট ধরণের ক্যান্সারের প্রাথমিক অস্তিত্ব সনাক্ত করা সম্ভব। যুক্তরাষ্ট্রে পরিচালিত এই গবেষণাকে ক্যান্সার চিকিৎসায় রীতিমতো যুগান্তকারী বলে আখ্যা দিয়েছেন গবেষকরা।

চলতি সপ্তাহে জার্নাল সায়েন্স সাময়িকীতে এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

গবেষকরা জানিয়েছেন, ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এই গবেষণা ফলাফল পট পরিবর্তনকারী। এর মাধ্যমে রোগের শুরুতেই চিকিৎসার মাধ্যম হাজারো মানুষের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এটি সবার জন্য সহজলভ্য হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তারা।

এক হাজারেরও বেশি রোগীর ওপর চালানো গবেষণা দেখা গেছে, ক্যান্সারের প্রাথমিক অবস্থায় ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রে টিউমার সনাক্ত করা সম্ভব। এর ফলে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রোগী সবচেয়ে ভালো সুযোগ পাবে।

রক্তের ভেতরে থাকা মরে যাওয়া অণুর মাধ্যম ও পরিবর্তিত ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে অন্ত্র, স্তন, লিভার, ফুসফুস, খাদ্যনালী, অগ্নাশয়, ডিম্বাশয় ও পাকস্থলির ক্যান্সার সনাক্ত সম্ভব।

গবেষক দলের সদস্য মেলবোর্নের ওয়াল্টার অ্যান্ড এলিজা ইনিস্টিটিউটের অধ্যাপক পিটার গিবস জানিয়েছেন, এর মাধ্যমে হাজারো মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব। শিগগিরই ব্যাপকভাবে ও কম খরচে এই পরীক্ষা করানো যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘প্রথমবারের মতো রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে আমরা এ পর্যন্ত যতোগুলো ক্যান্সার পেয়েছি সেগুলো সনাক্ত সম্ভব, যেগুলোর লক্ষণ দেখার জন্য আমাদেরকে অপেক্ষা করতে হতো এবং দেরিতে চিকিৎসা করতে হতো।’



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৯ জানুয়ারি ২০১৮/শাহেদ/শাহনেওয়াজ

President - Russia - ice water bath

বরফ শীতল পানিতে পুতিনের ডুব (ভিডিও)

শাহেদ হোসেন : রাইজিংবিডি ডট কম
     
প্রকাশ: ২০১৮-০১-২০ ৯:৫০:২১ এএম     ||     আপডেট: ২০১৮-০১-২০ ৯:৫৬:৩৫ এএম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের খালি গায়ে মাছ শিকার কিংবা ঘোড়ার ওপর সওয়ারি হওয়ার ছবি প্রকাশ হওয়ার পর বিশ্বনেতাদের অনেকের মনেই হয়তো ঈর্ষা জাগিয়েছিল। চলতি সপ্তাহে ‘উন্মুক্ত বক্ষের’ পুতিন যা করেছেন তাতে হয়তো সেই ঈর্ষার আগুন আরো উস্কে দেবে। মাইনাস ৬ ডিগ্রি তাপমাত্রায় খোলা আকাশের নিচে বরফ শীতল পানিতে ডুব দিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট।

অর্খডক্স খ্রিষ্টানদের নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি বছর যীশুর জন্ম উৎসব উপলক্ষে অনুসারীদের ব্যাপটাইজ করা হয়।

পাদ্রিদের আশীর্বাদ করা পানিতে স্নান করে ব্যাপটাইজ হতে হয়। আর এর মাধ্যমে ভক্ত পবিত্র ও পাপমুক্ত হয়। এর মাধ্যমে আত্মিক শক্তিও মেলে বলে বিশ্বাস অনুসারীদের। প্রতি বছর এই দিনটিতে রাশিয়ার বিভিন্ন স্থানে গির্জার পক্ষ থেকে অনুসারীদের জন্য এই স্নানের ব্যবস্থা করা হয়। এমনকি সাইবেরিয়ার মতো বেশ কিছু এলাকা রয়েছে যেখানে তাপমাত্রা মাইনাস ২২ ডিগ্রি থাকে সেখানও এই ব্যাপটিজম করা হয়।

রাশিয়ার টেলিভিশন ৬৫ বছরের পুতিনের বরফ শীতল পানিতে ডুব দেওয়ার অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করেছে। এতে দেখা গেছে, রাজধানী মস্কো ২৫০ মাইল দূরে লেক সেলিজারে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ঘিয়ে রঙের কোট পরিহিত পুতিন। পাদ্রীদের আর্শীবাদ করা ওই পানিতে নেমে তিনি ডুব দিয়ে উঠে যান।

পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ জানিয়েছেন, যীশুর জন্ম উৎসবে এর আগেও পুতিন বরফ শীতল পানিতে স্নান করেছেন। তবে এবারই প্রথম তিনি প্রকাশ্যে এটি করেছেন।

নাক ধরে ডুব শেষ করে ওপরে ওঠার পর পোশাক পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন। এসময় তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, ঠান্ডা বেশি কিনা। জবাবে পুতিন বলেন, ‘না, এটা বেশ চমৎকার।’
  http://www.risingbd.com/international-news/252892


রাইজিংবিডি/ঢাকা/২০ জানুয়ারি ২০১৮/শাহেদ

Tuesday, 16 January 2018

male cycliest good info

পুরুষ সাইক্লিস্টদের জন্য সুখবর

মনিরুল হক ফিরোজ : রাইজিংবিডি ডট কম
     
প্রকাশ: ২০১৮-০১-১৬ ৩:৪২:৪৩ পিএম     ||     আপডেট: ২০১৮-০১-১৬ ৩:৫৭:৪৮ পিএম
প্রতীকী ছবি
বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক : পুরুষরা নিশ্চিতে নিয়মিত সাইক্লিং করতে পারেন। কারণ একটি নতুন গবেষণার ফলাফলে বলা হয়েছে, সাইক্লিং পুরুষের যৌনজীবনে কোনো সমস্যা তৈরি করে না। নিয়মিত সাইকেল চালালে পুরুষের যৌনজীবন ক্ষতিগ্রস্ত হয় না।

নিয়মিত সাইক্লিং করার ফলে দীর্ঘ সময় শক্ত সিটে বসে থাকায় যৌন অক্ষমতা এবং মূত্রনালীর সংক্রমণ হতে পারে বলে এর আগে উদ্বেগ প্রকাশ করে সতর্ক করা হলেও, সানফ্রান্সিসকো এবং ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক গবেষণার ফলাফলে বলা হয়েছে, সাইকেল চালানো পুরুষদের প্রজনন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় না।

গবেষণায় দেখানো হয়েছে যে, সাইকেল চালকদের যৌন এবং মূত্র স্বাস্থ্য সাতারু এবং দৌড়বিদদের মতো  একই, এমনকি যারা নিয়মিত দীর্ঘ সময় সাইকেল চালান, তাদের যৌন স্বাস্থ্য আরো বেশি ভালো।

গবেষকদের মতে, সাইকেল চালানো থেকে যৌন সমস্যার কোনো ঝুঁকি নেই এবং তাদের প্রত্যাশা, সাইকেল চালানোর ফলে যে কার্ডিওভাসকুলার সুবিধা পাওয়া যায়, তাতে ফিরে আসতে সাইক্লিস্টদের উৎসাহ বাড়াবে এই গবেষণার ফলাফল।

সানফ্রান্সিসকো এবং ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ৪০০০ হাজার সাইক্লিস্ট, সাঁতারু এবং দৌড়বিদদের ওপর বড় ধরনের এই গবেষণাটি পরিচালনা করেন। গবেষণায় অংশগ্রহণকারী পুরুষদের যৌন স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্রশ্নাবলী জিজ্ঞাসা এবং আন্তর্জাতিক প্রোস্টেট নির্ণায়ক স্কোর বুঝতে তাদের ব্যায়াম রুটিন, মূত্রনালীর সংক্রমণ, যৌন অক্ষমতা, সাইকেলের সিট থেকে ‍সৃষ্টি ঘা বা সাইকেল চালানো থেকে ‍সৃষ্টি অস্বস্তি ইতিহাস পর্যালোচনা করেন গবেষকরা। এই জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ২৭৭৪ জন সাইক্লিস্ট, ৫৩৯ জন সাঁতারু এবং ৭৮৯ জন দৌড়বিদ ছিলেন।

সাইক্লিস্টরা দুইটি গ্রুপে বিভক্ত ছিল- একটি হচ্ছে হাই-ইনটেনসিটি সাইক্লিস্ট অর্থাৎ যারা ২ বছরের বেশি সময় ধরে সাইকেল চালান, প্রতি সপ্তাহে ৩ দিনের বেশি সাইকেল চালান এবং গড়ে প্রতিদিন ২৫ মাইল সাইকেল চালান। আরেকটি গ্রুপ হচ্ছ, লো-ইনটেনসিটি সাইক্লিস্ট অর্থাৎ যারা কম সাইকেল চালান। সাতারু এবং দৌঁড়বিদরাও লো-ইনটেনসিটি গ্রুপে ছিলেন।

অংশগ্রহণকারীদের জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল তাদের সাইকেলের ধরন, সিটের ধরন, সিটের অ্যাঙ্গেল, হ্যান্ডেলবারের উচ্চতা এবং তারা কতটা সময় ধরে সাইকেল চালিয়ে থাকেন। এছাড়াও গবেষকরা অনুসন্ধান করেছেন সাইকেল চালানোর সময় কি ধরনের গিয়ার ব্যবহার করা হয়, এমনকি প্যাডযুক্ত হাফপ্যান্ট বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত ছিল।

ইউরোলজি জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণায় দেখা গেছে, সাইক্লিস্টদের যৌন এবং মূত্র স্বাস্থ্য সাঁতারু এবং দৌঁড়বিদদের সঙ্গে তুলনীয়। চমকপ্রদ ব্যাপার হচ্ছে, নিয়মিত যারা বেশি সাইকেল চালান, তাদের সামগ্রিক যৌন স্বাস্থ্যে ভালো দেখা গেছে।

যা হোক, সাইকেলের হ্যান্ডেলবার সিটের তুলনায় নিচে থাকলে স্বাভাবিক ভাবেই অসারতা এবং ব্যথার অভিজ্ঞতা সাইক্লিস্টদের হতে পারে।

গবেষণার প্রধান লেখক ডা. বেঞ্জামিন ব্রেয়ার বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি গবেষণার ফলাফলগুলো সাইকেলিস্টদের উৎসাহ বাড়াবে। কার্ডিওভাসুকলার স্বাস্থ্যের জন্য সাইক্লিং অসাধারণ এবং জয়েন্টগুলোতে কম প্রভাব ফেলে। আমরা বিশ্বাস করি, সাইকেল চালানোর ফলে স্বাস্থ্যগত যে উপকারিতা তা মানুষজন উপভোগ করবে।’  

নতুন গবেষণার এ ফলাফল সাইক্লিস্টদের জন্য খুবই স্বস্তিদায়ক। কেননা ২০১২ সালে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক জানিয়েছিলেন, নিয়মিত যারা বেশি সাইকেল চালিয়ে থাকেন, তাদের হরমোনে ভারসাম্যহীনতা এবং যৌন স্বাস্থ্যে সমস্যা হতে পারে। আরেকটি গবেষণায় বলা হয়েছিল, সাইকেল চালানোর ফলে শরীরের স্পর্শকাতর অংশটিতে দীর্ঘ চাপ পড়ে, যা থেকে যৌন অক্ষমতা তৈরি হতে পারে।

তবে নতুন গবেষক দলটি আগের গবেষণার ফলাফলগুলোকে প্রত্যখান করেছেন, কারণ সেগুলো সীমিত সংখ্যক মানুষের ওপর করা হয়েছিল। ডা. ব্রেয়ার বলেন, ‘এটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বৃহত্তম তুলনামূলক গবেষণা, যেখানে সাইক্লিং এবং যৌন ও মূত্রনালীর সমস্যার সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্নাবলী করা হয়েছে।’

তথ্যসূত্র : ডেইলি মেইল



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৬ জানুয়ারি ২০১৮/ফিরোজ

earn from info thesis

থিসিসের পেমেন্ট সুবিধা দিচ্ছে ‘পেমেন্ট বিডি’

মনিরুল হক ফিরোজ : রাইজিংবিডি ডট কম
     
প্রকাশ: ২০১৮-০১-১৫ ৫:৫৪:৫৬ পিএম     ||     আপডেট: ২০১৮-০১-১৫ ৫:৫৪:৫৬ পিএম

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক : বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্ররা গবেষণামূলক প্রবন্ধ বা থিসিস করে বিভিন্ন দেশের জার্নালে প্রকাশ করতে অনলাইনে পেমেন্ট করা লাগে। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশের জার্নালে কিভাবে পাবলিশ করতে হবে সেটা অনেকেই জানেন না। এ ব্যাপারেই সাহায্য করছে পেমেন্ট বিডি নামের একটি অনলাইনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান।

শুধু জার্নাল পাবলিশই নয়, কিভাবে বিভিন্ন দেশের গুরুত্বপূর্ণ সেমিনার ও কনফারেন্সে যোগদান করা সম্ভব, কিভাবে ডেলিগেশন ফি অনলাইনে পেমেন্ট করতে হবে, এসব ব্যাপারে সার্বিক সহযোগিতা করছে পেমেন্ট বিডি।

পেমেন্ট বিডি ডটকমের প্রধান নির্বাহী কাওসার মুহাম্মদ ইফতেখার বলেন, গত ১০ বছর যাবত আমরা জার্নাল পাবলিকেশনের ব্যাপারে সহযোগিতা করে আসছি এবং এ পর্যন্ত পৃথিবীব্যাপী অর্ধশতাধিক জার্নালে বাংলাদেশের মেধাবী ছাত্র ও শিক্ষকদের পাঁচ শতাধিক থিসিস পাবলিশ হয়েছে। এতে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশি ছাত্র ও শিক্ষকদের ভাবমূর্তি অনেক বেড়েছে। অনেক বিদেশি সিনিয়র গবেষকরা এইসব থিসিসের ওপর একসঙ্গে মিলে মিশে উচ্চতর গবেষণা চালানোর আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

তিনি আরো বলেন, জার্নাল পেমেন্ট ছাড়াও পেপ্যাল, স্ক্রিল, নেটেলার, পারফেক্ট মানি, মাস্টার কার্ড ওয়েব মানির মাধ্যমে যেকোনো ওয়েবসাইটে অনলাইন পেমেন্টের ব্যাপারে সহযোগিতা করা হয়। দেশব্যাপী সকল ছাত্র এবং চাকরিজীবী শিক্ষকদের সুবিধার্থে পেমেন্ট বিডি ডটকমের ঢাকা ও চট্টগ্রামের নিজস্ব কার্যলায় রয়েছে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট: www.paymentbd.com




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৫ জানুয়ারি ২০১৮/ফিরোজ 

Vegetable fair in dhaka

শেষ হলো সবজি মেলা : বিক্রি ৬০ লাখ টাকা

আরিফ সাওন : রাইজিংবিডি ডট কম
     
প্রকাশ: ২০১৮-০১-১৬ ৬:৩৮:১৮ পিএম     ||     আপডেট: ২০১৮-০১-১৬ ৬:৩৮:১৮ পিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ চত্বরে তিনদিন ব্যাপী জাতীয় সবজি মেলা শেষ হয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে তৃতীয়বারের মতো এই মেলার সমাপনী দিন ছিল মঙ্গলবার।

মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ্।

তিনি বলেন, ‘জাতীয় সবজি মেলা সবার মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। সবজি উৎপাদনকে উৎসাহিত করতে এ মেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এ মেলায় প্রায় ৬০ লাখ টাকার সবজি বিক্রি হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘সংরক্ষণের কারণে আমাদের অনেক সবজি নষ্ট হয়ে যায়। এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। ফসল বিন্যাসের মাধ্যমে নতুন প্রযুক্তি দিয়ে আমাদের উৎপাদন বাড়াতে হবে।’ তিনি মানসম্পন্ন সবজি উৎপাদন করে সবজি রপ্তানির আহবান জানান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পিপিসি) মোহাম্মদ নজমুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের সবজির বার্ষিক চাহিদা প্রায় ৩ কোটি মেট্রিক টন আর উৎপাদন হচ্ছে ১ কোটি মেট্রিক টন। উন্নত জাত ও গবেষণার মাধ্যমে উৎপাদন বাড়িয়ে এ চাহিদা পূরণ করতে হবে।’

সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সবজি চাষে অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ ব্যাক্তি, প্রতিষ্ঠান, জেলা ও মেলায় অংশগ্রহনকারী স্টলের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করেন। পুরষ্কার হিসেবে ছিলো ক্রেস্ট, সনদ ও নগদ টাকা।

জাতীয় পর্যায়ে ২০১৭ সালে শাকসবজি আবাদে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার মোছাঃ নূরুন্নাহার বেগমকে প্রথম পুরস্কার প্রদান করা হয়। দ্বিতীয় হয়েছেন বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মোঃ মিজানুর রহমান । তৃতীয় হয়েছেন খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার নবদ্বীপ মল্লিক। বিশেষ পুরস্কার পান ঝিনাইদহের কালিগঞ্জ উপজেলার মোছাঃ মনোয়ারা বেগম ও সিরাজগঞ্জ সদরের মোঃ আব্দুস সাত্তার।

এছাড়াও বাড়ির ছাদে শাকসবজি আবাদে বিশেষ অবদানের জন্য ব্যক্তি পর্যায়ে ঢাকার ধানমন্ডি এলাকার ডা. ফেরদৌস আরা চৌধুরী, মোহাম্মদপুরের মোহাম্মদ লুৎফর রহমান ও মোঃ মোশারফ হোসেনকে বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয়।

শাকসবজি উৎপাদনে হেক্টর প্রতি গড় ফলন সর্বোচ্চ ও দেশের সবজির চাহিদা পূরণে বিশেষ অবদান রাখায় মুন্সীগঞ্জ জেলাকে প্রথম, দ্বিতীয় জয়পুরহাট ও গাইবান্ধা জেলাকে তৃতীয় পুরস্কার প্রদান করা হয়।

স্টলের যথার্থতা, সাজসজ্জা, প্রদর্শিত দ্রব্যের মান ও পরিমান, প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা ও স্টলের উপস্থাপন করে জাতীয় সবজি মেলা ২০১৮ এ অংশগ্রহনকারী স্টলগুলোর মধ্যে সরকারি পর্যায়ে প্রথম হয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, যৌথভাবে দ্বিতীয় হয়েছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) এবং তৃতীয় হয়েছে হর্টেক্স ফাউন্ডেশন।

বেসরকারি পর্যায়ে প্রথম হয়েছে মেটাল এগ্রো লিমিটেড, দ্বিতীয় হয়েছে লাল তীর সিড লিমিটেড এবং যৌথভাবে তৃতীয় হয়েছে ব্রাক সিড এন্ড এগ্রো এন্টারপ্রাইজ ও সোলারগাঁও। মেলায় অংশগ্রহনকারী অন্যান্য সকল প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়।

মেলায় মোট ৫৭টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহন করে। এবারের মেলার প্রতিপাদ্য ছিল ‘সারা বছর সবজি চাষে, পুষ্টি-স্বাস্থ্য-অর্থ আসে’। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মো. আব্দুল আজিজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হর্টিকালচার উইং এর পরিচালক মিজানুর রহমান।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৬ জানুয়ারি ২০১৮/সাওন/শাহনেওয়াজ

Great bangali great award

সম্মানসূচক ডি লিট ডিগ্রি নিলেন প্রণব মুখার্জি

রেজাউল করিম : রাইজিংবিডি ডট কম
     
প্রকাশ: ২০১৮-০১-১৬ ২:৪৭:৫৯ পিএম     ||     আপডেট: ২০১৮-০১-১৬ ৪:৪১:৩১ পিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম : ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক ডি লিট ডিগ্রি গ্রহণ করেছেন।

মঙ্গলবার দুপুর ১টা ২০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ আব্দুর রব হল প্রাঙ্গণে আয়োজিত বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কিছুক্ষণ পরই তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ডি লিট ডিগ্রি প্রদান করা হয়।

ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি অনুষ্ঠানস্থলে আসার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় সমাবর্তনের মূল আনুষ্ঠানিকতা। দুপুর ১টা ২৫ মিনিটে বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ করা হয়। এরপর দেড়টায় উদ্বোধনী সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করা হয়।

দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটে প্রণব মুখার্জিকে স্মারক তুলে দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দীন চৌধুরী। এরপরই উত্তরীয় পরিয়ে দেন উপ-উপাচার্য শিরীন আখতার।

উপাচার্য উদ্বোধনী ভাষণ দেওয়ার পর প্রণব মুখার্জিকে সম্মানসূচক ডি লিট ডিগ্রি প্রদান করা হয়। সমাবর্তন পরিচালনা করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. কামরুল হুদা।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৬ জানুয়ারি ২০১৮/রেজাউল ইসলাম/সাইফুল

great singer we lost !!!!!!!!!!!!

সংগীতশিল্পী শাম্মী আখতার আর নেই

রাহাত সাইফুল : রাইজিংবিডি ডট কম
     
প্রকাশ: ২০১৮-০১-১৬ ৫:২৫:৪৩ পিএম     ||     আপডেট: ২০১৮-০১-১৬ ৫:৪০:০৫ পিএম
শাম্মী আখতার
বিনোদন প্রতিবেদক : খ্যাতিমান সংগীতশিল্পী শাম্মী আখতার। দীর্ঘ ছয় বছর ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন। মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

আজিজুর রহমান পরিচালিত ‘অশিক্ষিত’ চলচ্চিত্রে গান গেয়ে প্লেব্যাক শুরু করেন শাম্মী আখতার। ‘ঢাকা শহর আইসা আমার আশা ফুরাইছে’ জনপ্রিয় গানটি গেয়েছেন তিনি। এ চলচ্চিত্রে গাজী মাজহারুল আনোয়ারের লেখা ‘আমি যেমন আছি তেমন রব বউ হবো না রে’ গানটিও গেয়েছেন তিনি।

চলচ্চিত্রে শাম্মী আখতার প্রায় ৩০০ গান গেয়েছেন। ১৯৭৭ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি আকরামুল ইসলামের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন শাম্মী আখতার। তাদের দুই সন্তান কমল ও সাজিয়া। ২০১০ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান শাম্মী আখতার। জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত ‘ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না’ চলচ্চিত্রে ‘ভালোবাসলেই সবার সঙ্গে ঘর বাঁধা যায় না’ গানটি গেয়ে এ পুরস্কার পান তিনি।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৬ জানুয়ারি ২০১৮/রাহাত/মারুফ

Thursday, 11 January 2018

innovative bridge and cost info

৫৬ যুবকের উদ্যোগে ভাসমান সেতু

বিএম ফারুক : রাইজিংবিডি ডট কম
     
প্রকাশ: ২০১৭-১২-১১ ৬:২৬:০০ পিএম     ||     আপডেট: ২০১৭-১২-১১ ৬:২৬:০০ পিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর : যশোরের মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ বাজারের সঙ্গে ঝাঁপা গ্রামের মানুষের যোগাযোগের মাধ্যম নৌকা। এই দুটি গ্রামের মধ্যে ঝাঁপা বাঁওড় হওয়ায় গ্রামবাসী নৌকায় পার হয়ে রাজগঞ্জ বাজারে আসেন। একইভাবে পার হয়ে স্কুল, কলেজে যাতায়াত করছে ওই এলাকার শত শত শিক্ষার্থী। গ্রামবাসীর বহু বছরের এই দুর্ভোগ নিরাসনে এবার এগিয়ে এসেছেন ঝাঁপা গ্রামের ৫৬ যুবক। উদ্যোগ নিয়েছেন নিজস্ব অর্থায়নে বাঁওড়ের ওপর ভাসমান সেতু তৈরির।

সেতু নির্মাণের জন্য গঠন করেছেন ঝাঁপা গ্রাম উন্নয়ন ফাউন্ডেশন। প্রায় ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে তৈরি করছেন প্লাস্টিকের ড্রামের ওপর এক হাজার ফুট লম্বা লোহার সেতু। কোনো পূর্বপরিকল্পনা নয়, হঠাৎ বুদ্ধিতেই তারা শুরু করেন কাজ। নেননি কোনো প্রকৌশলীর মতামত। নিজেদের পরিকল্পনা দিয়েই ৮৩৯টি প্লাস্টিকের ড্রাম ৮০০ মণ লোহার পাতে একের পর এক যুক্ত করে তৈরি করেছেন এক হাজার ফুট দীর্ঘ সেতুটি। সঙ্গে রয়েছেন রাজগঞ্জ বাজারের লেদ কারিগর রবিউল ইসলাম।

বাঁওড়ের ওপর সেতু হওয়ায় খুশি ঝাঁপা এলাকার ১৫ হাজার নারী-পুরুষ। যারা প্রতিনিয়ত একাধিকবার নৌকায় বাঁওড় পাড়ি দিয়ে আসেন রাজগঞ্জ বাজারসহ উপজেলা শহরে। খুশি স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীরা। শুধু গ্রামবাসী ও পথচারী নয়, যারা বাঁওড়ে নৌকা চালিয়ে জীবিকা অর্জন করতেন, সেই মাঝিরাও খুশি। সেতু নির্মাণে তারা জানিয়েছেন সাধুবাদ।

সরেজমিন গেলে এই অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন তারা। কথা হয় ফাউন্ডেশনের সভাপতি মেহেদী হাসান টুটুলের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘‘বছর খানেক আগে বাঁওড় পাড়ে বসে গল্প করছিলাম গ্রামের শিক্ষক আসাদুজ্জামানসহ ৫-৬ জন। তখন বাঁওড় থেকে মেশিনে বালি তোলা হচ্ছিল। সেই মেশিন রাখা হয়েছিল প্লাস্টিকের ড্রামের ওপর ভাসমান অবস্থায়। তাই দেখে বুদ্ধি আসে শিক্ষক আসাদুজ্জামানের। ড্রাম যদি ভারি মেশিন ভাসিয়ে রাখতে পারে, তবে সেতু কেন নয়? আসাদুজ্জামানের যুক্তি মনে ধরে উপস্থিত সবার। শুরু হয় গ্রামবাসীর সঙ্গে বৈঠক। এরপর ফান্ড তৈরির কাজ।’’

টুটুল বলেন, ‘‘চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি আমরা গ্রামবাসীর সঙ্গে প্রথম বৈঠকে বসি। কয়েক দফা আলোচনার পর গ্রামের ৫৬ যুবকের সমন্বয়ে গড়ে তোলা হয় ঝাঁপা গ্রাম উন্নয়ন ফাউন্ডেশন। এরপর সবাই ২০-৩০ হাজার টাকা করে জমা দিয়ে তৈরি করি তহবিল। পরে আগস্ট মাসের দিকে শুরু হয় ভাসমান সেতু তৈরির কাজ।’’

টুটুল বলেন, ‘‘যদিও সেতু তৈরিতে কোনো প্রযুক্তি জ্ঞান ব্যবহার করা হয়নি। তবে আমরা উপজেলা প্রকৌশলীর সঙ্গে পরামর্শ করেছি। এমনকি জেলা প্রশাসকের দপ্তরেও কথা বলা হয়েছে। সবাই পরিবেশবান্ধব সেতু তৈরিতে মত দিয়েছেন।’’

তিনি বলেন, ‘‘আগামী ১ জানুয়ারি সেতু জনগণের ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়া হবে। আগে খেয়া পারাপারের জন্য মাঝিদের গ্রামবাসী সপ্তাহে পাঁচ টাকা করে আর বছরে এক মণ করে ধান দিতে। একই খরচে গ্রামবাসী সেতু ব্যবহার করতে পারবেন। তবে অন্য এলাকার লোকজন যেমন টাকা দিয়ে খেয়া পার হতেন, সেতু পার হতে তাদের সেই খরচ দিতে হবে।’’ আর এই টাকা সংগ্রহ করবেন ঘাটে নৌকা চালানো সেই চার মাঝি। এতে করে মাঝিদের সংসার যেমন চলবে, তেমনি উঠে আসবে সেতু নির্মাণের খরচও।

সেতুর ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল, ভ্যান, নসিমন প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস পারাপার হতে পারবে বলে মত দেন তিনি।

ঝাঁপা বাঁওড়ের খেয়াঘাট গিয়ে নৌকায় পার হতে দেখা যায় ওই গ্রামের বৃদ্ধ আবু দাউদকে। তিনি কাঁধে করে তরকারি নিয়ে রাজগঞ্জ বাজারে যাচ্ছিলেন। আবু দাউদ বলেন, ‘‘বুদ্ধি হওয়ার পর থেকে এভাবে খেয়া পারাপার হচ্ছি। পারাপারে অনেক সময় পানিতে পড়ে যেতে হয়েছে। বর্ষার সময় এই সমস্যা বেশি হয়। সেতু হওয়াতে এই সমস্যা থাকবে না। আমি এতে মহাখুশি।’’

কথা হয় নৌকায় চড়ে বাড়ি ফেরা স্কুল ছাত্র ফাহিম ও সজীবের সঙ্গে। তারা দুইজনে রাজগঞ্জ বাজারের গোল্ডেন সান প্রি-ক্যাডেট স্কুলের ছাত্র। তারা জানায়, দুই বছর ধরে নৌকায় পার হয়ে স্কুলে যাচ্ছে। প্রথমে ভয় হতো, এখন হয় না। সেতু হলে আর নৌকার জন্য ঘাটে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না। তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরতে পারবে।

রাজগঞ্জ বাজার-সংলগ্ন ঘাটে নৌকার অপেক্ষায় ছিলেন যশোর সদর উপজেলার রূপদিয়া গ্রামের আব্দুল গফুর। তিনি ঝাঁপা গ্রামে মেয়ের বাড়িতে যাবেন। মেয়ে বিয়ে দেওয়ার পর হতে গত ১৫-১৬ বছর এভাবে নৌকায় পার হয়ে সেখানে যাতায়াত তার। আব্দুল গফুরও এই সেতু তৈরিতে আনন্দিত।

কথা হয় ঘাটের মাঝি শেখর চন্দ্রের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘‘আমরা ঝাঁপা গ্রামের তিনজন মাঝি নৌকায় লোক পারাপার করি। এতে তিন পরিবারের ১৫ জনের পেট চলে। কমিটি বলেছে, ব্রিজ চালু হলে আমাদের কাজ দেবে। ব্রিজ পার হওয়া লোকজনের কাছ থেকে আমরা টাকা তুলব। সেখান থেকে আমাদের সংসার খরচ দেওয়া হবে। তাই আমাদের আপত্তি নেই।’’

মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘ঝাঁপা বাঁওড়ের ওপর সেতু তৈরির কাজ আপনারা যেমন দেখেছেন, তেমন আমিও দেখেছি। কমিটির কেউ আমাকে বিষয়টি জানায়নি। সেতু পারাপারে গ্রামবাসীর নিজেদের মধ্যে অর্থ আদায়ের বিষয় থাকতে পারে। সেটা তাদের ব্যাপার। তবে এ ব্যাপারে অতিরঞ্জিত কিছু হলে বা অভিযোগ পেলে তখন আমাদের হস্তক্ষেপ তো চলে আসবেই।’’



রাইজিংবিডি/যশোর/১১ ডিসেম্বর ২০১৭/বি এম ফারুক/বকুল

helper less car

যে গাড়ির হেলপার নেই

ফেরদৌস জামান : রাইজিংবিডি ডট কম
     
প্রকাশ: ২০১৮-০১-১০ ৩:১৭:২০ পিএম     ||     আপডেট: ২০১৮-০১-১০ ৩:১৭:২০ পিএম

(ভিয়েতনামের পথে: ষষ্ঠ পর্ব)
ফেরদৌস জামান: বাস ছাড়বে নির্দিষ্ট জায়গা থেকে, নির্দিষ্ট সময়ে। অপেক্ষায় আছি, কয়েক মিনিট পর একটা বাস চলে এলো। যখন জানলাম এটাই আমাদের মে হং সন নিয়ে যাবে তখন অবাক না হয়ে পারলাম না- বাস এত সুন্দর হয় কী করে! দ্বিতল বাসে আমাদের আসন উপরে। নিচ তলায় মাত্র কয়েকটা আসন, বাদবাকী জায়গায় ওয়াশ রুম, ব্যাগ এবং খাবার রাখার ব্যবস্থা। উপরে উঠে আসনে বসামাত্র মন ও শরীরজুড়ে বয়ে গেল এক শান্তির অনুভূতি।

আরামদায়ক আসন। জনপ্রতি একটা করে কম্বল ও কুশন এবং আরাম করে ঘুমানোর জন্য ঘারের নিচে দেয়ার জন্য আলাদা তুলতুলে ছোট্ট কুশন। আমি ওর নাম দিলাম আরামবন্ধনী। প্রশস্ত কাচ দিয়ে মোড়ানো বাসের ভেতর থেকে বাহিরটা সুন্দর দেখা যায়। তুলনা করে বললে বিমানের চেয়েও আরামদায়ক ও পরিচ্ছন্ন বন্দোবস্ত। ঠিক ছয়টায় বাস ছাড়ল, এক মিনিটও এদিক-সেদিক হলো না। টিকিটের দাম জনপ্রতি ৬৭৫ বাথ। টিকিট কাটার পর কাউন্টার থেকে বিদায় হচ্ছিলাম আর অস্বস্তি নিয়ে নিজেদের মধ্যে বলাবলি করছিলাম, যাচাই-বাছাই করার তো কোনো সুযোগ পেলাম না, কে জানে বাস কেমন হবে? কী আর করা, টিকিট যখন হয়ে গেছে তখন মে হং সন পৌঁছতে পারলেই হলো, সে যেনতেন বাস হলেও আপত্তি নেই। বাসের মান যে এত উন্নত হবে তা ধারণার অতীত বলা যায়। সামনের দেয়ালে দুই দুইটা টেলিভিশন। চলছে স্থানীয় ভাষার গান। আমাদের ধ্যান আপাতত সেদিকে নেই। কাচের এ-পার থেকে মনোযোগ দিয়ে দেখছি বাহিরটা। আবার বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বাস চলছে উড়াল সড়ক দিয়ে। ব্যাংককে কম সড়কই আছে যার উপর দিয়ে উড়াল সড়ক নেই। সমস্ত মূল সড়ক যেন ছাদে ঢাকা। কোন কোন সড়কের উপর দিয়ে দুই-তিন স্তরের উড়াল সড়ক নির্মাণাধীন। এমন নয় যে, উপর দিয়ে পথ নির্মাণের কারণে নিচেরগুলো অচল হয়ে আছে। বরং উপর-নিচ সমস্ত সড়ক সমান হারে ব্যবহার হচ্ছে। একটা মোড়ও চোখে পড়ল না যেখানে ট্রাফিক পুলিশ মুখে বাঁশি অথবা হাতে লাঠি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সংকেত বাতিতেই নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে ব্যাংককের যানবাহণ।



বাস পরিচালনায় আছে মাত্র দুইজন লোক- চালক এবং সুপারভাইজার। থাইল্যান্ডে সুপারভাইজারকে কী বলে জানি না তবে হেলপার নেই। যে অনবরত বলবে- এই ডানে, এই বাঁয়ে। টেলিভিশনে ভিডিও গানের পাশাপাশি দেখাচ্ছে এখন সময় কত এবং কত কিলোমিটার গতিতে যাচ্ছে। লাল স্যুট এবং কালো প্যান্ট পরা সুপারভাইজার ঘুরে ঘুরে দেখছেন সব ঠিকঠাক আছে কি না। তার মুখে মিষ্টি হাসির ছোঁয়া যেন লেগেই আছে। স্যুটে পিন দিয়ে রাজার ছবি সংবলিত কালো ব্যাজ আটকানো। রাজার মৃত্যু হয়েছে এক বছর আগে। তাহলে কি তারা এই দীর্ঘ সময় ধরেই শোক পালন করছে? পথের জন্য কিছু খাবার ও পানি নিয়েছিলাম। অন্যদের সাথে কোনো খাবার নেই। থাকলে নিশ্চই তা সামনের পকেটে রেখে দিত! এতে নিজেদের বেশ সতর্ক এবং বুদ্ধিমান মনে হলো। কয়েক মিনিট পর সুপারভাইজার ট্রেতে পানির বোতল এনে প্রত্যেককে একটা করে সরবরাহ করলেন। এখন মনে হলো খামাখা পানির বোতল টেনে এনে কী লাভ হলো? কয়েক মিনিট পর দিতে এলেন কেক এবং পাউরুটি। সুজিত আমি পরস্পরের দিকে তাকাচ্ছি না, যেন এসব যে দেবে তা আগে থেকেই জানা ছিল। এখানেই শেষ নয়, সুপারভাইজার নিঃশব্দে মন্থর গতিতে শুধু যাচ্ছেন আর কিছু না কিছু নিয়ে আসছেন। এবার এলেন দুধ এবং জুসের প্যাকেট দিতে। আর পারা গেল না, সুজিতের দিকে তাকাতেই দুজনের মুখ ভরে বেরিয়ে আসে বোকা এবং অবাক বনে যাওয়া এক ধরনের মিশ্র হাসি।

বাস চলে এসেছে শহরের বাইরে। দুপাশে ফাঁকা, অনেক দূর পরপর দুএকটা স্থাপনা। সুপ্রশস্ত সড়ক, কত লেনের হবে তা বলা মুশকিল। বাস চলছে ঘণ্টায় আশি-নব্বই কিলোমিটার বেগে। এখন পর্যন্ত এতটুকু ঝাকুনি অনুভূত হয়নি। কথা ছিল কী দেখলাম, কী শিখলাম বা কী খেলাম এসব নিয়ে দুজনে অনেক রাত পর্যন্ত জাবর কাটব। সারা দিন হাঁটা হয়েছে অনেক। তার উপর দিয়ে পিঠে ছিল ওজনদার একটা করে ব্যাগ। সুতরাং পরিশ্রমের পর এমন আরামের ব্যবস্থা পেলে একটা সময় পর দুচোখ মেলে রাখাটা বড়ই দুস্কর হয়ে যায়। নয় কি সাড়ে নয়টার মধ্যে সুজিত হারিয়ে গেল ঘুমের অতল দেশে। যে কোন ধরনের যানবাহণে আমার সহজে ঘুম আসে না। দেখা যায় ঘুমালেও তা একটানা হয়ে ওঠে না। তবে আজকের ঘটনা একটু ব্যতিক্রম। বাসে এত কিছু খেয়ে নিজেকেও আর বেশিক্ষণ টেকাতে পারলাম না।



মাঝ রাতে বাস থামল অত্যন্ত নিরিবিলি এক রেস্টুরেন্টে। মাত্র একটা বাস দাঁড়িয়ে আছে। প্রস্রাবখানা থেকে ফিরে দেখি আগের বাস আগের জায়গাতেই আছে কিন্তু আমাদেরটা নেই! ঘুরে অপর পাশে যাওয়ার আগেই খেয়াল করলাম রেস্টুরেন্টের ভেতর থেকে সুপারভাইজার হাতের ইশারায় ডাকছেন। ভেতরে ঢুকতেই খাবার নিতে বলা হলো। তখনও আমরা জানি না কী ঘটতে যাচ্ছে! কাউন্টারে যখন বাসের টিকিট দেখাতে বলা হলো তখন নিশ্চিত হলাম এটাও বাস সেবার অন্তর্ভূক্ত। মাংস, ডিমসহ কয়েক প্রকার তরকারি। সাথে সাদা ভাত। ভাতের সাথে তরকারি নেয়া যাবে যে কোন দুইটা। পরামর্শ করার সুযোগ না পেলেও আমরা নিলাম ভিন্ন ভিন্ন তরকারি। এক জনের সাথে আরেকজনের মিল নেই। ওই যে, আমরা এক সাথে খাব কিন্তু খাবার নেব আলাদা ধরনের, ভাগাভাগি করে খাব। অধিক পদের স্বাদ চেখে দেখা ও পরখ করাই এর অন্যতম উদ্দেশ্য। এমন সেবা পাবার পর সন্তুষ্টির ভাষা কী হতে পারে তা খোঁজাখুঁজির বৃথা চেষ্ট না করে আমরা বরং নির্বাকই থাকলাম। আবারও বাস ছেড়ে দিল। দিনের আলো ফুটে বেরুবার সাথে সাথেই যেন সজাগ হয়ে গেলাম। ভাঙা-ছেঁড়া ঘুম হলেও যথেষ্ট হয়েছে। এবার বরং বাহিরটা দেখা যাক। পাহাড়-পর্বতের মাঝ দিয়েও এই প্রত্যন্ত এলাকায় এত উন্নত আর পরিচ্ছন্ন সড়ক হয় কী করে! উঁচু-নিচু আর আঁকাবাঁকা পথেও কোন সংকেত বা হর্ন নেই, নির্দিষ্ট লেন ধরে ক্লান্তিহীন এগিয়ে চলছে বাস। খেয়াল করেছি সারা রাতে হর্নের শব্দ কানে এসেছে গুনে গুনে মাত্র তিন বার। কোন গাড়ি থেকে সে শব্দ এসেছে তা নিশ্চিত হতে পারিনি। অরণ্য আচ্ছাদিত সড়কের পাশে বহুদূর পরপর একটা দুইটা বাড়ি। ভালোভাবে খেয়াল করলে দেখা যায় প্রতি ঘরেই বিদ্যুৎ ও পানির বন্দোবস্ত রয়েছে। গৃহপালিত পশুর মধ্যে মুরগিটাই কেবল চোখে পড়ল। ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি গন্তব্যের চেয়ে যাত্রাপথ অধিক শিক্ষণীয় এবং উপভোগ্য তাই তো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে প্রত্যক্ষ করার চেষ্টা করি চোখ ও মনের নাগালের সব কিছু।



আমি জানি না মে হং সন থাইল্যান্ডের একমাত্র পার্বত্য প্রদেশ কি না, তবে কোথায় যেন এমন পড়েছিলাম। আর সেই সূত্রে এটাকে থাইল্যান্ড ভ্রমণ তালিকার প্রধান জায়গায় রাখা। সড়কের ধারে জনবসতি খুবই কম, ভেতরের অবস্থা কি হয়ে থাকবে তা সম্পূর্ণই অজানা। প্রকৃতপক্ষে এই এলাকায় জনবসতি যে কম; প্রাথমিকভাবে তা অনুমান করা যায় জুমের সংখ্যা দেখে। হাতে গোনা দুএকটা জুম ক্ষেত কেবল চোখে পড়ল। তাও আবার যত্রতত্র নয়, উপযুক্ত জায়গা নির্বাচন করা জুম। জুমের গঠন পদ্ধতি কিছুটা নেপালের মতো, ধাপে ধাপে বানানো। দূর থেকে দেখে মনে হবে পাহাড় থেকে নেমে আসা অনেক সিঁড়ি।  প্রায় ষোলো ঘণ্টার বাস ভ্রমণ শেষে সকাল সাড়ে নয়টায় পৌঁছলাম মে হং সন। পাহাড়ের পাদদেশে পরিষ্কার পরিপাটি ছোট্ট একটা বাস টার্মিনাল। বাস থেকে নেমে চারপাশটা এক নজর দেখে নেয়ার পর বেশ উৎফুল্ল লাগল- নতুন আর একটা জায়গায় চলে এলাম! (চলবে)


রাইজিংবিডি/ঢাকা/১০ জানুয়ারি ২০১৮/তারা

fruits info




These 12 foods will start narrowing your waist the minute they leave your fork and enter your mouth!  Make sure these are added to your shopping list on your next trip.

Grapefruit

shutterstock_110145431
Vitamin C helps with the proper metabolism of fat, foods rich in it make great choices for burning fat. Eating half a grapefruit for breakfast or about thirty minutes before eating meals will help you feel more full and prevent overeating.

Black Pepper

shutterstock_133083617
Piperine, the important substance in Black Pepper, has shown signs of reducing the formation of fat cells in your body. Black pepper also helps to increase your metabolism. This is great news for those Ssck of eating bland food and looking for an easy way to shed some pounds!

Cinnamon

shutterstock_92037011
Cinnamon is known to lower blood sugar levels; this can help in suppressing monster appetites. Adding cinnamon to teas, coffee, and yogurt (plain!!) are some easy ways to get it in your system.
Note** Try your best to purchase Ceylon cinnamon; the ingredient Coumarin, found in high amounts in Cassia Cinnamon, is known to have harmful effects on the liver.

Eggs

shutterstock_113786020
The beauty of eggs is that they are low in calorie and contain 7 grams of protein, as well as other beneficial nutrients. Studies have shown that eating eggs for breakfast will significantly lower the amount of calories you may want to consume later in the day. Although the yolk is high in cholesterol, it does hold its benefits – consuming inmoderation is advised.

Apples (and of course fruits in general)

shutterstock_111769100
Fruits are your friends when it comes to losing weight; they offer countless benefits and still satisfy your tastes buds. The beauty of fruit is that it’ll satisfy your sweet tooth and does not harm the body the same way processed sugars do (sugar is the reason people accumulate fat). Apples, when eaten with skin, hold a good amount of fiber and water and help you feel full.

Green Tea

shutterstock_108432062
The importance of green tea in battling body fat could not be stressed enough; the phytochemical catechins, found in green tea, is known to speed metabolisms. It is better to consume green tea hot because it will help you lengthen the experience and increase the benefits. Adding honey and lemon to your green tea will not only add to the health factor, but will make the tea incredibly delicious.

Blueberries

shutterstock_147690128
If you have been getting your blueberry intake through muffins and pancaks, then you’ve been doing blueberries wrong. Not only are blueberries high in insoluble fiber, antioxidants, and tasty goodness, a half cup worth of them are only worth 40 calories. For something different try blueberries on salads or in smoothies.

Almonds

shutterstock_97357556
Although nuts in general will aid in body fat loss, almonds are the best for your wallet.  They are packed with protein, fiber, and heart healthy fats. One serving of almonds (about 23) will help you stay full. The best thing about almonds is they’re portable. A serving is easy to carry with you wherever you go so incorporating them in your routine should be easy.

Chilies

shutterstock_115902238
You’ll be looking hot after eating some hot peppers! They contain the ingredient capsaicin, which is known to suppress appetite. Cayenne peppers, habaneros, and jalapenos are some mainstream choices.

Coffee

shutterstock_87855436
Yes, the world’s most beloved beverage is also on the list as studies show that coffee (mainly caffeine) speeds the metabolism. However, this is the case when it is taken without fattening add-ins like sugar and cream. Also, please be aware that too much caffeine can have very harmful effects on the body; so keep your intake to 1-3 cups a day.

Quinoa

shutterstock_150166349
One of the biggest misconceptions about carbs is that is that they cause you to gain weight. Its actually not the carbs that make you gain weight but the type of carbs that do.. Quinoa is high in fiber and protein which will make you feel full. Unlike other grains, it is low on the glycemic index; this means that it doesn’t raise your blood sugar which in turn keeps you from craving sugar and carbs.

Vegetables

shutterstock_122387992
If you thought you are going to shed fat without vegetables, you’re wrong. Vegetables are packed with amazing nutrition and fiber to keep you full. It is suggested that you eat at least 2-3 cups of vegetables every day. For those who turn away from eating vegetables, perhaps you will find its benefits by blending them into a smoothie (remember “blend” not” juice”).