Sunday, 31 December 2017

healthy life info

নতুন বছরে সুস্থ থাকার সহজ উপায় (শেষ পর্ব)

এস এম গল্প ইকবাল : রাইজিংবিডি ডট কম
     
প্রকাশ: ২০১৮-০১-০১ ৮:২১:৪১ এএম     ||     আপডেট: ২০১৮-০১-০১ ১০:৪৪:২৪ এএম
প্রতীকী ছবি
এস এম গল্প ইকবাল : দেখতে দেখতে, হাসতে হাসতে কিংবা ভুগতে ভুগতে একটি বছর কেটে গেল। অনেকেই সুখে-শান্তিতে বা সুস্বাস্থ্যে কাটিয়ে দিলেও এই একটি বছরে আমাদের কেউ কেউ স্বাস্থ্যসংক্রান্ত জটিলতায় ভুগেছি।

নতুন বছরেও এমন স্বাস্থ্য সমস্যা নিশ্চয়ই কারো কাম্য নয়। ২০১৮ সালে অনাকাঙ্ক্ষিত জটিলতা এড়াতে এ প্রতিবেদনের উপায়গুলো মেনে চলতে পারেন।

* ঝুঁকিপূর্ণ উপাদানের পণ্য পরিহার করুন
প্রয়োজনে আপনার পরিষ্করণ সামগ্রী, প্রসাধন সামগ্রী বা কসমেটিকস সামগ্রী পরিবর্তন করুন। আপনার প্রোডাক্টের লেবেল মিলিয়ে দেখুন যাতে বোঝা যায় যে, কোন প্রোডাক্টটি পরিহার করা যায়, অথবা থিংক ডার্টি অ্যাপ ডাউনলোড করতে পারেন- যে প্রোডাক্টটি কিনতে চান তার বারকোড স্ক্যান করুন এবং এটি আপনাকে বলে দেবে যে কোন প্রোডাক্টটিতে স্বাস্থ্য ঝুঁকির উপাদান আছে।

* হাত পরিষ্কার রাখুন
মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষণা অনুসারে, সেসব ১০ শতাংশ আমেরিকানদের মতো হবেন না যারা বাথরুম ব্যবহার করে হাত ধৌত করেন না। গবেষণায় আরো পাওয়া যে, কেবলমাত্র ৫ শতাংশ আমেরিকান ইনফেকশন-সৃষ্টিকারী জীবাণু হত্যা করতে দীর্ঘসময় তাদের হাত ধোয়। বাথরুম ব্যবহার করে, পাবলিক প্লেস থেকে এসে কিংবা অন্যান্য নোংরা কাজ করলে সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন।

* প্রাকৃতিক এয়ার ফ্রেশেনার তৈরি করুন
গবেষণায় দেখা যায় যে, বাণিজ্যিক এয়ার ফ্রেশনারে (যেমন- ক্যান্ডেল, প্লাগ-ইন, ইনসেন্স) বিষাক্ত উপাদান রয়েছে যা অন্তঃস্রাব ব্যাহতকারী। একটি ডিফিউজারে কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল ঢালুন, জানালা খুলুন অথবা অন্যান্য হোমমেইড এয়ার ফ্রেশেনার তৈরি করুন।

* মেডিটেশন করুন
ডা. জিন্ডারসিক বলেন, ‘গবেষণায় পাওয়া যায় যে, নিয়মিত মেডিটেশনের বড় উপকারিতা থাকতে পারে।’ এটি স্ট্রেস ও ব্লাড প্রেসার কমাতে সাহায্য করতে পারে এবং বুদ্ধিকে শাণিত করতে পারে। আপনি মেডিটেশন চর্চায় নতুন হলে মেডিটেশন ভিডিও, অনলাইন কিংবা স্মার্টফোন অ্যাপের মাধ্যমে শুরু করতে পারেন।

* খালি পায়ে ঘরে প্রবেশ করুন
গবেষণায় আবিষ্কার হয় যে, জুতার সোল প্রচুর পরিমাণে ইনফেকশন-সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া আশ্রয় দিয়ে থাকে, যেমন- ক্লস্ট্রিডিয়াম ডিফিসাইল-এটি সহজে চিকিৎসা অযোগ্য একটি জীবাণু যা ডায়রিয়া এবং অন্যান্য জিআই উপসর্গ সৃষ্টি করে। ঘরের ভেতর জীবাণুর ট্র্যাকিং বা প্রবেশ ঠেকাতে ঘরে প্রবেশের আগে জুতা খুলে ফেলুন। শো-র‍্যাক বা প্রবেশপথের ম্যাটে জুতা রাখুন।

* কীটনাশকমুক্ত ফল ও শাকসবজি কিনুন
কোন কোন ফল ও শাকসবজিতে উচ্চমাত্রায় কীটনাশক ব্যবহার করা হয় তা নিশ্চিত হয়ে জেনে নিন। যথাসম্ভব কীটনাশকমুক্ত ফল ও শাকসবজি বা অর্গানিক ফুড ক্রয় করুন।

* পানি পর্যবেক্ষণ করুন
আপনি কি জানেন আপনার ট্যাপের পানিতে কি আছে? আপনার ওয়াটার ফিল্টার ব্যবহার করা উচিত, কারণ ওয়াটার ফিল্টার ব্যবহার না করলে কিছু দূষণকারী উপাদান ক্যানসার, ব্রেইন বা নার্ভাস সিস্টেম ড্যামেজ, উর্বরতার সমস্যা কিংবা হরমোন উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি করতে পারে। আপনার ট্যাপের পানি নোংরা দেখালে সর্বোত্তম উপায়ে ফিল্টার করা উচিত।

* খাবারে মনোযোগ দিন
এখানে সেখানে অসচেতনভাবে খাবার না খেয়ে কিচেন বা ডাইনিং রুমে খাবার খান। গবেষণায় দেখা গেছে যে, ডিস্ট্র্যাক্টেড ইটিং বা অন্যকিছুতে মনোযোগ দিয়ে ভোজন (যেমন- টেলিভিশন দেখতে দেখতে খাওয়া) অতিভোজনের দিকে চালিত করে যা ওজন বাড়াতে পারে।

* নতুন কিছু জানুন
নতুন জ্ঞান, অভিজ্ঞতা বা দক্ষতা অর্জন করুন। নতুন কিছু জানা নিউরোপ্লাস্টিসিটিকে প্রমোট করে, যার মানে হচ্ছে আপনার মস্তিষ্ক নতুন সিন্যাপ্স এবং নিউরাল প্যাথওয়ে সৃষ্টি করে, যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য বৃদ্ধি করে এবং অ্যালজেইমার রোগ প্রতিরোধ করতে পারে।

* স্ন্যাকে পরিবর্তন আনুন
কাউন্টারের ওপর বাটিতে ফল রাখুন অথবা গ্লাস জার বা ক্যানিস্টারে অলবণাক্ত মিশ্রিত বাদাম রাখুন- এটি আপনাকে মনে করিয়ে দেবে যে আপনার কাবার্ডে কুকিজ বা বিস্কুট অনুসন্ধান করার পরিবর্তে এসব ফাইবার ও প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। ডা. মুর বলেন, ‘এগুলো শরীরে পুষ্টি জোগাবে এবং আপনি আরো পরিতৃপ্তি অনুভব করবেন।’ চিপস বা ক্যান্ডির মতো অস্বাস্থ্যকর আইটেমের মজুদ না রাখাই ভালো, কারণ এসবের মধ্যে শুধুমাত্র উচ্চমাত্রায় ক্যালরি, ফ্যাট, সুগার ও সল্ট থাকে তা নয়, প্রায়ক্ষেত্রে প্রিজার্ভেটিভ ও অন্যান্য অ্যাডিটিভ থাকে যা সময়ের স্রোতে আপনার শরীরের ক্ষতি করতে পারে।

পড়ুন : নতুন বছরে সুস্থ থাকার সহজ উপায় (প্রথম পর্ব)

তথ্যসূত্র : রিডার্স ডাইজেস্ট



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১ জানুয়ারি ২০১৮/ফিরোজ

811 match not out

৮১১ নট আউট!

আবু হোসেন পরাগ : রাইজিংবিডি ডট কম
     
প্রকাশ: ২০১৮-০১-০১ ৯:৫২:৪৩ এএম     ||     আপডেট: ২০১৮-০১-০১ ১১:০০:৫০ এএম
আর্সেনালের কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গার
ক্রীড়া ডেস্ক : ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে কোচ হিসেবে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে দায়িত্ব পালন করার স্যার আলেক্স ফার্গুসনের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন আর্সেন ওয়েঙ্গার।

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কোচ হিসেবে ২৬ বছরের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে প্রিমিয়ার লিগে ৮১০ ম্যাচে দায়িত্ব পালন করেছিলেন ফার্গুসন। শনিবার ওয়েস্ট ব্রমের বিপক্ষে ম্যাচে ডাগআউটে দাঁড়িয়ে ফার্গুসনকে ছাড়িয়ে গেলেন আর্সেনালের কোচ ওয়েঙ্গার (৮১১ ম্যাচ)।

ওয়েঙ্গারের নতুন রেকর্ড গড়ার ম্যাচটা অবশ্য জয় দিয়ে রাঙিয়ে রাখতে পারেনি তার শিষ্যরা। ওয়েস্ট ব্রমের মাঠে ১-১ গোলে ড্র করেছে ‘গানার’রা।

যার রেকর্ড ভাঙলেন, সেই ফার্গুসন অভিনন্দন জানিয়েছেন ওয়েঙ্গারকে, ‘প্রিমিয়ার লিগে আমার রেকর্ড ভাঙার জন্য আর্সেনকে (ওয়েঙ্গার) অভিনন্দন জানাই আমি।’

ওয়েঙ্গারের রেকর্ড কোনোদিন ভাঙবে না বলেও মনে করেন প্রাক্তন ‘রেড ডেভিল’ বস, ‘এটি অসাধারণ এক মাইলফলক। যার জন্য প্রয়োজন সর্বোচ্চ আত্মনিবেদন ও পেশাদারিত্ব। আমি তার রেকর্ড নিয়ে সন্দিহান, যাই হোক না কেন; এটা কখনোই ভাঙবে না।’

১৯৯৬ সালে আর্সেনালের দায়িত্ব নিয়েছিলেন ওয়েঙ্গার। এরপর ক্লাবটিতে অনেক পরিবর্তনই এসেছে। কিন্তু কোচ হিসেবে তার কোনো নড়চড় হয়নি। এই ২১ বছরে আর্সেনালকে প্রিমিয়ার লিগের অন্যতম ‘এলিট’ ক্লাব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। জিতিয়েছেন তিনটি লিগ শিরোপা।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১ জানুয়ারি ২০১৮/পরাগ

Happy new year 2018 video

ভিডিওতে দেখুন বর্ষবরণ ২০১৮

রাসেল পারভেজ : রাইজিংবিডি ডট কম
     
প্রকাশ: ২০১৮-০১-০১ ৯:৪৫:০০ এএম     ||     আপডেট: ২০১৮-০১-০১ ১২:৫৫:৪৮ পিএম
আলোর ফোয়ারায় ২০১৮ সালকে বরণ করে নেয় সিডনি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সুখ-সমৃদ্ধি ও মঙ্গল কামনায় আলোক উৎসবের মধ্য দিয়ে নতুন বছর ২০১৮-কে বরণ করে নিয়েছে বিশ্ববাসী।

এবার বর্ষবরণের চোখ ধাঁধানো আলোকোৎসবের মধ্য থেকে নিউ জিল্যান্ডের অকল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার সিডনি, যুক্তরাজ্যের লন্ডন, চীনের হংকং ও উত্তর কোরিয়ার পিয়ংইয়ংয়ের ভিডিও ফুটেজ পাঠকদের জন্য দেওয়া হলো-

ভিডিও : http://www.risingbd.com/international-news/250745




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১ জানুয়ারি ২০১৮/রাসেল পারভেজ

Thursday, 28 December 2017

city flowers holiday school

নগরফুলের হলিডে স্কুল

ফয়সাল উদ্দীন নীরব : রাইজিংবিডি ডট কম
     
প্রকাশ: ২০১৭-১২-২৮ ৯:৫১:৩২ এএম     ||     আপডেট: ২০১৭-১২-২৮ ১০:৫২:৩৪ এএম

ফয়সাল উদ্দীন নীরব : ফুটপাতে ময়লা কুড়ানো, ভিক্ষাবৃত্তি এসব কাজ পথশিশুদের নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার, পেটের ভোগ নিবারণের জন্য এসব করতে হয় পথশিশুদের। অসুস্থ হলে চিকিৎসা, একটু ভালো খাবার, পড়ালেখার স্বপ্ন তাদের অধরাই থেকে যায়।

পথশিশুরা যাতে আলোর পথে আসতে পারে, শিক্ষার সুযোগ পায়, নতুন কাপড় পরতে পারে তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে চট্টগ্রামের সেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘নগরফুল’।

২০১৫ সালের জুন মাসে এই সংগঠনটির যাত্রা শুরু হয়। নগরফুলের উদ্যোক্তা বায়োজিদ সুমন রাইজিংবিডিকে জানান, ‘২০১৫ সালে ঈদের শপিং করতে গিয়ে দুজন পথশিশুর মলিন মুখ আমাকে ভীষন ভাবে আলোড়িত করে, নাড়া দেয় মনকে, তাদের মলিন দেখেই কিছু করার সিদ্ধান্ত নিই। ফেসবুকের মাধ্যমে আরো অনেককে সংগঠিত করি, পরিচিত বন্ধুদের বিষয়টি অবহিত করি। আহবানে সাড়া দেয় অনেকে, এভাবেই শুরু হয় নগরফুলের যাত্রা।’

পথশিশুদের শিক্ষিত করে সমাজে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে নগরের ফুল হিসেবে পরিণত করাই সংগঠনটির লক্ষ্য। সমাজে অচ্ছুত বলে বিবেচিত এসব পথশিশুদের জন্য প্রতি শুক্রবার স্কুল পরিচালনা করে সংগঠনটি, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘নগরফুল হলিডে স্কুল’।

নগরীর সিআরবি, ষোলশহর, ডিসি হিল, আগ্রাবাদ শিশু পার্ক, ক্যান্টনমেন্ট নতুন পাড়া রেলস্টেশন, পটিয়া রেলস্টেশন সহ ৬টি পয়েন্টে প্রতি শুক্রবার সকাল এবং বিকালে ক্লাস নেওয়া হয়। বর্তমানে নগরফুল হলিডে স্কুলের শিশু সংখ্যা ৫০০ এর অধিক। আর এই হলিডে স্কুলের ক্লাসগুলো নেয় সংগঠনটির সদস্যরা, যারা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্ন কলেজ ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অভিজ্ঞ ডাক্তার ও মেডিক্যাল পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের সমন্বয়ে গঠিত ‘স্বাস্থ্য সেবা’ শাখা চট্টগ্রামের বিভিন্ন পয়েন্টে এইসব শিশুদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকে।

বায়োজিদ সুমন রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘আমরা কাজ শুরু করার পর এই পথশিশুদের মধ্যে ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্যনীয়, তারা আগের চেয়ে সুশৃঙ্গল, তাদের পুরোনো অভ্যাসগুলো আস্তে আস্তে পরিহার করতে শুরু করে।’

এসব শিশুদের বই-খাতা থেকে শুরু করে যাবতীয় শিক্ষা উপকরণ সংগঠনের সদস্যদের জমাকৃত তহবিল থেকে দেওয়া হয়।

নগরফুলের সাংগঠনিক সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘দারিদ্রতা এদের পরিণত করেছে পথশিশুতে। সমাজের সুবিধাবঞ্চিত এই পথশিশুদের মধ্যে শিক্ষার আলো জ্বালাতেই নগরফুলের কর্মকান্ড।’

সংগঠনটি প্রতিবছর শীতবস্ত্র বিতরণ এবং ঈদ পোশাক বিতরণ করে থাকে। এছাড়া বিভিন্ন দিবসে আয়োজন করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, যেখানে পথশিশুদের মেধার বিকাশে নাচ, গান, কবিতা, আবৃত্তি, ড্রয়িং প্রতিযোগিতা থাকে। বর্তমানে ২০০ জন এর মতো সদস্য রয়েছে সংগঠনটির।

নগরফুলের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক বলেন, ‘পথশিশুদের সুন্দর ফুল হিসেবে ভবিষ্যত গড়তে নগরীর প্রত্যেকটি পয়েন্টে আমরা হলিডে স্কুল চালু করতে চাই।’


রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৮ ডিসেম্বর ২০১৭/ফিরোজ

feb 2018 it fair

ফেব্রুয়ারিতে বসছে সফটওয়্যার মেলা

মনিরুল হক ফিরোজ : রাইজিংবিডি ডট কম
     
প্রকাশ: ২০১৭-১২-২৮ ৬:৫৯:১৫ পিএম     ||     আপডেট: ২০১৭-১২-২৮ ৬:৫৯:১৫ পিএম

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক : বেসিস সফটএক্সপো ২০১৮, ফেব্রুয়ারিতে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) শুরু হতে যাচ্ছে । ২২-২৪ ফেব্র্রু্রুয়ারি, তিন দিনব্যাপী আয়োজিত হবে দেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের জনপ্রিয় এই প্রদর্শনী।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) আয়োজিত তথ্যপ্রযুক্তির বৃহত্তম এই প্রদর্শনীতে এবার প্রায় দুইশো দেশি-বিদেশি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান নিজেদের পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করবে।

প্রদর্শনী এলাকাকে পাঁচটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। রয়েছে সফটওয়্যার সেবা প্রদর্শনী জোন, উদ্ভাবনী মোবাইল সেবা জোন, ডিজিটাল কমার্স জোন, আইটিইএস ও বিপিও জোন এবং ক্লাউড কম্পিউটিং জোন। থাকবে ৩০টিরও বেশি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সেমিনার, যেখানে বক্তব্য রাখবেন এক শতাধিক দেশি-বিদেশি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ।

থাকবে দেশি-বিদেশি ব্যবসায়ীদের জন্যে বি-টু-বি ম্যাচমেকিং সেশন। যার মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা নিজেদের ব্যবসার পসার খুব সহজেই করতে পারবে। পাশাপাশি থাকবে আইটি জব ফেয়ার জোন, যেখান থেকে দেশি-বিদেশি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোতে কাজের সুযোগ থাকবে।

বেসিস সফটএক্সপো ২০১৮ এর আহবায়ক ও বেসিস পরিচালক সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, দেশের সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্প্রসারণে এই এক্সপোর আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রায় দুইশো প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে। দেশের সফটওয়্যারের নিজস্ব চাহিদা পূরণে সক্ষমতা প্রদর্শন ও আস্থা তৈরিই এ প্রদর্শনীর লক্ষ্য।

সফটএক্সপো ২০১৮ উপলক্ষে বেসিস সদস্যদের জন্য অগ্রিম স্টল বুকিং চলছে। অগ্রিম স্টল বুকিংয়ের জন্য goo.gl/WkUfuV লিংকে ক্লিক করে ফরম পূরণ করতে হবে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৮ ডিসেম্বর ২০১৭/ফিরোজ

Wedding reception - indian high profile

বিরুশকার বিবাহোত্তর সংবর্ধনায় তারার মেলা

মারুফ খান : রাইজিংবিডি ডট কম
     
প্রকাশ: ২০১৭-১২-২৭ ১১:৫১:৩২ এএম     ||     আপডেট: ২০১৭-১২-২৭ ২:৪৫:০৪ পিএম

বিনোদন ডেস্ক : অনেক লুকোচুরির পর গত ১১ ডিসেম্বর ইতালিতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন ক্রিকেটার বিরাট কোহলি ও অভিনেত্রী আনুশকা শর্মা। এরপর গত ২১ ডিসেম্বর দিল্লিতে একটি বিবাহোত্তর সংবর্ধনার আয়োজন করেছিলেন। সেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, ব্যবসায়ী ও বিরাটের সতীর্থ খেলোয়াড়রা উপস্থিত ছিলেন।

২৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় মুম্বাইয়ের সেইন্ট রেগিস হোটেলে অনুষ্ঠিত হয় বিরুশকার দ্বিতীয় বিবাহোত্তর সংবর্ধনা। এতে হাজির হয়েছিলেন অমিতাভ বচ্চন, রেখা, শচীন টেন্ডুলকার, শাহরুখ খান, মাধুরী দীক্ষিত, মহেন্দ্র সিং ধোনি, ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনসহ বলিউড ও ভারতীয় ক্রিকেট দলের তারকারা।

চলুন দেখে নিই বিরাট-আনুশকা জুটির দ্বিতীয় বিবাহোত্তর সংবর্ধনায় আগত অতিথিদের ছবি:


বিরাট আনুশকার বিবাহোত্তর সংবর্ধনায় উপস্থিত ছিলেন অভিষেক বচ্চন, ঐশ্বরিয়া রাই, শ্বেতা নন্দা ও অমিতাভ বচ্চন
 

অনুষ্ঠানে শাহরুখের সঙ্গে সেলফিবন্দি বিরুশকা
 

মেয়ে সারা ও স্ত্রী অঞ্জলিকে নিয়ে উপস্থিত ছিলেন শচীন টেন্ডুলকার
 

বিরাট-আনুশকাকে শুভেচ্ছা জানাতে এসে একসঙ্গে ক্যামেরাবন্দি হন রেখা, কঙ্গনা রাণৌত ও মাধুরী দীক্ষিত
 

পরিবার নিয়ে হাজির ছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি
 

ভাই সিদ্ধার্থ ও মা মধু চোপড়ার সঙ্গে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া
 

বিরুশকার সঙ্গে ফ্রেমেবন্দি রণবীর কাপুর
 

বোন ইসাবেলাকে নিয়ে বিরুশকার বিবাহোত্তর সংবর্ধনায় এসেছিলেন অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফ
 

অনুষ্ঠানে মেন্টর করন জোহরের সঙ্গে সিদ্ধার্থ মালহোত্রা
 

অনুষ্ঠানে সাইফ আলীর খানের সন্তান ইব্রাহিম আলী খান ও সারা আলী খান

এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- অভিনেত্রী লারা দত্ত, শ্রীদেবী, বনি কাপুর, ভূমি পেডনেকার, বাণী কাপুর, কৃতি স্যানন, বরুণ ধাওয়ানসহ অন্যান্যরা।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৭ ডিসেম্বর ২০১৭/মারুফ

Tuesday, 26 December 2017

organic food

অর্গানিক পণ্য নিয়ে মাই অর্গানিক বিডির ই-বুক

মনিরুল হক ফিরোজ : রাইজিংবিডি ডট কম
     
প্রকাশ: ২০১৭-১২-২৪ ৭:৩১:২৩ পিএম     ||     আপডেট: ২০১৭-১২-২৪ ৭:৫৮:০৬ পিএম

লাইফস্টাইল ডেস্ক : অর্গানিক খাবার, বাংলাদেশে অর্গানিক খাবারের বাজার, অর্গানিক খাবার গ্রহণের সুবিধাসমূহ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে ‘অর্গানিক ফুড অ্যান্ড স্টাফ : ইন পার্সপেক্টিভ বাংলাদেশ’ শিরোনামের একটি ই-বুক প্রকাশ করেছে অনলাইন অর্গানিক খাবার বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান মাই অর্গানিক বিডি ডটকম (http://myorganicbd.com)।

রাজধানীর একটি রেস্টুরেন্টে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) এর স্ট্যার্টআপ অ্যান্ড ফান্ডিং কমিটি আয়োজিত অনুষ্ঠানে ই-বুকটি উন্মোচন করা হয়।

মাই অর্গানিক বিডির তত্ত্বাবধানে মার্কেটিং প্রতিষ্ঠান শেপ কমিউনিকেশন্স বাংলাদেশ এবং ইংরেজি ভাষা চর্চার অনলাইন প্ল্যাটফর্ম সার্চ ইংলিশ, এই ই-বুকের যাবতীয় কাজ করেছে।

ই-ক্যাবের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট এবং সার্চ ইংলিশ এর প্রতিষ্ঠাতা রাজিব আহমেদ বইটি উন্মোচন করেন। অনুষ্ঠানে রাজিব আহমেদ বলেন, ‘আমাদের দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে এমন একটি বইয়ের খুবই প্রয়োজন ছিল। অর্গানিক ফসল ও সবজি খুবই দরকারি একটি ব্যাপার। প্রায়শই পত্র-পত্রিকায় আমরা খবর দেখতে পাই যে, দৈনন্দিন খাদ্যে ভেজাল, ফলমূল এবং শাকসবজিতে উচ্চমাত্রার রাসায়নিক সারসহ নানা ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা হচ্ছে যা মানবদেহের জন্যে খুবই ক্ষতিকারক। এ সমস্যা থেকে বের হতে হলে অর্গানিক উপায় উৎপাদিত ফসল, শাকসবজির ওপর জোর দিতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘এই ই-বুকটি রচনা করার ব্যাপারে সার্চ ইংলিশের সদস্যরা নিরলসভাবে কাজ করেছে।’

মাই অর্গানিক বিডির প্রতিষ্ঠাতা সিইও শরীফুল আলম পাভেল বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, আমাদের কৃষিখাত বর্তমানে রাসায়নিক ব্যবহারে খুবই নির্ভরশীল। ফসল উৎপাদনের জন্য জমিতে রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হচ্ছে, একই সঙ্গে উৎপাদিত শাকসবজি, ফলমূল রক্ষণাবেক্ষণ ও প্রক্রিয়াকরণের বিভিন্ন পর্যায়ে ব্যাপক হারে রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহৃত হচ্ছে, যা শুধু মানবদেহের জন্যেই ক্ষতিকর নয় বরং পরিবেশের জন্যেও ক্ষতিকর। আর এজন্যেই আমরা অর্গানিক পণ্য নিয়ে কাজ শুরু করেছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘অর্গানিক পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে রাসায়নিক সার বা কোনো রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা হয় না। কিন্তু অর্গানিক পণ্য নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা কম এবং অর্গানিক পণ্য সম্পর্কে তথ্যের অনেক অভাব রয়েছে। তাই আমরা এই ই-বুকটি প্রকাশ করেছি।’

‘অর্গানিক ফুড অ্যান্ড স্টাফ: ইন পার্সপেক্টিভ অব বাংলাদেশ’ ই-বুক ডাউনলোড করতে ভিজিট: http://myorganicbd.com/ebook



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৪ ডিসেম্বর ২০১৭/ফিরোজ

The history of 25 dec

বড়দিনের পেছনের গল্প

মোখলেছুর রহমান : রাইজিংবিডি ডট কম
     
প্রকাশ: ২০১৭-১২-২৫ ১১:৩০:৫২ এএম     ||     আপডেট: ২০১৭-১২-২৬ ৩:০০:২২ পিএম
প্রতীকী ছবি
মোখলেছুর রহমান : আজ ২৫ ডিসেম্বর, খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের খুবই তাৎপর্যপূর্ণ দিন। বিশ্বজুড়ে এই দিনটি পালিত হয় বড়দিন বা ক্রিসমাস হিসেবে। খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীরা দিনটিকে যিশু খ্রিষ্টের জন্মদিন হিসেবে পালন করে থাকেন।

কিন্তু কবে সৃত্রপাত হলো এই বড়দিনের? কেনইবা ২৫ ডিসেম্বরই এই দিনটি পালন করা হয়? চলুন জেনে নেওয়া যাক।

ক্রিসমাস মানেই অনেক অনেক উপহার এবং পরিবার-পরিজন নিয়ে অনেক বেশি আনন্দ কিন্তু এর প্রাচীনতম গল্পও রয়েছে।

অনেকেই দিনটির প্রথাগত কাহিনি নিয়ে এসেছেন, এর মধ্যে আপনি একটি জানেন যে, ক্রিসমাসের দিনে যিশু একটি গোয়ালঘরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, মেষপালক এবং তিনজন জ্ঞানী মানুষ তাকে পরিদর্শনের আগে। ক্রিসমাস বলতে সারা বিশ্বে এই দৃশ্যগুলোই প্রতীয়মান হয়। কিন্তু সত্যিকার অর্থেই ওইদিন কি ঘটেছিল? ক্রিসমাসের এই প্রচলিত কাহিনিটি কি আদৌ সত্য?

বিশেষজ্ঞরা, এমনকি গসপেল অব মেথু এবং বাইবেলের মধ্যে লুক কিন্তু ভিন্ন গল্পের দিকেই ইঙ্গিত করে।

এই গল্পের উৎপত্তি কোথায়?
ক্রিসমাসের অনেক গল্পই বাইবেলের মধ্যে রয়েছে। গসপেল অব মেথুতে তিন জ্ঞানী ব্যক্তি এবং বেথলেহেম তারকা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে, অন্যদিকে গসপেল অব লুকে ‍শিশু যিশুকে গোয়ালঘরে মেষপালকদের পরিদর্শনের কথা বলা হয়েছে, কারণ সেসময় সকল সরাইখানা পূর্ণ ছিল।

আমরা সকলেই এই কাহিনি জানি যে, একদিন এক স্বর্গদূতের কাছ থেকে মেরি জানতে পারেন, মানুষের মুক্তির পথ দেখাতে তার গর্ভে আসছেন ঈশ্বরের পুত্র। এর অল্প কিছুদিন পরেই একটি আদমশুমারির ঘোষণা দেয়া হয়। রাজা হেরোদ চাচ্ছিলেন প্রত্যেকেই তাদের নিজ গ্রাম পরিভ্রমণ করুক যেন গণনা করতে সুবিধা হয়। যোসেফ তার বাগদত্তা মেরিকে নিয়ে তখন বেথেলহেমে রওনা দেন। যখন তারা শহরে পৌঁছায় তখন তাদের থাকার মতো কোনো খালি জায়গা ছিল না। এক গৃহপালক মেরির প্রতি মমতা অনুভব করেন এবং মরিয়মকে সন্তান জন্ম দেয়ার মতো একটি গোয়ালঘরের ব্যবস্থা করে দেন।

এই গল্পের ঐতিহ্যবাহী চিত্রটি হল মেষপালক, গরু, গাধা এবং তিনজন জ্ঞানী পুরুষ ঘিরে থাকা শিশু যিশু। কিন্তু পোপ বেনেডিক্ট ষষ্ঠ দাবি করেন যে, এই ছবিতে সামান্যই সত্য আছে। তার মতে, অন্ততপক্ষে প্রাণীগুলো সেখানে ছিল না। গরু এবং গাধার উপস্থিতির বিষয়টি আসে শুরুর দিকের খ্রিস্টানদের মন্তব্য থেকে যে, এমনকি পশুরাও ঈশ্বরের পুত্রকে স্বীকার করে নিয়েছিল।

কখন তারকা দেখা গিয়েছিল?
ম্যাথুতে বলা হয়েছে, জ্ঞানী লোকরা একটি উজ্জ্বল আলো দেখেছিল এবং সেটিকে অনুসরণ করেই যিশুকে খুঁজে পেয়েছিল। একটি তত্ত্বমতে, সেটি ছিল একটি নোভা বা একটি সাদা বামন তারকার বিস্ফোরণ, যা পঞ্চম খ্রিষ্টপূর্বে চীনা জ্যোতিষীদের দ্বারা আবিষ্কার করা হয়েছিল।

অন্য আরেকটি তত্ত্বমতে, সেটি ছিল বৃহস্পতি গ্রহ, যা তৃতীয় খ্রিষ্টপূর্বে সেপ্টেম্বর থেকে পরবর্তী মে মাস পর্যন্ত পশ্চিম আকাশে যেতে দেখা গিয়েছিল।

লস অ্যাঞ্জেলসের গ্রিফিথ অবজারভেটরির জ্যোতির্বিজ্ঞানী জন মোসলের তত্ত্বমতে, তারকারটি ছিল আসলে বৃহস্পতি গ্রহ এবং শুক্র গ্রহ গ্রহণকারী। এটি দ্বিতীয় খ্রিষ্ট পূর্বের ১৭ জুন অনুষ্ঠিত হয়। তিনি বলেন, পারস্যে থেকে দেখা গিয়েছিল যে, জেরুসালেমের দিক থেকে দুইটি গ্রহ একক চিত্তাকর্ষক বস্তুর মধ্যে মিলিত হচ্ছে।

তিনজন জ্ঞানী ব্যক্তি কারা ছিলেন?
ম্যাথু এর মতে, তারা পূর্ব দিক থেকে এসেছিলেন। তিনি তাদেরকে ‘মাগি’ (জ্ঞানী ব্যক্তি) বলে অভিহিত করেন, যা হল একটি শব্দ যা জোরেস্টেরিয়ানিজমের যাজকত্বের বর্ণনায় ব্যবহৃত হয়। এটি একটি একেশ্বরবাদী পারস্য ধর্ম যা নক্ষত্রগুলোর মধ্যে নির্দেশনা খোঁজে। ধারণা করা হয়, তারা তিনজন ছিলেন এবং অনেক পরে তাদেরকে রাজা হিসেবে নিশ্চিত করা হয়। যখন চিহ্নিত করা হয় যে, তারা ছিলেন বালতেজার, মেলকিওর এবং ক্যাসপার- যথাক্রমে আরব, পারস্য এবং ভারতের রাজা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ঘটনা কাহিনিতে যুক্ত হয়েছে বোঝানোর জন্য যে, খ্রিস্টধর্মালম্বীরা ঈশ্বরের সৃষ্ট সকল মানুষের দ্বারা স্বীকৃতি পেয়েছে। প্রকৃতপক্ষে একটি অস্টম শতাব্দীতে লেখা হয়েছে, যা মাগির ঘটনাগুলোর নিজস্ব সংস্করণ বলে দাবি করা হয়। এক ডজনেরও বেশি ধর্মীয় পরিভ্রমণের কাহিনি রয়েছে।

তারা কি সঙ্গে সঙ্গে পরিদর্শন করেছিল?
না। বাইবেলে উল্লেখ আছে, যখন তারা সেখানে পৌঁছায়, তখন তিনি (যিশু) ছিলেন একজন ‘পরিণত শিশু’। অনেকের মতে, ততদিনে সম্ভব অন্তত একটি বছর কেটে গিয়েছিল। এজন্যই খ্রিস্টানরা যিশুর জন্ম উৎসব দিনটিকে ছাড়াও জানুয়ারির ৬ তারিখকে আলাদাভাবে ‘এপিফানি’ দিবস অর্থাৎ জ্ঞানী ব্যক্তির আগমন দিন হিসেবে উদযাপন করে থাকে।

যিশু আসলে কোথায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন?
বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞদের মতে, তিনি বেথেলহেমে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
গসপাল অব লুকে, স্থানটিকে গোয়ালঘর হিসেবে বর্ননা করা হয়েছে, কারণ বেথেলেহেমের যে ‘সরাইখানায়’ তারা যেখানে অবস্থান করছিল সেখানে থাকার মতো কোনো স্থান ছিল না।। কিন্তু ‘সরাইখানা’ শব্দটি বিভ্রান্তিকর, প্রকৃতপক্ষে এটি ‘অতিরক্ত রুম’ এর গ্রিক শব্দ।

যখন আপনি মনে করেন যে, বেশিরভাগ মানুষের বাড়িতেই প্রাণী ছিল, কোনো আলাদা ভবনে না, তখন এটা অসম্ভাব্য যে, যিশু গোয়ালঘরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।

যিশু সম্ভবত তাদেরকে আশ্রয় দেয়া ওই দরিদ্র বাড়ির বাসকারীর প্রধান কক্ষেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন।

কখন যিশু খ্রিস্ট জন্মগ্রহণ করেছিলেন?
এটি ২০১৭ বছর আগের ঘটনা নয় বা ২৫ ডিসেম্বরেও জন্মগ্রহণ করেননি। ম্যাথুর মতে, রাজা হেরোদ এর রাজত্বের চূড়ান্ত বছরে যিশু জন্মগ্রহণ করেন। রাজা হেরোদ চতুর্থ খ্রিস্টপূর্বে মারা যান। যিশু সম্ভবত তার দুই বছর আগেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন। অর্থাৎ তিনি পঞ্চম বা ষষ্ট খ্রিস্টপূর্বে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।

২৫ ডিসেম্বরকে কেন বড়দিন হিসেবে নির্বাচিত করা হয়?
রোমান ক্যাথলিক চার্চ চতুর্থ শতাব্দীতে তারিখটি বেছে নিয়েছিল। কারণ এটি ইতিমধ্যেই একটি পৌত্তলিক উৎসব দিন ছিল। যিশুর জন্মের প্রকৃত তারিখ জানার জন্য আমাদেরকে বেথেলহেমের তারকা কখন আবির্ভূত হয়েছিল তা জানতে হবে।

তথ্যসূত্র: ডেইলি মিরর



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৫ ডিসেম্বর ২০১৭/ফিরোজ

1st air plane - land and water base

http://www.risingbd.com/videos/%E0%A6%9A%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A4%E0%A7%88%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%8F%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A7%AC%E0%A7%A6%E0%A7%A6-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%AC%E0%A7%83%E0%A6%B9%E0%A7%8E-%E0%A6%89%E0%A6%AD%E0%A6%9A%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%8F%E0%A6%87-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A5%E0%A6%AE-%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%AC%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A7%A7-%E0%A6%98%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%89%E0%A6%A1%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A7%9F%E0%A6%A8-%E0%A6%B8%E0%A6%AB%E0%A6%B2%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A7%87%E0%A5%A4/41

Monday, 25 December 2017

iron in stomac -100 pcs

পাকস্থলীতে একশর বেশি লোহা

এস এম গল্প ইকবাল : রাইজিংবিডি ডট কম
     
প্রকাশ: ২০১৭-১২-২৫ ৮:১৭:২৩ এএম     ||     আপডেট: ২০১৭-১২-২৫ ১০:৪৬:০৬ এএম
প্রতীকী ছবি
এস এম গল্প ইকবাল: বছরজুড়ে কত ঘটনাই না ঘটে। অনেক ঘটনা এতটাই আমাদের অবাক করে যে, সেগুলো অনেকদিন মনে থাকে। বিশেষ করে সেগুলো যদি মেডিকেল সায়েন্স বিষয়ক তাহলে তো কথাই নেই। যেমন নারীর শরীর থেকে ঝরছে রক্তঘাম, পুরুষের মূত্রথলিতে দেখা গেছে বিশাল আকৃতির পাথর। এমন আরো কয়েকটি অদ্ভুত ঘটনা ২০১৭ সালে শিরোনাম হয়েছে। এগুলো চিকিৎসকদের বিরল রোগ সম্পর্কে জানতে কিংবা প্রচলিত রোগের অস্বাভাবিক লক্ষণসমূহ নির্ধারণ করতে সাহায্য করেছে। এসব ঘটনা চিকিৎসা পদ্ধতির সম্ভাব্য ক্ষতিকারক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কেও আমাদের সজাগ করেছে। ২০১৭ সালের অদ্ভুত কিছু ঘটনা নিয়ে এ প্রতিবেদনের পড়ুন প্রথম পর্ব।

ফ্রান্সের ৫২ বছর বয়স্ক একজন পুরুষের পাকস্থলীতে ১০০টিরও বেশি লোহা পাওয়া গেছে। এর মধ্যে রয়েছে পেরেক, ছুরি, স্ক্রু ড্রাইভারের মাথা, লোহার তার, কাঁটাচামচ এবং কিছু কয়েন। লোকটি পাঁচ বছর বিভিন্ন উপসর্গ (যেমন- পেটব্যথা, বমিবমি ভাব এবং রক্তবমি) নিয়ে পাঁচবার ইমার্জেন্সি রুমে গিয়েছিল। এসব লোহা অপসারণ করতে ডাক্তারদের প্রতিবারই অপারেশন করতে হয়েছে।



পুঞ্জীভূত লোহার স্তূপ এত বড় ছিল যে, লোকটির পাকস্থলী খালি হতো না কখনও। লোকটির মধ্যে সাইকোসিস নির্ণীত হয়েছে। সাইকোসিস একটি মানসিক রোগ। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি বাস্তবতা বুঝতে পারে না। পাকস্থলীতে ১০০টিরও বেশি মেটাল পাওয়া লোকটির সার্জারি শেষে তাকে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারীদের কাছে রেফার করা হয়। এ ঘটনাটি ২০১৭ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর বিএমজে কেস রিপোর্টস জার্নালে প্রকাশিত হয়।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৫ ডিসেম্বর ২০১৭/ফিরোজ/তারা

top 10 hollywood

হলিউডের সেরা ১০

মারুফ খান : রাইজিংবিডি ডট কম
     
প্রকাশ: ২০১৭-১২-২৬ ৮:২৩:০৫ এএম     ||     আপডেট: ২০১৭-১২-২৬ ৮:২৪:১৫ এএম

বিনোদন ডেস্ক : প্রতি বছরের ন্যায় এবারো হলিউডে মুক্তি পেয়েছে ধামাকাদার কিছু সিনেমা। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ব্যবসা করে কিছু সিনেমা যেমন সবাইকে তাক লাগিয়েছে। অন্যদিকে বছরের বহুল প্রতীক্ষিত কিছু সিনেমার পেছনে লেগেছে ব্যর্থতার তকমা। চলুন জেনে নিই চলতি বছরে মুক্তিপ্রাপ্ত হলিউডের ১০টি ব্যবসাসফল সিনেমার নাম।

১. বিউটি অ্যান্ড দ্য বিস্ট : বিল কনডন পরিচালিত সিনেমা ‘বিউটি অ্যান্ড দ্য বিস্ট’। এক জাদুকরীর ছলনায় পড়ে রাজপুত্রের পশু হয়ে যাওয়া, সেই পশুর রাজপ্রাসাদে বেলে নামের এক মেয়ের বাবার আটকা পড়া, তাকে ছাড়িয়ে আনতে সেই রাজপ্রাসাদে পশুটির সঙ্গে বেলের অবস্থান, তারপর একসময় বাড়িতে নিজের বাবাকে এক অনাকাঙ্খিত বিপদের হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে পশুটির প্রতি জন্ম নেওয়া ভালোবাসার অনুভব, অবশেষে ভালোবাসার মধ্য দিয়ে পশুটিকে পুনরায় মানুষে পরিণত করা। এক অনন্য ভালোবাসার গল্প নিয়ে নির্মিত সিনেমাটি। চলতি বছর ব্যবসাসফল হলিউড সিনেমার তালিকায় শীর্ষে রয়েছে এটি। ড্যান স্টেভেন ও এমা ওয়াটসন অভিনীত মিউজিক্যাল রোমান্টিক ফ্যান্টাসি ঘরানার সিনেমাটি আয় করেছে ১.২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

২. দ্য ফেট অব দ্য ফিউরিয়াস : হলিউডের জনপ্রিয় সিনেমা সিরিজ ‘ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস’। এর অষ্টম কিস্তি ‘দ্য ফেট অব দ্য ফিউরিয়াস’। এটি পরিচালনা করেছেন এফ গ্যারি গ্রে। সিনেমাটিতে আগের মতোই রয়েছেন ভিন ডিজেল, ডোয়াইন জনসন, জ্যাসন স্ট্যাথাম। নতুন করে এবার তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন শার্লিজ থেরন। মূল খলচরিত্রে অভিনয় করেছেন অস্কারজয়ী এ অভিনেত্রী। এবারই প্রথম খলচরিত্রে অভিনয় করেছেন শার্লিজ থেরন। এ সিনেমাটি আয় করেছে ১.২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

৩. ডেসপিকেবল মি-থ্রি : জনপ্রিয় এই অ্যানিমেশন সিনেমাটি আয় করেছে ১.০৩ বিলিয়ন। মিনিয়ন বাহিনী ও তাদের বস গ্রু’র নানা মজার ঘটনা নিয়ে নির্মিত সিনেমার গল্প। তৃতীয় কিস্তিতে দেখা যায় অ্যান্টি ভিলেন লিগের সদস্য গ্রু। সঙ্গীনি লুসিকে নিয়ে হীরে চোর ব্র্যাটকে ধরার মিশনে ঝাপিয়ে পড়ে। ব্র্যাট এক সময়ে শিশুদের প্রিয় তারকা। পরবর্তীতে খলনায়কে পরিণত হয়। কিন্তু ব্র্যাটকে ধরতে না পারায় চাকরি হারায় গ্রু ও লুসি। এ সিনেমায় গ্রু ফিরে পায় তার হারানো ভাইকে।

৪. স্পাইডার-ম্যান হোমকামিং : মার্ভেল কমিকসের সবচেয়ে জনপ্রিয় চরিত্র বা সুপারহিরোর কথা বলতে গেলে, যে নামটি বেশি শোনা যায়- তা হলো স্পাইডার-ম্যান। এবার মুক্তি পেয়েছে ‘স্পাইডার-ম্যান: হোমকামিং’। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন জন ওয়াটস। এবার অ্যান্ড্রু গারফিল্ড নন স্পাইডার-ম্যানের ভূমিকায় ছিলেন ব্রিটিশ অভিনেতা টম হল্যান্ড। এখানেই শেষ নয়, স্পাইডার ম্যানের সঙ্গে হাজির হয়েছিলেন ‘আয়রন-ম্যান’ রবার্ট ডাউনি জুনিয়র। এতে আরো অভিনয় করেছেন-মাইকেল কিটন, ডোনাল্ড গ্লোভারসহ অনেকে। সিনেমাটির আয় ৮৮০.১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

৫. গার্ডিয়ান্স অব দ্য গ্যালাক্সি ভলিউম-টু : জনপ্রিয় সিনেমা ফ্র্যাঞ্চাইজি ‘গার্ডিয়ান অব দ্য গ্যালাক্সি’। চলতি বছর মুক্তি পায় এর দ্বিতীয় কিস্তি। শুরু থেকে বক্স অফিসে ঝড় তোলা এ সিনেমা আয় করেছে ৮৬৩.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এতে অভিনয় করেন বিশ্বখ্যাত তারকা ক্রিস প্র্যাট, জো সালদানা, ডেইভ বাতিস্তা, ব্র্যাডলি কুপার প্রমুখ।

৬. থর : র‌্যাগনারগ : মার্ভেল কমিকসের অন্যতম সাড়া জাগানো ফ্র্যাঞ্চাইজি ‘থর’। এ বছর মুক্তি পায় এ ফ্র্যাঞ্চাইজির সিনেমা ‘থর : র‌্যাগনারক’। ক্রিস হেমসওয়েথ, টম হিডেলটন, ক্লেট ব্লানচেট, ইদ্রিস এলবা অভিনীত সিনেমাটি আয় করেছে ৮৪১.৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

৭. ওয়ান্ডার ওম্যান : ওয়ার্নার ব্রাদার্সের সিনেমা ‘ওয়ান্ডার ওম্যান’। প্যাটি জেনকিন্সের পরিচালনায় এ সিনেমার মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন গ্যাল গ্যাডট। স্টিভ ট্রেভরের চরিত্রে দেখা গেছে ‘স্টার ট্রেক’খ্যাত অভিনেতা ক্রিস পাইনকে। রয়েছেন রবিন রাইট, ড্যানি হাস্টনসহ আরো অনেকে। মার্কিনি এক বৈমানিক স্টিভ ট্রেভরকে মৃত্যুর হাত থেকে উদ্ধার করে আমাজনের রাজকন্যা ডায়ানা। স্টিভের কাছ থেকেই সে জানতে পারে- বাস্তবের দুনিয়া আক্রান্ত হয়েছে বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতায়। নারীদের রাজত্ব আমাজন থেকে বের হয়ে ডায়ানা তাই সিদ্ধান্ত নেয় পুরুষতান্ত্রিক পৃথিবীকে বাঁচানোর। যেখানে পদে পদে পুরুষের সঙ্গে লড়েই নিজের অতিমানবীয় শক্তির জানান দিতে হয় তাকে। ওয়ান্ডার ওম্যান’র আয় ৮২১.৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

৮. পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান : ডেডম্যান টেল নো টেলস : এ সিনেমার আয় ৭৯৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এটি পরিচালনা করেছেন জোয়াকিম রনিং এবং এসপেন স্যান্ডবার্গ। এ সিনেমাতেও ক্যাপ্টেন জ্যাক স্প্যারো চরিত্রে অভিনয় করেছেন জনি ডেপ। তার সঙ্গে অরলান্ডো ব্লুম। জ্যাক স্প্যারোর প্রধান শত্রুর ভূমিকায় অস্কারজয়ী অভিনেতা হাবিয়ার বার্দেম। এছাড়া আছেন জিওফ্রে রাশ, কেভিন ম্যাকনালি, ব্রেনটন থোয়াইটস, কায়া স্কডেলোরিওর মতো তারকারা।

৯. ইট : বিখ্যাত হরর লেখক স্টিফেন কিংয়ের উপন্যাস ‘ইট’ অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি। এটি প্রথম দিনেই ৫ কোটি ১ লাখ মার্কিন ডলার ঘরে তুলে সাড়া ফেলে। এর আগে ভৌতিক সিনেমার সেরা আয়ের রেকর্ডটা দখলে ছিল ‘দ্য কনজ্যুরিং’-এর। জেমস ওয়ান পরিচালিত ২০১৩-এর সাড়া জাগানো হরর সিনেমাটি মুক্তির প্রথম দিনে আয় করেছিল ৪ কোটি ১ লাখ। আন্দ্রেজ মুশিয়েত্তি পরিচালিত এ ছবিতে প্রধান চরিত্র পেনিওয়াইজের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন বিল স্কারসগার্দ। আরো আছেন জেডেন লিবেহা, জেরেমি রে টেইলর, সোফিয়া লিলিস, ফিন ওলফহার্ডসহ অনেকে। সিনেমাটির আয় ৬৯৭.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

১০. জাস্টিস লিগ : ডিসি কমিকসের সেরা সুপারহিরোদের নিয়ে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি। বক্স অফিসে এর আয়  ৬৩৫.৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এটি পরিচালনা করেছেন জ্যাক স্নাইডার। সিনেমায় দেখা যায়- ভয়বহ ধ্বংসের হাত থেকে পৃথিবীকে বাঁচাতে একত্রিত হন ব্যাটম্যান, সুপারম্যান, ওয়ান্ডার ওম্যান, দ্য ফ্ল্যাশ, সাইবর্গ, অ্যাকুয়াম্যানরা। নানা প্রতিকূলতার পর তাদের মিশনে সফল হন তারা।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৬ ডিসেম্বর ২০১৭/মারুফ/শান্ত    

wild life and familly

পশুদের নিয়েই তাদের সংসার

আমিনুর রহমান হৃদয় : রাইজিংবিডি ডট কম
     
প্রকাশ: ২০১৭-১২-২৬ ৮:১৭:০১ এএম     ||     আপডেট: ২০১৭-১২-২৬ ৮:১৭:৩৮ এএম

আমিনুর রহমান হৃদয়: সার্কাসের শিল্পীরা নানা ধরনের শারীরিক কসরত দেখিয়ে যতটা মুগ্ধ করেন দর্শকদের, তাদের দলে থাকা পশুরাও খেলা দেখিয়ে কম আনন্দ দেয় না। ছোট থেকে বড়- সবাই খেলা দেখে মুগ্ধ হয়। বলা যায় সার্কাসের এই পশুগুলো অন্য এক মাত্রা যোগ করে।

চারপায়ী একটি ভালুক যখন দুই পা দিয়ে মানুষের মতো হেঁটে হেঁটে খেলা দেখায় তখন দর্শক সারিতে হাততালি যেন থামতেই চায় না। চিড়িয়াখানায় গিয়ে ভালুকের দেখা পেলেও তারা কিন্তু দুই পা দিয়ে মানুষের মতো হেঁটে খেলা দেখায় না। অথচ সার্কাসে এই দৃশ্য খুবই স্বাভাবিক। শুধু কি ভালুকের খেলা সেখানে দেখানো হয়? না। বিলেতি কুকুর, বানর, হাতি এমনকি এক সময় বাঘও সার্কাসে খেলা দেখাত। যদিও শেষের এই পশুকে এখন আর দেখা যায় না। সুন্দরবনেও যে বাঘ বিলুপ্তপ্রায়!

সার্কাসে পশুদের খেলা দেখানোর আগে রীতিমত প্রশিক্ষণ দিতে হয়। এখানে কাজটি করেন মোহাম্মদ রিপন (৪৪)। দ্য গ্রেট রওশন সার্কাসে পশুদের নিয়ে খেলা দেখান তিনি। সম্প্রতি ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ ওরস মেলায় কথা হয় তার সঙ্গে।



রিপনের বাড়ি কুষ্টিয়ার মেহেরপুর। যখন ৭ বছর বয়স তখন থেকেই মামা রহিম বাদশাহর কাছে পশুদের পোষ মানিয়ে খেলা শেখানোর কৌশল শেখেন। ৩৬ বছর ধরে এই কাজ করছেন। রিপন বলেন, ‘বর্তমানে যে ভালুক দুই পায়ে মানুষের মতো হেঁটে খেলা দেখায় এটি ৬ মাস বয়সে আনা হয়েছিল। ধীরে ধীরে পোষ মানিয়ে তারপর খেলা শিখিয়েছি। এটাই নিয়ম। এখন ভালুকটির বয়স ১০ বছর।’

পোষ মানাতে গিয়ে কখনো দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়েছিলেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ওরা এখন আমাকে ছাড়া কাউকে চেনে না। আমি ওদের খাবার দেই। মঞ্চে নিয়ে গিয়ে খেলা দেখাই। আল্লাহর রহমতে কখনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। তবে প্রথম দিকে যখন ভালুকটিকে আনা হয়, তখন রহিম মামার পায়ে কামড় দিয়ে মাংস উঠিয়ে নিয়েছিল। কিন্তু আমাকে ওরা ভালোবাসে। সত্যি বলতে ওদের নিয়েই আছি। আমিও ওদের ভালোবাসি। ওদের নিয়েই আমার সংসার।’

৪৪ বছর বয়সেও বিয়ে করেননি রিপন। কেন করেননি প্রশ্ন করতেই লাজুক হাসি দিয়ে নিশ্চুপ হয়ে গেলেন। তারপর একটি বানরের দিকে এগিয়ে গিয়ে প্রশিক্ষণ দিতে লাগলেন। সার্কাসে বানরটি সাইকেল চালায়। একটি বিলেতি কুকুর আছে। কুকুরটি ড্রাম নিয়ে খেলা দেখায়। রিংয়ের মধ্যে দিয়ে লাফ দেয়। হাতি তিন পায়ে হাঁটে, আবার কখনো ফুটবল খেলে, কখনো কখনো মুক্তিযুদ্ধে বাঙালিরা কীভাবে যুদ্ধ করেছিল অভিনয় করে দেখায়। এই হাতির মালিক ও প্রশিক্ষক মোহাম্মদ আলাউদ্দিন। তিনি জানালেন, গত ৮ বছর ধরে দুটি হাতির দেখভাল করছেন এবং পোষ মানিয়ে সার্কাসে খেলা দেখাচ্ছেন। এ জন্য সার্কাসের মালিক দিনপ্রতি তাকে ২৫০০ টাকা দেয়। কিন্তু যখন সার্কাস বন্ধ থাকে তখন তাদের কষ্টের সীমা থাকে না।



হাতি গম, ভুষি ও কলাগাছ খায় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘হাতি প্রচুর খায়! সার্কাস বন্ধ থাকলে সাহায্য তুলে এবং হাতির পিঠে মানুষ চড়িয়ে টাকা আয় করে হাতির খাবার কিনি। তখন এমন অবস্থা হয় যে, হাতির খাবার কিনতেই টাকা শেষ হয়ে যায়। নিজের খাবার কেনার আর টাকা থাকে না।’

এখন পর্যন্ত খেলা দেখানোর সময় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি বলে তিনি জানান।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৬ ডিসেম্বর ২০১৭/ফিরোজ/তারা

we lost in 2017 and many more

বছরের হারিয়ে যাওয়া তারা

রাহাত সাইফুল : রাইজিংবিডি ডট কম
     
প্রকাশ: ২০১৭-১২-২৬ ৮:৪০:৪৭ এএম     ||     আপডেট: ২০১৭-১২-২৬ ৮:৫০:৫৫ এএম

রাহাত সাইফুল : দেখতে দেখতে কেটে গেল আরেকটি বছর। বছরজুড়ে বিনোদন জগতে নতুনদের যেমন আগমন ঘটেছে তেমনি অনেক গুণী চলচ্চিত্রজন চিরবিদায় নিয়েছেন। তাদের অক্লান্ত শ্রম এবং অবদানের ফল আজকের সাংস্কৃতিক অঙ্গন। কিন্তু নিয়তির অমোঘ নিয়মে তারা পাড়ি জমিয়েছেন না-ফেরার দেশে। তাদের মৃত্যুজনিত শূন্যতা কখনো পূরণ হওয়ার নয়। বছরজুড়ে যেসব গুণীজনদের হারিয়েছে সাংস্কৃতিক অঙ্গন তাদের স্মরণে সাজানো হয়েছে বিশেষ এই প্রতিবেদন।

নায়করাজ রাজ্জাক: বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি নায়করাজ রাজ্জাক। দুই বাংলায় তিনি সমান জনপ্রিয়। অসংখ্য জনপ্রিয় সিনেমায় অভিনয় করেছেন। রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চলতি বছরের ২১ আগস্ট শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এ ঘটনায় চলচ্চিত্রপাড়ায় শোকের ছায়া নেমে আসে। কয়েক দফা জানাজা শেষে ২৩ আগস্ট দুপুরে তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।

আবদুল জব্বার: বাংলা গানের কিংবদন্তি, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠশিল্পী ও মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জব্বার। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কিডনি, হার্ট, প্রস্টেটসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩০ আগস্ট মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। পরদিন ৩১ আগস্ট বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হন আব্দুল জব্বার।

লাকী আখন্দ: বাংলাদেশের কিংবদন্তি সংগীত পরিচালক, সুরকার, কণ্ঠশিল্পী লাকী আখন্দ। গত ২১ এপ্রিল সন্ধ্যায় তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে মিটফোর্ড হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক এই শিল্পীকে মৃত ঘোষণা করেন। ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন এই মুক্তিযোদ্ধা ও সংগীতশিল্পী। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬১ বছর। মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

বারী সিদ্দিকী: উপমহাদেশের প্রখ্যাত সুরকার, গীতিকার, বংশীবাদক ও সংগীতশিল্পী বারী সিদ্দিকী। রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চলতি বছরের ২৪ নভেম্বর না-ফেরার দেশে চলে যান। তার দুটি কিডনি অকার্যকর ছিল। তিনি বহুমূত্র রোগে ভুগছিলেন। পরদিন বারি সিদ্দিকীর ‘বাউল বাড়ি’ নেত্রকোনার চল্লিশা গ্রামে তাকে দাফন করা হয়।

মিজু আহমেদ: ঢাকাই চলচ্চিত্রের শক্তিমান অভিনেতা মিজু আহমেদ। দাপটের সঙ্গে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। চলতি বছরের ২৭ মার্চ ইলিয়াস ভূঁইয়ার পরিচালনায় ‘মানুষ কেন অমানুষ’ সিনেমার শুটিং করতে দিনাজপুর যাচ্ছিলেন। যাত্রা পথে ট্রেনে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান চলচ্চিত্রের এই গুণী অভিনেতা। কয়েক দফা জানাজা শেষে পরদিন তার মরদেহ কুষ্টিয়া জেলার কোটপাড়ায় নিজ গ্রামে দাফন করা হয়।

নাজমুল হুদা বাচ্চু: চলচ্চিত্র ও নাটকের প্রবীণ অভিনেতা নাজমুল হুদা বাচ্চু। চলতি বছরের ঈদের দুদিন আগে শুটিং থেকে ফিরে জ্বরে আক্রান্ত হন। রক্তচাপ অনেক কমে যাওয়ায় ঈদের দিন দুপুরে তাকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মেডিকেল পরীক্ষার পর তার হৃদযন্ত্রে সমস্যা ধরা পড়ে। গত ২৮ জুন ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

আবদুর রাতিন: মঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রের গুণী অভিনেতা আবদুর রাতিন। চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। পরে লিভার ও কিডনিজনিত জটিলতা ধরা পড়ে। অবশেষে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে চলতি বছরের ১৮ জুলাই না-ফেরার দেশে চলে যান তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। নারিন্দার বিনোদ বিবি মসজিদে নামাজে জানাজা শেষে স্বামীবাগে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৬ ডিসেম্বর ২০১৭/রাহাত/তারা

WEDDING DRESS G BOOK RECORD INFO FRENCH

বিয়ের পোশাকে ঢেকে যাবে মাউন্ট এভারেস্ট

রাশিদা নূর : রাইজিংবিডি ডট কম
     
প্রকাশ: ২০১৭-১২-২৪ ৭:৫৩:১৯ এএম     ||     আপডেট: ২০১৭-১২-২৪ ১১:৩৭:২৪ এএম

রাশিদা নূর: পোশাক নাকি রেলগাড়ি! শুরুটা দেখা গেলেও শেষটা খুঁজে পাওয়া মুশকিল। অনেকে ভাবছেন এ আবার কেমন পোশাক? হ্যাঁ, এটি অন্যান্য পোশাকের মতো দেখতে হলেও লম্বায় রাত-দিন তফাৎ। অর্থাৎ পোশাকটির দৈর্ঘ্য আট কিলোমিটারেরও অধিক। সত্যি অবাক করা কাণ্ড। নিজের বিয়ে স্মরণীয় করে রাখতে ফ্রান্সের এক তরুণী এই অভিনব পোশাক বেছে নিয়েছেন। বলা যায়, এতে তিনি সফল। কেননা পোশাকটি ইতিমধ্যে বিশ্ব রেকর্ড গড়ে নাম উঠিয়েছে গিনেস বুকের পাতায়।

ফরাসি কনস্ট্রাকশন কোম্পানি ডায়নামিক প্রজেক্ট তৈরি করেছে এই গাউন। সাধারণত নারীদের গাউন তৈরি করতে ৫ থেকে ১০ মিটার কাপড় যথেষ্ট। খুব বেশি হলে ২০ মিটার। সেখানে বিয়ের জন্য এই স্পেশাল সাদা গাউন তৈরি করা হয়েছে ৮ হাজার ৯৫ মিটার কাপড় দিয়ে। ১৫ জন কারিগর পোশাকের বিভিন্ন অংশ তৈরি করেছেন। তারপর সেগুলো জোড়া দেয়া হয়েছে। গিনেস বুক বলছে, বিয়ের এই পোশাক দিয়ে মাউন্ট এভারেস্ট ঢেকে ফেলা যাবে।

নির্মাণকারী সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আপাতত সর্ব সাধারণের জন্য পোশাকটি রাখা হয়েছে ফ্রান্সের কড্রিতে। পরে প্রত্যেকটি অংশ কেটে বিক্রি করা হবে। বিক্রয়কৃত অর্থ ব্যয় হয়ে সমাজসেবায়। ঠিক ১১ বছর আগে এই কোম্পানি বিশ্বের দীর্ঘতম আরেকটি পোশাকটি বানিয়েছিল। যার দৈর্ঘ্য ছিল ২ হাজার ৩ দশমিক ৯০ মিটার। এবার নতুন পোশাক বানিয়ে তারা নিজেরাই ভাঙল নিজেদের রেকর্ড।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৪ ডিসেম্বর ২০১৭/মারুফ/তারা

a village sold 1.36 crore euro in germany

১ কোটি ৩৬ লাখে গ্রাম বিক্রি

রাশিদা নূর : রাইজিংবিডি ডট কম
     
প্রকাশ: ২০১৭-১২-১৭ ৮:১২:৫৯ এএম     ||     আপডেট: ২০১৭-১২-১৭ ১০:০৭:৪৬ এএম

রাশিদা নূর: জার্মানির রাজধানী বার্লিন থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ছোট্ট একটি গ্রাম অ্যালউইন। জীবিকার তাগিদে গ্রাম ছেড়ে অনত্র চলে গেছেন সিংহভাগ বাসিন্দা। অবশিষ্ট আছে হাতে গোনা ২০জন প্রবীণ। চরম দারিদ্র্যের মধ্যে দিন কাটে তাদের। রোজগার বলতে কিছুই নেই। খেয়ে না খেয়ে কোনোমতে বেঁচে আছে তারা। অনেকের আবার রোগে-শোকে যায়যায় অবস্থা। এমন অবহেলিত গ্রামটি এখন চলে গেছে অন্যের হাতে।

সম্প্রতি নিলামে তোলা হয় অ্যালউইন গ্রামটি। শুরুতে এর দাম উঠেছিল ১ লাখ ২৫ হাজার ইউরো। শেষমেশ ১ লাখ ৪০ হাজার ইউরো দিয়ে গ্রামটি কিনে নিয়েছেন অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যক্তি। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। ২০০০ সালেও এক দফা বিক্রি হয়েছিল ১৬ হাজার বর্গমিটার আয়তনের গ্রামটি। ইউরো চালু হওয়ার আগে জার্মানির মুদ্রা ছিল ডয়েসমার্ক। সে সময় নামমাত্র এক ডয়েসমার্ক দিয়ে এক ব্যক্তির কাছে গ্রামটি বিক্রি করে দেয়া হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানির নেতা হিটলারের তরুণ সেনারা এই গ্রামে প্রশিক্ষণ নিত। এ ছাড়া যুদ্ধবন্দীদেরও সেখানেই রাখা হতো। বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলে এই গ্রাম পূর্ব জার্মানির অংশ হয়।

নব্বইয়ের দশকের শেষ পর্যন্ত কমিউনিস্ট শাসিত সাবেক পূর্ব জার্মানির অন্তর্ভুক্ত ছিল অ্যালউইন। দিনভর কাজ করে পরিবার নিয়ে সুখে-শান্তিতে দিন কাটাত তখনকার গ্রামের বাসিন্দারা। গ্রামের পাশেই ছিল ইটভাটা। যেখানে বহুলোক কাজ করতো। প্রায় রাতেই বিভিন্ন বাড়ি থেকে ভেসে আসত গানের আওয়াজ।

১৯৯০ সালে দুই জার্মানি এক হয়ে যাওয়ার পর অ্যালউইন গ্রামের সুখের সংসারগুলোতে নেমে আসে ঘোরতর অন্ধকার। ধীরে ধীরে মানুষগুলোও চলে যেতে থাকে। হঠাৎ একদিন ইটভাটাও বন্ধ হয়ে যায়। মুহূর্তেই শত শত মানুষের কপালে হাত। কী আর করা! রুটি-রুজির জন্য প্রিয় জন্মস্থান ছেড়ে দূর-দুরান্তে পাড়ি জমাতে থাকে অসংখ্য মানুষ। এভাবে হইচই আর লোকে লোকারণ্য গ্রামটি একদিন হয়ে যায় নীরব-নিস্তব্ধ।


রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৭ ডিসেম্বর ২০১৭/মারুফ/তারা

gorila childish info

গরিলার শিশুসুলভ কাণ্ড (ভিডিও)

মনিরুল হক ফিরোজ : রাইজিংবিডি ডট কম
     
প্রকাশ: ২০১৭-১২-২৫ ৩:৫২:০৬ পিএম     ||     আপডেট: ২০১৭-১২-২৫ ৩:৫২:০৬ পিএম

অন্য দুনিয়া ডেস্ক: ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়েছে, সুরসুরি বা কাতুকুতু দেওয়ার পর একটি শিশু গরিলার হাসির ভিডিও। অনাথ এই গরিলার নাম লুনিংগু। যখন তার বয়স ৮ মাস ছিল, সেসময় শিকারীদের হাতে তার বাবা-মার মৃত্যু হয়। একা হয়ে পড়া এই গরিলাকে অন্যান্য হিংস্র প্রাণীর আক্রমণ থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের গরিলা রক্ষাকারী একটি সংস্থার লোকজন। গরিলাদের শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে পরিচিত ভিরুনগা ন্যাশনাল পার্কে ২০১৬ সালে গরিলাটির ঠাঁই হয়।

পাহাড়ি গরিলা পৃথিবীর বিপন্ন প্রজাতির প্রাণীদের মধ্যে অন্যতম। ধারণা করা হয়, বিশ্বে এদের বর্তমান সংখ্যা মাত্র ৫ হাজার। আফ্রিকায় বিপন্ন প্রজাতির গরিলা রক্ষায় কাজ করছে গ্রেস সেন্টার। প্রতিষ্ঠানটির সাম্প্রতিক একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, শিশু গরিলাটির আনন্দদায়ক সময় কাটানোর অভূতপূর্ব একটি দৃশ্য। লালন-পালনের দায়িত্বে থাকা এক কর্মী বগলের নিচে ও পেটে কাতুকুতু দেওয়ায় গরিলাটি হেসে ওঠে। হাসতে হাসতে বেচারা গড়াগড়ি খায়।

ভিডিওতে জানানো হয়, ‘বাচ্চা গরিলারা খেলতে পছন্দ করে। শিকারীদের কবল থেকে উদ্ধার করা বাচ্চা গরিলাদের গ্রেস সেন্টার পুনর্বাসিত করে। অনেকেই তাদের কেনাবেচা করতে চায়, এ ধরনের কাজ প্রতিরোধে গ্রেস সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এখানে গরিলাদের লালন-পালন করে বড় হলে বনে ছেড়ে দেওয়া হয়। এদের রক্ষা করা প্রয়োজন। অন্যথায় দ্রুত বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীতে পরিণত হবে তারা।’



তথ্যসূত্র : ডেইল মেইল http://www.risingbd.com/fascinating-world-news/250106
 



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৫ ডিসেম্বর ২০১৭/ফিরোজ/তারা

tattu in eye info

চোখের ভেতর ট্যাটু

এস এম গল্প ইকবাল : রাইজিংবিডি ডট কম
     
প্রকাশ: ২০১৭-১২-২৬ ৮:২২:২৩ এএম     ||     আপডেট: ২০১৭-১২-২৬ ৮:২৪:৫৮ এএম

এস এম গল্প ইকবাল: বছরজুড়ে কত ঘটনাই না ঘটে। অনেক ঘটনা এতটাই আমাদের অবাক করে যে, সেগুলো অনেকদিন মনে থাকে। বিশেষ করে সেগুলো যদি মেডিকেল সায়েন্স বিষয়ক হয় তাহলে তো কথাই নেই। ২০১৭ সালের অদ্ভুত কিছু ঘটনা নিয়ে এ প্রতিবেদনের পড়ুন তৃতীয় পর্ব।

ক্যাট গ্যালিঙ্গার নামে ২৪ বছর বয়সি এক মডেল আই বলে ট্যাটু করার পর মারাত্মক সমস্যার সম্মুখীন হন। বিশেষজ্ঞদের মতে, আই বলে ট্যাটু করার এই পদ্ধতি অনিরাপদ। ক্যাট গ্যালিঙ্গারের চোখের সাদা অংশে পার্পল ট্যাটু ইনক ইনজেক্ট করা হয় এবং এ চর্চা ‘স্ক্লেরা ট্যাটুয়িং’ নামে পরিচিত। কিন্তু তিনি এরপর ঝাপসা দৃষ্টি, চোখ ব্যথা, চোখ ফোলা এবং চোখ থেকে পানি ঝরার মতো মারাত্মক উপসর্গের সম্মুখীন হন। গ্যালিঙ্গারের ফেসবুক পোস্ট থেকে জানা যায়, চোখের ব্যথা উপশম করতে তাকে অ্যান্টিবায়োটিক ও স্টেরয়েডসহ কিছু ওষুধ সেবন করতে হয় এবং পরবর্তী সময়ে বাধ্য হয়ে তাকে সার্জারির চাকুর নিচে চোখ রাখতে হয়।

তিনি জানান, সার্জারির পর শেষ পর্যন্ত তার চোখ ভালো হয়ে যায় এবং পূর্বের তুলনায় কম ব্যথা অনুভব করেন। কিন্তু ট্যাটু নিয়ে তারপরও বছরজুড়ে কম আলোচনা হয়নি। এ বছর শেষের দিকে ফ্লোরিডার একজন লোকের অস্বাভাবিক ট্যাটু নিয়ে চিকিৎসকদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়। লোকটিকে অজ্ঞান অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয় এবং তার বুকে ‘জ্ঞান ফিরিয়ে আনবেন না’ লেখা ট্যাটু ছিল।

এরপরই চিকিৎসকরা দুই দলে বিভক্ত হয়ে পড়েন। তারা বুঝতে পারছিলেন না, এ অবস্থায় রোগীর জ্ঞান ফিরিয়ে আনা ঠিক হবে কিনা? একদল মনে করেন, রোগীর অনুমতি ছাড়া কাজটি করা ঠিক হবে না। যেহেতু তার শরীরে এরকম কথা লেখা আছে। অন্য দলের ভাষ্য তাদের অবশ্যই যে কোনো উপায়ে রোগীর সংজ্ঞা ফিরিয়ে আনা উচিত। একজন মেডিকেল নৈতিকতা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের এ সময় রোগীর ট্যাটুকে সম্মান জানাতে উপদেশ দেন। পরবর্তী সময়ে দেখা যায়, লোকটি আসলেই ফ্লোরিডা ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ থেকে অফিসিয়াল ‘জ্ঞান ফিরিয়ে আনবেন না’ অর্ডার নিয়েছিল। খুব দ্রুত তার অবস্থার অবনতি হয় এবং কোনোরকম লাইফ-সাপোর্ট মেথড ছাড়া ইচ্ছানুসারে তিনি মারা যান। দ্য নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে গত ৩০ নভেম্বরে এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিতর্কের ঝড় ওঠে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৬ ডিসেম্বর ২০১৭/ফিরোজ/তারা

Garlic implementing on agro

বোরো বীজের ব্লাস্ট প্রতিষেধক রসুনের রস

মুহাম্মদ নূরুজ্জামান : রাইজিংবিডি ডট কম
     
প্রকাশ: ২০১৭-১২-২৫ ৫:২৯:২৭ পিএম     ||     আপডেট: ২০১৭-১২-২৬ ১০:৩৪:৪২ এএম

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা : বোরো বীজকে ব্লাস্ট মুক্ত করতে এবার আবিষ্কার হলো রসুনের রস।

খুলনার জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার জলমা ইউনিয়নের একজন কৃষি কর্মকর্তা পরীক্ষা-নিরীক্ষায় নিশ্চিত হয়ে কৃষকদের সেভাবে পরামর্শ দিচ্ছেন।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) এগ্রো টেকনোলোজি ডিসিপ্লিনের গবেষণাগারে রসুনের রস ব্লাস্ট প্রতিষেধক বলে প্রমাণিত হয়েছে।

গত বছর মৌসুম শেষে দক্ষিণাঞ্চলের চার জেলায় বোরো খেতে ব্লাস্ট রোগ দেখা দেওয়ায় উৎপাদন ব্যাহতসহ ৭০০ কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হন।

জলমা ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জীবনান্দ রায় এ প্রতিবেদককে জানান, গত বছর ব্লাস্টে বোরো খেত আক্রান্ত হওয়ার পর আতঙ্ক কাটাতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বোরো বীজ শোধন করে বীজতলা তৈরির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। শোধনের উপকরণ হিসেবে রসুনের রসকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রো টেকনোলোজি ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক ড. মতিউল ইসলাম এ প্রতিবেদককে জানান, রসুনের রস ব্লাস্টের প্রতিষেধক। গবেষণাগারে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়া গেছে রসুনের রস ব্লাস্ট নামক বালাই প্রতিষেধক। অন্যান্য ছত্রাকনাশকের তুলনায় এ রস অনন্য।



রাইজিংবিডি/খুলনা/২৫ ডিসেম্বর ২০১৭/মুহাম্মদ নূরুজ্জামান/মুশফিক

6 lane fly over start in Bangladesh

দেশের প্রথম ছয় লেন উড়ালসেতুর উদ্বোধন ৪ জানুয়ারি

সাইফুল আহমেদ : রাইজিংবিডি ডট কম
     
প্রকাশ: ২০১৭-১২-২৫ ৫:৪৯:০১ পিএম     ||     আপডেট: ২০১৭-১২-২৫ ৫:৪৯:০১ পিএম

ডেস্ক রিপোর্ট : ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর মহিপালে দেশের প্রথম ছয় লেন উড়ালসেতুর উদ্বোধন আগামী ৪ জানুয়ারি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই উড়ালসেতু উদ্বোধন করবেন।

সোমবার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের উড়ালসেতুর কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

মন্ত্রী জানান, উড়ালসেতুর নির্মাণকাজ নির্ধারিত সময়ের ছয় মাস আগেই সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, ‘উড়ালসেতু ছয় লেনের হলেও সেতুর নিচের দুই পাশে আরো চার সার্ভিস লেন চালু থাকবে।’

ওবায়দুল কাদের জানান, আগামী বছরের জুন মাস পর্যন্ত প্রকল্পটির মেয়াদ থাকলেও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে এর নির্মাণ কাজ ছয় মাস আগেই শেষ হয়েছে। এই প্রকল্পে মোট ব্যয় হয়েছে ১৮১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।

২০১৫ সালের ১ এপ্রিল প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। মূল উড়ালসেতুর দৈর্ঘ্য ৬৬০ মিটার, প্রস্থ ২৪ দশমিক ৬২ মিটার, সার্ভিস রোডের দৈর্ঘ্য এক হাজার ৩৭০ মিটার, সার্ভিস রোডের প্রস্থ ৭ দশমিক ৫ মিটার, অ্যাপ্রোচ রোডের দৈর্ঘ্য এক হাজার ১৬০ মিটার, ১১টি স্প্যান, ফুটপাতের দৈর্ঘ্য দুই হাজার ২১০ মিটার, পিসি গার্ডার ১৩২টি।

পরিদর্শনকালে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের প্রধান মেজর জেনারেল ছিদ্দিকুর রহমান সরকার, জেলা প্রশাসক মনোজ কুমার রায়, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ফেনী সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

তথ্যসূত্র : বাসস



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৫ জানুয়ারি ২০১৭/সাইফুল

worldwide top info

রযুক্তি দুনিয়ায় আলোচিত যত ঘটনা

মোখলেছুর রহমান : রাইজিংবিডি ডট কম
     
প্রকাশ: ২০১৭-১২-২৫ ৩:৪৯:১৮ পিএম     ||     আপডেট: ২০১৭-১২-২৫ ৩:৪৯:১৮ পিএম

মোখলেছুর রহমান : ২০১৭ সালের অন্তিম লগ্নে দাঁড়িয়ে আমরা। প্রতি বছরের মতো ২০১৭ সালেও প্রযুক্তি বিশ্ব সাক্ষী হয়েছে অনেকগুলো আলোচিত ঘটনার। বছরের একেবারে দ্বার প্রান্তে এসে চলুন এক নজরে চোখ বুলিয়ে নেয়া যাক, সারা বছরা প্রযুক্তি বিশ্বে ঘটে যাওয়া আলোচিত ঘটনাগুলোর ওপর।

জানুয়ারি
* রাশিয়ান হস্তক্ষেপ : বছরটি শুরুই হয় একটি আলোচিত ঘটনার মধ্য দিয়ে। কারণ জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা আবিষ্কার করে যে, রাশিয়া থেকে হিলারির ক্লিনটনের ইমেইল হ্যাক করা হয়েছে।

* নেটফ্লিক্সের সাফল্য : এছাড়াও একই মাসে নেটফ্লিক্স ঘোষণা করে যে, তাদের লভ্যাংশ ৫৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বিশ্বব্যাপী ৯৩.৮ মিলিয়ন মানুষ তাদের গ্রাহক।

ফেব্রুয়ারি
* যৌন কেলেঙ্কারিতে টালমাটাল উবার : ফেব্রুয়ারিতে যৌন হয়রানির ইস্যুতে উত্তাল হয়ে উঠে উবার। কারণ প্রতিষ্ঠানটির প্রাক্তন প্রকৌশলী সুসান ফাউলার একটি ব্লগ পোস্ট জানান, উবারে নারীদের যৌন হয়রানির শিকার হতে হয়।

* ফেসবুক এবং এআই : মার্ক জাকারবার্গ কোম্পানিটির ভবিষ্যতের রূপরেখা নিয়ে একটি ৫,৫০০ শব্দের প্রবন্ধ প্রকাশ করেন এই মাসে। তার প্রবন্ধের মূল বিষয় বস্তু ছিল, ফেসবুকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার।

মার্চ
* সাইবার হামলার শিকার অভিনেত্রী এমা ওয়াটসন : গত মার্চে অভিনেত্রী এমা ওয়াটসন দাবী করেন যে, জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূত হিসেবে লিঙ্গ সমতার বিষয়ে একটি ভাষণ দেয়ার পর থেকে হ্যাকাররা তার ব্যক্তিগত ছবি অনলাইনে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে তিনি আইনি ব্যবস্থাও গ্রহণ করেন।

* সর্বজনীন রূপে স্ন্যাপচ্যাট : এছাড়াও মার্চে পাবলিক কোম্পানিতে রূপ নেয় স্ন্যাপচ্যাট।

এপ্রিল
* শনি গ্রহে নাসার সাফল্য : গত এপ্রিলে নাসার মহাকাশযান ক্যাসিনিতে শনি এবং তার রিং এর মধ্যেকার রহস্যময় ফাঁকের কিছু অত্যাশ্চর্য ছবি ধরা পড়ে। নাসার ভাষ্যমতে, এই ছবিগুলোতে শনির বায়ুমন্ডলের এবং এর হারিকেন দৈত্যের এ যাবৎকালের সবচেয়ে নিকটতম চেহারা ফুটে উঠেছিল।

* ফেসবুক এর দ্বায় স্বীকার : ফেসবুক অবশেষে স্বীকার করে যে, রাশিয়া ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এবং ২০১৭ সালের ফরাসি নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য তাদের প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করেছিল। বিদ্রোহী কার্যকলাপের উপর চাপ প্রয়োগ করার জন্য, ফেসবুক ফ্রান্সে ৩০,০০০ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয় এপ্রিলে।

মে
* ফেসবুককে জরিমানা করে ইইউ : ২০১৪ সালের হোয়াটসঅ্যাপ নিয়ন্ত্রণে ইইউ কর্মকর্তাদের ভুল পথে চালিত করার জন্য মে মাসে ফেসবুককে ১১০ মিলিয়ন পাউন্ড জরিমানা করা হয়।

* গুজব ছড়ানোর দায়ে অভিযুক্ত গুগল : এছাড়াও ইউরোপীয় কমপিটিশন কমিশনার মার্গারেট ওয়েস্টগার সার্চ ইঞ্জিন ফলাফলের অপব্যবহারের ওপর গুগলকে ২.৪ বিলিয়ন ইউরো জরিমানা করে। গুগল এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিলও করেছিল তখন।

জুন
* নেতৃত্বের সংকটে উবার : জুন মাসে আবারও অস্থিরতা দেখা দেয় অ্যাপভিত্তিক পরিবহন কোম্পানি উবারে। এর প্রতিষ্ঠাতা ট্রাভিস কালানিক কোম্পানির পদ থেকে পদত্যাগ করেন। নেতৃত্ব সংকটে ভুগতে শুরু করে উবার। বড় বড় কিছু পদে যোগ্য লোকের অভাবে হিমশিম খায় কোম্পানিটি। অদক্ষ নেতৃত্ব পুরো কোম্পানিটিকেই একটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয়।

* পারমাণবিক সংশ্লেষণে অগ্রগতি : জুনে পৃথিবীতে ফিউশন শক্তি তৈরিতে প্রকৃত অগ্রগতি সাধন করতে সক্ষম হোন বিজ্ঞানীরা।

জুলাই
* বাইক শেয়ারিং পরিষেবা চালু : জুলাই মাসে সিঙ্গাপুরভিত্তিক স্টার্টআপ ওবিক ঘোষণা করে যে, তারা লন্ডনে বাইক শেয়ারিং পরিষেবা চালু করবে। কোম্পানিটি রাজধানীর সানটেন্ডার সাইকলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য চীনা ফার্ম অফোতে যোগদান করে, যদিও উভয় বাইক গুগল লক এবং আনলক করতে শারীরিক ডকগুলোর পরিবর্তে অফো এবং ওবিক ট্র্যাকিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে।

* কল্পনার সঙ্গে এআই : এছাড়াও বছরের এ সময়টিতে ডিপমাইন্ড ঘোষণা করে যে, তারা ‘কল্পনা’ করতে সক্ষম এমন একটি এআই তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে।

আগস্ট
* উত্তর কোরিয়ার হুমকি : আগস্টে উত্তর কোরিয়া জাপানের বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। দেশটির জন্য এটিকে একটি উল্লেখযোগ্য প্রযুক্তিগত অগ্রগতি চিহ্নিত করা হয়।

* গুগল এর লিঙ্গ বৈষম্যেমূলক ঘোষণাপত্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার কর্মীরা : গুগল এর একজন সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার এর তৈরিকৃত লিঙ্গ বৈষম্যেমূলক একটি নতুন ঘোষণাপত্রের প্রতিক্রিয়ায় সরব হয়ে উঠে কোম্পানিটির সাধারণ কর্মীরা। এই ঘোষণাপত্রের প্রতিবাদে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে অনেক গুগল কর্মী নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেছিলেন।

কোম্পানিটির অভ্যন্তরীণভাবে শেয়ারকৃত এই ঘোষণাপত্রে মূলত গুগল এর কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য নিয়ে আসার যে প্রচেষ্টা– তার সমালোচনা করা হয়েছিল। পাশাপাশি কোম্পানিটির ‘শিখতে দাও’ নীতিকেও সমালোচনা করা হয়েছিল এই ঘোষণাপত্রে।

সেপ্টেম্বর
* আইওএস ১১ উন্মুক্ত : সেপ্টেম্বর মাসে অ্যাপল আইওএসের সর্বশেষ সংস্করণ ‘আইওএস ১১’ উন্মুক্ত করে।

* আইফোন ৮ : আইওএস ১১ বাজারে আনার ঘোষণা দেয়ার পর, একই মাসে অ্যাপল আইফোন ৮ ও নিয়ে আসে। যদিও খুব দ্রুতই তা আইফোনের এক্স দ্বারা স্থানান্তরিত হয়।

* লন্ডন বনাম উবার : লন্ডনের মেয়র সাদিক খান সেপ্টেম্বরে ঘোষণা করেন যে, লন্ডনে কাজ করার জন্য উবরের লাইসেন্স প্রত্যাহার করা হবে। লন্ডনের পরিবহন সংস্থা অ্যাপের লাইসেন্স নবায়ন করতে অস্বীকার করে। এক্ষেত্রে উবার এর কর্পোরেট দায়বদ্ধতার অভাবকে দোষারোপ করা হয়েছিল। উবার এই সিদ্ধান্ত বিরুদ্ধে আপিলও করেছিল।

* এইচটিসিকে কিনে নেয় গুগল : গুগল সেপ্টেম্বরে ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে এইচটিসিকে কিনে নেয়।

অক্টোবর
* মিথ্যা তথ্য ছড়াতে টুইটারকে ব্যবহার : অক্টোবরে লাস ভেগাসের গোলাগুলি চলাকালে, শত শত মানুষ টুইটারে নিখোঁজ এবং সন্দেহভাজনদের সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য ছড়ায়। এটি ছিল এমন একটি দুঃখজনক ঘটনা, যার ধারাবাহিকতায় সাম্প্রতিক সময়ে বহুবার সোশ্যাল মিডিয়া মিথ্যা ছড়াতে ব্যবহৃত হয়েছে।

* ইয়াহুর দ্বায় স্বীকার : এছাড়াও অক্টোবরে ইয়াহু অবশেষে স্বীকার করে যে, হ্যাকাররা তাদের তিন বিলিয়ন অ্যাকাউন্ট হ্যাক করেছিল।

নভেম্বর
* আইফোন এক্স এর আত্মপ্রকাশ : নভেম্বরে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অ্যাপল এর আইফোন এক্স আত্মপ্রকাশ করে। যদিও অনেকের মতেই এটিই আইফোন সিরিজের সেরা ফোন, তবে এর উচ্চ মূল্য এবং ভয়ংকর খাঁজ খানিকটা সঙ্কটও সৃষ্টি করেছে।

* ২৮০ অক্ষরের টুইট চালু : এ মাসে টুইটার তার অক্ষর সীমা ১৪০ অক্ষর থেকে ২৮০ পর্যন্ত প্রসারিত করে।

* রাশিয়া টুইটার ব্যবহার করে ব্রেক্সিটকে প্রভাবিত করে : এছাড়াও বছরের এই শেষ প্রান্তে এসে প্রমাণিত হয় যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণা চলাকালে মিথ্যা তথ্য প্রচারে রাশিয়ার টুইটার অ্যাকাউন্টগুলো ব্যবহৃত হয়েছিল।

* টেসলার নতুন বিদ্যুৎ চালিত গাড়ি : টেসলার নতুন বিদ্যুৎ চালিত গাড়ি উন্মোচিত হয় এই মাসেই।

ডিসেম্বর
* বিটকয়েন, বিটকয়েন এবং বিটকয়েন : আর পুরো ডিসেম্বর মাস জুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল বিটকয়েন। এই  ক্রিপ্টো কারেন্সির মূল্য ২০১৭ সালে ১৭ গুণ বেড়ে ডিসেম্বর মাসে ২০,০০০ ডলারে এসে দাঁড়িয়েছে।

* নেট নিরপেক্ষতার অবসান : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীন সংস্থা ফেডারেল কমিউনিকেশন কমিশন বা এফসিসির বিশাল সমর্থন সত্ত্বেও, নেট নিরপেক্ষতা অবসানের পক্ষে ভোট দেয়।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৫ ডিসেম্বর ২০১৭/ফিরোজ

sweating like blood info

শরীর থেকে ঝরছে রক্তঘাম

এস এম গল্প ইকবাল : রাইজিংবিডি ডট কম
     
প্রকাশ: ২০১৭-১২-২৫ ১:৪৯:৩৮ পিএম     ||     আপডেট: ২০১৭-১২-২৫ ১:৪৯:৩৮ পিএম
প্রতীকী ছবি
এস এম গল্প ইকবাল: বছরজুড়ে কত ঘটনাই না ঘটে। অনেক ঘটনা এতটাই আমাদের অবাক করে যে, সেগুলো অনেকদিন মনে থাকে। বিশেষ করে সেগুলো যদি মেডিকেল সায়েন্স বিষয়ক হয় তাহলে তো কথাই নেই। এমন কয়েকটি অদ্ভুত ঘটনা ২০১৭ সালে শিরোনাম হয়েছে। এগুলো চিকিৎসকদের বিরল রোগ সম্পর্কে জানতে কিংবা প্রচলিত রোগের অস্বাভাবিক লক্ষণসমূহ নির্ধারণ করতে সাহায্য করেছে। এসব ঘটনা চিকিৎসা পদ্ধতির সম্ভাব্য ক্ষতিকারক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কেও আমাদের সজাগ করেছে। ২০১৭ সালের অদ্ভুত কিছু ঘটনা নিয়ে এ প্রতিবেদনের পড়ুন দ্বিতীয় পর্ব।

ইতালিতে ২১ বছর বয়সি এক তরুণীর রহস্যময় রোগ ধরা পড়ে এ বছরের মাঝামাঝি। তার শরীর থেকে রক্তঘাম ঝরে। নির্দিষ্ট সময় পরপর কোনো ক্ষত বা চর্মরোগ ছাড়াই মেয়েটির মুখ এবং হাতের তালু থেকে রক্ত ঘামের মতো বের হতে থাকে। মেয়েটি হাসপাতালে অবস্থানকালীণ ডাক্তাররা একটি ঘটনা পর্যবেক্ষণ করেন যেখানে তার মুখ থেকে রক্তমিশ্রিত তরল ঝরত।

চিকিৎসকরা এটিকে হেমাটোহাইড্রোসিস বলছে। এটি এক প্রকার বিরল মেডিকেল অবস্থা যা ১৮৮০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত মাত্র ৪২ বার ধরা পড়েছে। এ রোগের কারণ এখনো অজানা। কিন্তু গবেষকরা অনুমান করেন যে, রক্তনালীতে অত্যধিক চাপে রক্তকোষ রক্তনালীর বাইরে চলে আসতে পারে এবং ঘর্মগ্রন্থির নালীতে রক্তকোষ প্রবেশ করতে পারে।

চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, শরীরের ‘ফাইট অর ফ্লাইট’ প্রতিক্রিয়ার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। যেখানে ছোট ছোট রক্তনালী ফেটে যেতে পারে। এ ঘটনার ওপর একটি প্রতিবেদন ২০১৭ সালের ২৩ অক্টোবর কানাডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন জার্নালে প্রকাশিত হয়।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৫ ডিসেম্বর ২০১৭/ফিরোজ/তারা

Thursday, 21 December 2017

A writer/icon in Bangladesh

বিষাদ সিন্ধু’র রচয়িতা মীর মশাররফ

শাহ মতিন টিপু : রাইজিংবিডি ডট কম
     
প্রকাশ: ২০১৭-১২-১৯ ৩:২৭:০৪ পিএম     ||     আপডেট: ২০১৭-১২-১৯ ৩:২৭:০৪ পিএম

শাহ মতিন টিপু : ‘বিষাদ সিন্ধু’এই একখানা গ্রন্থই তাকে চিনিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ঠ।তার ‘বিষাদ সিন্ধু’ বাংলার মুসলমান সমাজে ধর্মগ্রন্থের মতো শ্রদ্ধার সঙ্গে আজও পঠিত হয়।

হ্যাঁ, তিনি মীর মশাররফ হোসেন। তিনি ছিলেন বঙ্কিমযুগের অন্যতম প্রধান গদ্যশিল্পী ও উনিশ শতকের বাঙালি মুসলমান সাহিত্যিকদের পথিকৃৎ। তিনি তার বহুমুখী প্রতিভার মাধ্যমে উপন্যাস, নাটক, প্রহসন, কাব্য ও প্রবন্ধ রচনা করে বাংলা সাহিত্যে আধুনিক যুগে মুসলিম রচিত সমৃদ্ধ ধারার প্রবর্তন করেন।

কারবালার বিষাদময় ঘটনা নিয়ে লেখা উপন্যাস ‘বিষাদ সিন্ধু’ তার শ্রেষ্ঠ রচনা। কারবালার করুণ ইতিহাসের উপর ভিত্তি করে রচিত এই উপন্যাস বাংলা সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ। তার সব গ্রন্থ বাদ দিলেও মাত্র এই একখানি গ্রন্থ রচনার জন্য তাকে বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ লেখক আখ্যায়িত করা যায়।

বঙ্কিমচন্দ্রের দুর্গেশনন্দিনী (১৮৬৫) উপন্যাস প্রকাশিত হওয়ার চার বছর পর মশাররফের প্রথম উপন্যাস রত্নবতী (১৮৬৯) প্রকাশিত হয়। এরপর তিনি একে একে কবিতা, উপন্যাস, নাটক, প্রবন্ধ, আত্মজীবনী, পাঠ্যপুস্তক ইত্যাদি বিষয়ে বহু গ্রন্থ রচনা করেন। মীর মশাররফ হোসেনের মোট ৩৬টি বইয়ের সন্ধান পাওয়া যায়।

তার রচনা হলো : গোরাই-ব্রিজ অথবা গৌরী-সেতু (১৮৭৩), বসন্তকুমারী নাটক (১৮৭৩), জমিদার দর্পণ (১৮৭৩), এর উপায় কি (১৮৭৫), বিষাদ-সিন্ধু (১৮৮৫-১৮৯১), সঙ্গীত লহরী (১৮৮৭), গো-জীবন (১৮৮৯), বেহুলা গীতাভিনয় (১৮৯৮), উদাসীন পথিকের মনের কথা (১৮৯০), তহমিনা (১৮৯৭), টালা অভিনয় (১৮৯৭), নিয়তি কি অবনতি (১৮৮৯), গাজী মিয়ার বস্তানী (১৮৯৯), মৌলুদ শরীফ  (১৯০৩), মুসলমানদের বাঙ্গালা শিক্ষা (দুই ভাগ ১৯০৩, ১৯০৮), বিবি খোদেজার বিবাহ (১৯০৫), হজরত ওমরের ধর্মজীবন লাভ (১৯০৫), মদিনার গৌরব (১৯০৬), বাজীমাৎ (১৯০৮), আমার জীবনী (১৯০৮-১৯১০), আমার জীবনীর জীবনী বিবি কুলসুম (১৯১০) ইত্যাদি।

মীর মশাররফ হোসেনের জন্ম ১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলার লাহিনীপাড়ায় । ১৯১২ সালের ১৯ ডিসেম্বর নিজ বাড়ি রাজবাড়ী জেলার পদমদী গ্রামে  মৃত্যুবরণ করেন। স্ত্রী  বিবি কুলসুমের কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৯ ডিসেম্বর ২০১৭/টিপু