Sunday, 27 November 2016

World height records owner


সর্বাধিক বিশ্ব রেকর্ডের অধিকারী

জামশেদ আলম রনি : রাইজিংবিডি ডট কম
Published:28 Nov 2016   11:09:39 AM   Monday   ||   Updated:28 Nov 2016   11:24:40 AM   Monday
আশরিতা ফারম্যান

আশরিতা ফারম্যান

জামশেদ আলম রনি :  গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নিজেদের একটি কীর্তিকে ঠাঁই করিয়ে দিতেই যেখানে বিস্তর কষ্ট করতে হয়, সেখানে পকেট ভর্তি গিনেস বিশ্ব রেকর্ড দখলে আছে নিউ ইয়র্কের আশরিতা ফারম্যান নামে এক ব্যক্তির।

‘ম্যান অব মিশন’ নামে পরিচিত এই ব্যক্তিটির দখলে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ৫৫১টা গিনেস রেকর্ড ছিল। বর্তমানেও রয়েছে প্রায় ২০০টি রেকর্ড!

৬২ বছর বয়সী ফারম্যান তার গত ৩৭ বছর কাটিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দুর্ভেদ্য রেকর্ড ভাঙার পেছনে। শৈশব থেকেই ফারম্যান গিনেস বিশ্ব রেকর্ডের প্রতি মুগ্ধ হয়েছেন কিন্ত কখনো ভাবেননি তিনি কোনো রেকর্ড ভাঙতে পারবেন। যদিও তিনি কোনো খেলোয়াড় ছিলেন না। সবকিছু পরিবর্তন হতে শুরু করেছে, যখন কিশোর বয়সে তিনি আধ্যাত্মিকতায় আগ্রহী হযে ওঠেন। ১৯৭০ সালে তিনি আধ্যাত্মিক নেতা শ্রী চিন্ময়ের অনুসারী হন।

inner1_record

তার আধ্যাত্মিক জাগরণ তাকে সর্বাধিক ক্রীড়া প্রশিক্ষণের প্রতি মনোযোগী হতে সাহায্য করেছে। শ্রী চিন্ময় ১৯৭৮ সালে নিউ ইয়র্ক সেন্ট্রাল পার্কে ফারম্যানকে ২৪ ঘণ্টার একটি সাইকেল দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে অনুপ্রাণিত করেন। সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়ে ফারম্যান সে দৌড়ে তৃতীয় হন। তার শরীরের সত্যিকারের সক্ষমতা সম্পর্কে ফারম্যান সেই মুহূর্তে উপলব্ধি করতে পারেন।

১৯৭৯ সালে ২৭ হাজার বার জাম্পিং জ্যাক করার মাধ্যমে ফারম্যান আনুষ্ঠানিকভাবে রেকর্ড গড়েন। যেখানে আমরা ৫০ সেট করার পরই ক্লান্ত হয়ে পড়ি, সেখানে তিনি ২৭ হাজার বার এটি করেন। তখন থেকেই এ জাতীয় অনেক রেকর্ড তিনি গড়েছেন এবং তাদের প্রতিটার একেকটা করে রেকর্ড আছে। তিনি একটি গাড়িকে ২৪ ঘণ্টায় ১৭ মাইল ঠেলে নিয়ে গেছেন।

inner2_record

২৪ ঘণ্টায় একটি কবিতাকে অনুবাদ এবং আবৃতি করেছেন ১১১টি ভাষায়। ৮০.৯৫ মাইল হেঁটেছেন একটি দুধের বোতলকে মাথায নিয়ে। মাথায় দুধের বোতল নিয়ে তিনি দ্রুত হাঁটার রেকর্ডটি গড়েন। তিনি  বাতাসের মধ্যে ৬০ সেকেন্ডে একটি তলোয়ার দ্বারা ২৭টি আপেল ফালি ফালি করে কাটার রেকর্ড গড়েন।

তিনি একটি স্থানে বলের ওপর বসে দ্রুত লাফিয়ে যাওয়ার রেকর্ড গড়েন। আপনার যদি এটিকে তেমন কিছু মনে না হয়, তবে জেনে রাখুন, তিনি এটি চীনের গ্রেট ওয়ালের ওপরে করেছেন!

তিনি বিশ্বের দীর্ঘতম পোল ভারসাম্য বজায় রেখে রেকর্ড গড়েছেন। তারপর সেই পোল নিয়ে ভারসাম্য রেখে দ্রুত হাঁটার রেকর্ড গড়েছেন। তিনি একটি সুইস বলের ওপর দীর্ঘতম সময়ের জন্য ভারসাম্য বজায় রেখেছেন।

inner3_record

এক মিনিটে সর্বোচ্চ ৮২টি ডিম ক্যাচ ধরা, ৩ মিনিটে হাত ব্যবহার না করে সর্বোচ্চ ২০২টি আঙুর খাওয়া, মুখের থুতনি দিয়ে সবচেয়ে বেশি সময় একটি মইয়ের ভারসাম্য বজায় রাখা, আইফেল টাওয়ারের সামনে সর্বোচ্চসংখ্যক ওঠবস করা, আমেরিকার বোস্টনে গড়িয়ে গড়িয়ে পাহাড় থেকে নামা, মঙ্গোলিয়ায় শিংওয়ালা রাগী ইয়াকের সঙ্গে বস্তা দৌড় এ ধরনের বিভিন্ন গিনেস রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়েছেন ফারম্যান।  

এ কারণে অনেকে মনে করেন, যদি কোথাও কোনো রেকর্ড না থাকে, তবে নিশ্চিত, ফারম্যানই সে ব্যক্তি  যে রেকর্ডটি গড়তে পারবে। আশরিতা ফারম্যানের এই অবিশ্বাস্য যাত্রা থেকে কেউ যদি শিখতে চায়, তবে একটাই কারণ হবে। আর তা হল, যেকোনো কিছু এবং সব কিছুর রেকর্ড গড়া সম্ভব, যদি আপনি যথেষ্ঠ কঠোরভাবে চেষ্টা করেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৮ নভেম্বর ২০১৬/ফিরোজ

cancer support info +

এসব কারণেও ক্যানসার হয়!

গোবিন্দ তরফদার : রাইজিংবিডি ডট কম
Published:28 Nov 2016   07:46:03 AM   Monday   ||   Updated:28 Nov 2016   10:35:29 AM   Monday
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

গোবিন্দ তরফদার : ক্যানসার নানা কারণে হতে পারে। জেনেটিক, ধূমপান, রেডিয়েশন- ক্যানসার সৃষ্টির জন্য দায়ী এ ধরনের বিভিন্ন কারণের কথা আমরা জানি।

আসুন, আজ আরো নতুন কিছু কারণ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। এসব কারণ নিশ্চিতভাবেই আপনাকে বিস্মিত করবে।

অতিরিক্ত চিনি খেলে
আমরা এতদিন শুনে এসেছি যে, চিনি আমাদের অনেক ক্ষতির কারণ হতে পারে। ডায়াবেটিস এর মধ্যে অন্যতম। অতিরিক্ত চিনি হার্ট এরও ক্ষতি করার পাশাপাশি ক্যানসার ঝুঁকিও বাড়ায়। টেক্সাস ইউনিভার্সিটির এমডি অ্যান্ডারসন ক্যানসার সেন্টারের একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, যারা বেশি পরিমানে চিনি খান তাদের স্তন ক্যানসার ঝুঁকির সম্ভাবনা বেশি। অ্যাকটিভ ইটিং অ্যাডভাইস এর সত্ত্বাধিকারী লেসলি বঙ্কি বলেন, তারা মেয়ে ইঁদুরের ওপর একটা পরীক্ষা করে দেখেছেন যে, ইঁদুরটির সুগার লেভেল টিউমার বৃদ্ধির লেভেলটাকে ত্বরান্বিত করেছে। আমেরিকার একজন নারী দিনে যে পরিমান চিনি গ্রহণ করে তারা ইঁদুরকে ঠিক সেই পরিমানে চিনি খাইয়েছিলেন এবং জেনেটিক্যালি স্তন ক্যানসার হবার সকল সম্ভাবনাময় পরিবর্তন ইঁদুরটির মধ্যে দেখা গেছে। তারা পরামর্শ দিয়েছেন, চিনি-মিষ্টিযুক্ত পানীয়, চকলেট, ডেজার্ট জাতীয় খাদ্যে বাদ দিয়ে, প্রাকৃতিকভাবে যে সুগার পাওয়া যায় ওটাতেই নির্ভরশীল থাকতে। যেমন ফলের মধ্যে প্রচুর পরিমানে প্রাকৃতিক সুগার থাকে।

গরম পানীয় পান করলে
আপনি কি আপনার সকালের চা বা কফিটা টগবগে গরম ছাড়া খান না? তাহলে কিন্তু একটা চিন্তার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে এই বেশি গরম কফি বা চা। ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব ক্যানসার এর একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, অতিরিক্ত গরম পানীয় জলের কারণে খাদ্যনালীর ক্যানসার হতে পারে। গবেষক বঙ্কির মতে, অতিরিক্ত গরম পানীয় পান খাদ্যনালীতে জ্বালাপোড়ার কারণ হতে পারে, এর ফলে খাদ্যনালীতে ক্যানসার সৃষ্টি হতে পারে। বঙ্কির পরামর্শ হচ্ছে, ‘যদি বেশি গরম চা বা কপি খেতে ইচ্ছে হয়, তাহলে অল্প পরিমানে চুমুক দিবেন। এতে খাদ্যনালী জ্বালাপোড়া হবার সম্ভাবনা কিছুটা কম।’

বেশি পরিমানে প্রক্রিয়াজাত মাংস খেলে
ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ ক্যানসার গবেষণায় জানিয়েছে, বেশি পরিমানে নিয়মিত প্রক্রিয়াজাত মাংস খেলে কলোরেক্টাল ক্যানসার (কোলন ও রেক্টামের ক্যানসারকে একসঙ্গে কলোরেক্টাল ক্যানসার বলে) হওয়ার ঝুঁকি বাড়াতে পারে। এই ধরনের মাংসের কোয়ার্টার পাউন্ড খেলে মানুষের কলোরেক্টাল ক্যানসার হবার সম্ভাবনা ১৮ শতাংশ বেড়ে যায়। গবেষকদের মতে, পরিমাণ মতো খেতে হবে।

রাত জেগে কাজ করলে
কাজের চাপে আমাদের করার কিছুই থাকেনা অনেক সময়। প্রয়োজনের তাগিদেই আমরা অনেকে রাতে কাজ এগিয়ে রাখি। এতে করে রাতে ঘুমটা কম হয়। অনেক সমীক্ষায় যেটা উঠে এসেছে প্রতিনিয়ত অনেক রাত জেগে কাজ করলে আপনার ক্যানসার হবার সম্ভাবনাকে অনেকটা বাড়িয়ে দিবে। যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট রাজ্যের নিউজ মিলফোর্ডের সাধারণ ক্যানসার বিশেষজ্ঞ সান্ড্রা লম্বার্ডোর মতে, ‘রাত জেগে কাজ শরীরের ইমুউনিটি কমিয়ে দেয় এবং পাশাপাশি শারীরিক জ্বালাতন হতে পারে।’

একটানা বসে বা শুয়ে থাকলে
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ক্যানসার ইনস্টিটিউটের একটি জার্নালের তথ্যানুসারে, যারা একটানা বসে বা শুয়ে থাকেন তাদের কার্ডিওভাসকুলার, স্থুলতা রোগ হতে পারে। আর এর থেকেই ক্যানসার ঝুঁকি বাড়তে সৃষ্টি করতে পারে। এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, একটানা বসে থাকলে ক্যানসার হবার ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়। মিশেল ইয়াগোডা, এমডি,  নিউ ইয়র্ক সিটির এক ওটোল্যারিঙ্গোলজিস্ট জানিয়েছেন, প্রতিদিন চলাফেরা এবং শরীর চর্চা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা আপনার রক্তে অক্সিজেনের চলাচল ঠিক রাখবে এবং মাংসপেশীকে শক্তি যোগাবে।

অতিরিক্ত ওজন
অতিরিক্ত ওজনের কারণে নানাবিধ সমস্যার কথা আমরা কম বেশি সবাই জানি। ন্যাশনাল ক্যানসার ইনস্টিটিউট এর তথ্যানুসারে, অতিরিক্ত ওজনের ফলে খাদ্যনালী, অগ্ন্যাশয়, কোলন এবং মলদ্বার, স্তন, কিডনি এবং থাইরয়েড সহ বিভিন্ন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। অতিরিক্ত মোটা নারীদের ফ্যাট সেল শরীরের ইস্ট্রোজেন লেভেল বাড়িয়ে দেয়, আর এটাই এন্ডমেট্রিয়াল এবং স্তন ক্যানসারের ঝুঁকিটা বাড়িয়ে দেয়। প্রতিনিয়ত শরীর চর্চা এবং খাদ্য তালিকায় গুরুত্বারোপ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

তথ্যসূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৮ নভেম্বর ২০১৬/ফিরোজ

care of online products

অ্যামাজন থেকে যেসব পণ্য কিনবেন না

স্বপ্নীল মাহফুজ : রাইজিংবিডি ডট কম
Published:28 Nov 2016   09:57:31 AM   Monday   ||   Updated:28 Nov 2016   10:47:04 AM   Monday
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

স্বপ্নীল মাহফুজ : বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় অনলাইন শপিং সাইট অ্যামাজন। অ্যামাজনে যদি আপনার প্রাইম মেম্বারশিপ থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই এখান থেকে যে কোনো ধরনের পন্য কিনতে পারবেন।

আপনার কি একটা বই দরকার? নাকি একটা হেডফোন অথবা টি-শার্ট অথবা শ্যাম্পু দরকার? যেকোনো ধরনের পণ্যই অ্যামাজন থেকে খুব সহজেই কিনে নিতে পারেন।

দারুন ব্যাপার হলো এখানে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় সকল ধরনের জিনিস পাওয়া যাবে। যা খুব সহজেই আপনি কিনে নিতে পারবেন এখান থেকে।

কিন্তু কিছু জিনিস আছে যা অ্যামাজন থেকে কেনা একদমই উচিত না। যেমন জামাকাপড়, পোষা প্রাণির খাবার, স্কুলের উপকরণ। এখানে এগুলো ভালো পাওয়া যাবে না। অনেক সময় আপনি আসল ও নকলের মধ্যে তফাত বুঝতে পারবেন না।

বিজনেস ইনসাইডারের প্রতিবেদন অনুসারে চলুন জেনে নিন, কোন কোন জিনিস অ্যামাজন থেকে কিনলে আপনি ঠকতে পারেন।

অ্যাপলের চার্জার অথবা ক্যাবল
নাইন টু ফাইভ ম্যাকের প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যামাজনে অ্যাপল পণ্যের যেসব চার্জার বা ক্যাবল বিক্রি হয় তার ৯০ শতাংশের বেশি নকল কিন্তু এখানে সেটি আসল বলে চালিয়ে দেওয়া হয়। এটি শুধুমাত্র থার্ড পার্টির মাধ্যমে বিক্রির সময় হয় তা নয়, অ্যামাজন সরাসরি যেসব অ্যাপলের চার্জার ও ক্যাবল বিক্রি করে, সেক্ষেত্রেও একই ঘটনা। এর ফলে শুধুমাত্র মানুষকে ঠকানো হচ্ছে তা নয় বরং এর মাধ্যমে মানুষ এমন জিনিস কিনছে যা ব্যবহারের ফলে দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। তাই ভবিষ্যতে এগুলো কেনার সময় অবশ্যই অ্যামাজনকে এড়িয়ে চলুন।

ব্যাটারি
বিভিন্ন ধরনের গ্যাজেটের ক্ষেত্রে ব্যাটারি খুবই গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু এটা অ্যামাজন থেকে কেনা উচিত হবে না।  আপনি যদি আপনার আশেপাশের ব্যাটারির দোকান থেকে ব্যাটারি কেনেন তবে অ্যামাজনের তুলনায় কম দামে ব্যাটারি পাবেন। এটা এখান থেকে ব্যাটারি না কেনার একটি বড় কারণ। এছাড়া আরো একটি কারণ হল, অ্যামাজনে আপনি যে ব্যাটারি পাবেন তার কোয়ালিটি খুবই খারাপ। খুব কম খরচে কোনো রকম করে এগুলো তৈরি করা হয়। এ ধরনের ব্যাটারিতে অতি সহজেই আগুন ধরে যেতে পারে অথবা বিস্ফোরিত হতে পারে। যার ফলে শুধু যে আপনার ডিভাইসটি ক্ষতিগ্রস্ত হবে তা নয়, আপনার জীবনের ঝুঁকি রয়েছে এতে।

নকল গ্যাজেট
অ্যামাজনে নকল আইফোন সহ বিভিন্ন ধরনের নকল গ্যাজেট বিক্রি হয়। আমরা মনে করি শুধু চার্জার বা হেডফোন এই জাতীয় পণ্য নকল হয় কিন্তু মোবাইল বা কম্পিউটার সহ অন্যান্য গ্যাজেট ও নকল হতে পারে। অ্যামাজনের ৪০% পণ্যই আসে লোকাল মার্কেট থেকে যেখানে অহরহ নকল জিনিস বিক্রি হয়। তাই এ ধরনের পণ্য এখান থেকে না কেনাটাই ভালো। এখান থেকে নকল জিনিস পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

খুব দামি পণ্য
কিছু রিপোর্টে দেখা গেছে যে, যখন আপনি খুব দামি কোনো পণ্য কিনছেন তখন অ্যামাজন সেগুলোর ক্ষেত্রে সবসময় সঠিক জায়গা না। যখন আপনি এমন কোনো জিনিস কিনছেন যেমন কম্পিউটার বা টেলিভিশন তখন অবশ্যই আপনার উচিত ভালো মতো যাচাই-বাছাই করে দেখা যে, আপনি সঠিক পণ্যটি পাচ্ছেন কি না।  সেভিংস ডটকমের গবেষণায় বলা হয়েছে, অ্যামাজনের তুলনায় অন্য যেকোনো দোকানে ইলেকট্রনিক্স পণ্যের দাম ৫৮% কম। তাই এসব পণ্য অ্যামাজন থেকে না কেনাই ভালো।

অত্যন্ত কম দামি ডিভাইস
আপনি ভাবতে পারেন অ্যামাজন থেকে খুব দামি জিনিস না কিনে কম দামি কোনো গ্যাজেট কেনার কথা কিন্তু এক্ষেত্রেও কম বাজেটের জিনিস অ্যামাজন থেকে কেনা ঠিক হবে না। যখন আপনি কম দামে একটি স্মার্টফোন কিনতে চান বা একটি এমপিথ্রি প্লেয়ার কিনতে চান তখন আপনাকে এ সম্পর্কে প্রথমে জানতে হবে। তা নাহলে আপনি এমন কিছু কিনে ফেলতে পারেন যা আসলে কোনো কাজেরই না। তাই এ ধরনের পণ্য অ্যামাজন থেকে কেনার আগে এ সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিন।

ফটোগ্রাফির উপকরণ
অ্যামাজন প্রায়ই ক্যামেরার লেন্স অথবা ক্যামেরার বডির ভালো অফার দেয়। কিন্তু আপনি সত্যিই যদি সেরা পণ্যটি কিনতে চান তাহলে জেনে রাখা ভালো যে, ফটোগ্রাফির উপকরণের জন্য অ্যামাজন সঠিক প্লাটফর্ম নয়। এখানে অন্যান্য প্লাটফর্মের তুলনায় বেশি দামে এগুলো বিক্রি হয়। তাছাড়া কম দামে পেলেও তার কোয়ালিটি নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়। তাই এ ধরনের জিনিস এখান থেকে না কেনাটাই ভালো।


রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৮ নভেম্বর ২০১৬/ফিরোজ

Saturday, 26 November 2016

how to read book!!!!!!!!!


বই পড়ার আদবকেতা

আফরোজা জাহান : রাইজিংবিডি ডট কম
Published:24 Nov 2016   05:26:03 PM   Thursday   ||   Updated:24 Nov 2016   07:21:47 PM   Thursday
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

আফরোজা জাহান : বই, এই নামটা শুনলে কারো হয়তো ভ্রু কুঁচকে যায় আর কেউ হারিয়ে যায় তুষার শুভ্র সাদা পাতার দেশে যেথায় ছড়িয়ে থাকে নানা ছন্দের, নানা আবেগের শব্দ নামক কালো মুক্ত।

সেই কালো মুক্ত কুড়ানোর নেশা যার একবার হয়েছে সেই জানে এই নেশায় রাত দিন ভুলে হারিয়ে যাওয়া যায় বর্তমান থেকে অতীতে, অতীত থেকে ভবিষ্যতে।

বইয়ের প্রতি এমন নেশা বা ঝোক অনেকেরই আছে। তাই তো এই নেশার জন্য কেউ ডাকে তাদের বইয়ের পোকা আর কেউ বা ডাকে বই পাগলা। আমাদের রোজকার জ্ঞান ও বিনোদনের সঙ্গী এই বইয়ের ব্যবহারের প্রতি আমাদের কিন্তু ভ্রুক্ষেপ নেই।

অবাক হচ্ছেন? বইয়ের ব্যবহার মানে শুধু বই নিলাম আর পড়লাম এই নয়। মানুষের সবচেয়ে কাছের বন্ধু বইয়ের ও লাগে আলদা যত্ন আর এর ব্যবহারেও রয়েছে কিছু আদবকেতা।

বসার ঘর ভর্তি বই, দেখতে খুব ভালো লাগে। বাসায় অতিথি আসলে তাদের মাঝে ও এই ভালো লাগাটা কাজ করে। এটা ঠিক অন্যান্য ঘর সাজানো জিনিসের মতো বই ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে অনেক বড় ভূমিকা রাখে।

কিন্তু এটা ভুললে চলবে না, বই প্রথমত মনকে আলোকিত ও প্রসারিত করার উপকরণ, তারপর সৌন্দর্যবর্ধক হিসেবে কাজ করে। তাই বই কেনা, ঘরে রাখা ও ব্যবহারের আগে এই ব্যাপারটা মনে রাখতে হবে। এই একটা ভাবনা থাকলে বইয়ের সঠিক ব্যবহার, যত্ন ধীরে ধীরে জানা হয়ে যায়। বই পড়া ও এর ব্যবহারের কিছু আদবকেতা দেওয়া হলো।

বই পড়ার সময় কি করবেন আর কি করবেন না :

*  বই পড়ার সময় কলম বা পেন্সিল দিয়ে দাগ দিবেন না। আর পড়ার সুবিধার জন্য যদি কোনো শব্দ বা বাক্যকে দাগিয়ে পড়তেই হয় তবে ছোট করে হালকাভাবে দাগ দিন। যেন আপনার পরে কারো পড়তে সমস্যা হয় না।

*  বইয়ের পাতা কখনো ভাজঁ করে রাখবেন না। পেজমার্ক ব্যবহার করুন। বই ও ভালো থাকবে, খুঁজে পেতে সহজ হবে।

* পাতা উল্টানোর সময় থুতু ব্যবহার করবেন না। ভেবে দেখুন, আপনার মতো অনেকেই এই বই উল্টানোর সময় হয়তো থুতুই ব্যবহার করেছে। আর ব্যাপারটা আনহাইজিনিক।

* বইয়ের পাতায় স্টিলের পেপার ক্লিপ লাগাবেন না। মরচে পড়ে বইয়ের পাতা নষ্ট হয়ে যাবে।

* নিজের বই হোক বা লাইব্রেরির কখনো প্রয়োজন বলে বইয়ের পাতা ছিঁড়বেন না। কিছু দরকার হলে নোটবুকে সেই তথ্যটা লিখে নিন।

* বই পড়তে পড়তে তা উল্টে রাখবেন না, বিশেষ করে মোটা, বড় বই। এতে বইয়ের বাইন্ডিং ছিঁড়ে যেতে পারে।

* বইয়ের মধ্যে ফুল রাখার অভ্যাস আমাদের অনেকেরই আছে। কিন্তু এটা ঠিক না। এর ফলে পাতার রঙ নষ্ট হয়ে যায়।

* কোনো পুরোনো নথিপত্র, বইয়ের পাতা ছেঁড়া থাকলে সেলোটেপ লাগানোর আগে জেনে নিতে হবে বই এর সংরক্ষণের জন্য তা নিরাপদ কি না।

* লাইব্রেরিতে বই পড়লে ডিসপ্লে সেকশন থেকে বই নিয়ে, সেখানেই আবার রেখে দিবেন। অন্য কোনো সেকশনে রাখবেন না। এতে অন্য কারো বই খুঁজে পেতে কষ্ট হবে।

বই রাখুন গুছিয়ে :
মানুষের প্রতিটি কাজের মধ্য দিয়েই তার রুচির প্রকাশ পায়। এমনকি বই এর ব্যবহার, যত্ন ও গুছানোর মধ্য দিয়েও বইয়ের মালিকের ও রুচির প্রকাশ পায়। বই গুছিয়ে রাখার জন্য কিছু ব্যবহার মনে রাখা দরকার।

* বিষয় বা লেখকের নাম অনুসারে বই গুছিয়ে রাখুন। প্রয়োজনের সময় খুঁজে পেতে সময় কম লাগবে।

* আরো সহজে বই খুঁজতে লাইব্রেরির মতো নিজের সংগ্রহে থাকা বইয়ে লেবেলিং ও ট্যাগ লাগিয়ে নিতে পারেন।

* সরাসরি রোদে বই না রাখাই ভালো, বইয়ের পাতা খারাপ হয়ে যেতে পারে।

* স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায় বই সংরক্ষণ করবেন না। বই ড্যাম্প হতে পারে।

* বুকশেলফে বই সোজা করে রাখা উচিত। গাদাগাদি করে বই রাখলে বইয়ের বাইন্ডিং খুব সহজে নষ্ট হয়ে যাবে।

* বইয়ের ছেঁড়া বা আলগা পাতা থাকলে বই বাধিঁয়ে নিন।

* বইয়ে পোকামাকড় যাতে না ধরে সেই জন্য নিমপাতা শুকিয়ে বা ন্যাপথলিন বুক শেলফে রেখে দিবেন। পোকার অত্যাচার থেকে রক্ষা পাবেন। মাঝে মাঝে এগুলো পরিবর্তন করে নতুন করে দিবেন।

* বইয়ের রাখার স্থান যাই হোক, তা মাঝে মাঝে পরিষ্কার করুন। বইয়ের ওপর ধূলাবালি জমলে বই নষ্ট হয়ে যেতে পারে খুব সহজে।

বই দেওয়া-নেওয়ার নিয়ম :
সব সময় বই কিনে পড়া সম্ভব হয় না। তাই বই দেওয়া-নেওয়া একটা সাধারণ ব্যাপার। কিন্তু অদ্ভুত হলেও সত্য, বই পড়তে নিয়ে অনেকেই তা ফেরত দেন না। কেউ ইচ্ছা করে ফেরত দেয় না কেউ বা আবার ফেরত দিলেও বই নেওয়ার সময় যেমন নিয়েছেন সেই রুপে ফেরত দেন না। হয় মলাটটা ছিড়ে গেছে, নয়তো ঝোল পড়েছে বইয়ে, এমন অবস্থায় ফেরত দেন। যা কখনোই উচিত নয়।

তাই বই নেওয়া ও তা ফেরত দেওয়ার সময় কিছু ব্যাপার মনে রাখতে হবে।

*  কাউকে বই ধার দিলে বইয়ের নাম, যাকে দিচ্ছেন তার নাম ও যোগাযোগের ঠিকানা লিখে রাখুন। এতে বই হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।

* বই ধার যেভাবে নিয়েছেন সেভাবেই ফেরত দিতে চেষ্টা করবেন।

* বই ফেরত দেওয়ার সময় মলাট করে ফেরত দিতে পারেন। তাতে আপনার সুরুচি প্রকাশ পাবে।

* বই ধার নিলে যথাসময়ে ফেরত দিবেন। তাতে আপনার সময়ানুবর্তী মনোভাব ও প্রকাশ পাবে। যদি পড়া না হয়ে থাকে তবে বইয়ের মালিককে তা জানাবেন যে আপনার আরো কিছু সময় লাগবে। এর ফলে আপনার সম্পর্কে একটা ভালো মনোভাব অপর পক্ষের সৃষ্টি হবে।

বই এর প্রতি সত্যিকারের ভালোবাসা তখনই প্রকাশ পায় যখন বই পড়ার আদবকেতা মনে রেখে কেউ বই পড়ে আর যত্ন নেয়।।নয়তো বই প্রেমিক হিসেবে তার নম্বর কমতে বাধ্য। তাই বইকে ভালোবাসুন, বইয়ের মতো খাঁটি বন্ধু আর নেই।


রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৪ নভেম্বর ২০১৬/ফিরোজ

height cow !!!!!!!


বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু গরু

আহমেদ শরীফ : রাইজিংবিডি ডট কম
Published:26 Nov 2016   10:17:48 AM   Saturday   ||   Updated:26 Nov 2016   11:04:09 AM   Saturday
বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু গরু

বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু গরু

আহমেদ শরীফ : বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু গরুর নাম ড্যানিয়েল। নেদারল্যান্ডসের হোলস্টেন প্রজাতির গরু এটি। এই প্রজাতির গরুগুলো এমনিতেই অন্যান্য গরুর চেয়ে বড় হয়।

হোলস্টেন প্রজাতির ৬ ফুট ৪ ইঞ্চি উঁচু এই গরুর ওজন ২৬ মণের বেশি! আর তাই সাধারণ গরুর চেয়ে অনেক বেশি খেতে হয় তাকে। প্রতিদিন চারবার খায় সে। তার প্রতিদিনের খাবার তালিকায় থাকে ১০০ পাউন্ড খড়, ১৫ পাউন্ড অন্য খাদ্যশস্য ও ১০০ গ্যালন পানি।

এ রকম খাওয়ার পর গোবরও তো হবে ব্যাপক, তাই না? প্রতিদিন ১৫০ পাউন্ড গোবর ত্যাগ করে সে! তবে শরীর এত বিশাল হলেও ড্যানিয়েল আসলে খুব নিরীহ এক গরু।

ক্যালিফোর্নিয়ায় তার মালিক কেইন ফারলে তেমনটা জানিয়ে বলেছেন, যখন ছয় মাস বয়সি ছিল, তখনই আমরা বুঝতে পারি যে অস্বাভাবিকভাবে বড় হচ্ছে সে। ওই সময় বোতলে খাওয়ানো হতো তাকে। ছয় মাস পর আর বোতলে খেতে চাইত না সে, হুট করেই বড় হয়ে গেল।

গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে তার নাম পাঠানো হয়েছে, সবচেয়ে উঁচু গরু হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য। এর আগে সবচেয়ে উঁচু গরু ছিল আমেরিকারই ইলিনয় রাজ্যের ব্লোসম নামের এক গরু। তার উচ্চতা ছিল ৬  ফুট ২  ইঞ্চি। গত বছর মে মাসে ১৩ বছর বয়সে মারা যায় সে। তাই বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু গরুর খেতাবটা এখন ড্যানিয়েলই পাচ্ছে।

তবে একটা দুঃখজনক তথ্য হলো তার বিশাল শরীর আর ব্যাপক খাওয়ার ঝক্কি সামলাতে না পেরে কেইন ও অ্যান দম্পতি সম্প্রতি তাকে লস্ট কোস্ট হে ফার্মে রেখে এসেছে।

ওই ফার্মের ম্যানেজার টম পার্কার বলেছেন, সাধারণ আকারের গরু সাড়ে ৪ ফুটের মতো উঁচু হয়। কিন্তু এই গরু ৬ ফুট ৪ ইঞ্চি উঁচু। সাধারণ গরুর চেয়ে অন্তত ৪ গুণ বেশি খাবার খায় এই গরু। তবে পোষা গরু হিসেবেই তাকে লালনপালন করা হয়েছিল বলে সে খুব শান্ত প্রকৃতির।

ফার্ম কর্তৃপক্ষ ড্যানিয়েলের জন্য আলাদা একটা গোয়ালঘর তৈরি করবে, যাতে দর্শনার্থীরা এসে তাকে দেখতে পারেন।


ভিডিও



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৬ নভেম্বর ২০১৬/এএস/ইভা/এএন

Friday, 25 November 2016

BD Bijoy bangla jabbar sir info

কেন শিশুদের প্রোগ্রামার বানানো জরুরি || মোস্তাফা জব্বার

মোস্তাফা জব্বার : রাইজিংবিডি ডট কম
Published:25 Nov 2016   02:20:30 PM   Friday   ||   Updated:25 Nov 2016   08:12:20 PM   Friday
মোস্তাফা জব্বার

মোস্তাফা জব্বার

অনেক আগে থেকেই ভাবছিলাম শিশুদের থেকেই শুরু করতে হবে প্রোগ্রামিংয়ের জগত। কারও কারও সামনে প্রসঙ্গটি উপস্থাপনও করেছি। কিন্তু জবাবটা বরাবরই হাতাশাজনক হয়েছে। কেউ ভাবতেই পারেন না যে, প্রোগ্রামিংয়ের মতো জ্ঞান শৈশব থেকেই নেওয়া যেতে পারে। এখন থেকে ৯ বছর আগে নিজের ঘরে বসে বিজয়কে দেখেছি শৈশবেই অতি চমৎকারভাবে স্ক্র্যাচ দিয়ে প্রোগ্রামিং করতে। বিজয়ের বয়স যখন ৯ তখন এমআইটি ল্যাব এই প্রোগ্রামিং ভাষাটি প্রকাশ করে। তখন থেকেই স্ক্র্যাচ তার প্রিয় বিষয়ে পরিণত হয়। তবে স্কুলের লেখাপড়ার ভারে স্ক্র্যাচের দিকে তেমন মনযোগ দিতে পারেনি। যখন স্নাতক স্তরে কম্পিউটার বিজ্ঞান পড়তে মালয়েশিয়ার মনাসে সে যায় তখনও দেখলাম প্রোগ্রামিং শেখার প্রথম পাঠ হলো স্ক্র্যাচ। যাদের আগ্রহ আছে তারা স্ক্র্যাচ বিষয়ে ইন্টারনেটে আরও বিস্তারিত জানতে পারেন। ওখানে বলা আছে : The Scratch project, initiated in 2003, has received generous support from the National Science Foundation (grants 0325828, 1002713, 1027848, 1019396), Intel Foundation, Microsoft, MacArthur Foundation, LEGO Foundation, Code-to-Learn Foundation, Google, Dell, Fastly, Inversoft, and MIT Media Lab research consortia. (https://scratch.mit.edu/about/)

ভেবেছিলাম দেশের শিশুদের মাঝে স্ক্র্যাচ ছড়িয়ে দেব। কিন্তু করা হয়ে ওঠেনি। অবশেষে গত কয়েক মাস ধরে আমি চেষ্টা করছি শিশুদের সাথে সফটওয়্যার প্রোগ্রামিং বিষয়টি পরিচিত করাতে। প্রথমে নিজে এমআইটি ল্যাব উদ্ভাবিত স্ক্র্যাচ নামক এই প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ পরীক্ষা করে দেখি। ৮-১৬ বছর বয়সের শিশুর জন্য খুব সহজে প্রোগ্রামিং ধারণা পাওয়ার জন্য এটি অতি চমৎকার একটি প্রোগ্রামিং ভাষা।  এমআইটির মন্তব্য হচ্ছে : Scratch is designed especially for ages 8 to 16, but is used by people of all ages. Millions of people are creating Scratch projects in a wide variety of settings, including homes, schools, museums, libraries, and community centers.

এরপর এর প্রশিক্ষণ সামগ্রী রচনার দিকে মনযোগী হই। আমার কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতক স্তরে পড়ুয়া ছেলে বিজয়কে প্রশিক্ষণ সামগ্রী প্রস্তুতের অনুরোধ করলে সে সাগ্রহে কাজটি শুরু করে এবং এখন এটি একটি কর্মশালায় উপস্থাপনের স্তরে রয়েছে। ১৫ সালের নভেম্বর মাসে এই বিষয়ে উৎসাহব্যঞ্জক আরও একটি ঘটনা ঘটে। সরকারের আইসিটি বিভাগ শিশুদের প্রোগ্রামিং শেখার কর্মসূচি হাতে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এটি এখন বাস্তবায়নের অপেক্ষায় রয়েছে। আশা করছি সহসাই সরকারিভাবেও এই ধারণাটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে। আমি এখন আরও উৎসাহিত বোধ করছি এজন্য যে আমাদের দেশের মানুষের মাঝেও কম বয়সে প্রোগ্রামিং শেখার আগ্রহ তৈরি হচ্ছে।

আমাকে অবাক করে দিয়ে দৈনিক ‘প্রথম আলো’র ১৭ জানুয়ারি ২০১৬ সংখ্যায় একটি খবর প্রকাশিত হয়। শিরোনাম ‘শিশুরাই হোক প্রোগ্রামার’। খবরটি এ রকম : ‘‘ব্ল্যাকবোর্ডে ইংরেজি হরফের ‘খটমট’ কিছু শব্দ ও সংকেত। বীজগণিতের সঙ্গে মেলে, আবার কোথায় যেন অমিল। চট করে বুঝে ওঠা কঠিন। অথচ ব্ল্যাকবোর্ডের সামনে বসা মুখগুলো দিব্যি এ নিয়ে আলোচনায় মত্ত। ফাঁকে ফাঁকে শিক্ষকের করা প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে। ছাত্র-শিক্ষকের আলোচনায় একের পর এক সমাধান। শিক্ষকের চোখে তৃপ্তির আভা। এমন কাঠখোট্টা বিষয়ও যেন আনন্দ নিয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীরা। বলছিলাম আউটসবুক প্রোগ্রামিং পাঠশালার কথা। আর ‘খটমট’ শব্দ ও সংকেত প্রোগ্রামিংয়ের ভাষা। আউটসবুক তরুণদের একটি সংগঠন। যাঁরা স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের তথ্যপ্রযুক্তিতে পারদর্শী করতে মাঠে নেমেছেন। তাঁদের স্বপ্ন, একদিন স্কুল শিক্ষার্থীরাই বানাবে নতুন নতুন সফটওয়্যার ও গেম। এর অংশ হিসেবে প্রোগ্রামিং পাঠশালা শুরু। যেখানে বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের সফটওয়্যার তৈরি থেকে শুরু করে প্রোগ্রামিংয়ের সবকিছু পড়ানো হয়।’’

না, ওরা ঠিক শিশু নয়, আমি যাদের কথা ভাবছি। তবে ওদেরও শৈশব আছে এবং বাংলাদেশের সংজ্ঞা অনুসারে তারা ১৮ বছর পার না করায় শিশুই রয়েছে। কোনো সন্দেহ নেই এটি একটি শুভ সূচনা। কিন্তু আমার ভাবনাটি একেবারেই ৮-১৬ বছরের শিশুদের প্রোগ্রামার বানানোর। একই সাথে আমি বড়দের প্রোগ্রামিং ভাষা দিয়ে শিশুদের ভারাক্রান্ত করতে চাই না।

যদিও এই স্কুলটি শিশুদের কেন্দ্র করে গড়ে তোলা নয় এবং বস্তুত স্কুল-কলেজের পাঠ্য বিষয় হিসেবে প্রোগ্রামিং শেখার যে চাপটা আছে তার চাহিদা মেটায় তবুও এমন উদ্যোগ প্রশংসা করার মতো। দেশের অনেক স্থানেই বাধ্যতামূলক আইসিটি শিক্ষাকে ঘিরে এ ধরনের স্কুল বা কোচিং সেন্টার গড়ে উঠেছে এবং এটি হয়তো এক সময় বেশ লাভজনক ব্যবসায় পরিণত হবে। তবে প্রশ্ন হচ্ছে কেন শিশুদের প্রোগ্রামার বানাতে হবে?

আমরা স্মরণ করতে পারি যে, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতাসীন হবার পর শেখ হাসিনার সরকার তথ্যপ্রযুক্তিতে যে নতুন জোয়ার আনেন তার অন্যতম একটি লক্ষ্য ছিলো দেশে প্রোগ্রামারের সংখ্যা বাড়ানো। শেখ হাসিনা নিজে এক সময়ে বছরে দশ হাজার প্রোগ্রামার বানানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু ঘটনাচক্রে ২০০১ সালের নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়া জয়ী হয়ে শেখ হাসিনার সেই স্বপ্নকে আতুড় ঘরেই মেরে ফেলেন। পরবর্তীতে শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে আবার ক্ষমতায় আসার পর দেশে কম্পিউটার শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। কিন্তু একটি বড় ধরনের গলদ এখন দৃশ্যমান হচ্ছে। আমি বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের মহাসচিব জনাব মুনির হাসানের উদ্ধৃতি থেকে এই বিষয়টি জানাতে পারি যে, আমাদের দেশে যারা কম্পিউটার  বিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা করে তাদের মাঝে প্রোগ্রামার হওয়ার প্রবণতা নেই বললেই চলে। তার মতে শতকরা মাত্র ৭ জন কম্পিউটার গ্রাজুয়েট ছেলে কম্পিউটার প্রোগ্রামার হয়। মেয়েদের অবস্থা আরও নাজুক। শতকরা মাত্র একজন মেয়ে প্রোগ্রামার হতে চায়। এই ভয়ংকর অবস্থার একটি অন্যতম কারণ হচ্ছে, প্রোগ্রামিং শেখাটিকে ঐ বয়সে কঠিনতম মনে হয়। আমরা আরও লক্ষ করেছি যে, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার এই দুর্বলতার জন্য কম্পিউটার বিজ্ঞান পড়ে ছেলেমেয়েরা চাকরি খুঁজে পায় না। আমাদের অভিজ্ঞতা হচ্ছে কম্পিউটার বিজ্ঞানের স্নাতকেরা প্রোগ্রামিংয়ের বদলে অন্য দক্ষতাকে প্রাধান্য দেয়। সাধারণভাবে দেশের শিক্ষিত মানুষদের বেকারত্বের চিত্রটিও সুখকর নয়। এ বছরের জানুয়ারিতে একটি পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে দেশের বেকারত্বের যে চিত্র দেখানো হয়েছে সেটি এ রকম :

‘দেশে কর্মক্ষম ২৬ লাখ ৩০ হাজার মানুষ বেকার। এর মধ্যে পুরুষ ১৪ লাখ, নারী ১২ লাখ ৩০ হাজার। যা মোট শ্রমশক্তির সাড়ে ৪ শতাংশ। তিন বছর আগে বেকারের সংখ্যা ছিল ২৫ লাখ ৯০ হাজার। এক দশক আগে ছিল ২০ লাখ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ শ্রমশক্তি জরিপ অনুযায়ী এ তথ্য পাওয়া গেছে।’
এই খবরেই বলা হয়েছে যে, ব্যুরো অব স্ট্যাটিস্টিকস-এর দেওয়া তথ্য সঠিক নয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন বাংলাদেশে বেকারের সংখ্যা শতকরা ১৪.২ ভাগ। শুধু তাই নয়, প্রতি বছর নতুন করে ১৩ লাখ বেকার যোগ হচ্ছে।

অন্যদিকে একই খবরে বলা হয় ‘আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠনের (আইএলও) ‘বিশ্ব কর্মসংস্থান ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি-২০১৫’ শীর্ষক প্রতিবেদনে জানা গেছে, ২০১৪ সালে বাংলাদেশে বেকারত্ব বৃদ্ধির হার ৪৩৩ শতাংশ। এ ধারা অব্যাহত থাকলে ২০১৬ সাল শেষে মোট বেকার দ্বিগুণ হবে। সংস্থাটির মতে, বেকারত্ব বাড়ছে এমন ২০টি দেশের তালিকায় বাংলাদেশের স্থান ১২তম। আবার লন্ডনের ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) তথ্য মতে, বাংলাদেশে শিক্ষিত বেকারের হার সবচেয়ে বেশি। প্রতি ১০০ জন স্নাতক ডিগ্রিধারীর মধ্যে ৪৭ জনই বেকার।’

শিক্ষিত বেকারদের দুর্ভাগ্য যে, তারা একটি অচল শিক্ষাব্যবস্থার বলী। এই ব্যবস্থায় এমন সব বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে দেশে তো দূরের কথা দুনিয়াতেই যার কোনো কর্মসংস্থান নেই। বস্তুতপক্ষে এই অবস্থা দিনে দিনে ভয়াবহ হচ্ছে। প্রচলিত শিক্ষা যে ধরনের দক্ষতা দিচ্ছে সেটি দিয়ে আগামী দিনে কোনো ধরনের কাজের যোগ্য হওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে দুনিয়াজুড়ে রয়েছে প্রোগ্রামারদের বিপুল চাহিদা। পৃথিবীর সকল উন্নত দেশ প্রোগ্রামার খুঁজে বেড়ায়। বাংলাদেশেও প্রোগ্রামারদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আমরা আমাদের সফটওয়্যারের কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রোগ্রামার পাই না।

আমরা খুব সংযতভাবেই জানাতে চাই যে, বিশ্বে প্রোগ্রামাররা কেবল চাহিদার শীর্ষে নয়, তারাই পায় সর্বোচ্চ বেতন। আমি  সে কারণে মনে করি ডিজিটাল দুনিয়াতে সেরা পেশাটির নাম প্রোগ্রামার। আমাদের কম্পিউটার বিজ্ঞান পড়ুয়ার সংখ্যা বাড়লেও প্রোগ্রামারের সংখ্যা একদমই নগন্য। এই অবস্থার পরিবর্তনের জন্য স্নাতক বা কলেজ স্তরে প্রোগ্রামিং শেখানোর উদ্যোগ  নিলে হবে না। ওরা যদিও কম্পিউটার বিজ্ঞান পড়তে চায়, তথাপি প্রোগ্রামিংয়ের প্রতি তাদের আগ্রহ জন্মে না।

এ জন্য আমরা বিষয়টিকে ভিন্নভাবে একটি শিক্ষা বা তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলন হিসেবে নিয়েছি। আমরা চাই শৈশব থেকেই শিশুদের প্রোগ্রামিং সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হোক।  আমরা বড়দের প্রোগ্রামিং ভাষা নিয়ে শিশুদের মাথা ভারী করতে চাই না। স্ক্র্যাচ এমন একটি প্রোগ্রামিং ভাষা যা দিয়ে কোনো কোড লিখতে হয় না এবং কেউ একে খেলা হিসেবেই নিতে পারে।

আমি মনে করি, শিশুদের হাতে ছোট আকারের ল্যাপটপ, ট্যাব প্রদান করে ওদের সাধারণ লেখাপড়ার পাশাপাশি প্রোগ্রামিং শেখার কাজটাও যুক্ত করা যেতে পারে।
এবার ভাবুন তো দুই কোটি বিদ্যমান শিশু এবং প্রতি বছরে ২৫ লাখ নতুন শিশু, তাদের সবার হাতে ডিজিটাল যন্ত্র, তাদের শিক্ষার ডিজিটাল কনটেন্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য ডিজিটাল ক্লাসরুম, শিক্ষার ব্যবস্থাপনার জন্য হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার মিলিয়ে তথ্যপ্রযুক্তির বাজারটা কতো বড়?
এর ফলাফলটাও ভাবুন। ১০ বছর পরে দেশে তথ্যপ্রযুক্তি এবং প্রোগ্রামিং জানা কতো বিশাল একটি তরুণ প্রজন্ম আমরা পাবো। আসুন সেই স্বপ্নপূরণে শিশুদের প্রোগ্রামার বানাই।




লেখক : তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, নিবন্ধকার




রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৫ নভেম্বর ২০১৬/তারা

7 handsome in global info

বিশ্বের সেরা ৭ সুদর্শন পুরুষ

সাইফ বরকতুল্লাহ : রাইজিংবিডি ডট কম
Published:26 Nov 2016   08:20:26 AM   Saturday   ||   Updated:26 Nov 2016   11:47:34 AM   Saturday
টম ক্রুজ

টম ক্রুজ

সাইফ বরকতুল্লাহ : আপনি নিশ্চই বিশ্ব সুন্দরীদের গল্প শুনেছেন। কিন্তু আপনি কি কখনো বিশ্বের সবচেয়ে সুদর্শন মুখ (পুরুষ ) সম্পর্কে শুনেছেন? তাহলে জেনে নিন এবার বিশ্বের সবচেয়ে সাতজন সুদর্শন মুখের গল্প। বিশ্বে এই সুদর্শন পুরুষদের শুধু চেহারা দেখে বিচার করা হয়নি। বিচারের তালিকায় ছিল তাদের ব্যক্তিত্ব ও গ্রহণযোগ্যতা। একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট অনলাইন ভোটাভুটির মাধ্যমে বিশ্বের সেরা সাত সুশ্রী পুরুষকে বেছে নিয়ে এই তালিকা তৈরি করেছে।

টম ক্রুজ : একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট অনলাইন ভোটাভুটির মাধ্যমে বিশ্বের সেরা সাত সুদর্শন পুরুষের শীর্ষে আছেন হলিউড হার্টথ্রব টম ক্রুজ। ৫৪ বছর বয়সি টম ক্রুজ একজন মার্কিন চলচ্চিত্র অভিনেতা ও পরিচালক। তিনি তিনবার একাডেমি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন লাভ করেছিলেন এবং তিনবার গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার জয় করেছেন। ১৯৬২ সালের ৩ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের সাইরেকিউজে জন্মগ্রহণ করেন। তার মা মেরি লি একজন শিক্ষাবিদ ছিলেন। বাবা থমাস ক্রুজ ম্যাপোথার ছিলেন একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। ১৯৮১ সালে ক্রুজ ‘এন্ডলেস লাভ’ এবং ‘ট্যাপস’ চলচ্চিত্রে সহশিল্পী হিসেবে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন।
Man2

রবার্ট প্যাটিনসন : দুই নম্বরে রয়েছেন ‘টোয়াইলাইট’ তারকা ব্রিটিশ অভিনেতা রবার্ট প্যাটিনসন। হলিউডের সবচেয়ে সুদর্শন অভিনেতা তিনি। ১৯৮১ সালে ইংল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তার জনপ্রিয়তা পেয়েছেন টোয়াইলাইট মুভি সিরিজে Edward Cullen হিসেবে অভিনয় করে। তবে প্রথমে মডেল হিসেবে কাজ শুরু করেন। তিনি গানও করেন। তিনি ৫০টির বেশি পুরস্কার জিতেছেন।

Man3

হৃত্বিক রোশন : তিন নম্বরে রয়েছেন বলিউড সুপারস্টার হৃত্বিক রোশন। ২০০০ সালে ‘কহো না পেয়ার হ্যায়’ দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেন হৃত্বিক রোশন। প্রথম ছবি থেকেই সুন্দর চেহারার জন্য দর্শকের মনে জায়গা করে নেন হৃত্বিক। শুধু সুন্দর মুখের জন্যই নয়, বডির জন্যও তার মেয়ে ভক্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকে। ঋত্বিক রোশন প্রথম অভিনয় শুরু করেন ১৯৮০ সালে একজন শিশু অভিনেতা হিসেবে। বডি বিল্ডার এ তারকা অভিনয়ে যেমন বলিউড কাঁপিয়েছেন, তেমনি ড্যান্স দিয়ে দর্শকদের প্রাণ ভরিয়েছেন তিনি। ঋত্বিক রোশনের জন্ম ১০ জানুয়ারি ১৯৭৪, ভারতের মুম্বাইয়ে। তার ডাকনাম ডুগু বলুনাথ।

Man
জনি ডেপ : তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছেন জনপ্রিয় পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান সিরিজের কেন্দ্রীয় চরিত্র জ্যাক স্প্যারো খ্যাত ৫০ বছর বয়সি তারকা জনি ডেপ। জন্ম ৯ জুন ১৯৬৩, যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকিতে। হলিউড সিনেমার ইন্ডাস্ট্রিতে সবচেয়ে সফল অভিনেতাদের মধ্যে জনি ডেপের নাম নিঃসন্দেহে সবার শীর্ষে। তার অভিনয় ক্যারিয়ারের শুরু টেলিভিশন থেকে। ১৯৮০ সালে টিভি সিরিজ ‘২১ জাম্প স্ট্রিট’য়ের মাধ্যমে তিনি তার অভিনয় জীবন শুরু করেন। বৈচিত্র্যময় অভিনেতা হিসেবে দর্শকদের কাছে জনপ্রিয় তিনি।

Man
টম হিডেলস্টোন : পাঁচ নম্বরে রয়েছেন টম হিডেলস্টোন । জন্ম ১৯৮১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি ইংল্যােন্ডে। তার জনপ্রিয় টিভি শোর মধ্যে রয়েছে দ্য নাইট ম্যানেজার।

Man
ওমর বোরকান আল গালা : এ তালিকার ছয় নম্বরে আছেন তিনি। জন্ম আরব আমিরাতে। পেশায় মডেল ও কবি। চেহারা ও শারীরিক গঠনের কারণে মেয়েদের কাছে ওমর বোরকান হচ্ছেন একজন মহাপুরুষ। অতিরিক্ত সুন্দর আর হ্যান্ডসাম হওয়ার অপরাধে সৌদি আরব থেকে বিতাড়িত হয়েছিলেন।

Man
সালমান খান : বলিউড তারকাদের মধ্যে সালমান খান আছেন সাত নম্বরে। বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন বিবি হো তো এহসি চলচ্চিত্রের একটি গৌণ ভূমিকায় অভিনয়ের মধ্য দিয়ে ১৯৮৮ সালে। বলিউডের অবিবাহিত তারকা-অভিনেতাদের মধ্যে সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত ব্যাচেলর হচ্ছেন তিনি।

তথ্যসূত্র : আইবিটাইমস ডটকো ডটইন, ডেইলি মেইল




রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৬ নভেম্বর ২০১৬/সাইফ/এএন

Fedel castro info

ফিদেল কাস্ত্রো আর নেই

সাইফুল : রাইজিংবিডি ডট কম
Published:26 Nov 2016   11:33:37 AM   Saturday   ||   Updated:26 Nov 2016   12:09:36 PM   Saturday
ফিদেল কাস্ত্রো

ফিদেল কাস্ত্রো

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কিউবার প্রাক্তন নেতা ফিদেল কাস্ত্রো মারা গেছেন।

স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় ৯০ বছর বয়সে তিনি মারা যান বলে কিউবার রাষ্ট্রীয় টিভির এক ঘোষণায় বলা হয়েছে।

তাৎক্ষণিকভাবে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি।

বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রো প্রায় ৫০ বছর এক দলীয় রাষ্ট্র বা সাম্যবাদী রাষ্ট্র হিসেবে কিউবা শাসন করেন। এরপর ২০০৮ সালে ভাই রাউল কাস্ত্রোর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে রাজনীতি থেকে সরে পড়েন।

‘কিউবাকে জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন’ এমন একজন নেতা হিসেবে কাস্ত্রোর প্রশংসা করতেন তার সমর্থকরা। তবে তার বিরোধীরা ‘কঠোরভাবে বিরোধীদের দমনের অভিযোগ’ এনেছেন তার বিরুদ্ধে।

গত এপ্রিলে কিউবার সামবাদী দলের এক সমাবেশের সমাপনী দিনে শেষ বক্তৃতা করেন।

সেখানে নিজের বার্ধক্যের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘কিউবার সাম্যবাদ এখনো বৈধ এবং ্কিউবার জনগণই জয়ী হবে।’

ফিদেল কাস্ত্রোর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৬ নভেম্বর ২০১৬/সাইফুল


এক নজরে ফিদেল কাস্ত্রো

সাইফুল আহমেদ : রাইজিংবিডি ডট কম
Published:26 Nov 2016   12:26:28 PM   Saturday   ||   Updated:26 Nov 2016   12:43:37 PM   Saturday
ফিদেল কাস্ত্রো

ফিদেল কাস্ত্রো

সাইফুল আহমেদ : কিউবার প্রাক্তন বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রো স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত ১০টা ২৯ মিনিটে মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।

ফিদেল কাস্ত্রো প্রায় ৫০ বছর কমিউনিস্ট রাষ্ট্র হিসেবে কিউবা শাসন করেন। এরপর ২০০৮ সালে ভাই রাউল কাস্ত্রোর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে রাজনীতি থেকে সরে পড়েন।

কাস্ত্রোর ঘনিষ্ঠ সহযোগী অগাস্টিন ডায়াজ কারটে বলেন, ‘ফিদেল কাস্ত্রো ছিলেন তৃতীয় বিশ্বের শুভাকাঙ্ক্ষী দৈত্য। তৃতীয় বিশ্বের জন্য তিনি যা করেছেন অন্য কেউ তা করতে পারেনি।’

এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ফিদেল কাস্ত্রোর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলী।
১৯২৬ : কিউবার দক্ষিণ-পূর্ব ওরিয়েন্তে প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন ফিদেল কাস্ত্রো
১৯৫৩ : বাতিস্তার শাসনের বিরুদ্ধে গণ-অভূত্থানের দায়ে কারাদণ্ড
১৯৫৫ : সাধারণ ক্ষমার অধীনে কারাগার থেকে মুক্তি
১৯৫৬ : চে গুয়েভারাকে সঙ্গে নিয়ে কিউবার সরকারের বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধ
১৯৫৯ : বাতিস্তাকে পরাজিত করে কিউবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন
১৯৬০ : যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র মদদপুষ্ট ‘বে অব পিগস’ নামের কিউবার নির্বাসিত বিরোধীদের লড়াইয়ে পরাজিত করেন
১৯৬২ : তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে সমঝোতার প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের দিকে পরমাণু অস্ত্রবাহী ক্ষেপণাস্ত্র তাক করে আলোচিত ‘কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকট’ এর জন্ম দেন
১৯৭৬ : কিউবার ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির দ্বারা প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন
১৯৯২ : কিউবার শরণার্থীদের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি সমঝোতায় পোঁছান
২০০৮ : স্বাস্থ্যগত কারণে কিউবার প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরে দাঁড়ান
২০১৬ : এপ্রিল মাসে শেষবারের মতো জনসম্মুখে ভাষণ দেন
২০১৬ : ২৫ নভেম্বর শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৬ নভেম্বর ২০১৬/সাইফুল

ফিদেল কাস্ত্রো আর নেই

সাইফুল : রাইজিংবিডি ডট কম
Published:26 Nov 2016   11:33:37 AM   Saturday   ||   Updated:26 Nov 2016   12:09:36 PM   Saturday
ফিদেল কাস্ত্রো

ফিদেল কাস্ত্রো

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কিউবার প্রাক্তন নেতা ফিদেল কাস্ত্রো মারা গেছেন।

স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় ৯০ বছর বয়সে তিনি মারা যান বলে কিউবার রাষ্ট্রীয় টিভির এক ঘোষণায় বলা হয়েছে।

তাৎক্ষণিকভাবে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি।

বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রো প্রায় ৫০ বছর এক দলীয় রাষ্ট্র বা সাম্যবাদী রাষ্ট্র হিসেবে কিউবা শাসন করেন। এরপর ২০০৮ সালে ভাই রাউল কাস্ত্রোর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে রাজনীতি থেকে সরে পড়েন।

‘কিউবাকে জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন’ এমন একজন নেতা হিসেবে কাস্ত্রোর প্রশংসা করতেন তার সমর্থকরা। তবে তার বিরোধীরা ‘কঠোরভাবে বিরোধীদের দমনের অভিযোগ’ এনেছেন তার বিরুদ্ধে।

গত এপ্রিলে কিউবার সামবাদী দলের এক সমাবেশের সমাপনী দিনে শেষ বক্তৃতা করেন।

সেখানে নিজের বার্ধক্যের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘কিউবার সাম্যবাদ এখনো বৈধ এবং ্কিউবার জনগণই জয়ী হবে।’

ফিদেল কাস্ত্রোর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৬ নভেম্বর ২০১৬/সাইফুল


এক নজরে ফিদেল কাস্ত্রো

সাইফুল আহমেদ : রাইজিংবিডি ডট কম
Published:26 Nov 2016   12:26:28 PM   Saturday   ||   Updated:26 Nov 2016   12:43:37 PM   Saturday
ফিদেল কাস্ত্রো

ফিদেল কাস্ত্রো

সাইফুল আহমেদ : কিউবার প্রাক্তন বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রো স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত ১০টা ২৯ মিনিটে মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।

ফিদেল কাস্ত্রো প্রায় ৫০ বছর কমিউনিস্ট রাষ্ট্র হিসেবে কিউবা শাসন করেন। এরপর ২০০৮ সালে ভাই রাউল কাস্ত্রোর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে রাজনীতি থেকে সরে পড়েন।

কাস্ত্রোর ঘনিষ্ঠ সহযোগী অগাস্টিন ডায়াজ কারটে বলেন, ‘ফিদেল কাস্ত্রো ছিলেন তৃতীয় বিশ্বের শুভাকাঙ্ক্ষী দৈত্য। তৃতীয় বিশ্বের জন্য তিনি যা করেছেন অন্য কেউ তা করতে পারেনি।’

এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ফিদেল কাস্ত্রোর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলী।
১৯২৬ : কিউবার দক্ষিণ-পূর্ব ওরিয়েন্তে প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন ফিদেল কাস্ত্রো
১৯৫৩ : বাতিস্তার শাসনের বিরুদ্ধে গণ-অভূত্থানের দায়ে কারাদণ্ড
১৯৫৫ : সাধারণ ক্ষমার অধীনে কারাগার থেকে মুক্তি
১৯৫৬ : চে গুয়েভারাকে সঙ্গে নিয়ে কিউবার সরকারের বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধ
১৯৫৯ : বাতিস্তাকে পরাজিত করে কিউবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন
১৯৬০ : যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র মদদপুষ্ট ‘বে অব পিগস’ নামের কিউবার নির্বাসিত বিরোধীদের লড়াইয়ে পরাজিত করেন
১৯৬২ : তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে সমঝোতার প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের দিকে পরমাণু অস্ত্রবাহী ক্ষেপণাস্ত্র তাক করে আলোচিত ‘কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকট’ এর জন্ম দেন
১৯৭৬ : কিউবার ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির দ্বারা প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন
১৯৯২ : কিউবার শরণার্থীদের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি সমঝোতায় পোঁছান
২০০৮ : স্বাস্থ্যগত কারণে কিউবার প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরে দাঁড়ান
২০১৬ : এপ্রিল মাসে শেষবারের মতো জনসম্মুখে ভাষণ দেন
২০১৬ : ২৫ নভেম্বর শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন


রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৬ নভেম্বর ২০১৬/সাইফুল

যে কারণে তিনি বাংলাদেশের চিরচেনা

শাহ মতিন টিপু : রাইজিংবিডি ডট কম
Published:26 Nov 2016   01:39:11 PM   Saturday   ||   Updated:26 Nov 2016   02:14:38 PM   Saturday
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ফিদেল কাস্ত্রো

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ফিদেল কাস্ত্রো

শাহ মতিন টিপু : না ফেরার দেশে চলে গেলেন কিউবার বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রো। শুক্রবার রাতে কিউবার রাজধানী হাভানায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ৯০ বছর বয়সি এই নেতার মৃত্যুর খবর টেলিভিশনে ঘোষণা করেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ও ফিদেল কাস্ত্রোর ভাই রাউল কাস্ত্রো ।

অবশ্য শিগগিরই মারা যাবেন- এমন ইঙ্গিত দিয়ে কিউবার জনগণ ও তার অনুসারীদের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নিয়েছিলেন ফিদেল কাস্ত্রো। গত বছর কিউবার কমিউনিস্ট পার্টির সপ্তম কংগ্রেসে দেওয়া ভাষণে ৮৯ বছর বয়সি এই নেতা বলেন, তিনি হয়তো শিগগিরই মারা যাবেন। কিন্তু বিপ্লব নিয়ে তার পরিকল্পনাগুলো বেঁচে থাকবে।

নতুন প্রজন্মকে দায়িত্ব নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ফিদেল কাস্ত্রো বলেন, ‘কিছুদিনের মধ্যেই আমার বয়স ৯০ বছর হয়ে যাবে। তখন আমিও অন্যদের মতো হয়ে (মারা) যাব।’

বর্ষীয়ান এই বিপ্লবী বলেন, ‘শেষ সময়টা আমাদের সবার জীবনেই আসবে। কিন্তু কিউবার কমিউনিস্ট দলের ধারণা, এই পৃথিবীতে আজীবন রয়ে যাবে। বিশ্ববাসী জানবে, যদি তারা সততার সঙ্গে কাজ করে, তাহলে তারা মানবসভ্যতার জন্য ভালো জিনিস ও সংস্কৃতি তৈরি করতে পারবে। আর এসবের জন্য আমাদের ক্রমাগত যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে।’

সাধারণত প্রতি পাঁচ বছর পরপর কিউবায় কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত থাকেন দলের বড় বড় সব নেতা। এই কংগ্রেসে থেকে কিউবার কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান নির্বাচিত হন ফিদেল কাস্ত্রোর ছোট ভাই ও দেশটির বর্তমান প্রধান রাউল কাস্ত্রো (৮৪)। ২০১৮ সালে অবসরে যাওয়া পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করবেন।

কংগ্রেসের উদ্বোধন করে ফিদেল কাস্ত্রো জানিয়েছিলেন, এর পর থেকে ৭০ বছর বয়সেই অবসরে যাবেন দলের নেতারা। আগামী ২০২১ সালে পরবর্তী কংগ্রেসের ঘোষণাও দেন তিনি। সেই কংগ্রেসকে নতুন প্রজন্মের নেতারা নেতৃত্ব দেবেন আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, এবারের কংগ্রেসই হচ্ছে ঐতিহাসিক প্রজন্মের শেষ কংগ্রেস।

সম্প্রতি কিউবা সফর করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। দীর্ঘ ৮৮ বছর পর কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট দেশটি সফর করেন। তবে সফরে ফিদেল কাস্ত্রোর সঙ্গে দেখা হয়নি তার। ওবামা চলে যাওয়ার পর এক বিবৃতিতে ফিদেল কাস্ত্রো বলেন, কিউবার মার্কিন সাহায্যের প্রয়োজন নেই। এখানে কমিউনিস্ট আদর্শের সঙ্গে দেশ চলবে।

এরপর কিউবার বিপ্লবী এই নেতা নিজের ৯০তম জন্মদিনের অনুষ্ঠানে অংশ নেন। হাভানার কার্ল মার্কস থিয়েটারে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিবিসি জানায়, ফিদেল কাস্ত্রোর জন্মদিন অনুষ্ঠানে অংশ নেন তার ভাই ও কিউবার বর্তমান প্রেসিডেন্ট রাউল কাস্ত্রো এবং ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরো। অনুষ্ঠানে দুই নেতার মাঝখানে বসে ছিলেন তিনি। বিদায় নেওয়ার দীর্ঘ কয়েক মাস পর জন্মদিনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জনসমক্ষে আসেন ফিদেল কাস্ত্রো। অনুষ্ঠানে ফিদেল কাস্ত্রোর জীবনের কিছু স্মরণীয় মুহূর্ত এবং ১৯৬১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর সমর্থিত হামলার বিষয়ে তুলে ধরা হয়।

এই মহান নেতার পুরো নাম ফিদেল আলেসান্দ্রো কাস্ত্রো রুজ। জন্ম ১৯২৬ সালের ১৩ আগস্ট। ১৯৫৯ সালে তিনি মার্কিন সমর্থিত একনায়ক ফুলগেন্সিও বাতিস্তার সরকারকে উৎখাত করেন। বাতিস্তা সরকারকে উচ্ছেদের পর ১৯৫৯ সালের ডিসেম্বর থেকে ১৯৭৬ পর্যন্ত কিউবার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি। ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে স্বেচ্ছায় অবসরে যাওয়ার আগ পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ।

বাংলাদেশের জনগণের মাঝে এই নেতা সম্পর্কে আছে একটি ভালোবাসার দৃষ্টিভঙ্গি। কারণ, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে তার একটি উক্তি। যে উক্তিটি ফিদেল কাস্ত্রোকে বাংলাদেশের মানুষের কাছে অমর করে রাখবে।

১৯৭৩ সালের জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের সভায় আলজেরিয়ায় কিউবার মহান নেতা ফিদেল কাস্ত্রোর সঙ্গে বৈঠক হয় বঙ্গবন্ধুর। বৈঠকের পর বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে ফিদেল কাস্ত্রো বলেছিলেন, ‘আমি হিমালয় দেখিনি, কিন্তু শেখ মুজিবকে দেখেছি।’ একজন মহান নেতাকে প্রথমবার দেখে আরেক মহান নেতার এই ছিল উক্তি। বাংলাদেশের স্বাধীনতারও সমর্থক ছিলেন তিনি।

পৃথিবীর বাঁক পরিবর্তনের এক ঐতিহাসিক সময়ে ফিদেল কাস্ত্রোসহ জন্মগ্রহণ করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ইন্দিরা গান্ধী, ইয়াসির আরাফাতসহ বেশ কিছু অবিসংবাদিত নেতা। যাদের প্রজ্ঞা, মেধা এবং অকল্পনীয় দেশাত্মবোধ মানুষকে চুম্বকের মতো আকর্ষণ করত। ফিদেল কাস্ত্রো বঙ্গবন্ধুকে চেনার মধ্য দিয়ে আজ সমস্ত বাংলাদেশের মানুষের কাছেই চিরচেনা হয়ে থাকলেন।

 রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৬ নভেম্বর ২০১৬/টিপু/এএন

মহানায়কের মহাযাত্রা

রাসেল পারভেজ : রাইজিংবিডি ডট কম
Published:26 Nov 2016   12:22:10 PM   Saturday   ||   Updated:26 Nov 2016   02:21:31 PM   Saturday
ফিদেল কাস্ত্রো

ফিদেল কাস্ত্রো

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মহানায়কের মহাপ্রয়াণ হলো। সমাজতান্ত্রিক বিশ্বের প্রাণপুরুষ ফিদেল কাস্ত্রো চলে গেলেন, রেখে গেলেন মানুষে মানুষে সাম্যের গৌরবান্বিত সংগ্রামের এক মহা ইতিহাস।

বিশ্বব্যাপী পুঁজিবাদী আগ্রাসনের বিপরীতে ১৯৫৯ সালে সমাজতান্ত্রিক কিউবার গোড়াপত্তনের মধ্য দিয়ে মহানায়কের আসনে চলে আসেন ফিদেল কাস্ত্রো।

যুক্তরাষ্ট্রের মদদপুষ্ট কিউবার একনায়ক ফুলগেন্সিও বাতিস্তাকে সরিয়ে সমাজতান্ত্রিক শাসনকাঠামো গড়ে তোলেন ফিদেল কাস্ত্রো। স্নায়ুযুদ্ধ এবং বিশ্বব্যাপী পুঁজিবাদের আগ্রাসী বিস্তারের বিপরীতে সমাজতান্ত্রিক কিউবাকে অটল রাখেন ইতিহাসের প্রবাদপুরুষ ফিদেল কাস্ত্রো।

কিউবায় মহান সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব কখনো মেনে নিতে পারেনি বিশ্বের শীর্ষ পরাশক্তির দেশ যুক্তরাষ্ট্র। কিউবাবিরোধী নানা অপতৎপরতায় জড়িত ছিল মার্কিন মুল্লুকের নেতারা। সব ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে টিকে ছিলেন কাস্ত্রো।

কিউবায় সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের পর থেকে অর্ধশতাব্দী কাস্ত্রোর নেতৃত্বাধীন দেশটির বিরুদ্ধে বহু অপপ্রয়াস চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্রগোষ্ঠী। তার শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্রের কমপক্ষে ১০ জন প্রেসিডেন্ট তাকে হত্যা অথবা উৎখাতের চেষ্টা করেছেন। কিন্তু কাস্ত্রোর বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কাছে সেসব অপচেষ্টা ভণ্ডুল হয়েছে। দীর্ঘদিন কিউবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর ৮১ বছরে ছোট ভাই রাউল কাস্ত্রোর হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দেন তিনি।

ফিদেল কাস্ত্রোর সংগ্রামী জীবন
১৯২৬ সালের ১৩ আগস্ট কিউবার পূর্বাঞ্চলে বিরান জেলায় স্পেনীয় বংশোদ্ভূত এক অভিবাসী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ফিদেল কাস্ত্রো। পুরো নাম ফিদেল আলসান্দ্রো কাস্ত্রো রুজ। তবে তিনি ফিদেল কাস্ত্রো বা শুধু কাস্ত্রো নামেই বেশি পরিচিত। কাস্ত্রোর বাবা ছিলেন আখের খামারের মালিক।

ছোটবেলা থেকে ফিদেল কাস্ত্রো ছিলেন ডানপিটে। সব দিকেই ছিল তার প্রবল আকর্ষণ। জেসুইট বোর্ডিং স্কুল থেকে মাধ্যমিক শেষ করেন তিনি। ক্রীড়া ক্ষেত্রে তার দারুণ আগ্রহ ছিল। ১৯৪৪ সালে কিউবার সেরা অলরাউন্ডার স্কুল অ্যাথলেট পুরস্কার পান তিনি। শিক্ষাজীবন শেষ করেন আইনে স্নাতক ডিগ্রি পাওয়ার পর।


আইনজীবী হিসেবে পেশাজীবন শুরু করেন কাস্ত্রো। দরিদ্র মক্কেলদের পক্ষে লড়ে অল্প সময়ের মধ্যেই সুনাম ও খ্যাতি অর্জন করেন। পেশাগত স্বীকৃতি ও সুখ্যাতি তাকে রাজনীতির মাঠে পরিচিত করাতে ভূমিকা রাখে।

কাস্ত্রোর রাজনৈতিক জীবন
মাত্র ১৩ বছর বয়সে নিজের বাবার আখের খামারে শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে সংগঠিত করেন এবং একটি ধর্মঘটের ব্যবস্থা করেন।

১৯৪৭ সালে নবগঠিত কিউবান পিপলস পার্টিতে যোগ দেন ফিদেল। মার্কিন ব্যবসায়ী শ্রেণি ও সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অবিচার, দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও নিম্ন মজুরির অভিযোগ নিয়ে লড়াইয়ের আহ্বান জানিয়ে তুখোড় বক্তা ফিদেল দলের তরুণ সদস্যদের মধ্যে দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করেন।

১৯৫২ সালে দলীয় কংগ্রেসের সদস্য প্রার্থী হন ফিদেল। নির্বাচনে পিপলস পার্টির বিজয়ের সম্ভাবনা থাকলেও জাতীয় নির্বাচনের আগে জেনারেল বাতিস্তা সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে কিউবার ক্ষমতা দখল করলে নির্বাচন বাতিল হয়ে যায়।
বিপ্লবের মাধ্যমেই রাষ্ট্রক্ষমতা অর্জন করা সম্ভব- এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর মাত্র ১২৩ জন নারী-পুরুষের একটি সশস্ত্র দল নিয়ে ১৯৫৩ সালে মনকাডা আর্মি ব্যারাকে হামলা করেন ফিদেল। সংঘর্ষে আটজন নিহত হলেও ফিদেলের দল পরাস্ত হয় এবং তার প্রায় ৮০ জন সহযোদ্ধাকে হত্যা করা হয় বাতিস্তার নির্দেশে।

ফিদেলকে আটককারী লেফটেন্যান্ট ‘বিদ্রোহীদের আটক করামাত্র হত্যা করার নির্দেশ’ উপেক্ষা করে তাকে বেসামরিক কারাগারে পাঠিয়ে দিলে প্রাণে বেঁচে যান তিনি। কিন্তু কারাগারে তাকে বিষ খাইয়ে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়। এবার দায়িত্ব ছিল ক্যাপ্টেন পেলেতিয়ারের ওপর। তিনি দায়িত্ব পালন করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বরং তা জনসমক্ষে প্রকাশ করে দেন। কোর্ট মার্শালে ফাঁসি দেওয়া হয় ক্যাপ্টেন পেলেতিয়ারকে। কিন্তু বিশ্ব জনমতের কথা বিবেচনা করে ফিদেলকে হত্যা না করে বিচারের মুখোমুখি করেন বাতিস্তা।


মনকাডা হামলায় অভিযুক্ত হিসেবে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ফিদেল যে জবানবন্দি দিয়েছিলেন তা পরে ‘হিস্ট্রি উইল অ্যাবসল্ভ মি’ বা ‘ইতিহাস আমার পাপমোচন করবে’ নামে একটি বই আকারে বের হয়। ওই দীর্ঘ বক্তৃতার মধ্য দিয়ে কিউবার রাজনৈতিক সংকট এবং তার সমাধানের পথ নির্দেশ করেন তিনি। এতে রাতারাতি দেশব্যাপী বিখ্যাত হয়ে ওঠেন এবং জননায়কে পরিণত হন ফিদেল। বিচারে তার ১৫ বছরের কারাদণ্ড হলেও প্রবল জনমতের কাছে মাথা নত করে দুই বছরের মাথায় তাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হন বাতিস্তা।


জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর বিপ্লবী দল গড়ার লক্ষ্যে মেক্সিকোয় পাড়ি জমান ফিদেল। সেখানে একটি গেরিলা দল গঠন এবং পর্যাপ্ত অস্ত্রশস্ত্র জোগাড়ের পর চে গুয়েভারা, জুয়ান আলমেইডা এবং অন্যদের মিলিয়ে প্রায় ৮০ জনের একটি বিপ্লবী দল নিয়ে ১৯৫৬ সালে কিউবায় ফিরে আসেন ফিদেল।


গ্রানমা নামের একটি ছোট নৌকায় করে ফিদেলের বিপ্লবী দল কিউবায় এসে ভেড়ে। ফিদেলের ওই দলের বিপ্লবী কর্মকাণ্ড `জুলাই টোয়েন্টি সিক্স মুভমেন্ট` নামে পরিচিতি লাভ করে। ফিদেল যেদিন মনকাডা ব্যারাকে হামলা করেছিলেন সেই তারিখ অনুসারে ওই নামকরণ করা হয়।

সিয়েরা মায়েস্ত্রা পর্বতে নিজেদের ঘাঁটি গাড়ার লক্ষ্যে এগোনোর সময়ই বাতিস্তার সেনাদের আক্রমণের মুখে পড়েন তারা। সম্মুখ সমরে নিহত হয় বেশির ভাগ গেরিলা। মাত্র ১২টি অস্ত্র আর ১৬ জন গেরিলা নিয়ে শেষ পর্যন্ত নিরাপদে ঘাঁটি গাড়তে সক্ষম হন ফিদেল।

স্থানীয় দরিদ্র জনগণের আশ্রয় নিয়ে ধীরে ধীরে দল বাড়াতে থাকে আর সেনা চৌকিগুলোতে চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে অস্ত্রশস্ত্র জোগাড় করতে থাকে জুলাই টোয়েন্টি সিক্স মুভমেন্ট। বিপ্লবী কর্মকাণ্ড ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করলে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক তরুণ-যুবা-ছাত্র এ আন্দোলনে যুক্ত হতে থাকে। অন্যদিকে গেরিলাদের ধরতে বাতিস্তার অভিযানে নিপীড়নের শিকার হয় অগণিত সাধারণ মানুষ এমনকি নারী ও শিশুরাও। এতে গেরিলাদের প্রতি জনসাধারণের সমর্থন আরো বাড়তে থাকে।

১৯৫৮ সালে এসে কিউবার মধ্যবিত্ত শ্রেণিরও সমর্থন লাভ করেন ফিদেল। ওই বছর আইনজীবী, চিকিৎসক, স্থপতি, হিসাবরক্ষকসহ বিভিন্ন পেশার ৪৫টি পেশাজীবী সংগঠন যুক্তভাবে এক খোলা চিঠিতে জুলাই টোয়েন্টি সিক্স মুভমেন্টকে সমর্থন জানায়।


পেশাজীবীদের ওই খোলা চিঠির পর জেনারেল বাতিস্তা গেরিলা নিধন অভিযান আরো জোরদার করেন। এবারে ৩০০ বিশেষ সেনার নেতৃত্বে ১০ হাজার লোকের এক বিশাল বাহিনীকে পাঠানো হয় পার্বত্য অঞ্চলে। সংখ্যায় অনেক কম হলেও অসীম সাহসী গেরিলারা ধীরে ধীরে সম্মুখ সমরে জয়ী হতে থাকে এবং বহু সেনাকে আত্মসমর্পণে বাধ্য করে। বাতিস্তার সেনাদের মতো হত্যা বা নির্যাতন না করে গেরিলারা বন্দি সেনাদের সঙ্গে মানবিক ব্যবহার করায় পলায়নপর সেনাদের মধ্যে আত্মসমর্পণের হার বাড়তে থাকে। অনেকে পক্ষ ত্যাগ করে গেরিলা দলে চলে আসে। এভাবে ধীরে ধীরে পূর্ণাঙ্গ সেনাদলের আকার নিতে শুরু করে জুলাই টোয়েন্টি সিক্স মুভমেন্টের গেরিলা দল।

ফিদেলের গেরিলারা এবার সিয়েরা মায়েস্ত্রা পর্বত ছেড়ে একের পর এক শহর দখল করতে থাকে। স্থানীয় জনতা গেরিলাদের অভ্যর্থনা জানায়। ১৯৫৮ সালের মাঝামাঝি বাতিস্তার প্রায় ১ হাজার সেনা গেরিলাদের হাতে প্রাণ হারালে যুক্তরাষ্ট্র বিমান, বোমা, জাহাজ ও ট্যাংক পাঠিয়ে গেরিলাদের হটানোর চেষ্টা চালায়। কিন্তু নাপাম বোমার মতো সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করেও গেরিলাদের সঙ্গে বাতিস্তা পেরে না ওঠায় তাকে নির্বাচন দেওয়ার পরামর্শ দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

১৯৫৮ সালের মার্চে বাতিস্তা নির্বাচন দিলেও জনগণ সে নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে। ৭৫ ভাগ থেকে শুরু করে কোথাও কোথাও ৯৮ ভাগ মানুষই ভোটকেন্দ্রেই যায়নি। ফিদেলের সেনারা চারদিক থেকে রাজধানী হাভানাকে ঘিরে ধরতে শুরু করলে ১৯৫৯ সালের ১ জানুয়ারি নববর্ষের দিনে কিউবা ছেড়ে পালান জেনারেল বাতিস্তা।


সেনাবাহিনীর অন্য সিনিয়র জেনারেলরা আরেকটি সামরিক সরকারের চেষ্টা চালালে ফিদেল দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দেন। কলকারখানা থেকে লাখ লাখ শ্রমিক আর সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এলে স্তব্ধ হয়ে যায় কিউবা। জনস্রোতের কাছে পরাজয় মেনে নিতে বাধ্য হয় সেনাবাহিনী। ১৯৫৯ সালের ৯ জানুয়ারি রাজধানী হাভানায় ঢুকে দেশের নিয়ন্ত্রণভার নিয়ে নেয় ফিদেল কাস্ত্রোর গেরিলারা।

হাভানা জয়ের পরপরই কিউবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন ফিদেল। ১৯৬৫ সালে কমিউনিস্ট পার্টি অব কিউবার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং কিউবাকে একটি সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে রূপান্তরের কাজ শুরু করেন।

১৯৭৬ সালে কিউবার প্রেসিডেন্ট অব দ্য কাউন্সিল অব স্টেটস এবং কাউন্সিল অব দ্য মিনিস্টারস নির্বাচিত হন তিনি। একই সঙ্গে সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার ইন চিফ হিসেবেও দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি।

দীর্ঘদিন কিউবার নেতৃত্ব দিয়ে ২০০৮ সালে ছোট ভাই রাউল কাস্ত্রোর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন ফিদেল কাস্ত্রো। ২০১৬ সালের ২৫ নভেম্বর স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১০টায় কিউবায় শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার মহাপ্রয়াণে বিশ্বনেতারা শোক জ্ঞাপন করেছেন। প্রাণপ্রিয় কিউবায় তার জন্য চলছে মাতম।

বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের অকুণ্ঠ সমর্থক ছিলেন ফিদেল কাস্ত্রো। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘আমি হিমালয় দেখিনি কিন্তু শেখ মুজিবকে দেখেছি। ব্যক্তিত্ব ও সাহসিকতায় তিনিই হিমালয়।’


 রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৬ নভেম্বর ২০১৬/রাসেল পারভেজ/এএন

1us$ house = 2400 000 us$!!!!!!!!!!!!!!

১ ডলারের বাড়ির মূল্য ২৪ লাখ ডলার

মোখলেছুর রহমান : রাইজিংবিডি ডট কম
Published:23 Nov 2016   08:03:07 AM   Wednesday   ||   Updated:23 Nov 2016   01:33:50 PM   Wednesday
২২০ টনের বাড়িটি এভাবেই ভাসিয়ে নিয়ে ২০ মাইল দূরে পুনঃস্থাপন করা হয়

২২০ টনের বাড়িটি এভাবেই ভাসিয়ে নিয়ে ২০ মাইল দূরে পুনঃস্থাপন করা হয়

মোখলেছুর রহমান : যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার পালমেটোতে জর্জ ও ন্যান্সি করবেট দম্পতি ২০০৬ সালে মাত্র ১ ডলারে একটি পরিত্যক্ত বাড়ি কিনেছিলেন। কিন্তু তখন কি তারা ভাবতে পেরেছিলেন যে আনুষঙ্গিক নির্মাণকাজ শেষে এই পরিত্যক্ত বাড়িটির মূল্যই গিয়ে দাঁড়াবে ২৪ লাখ ডলার!

কিন্তু এক দিনে তা সম্ভব হয়নি। জর্জ-ন্যান্সি দম্পতির সাত বছরের কঠোর পরিশ্রমের ফলেই ভিক্টোরিয়ান যুগের প্রাসাদের আদলে ১৯১০ সালে নির্মিত এ বাড়িটির বর্তমানে এ বাজারদর উঠেছে।

জর্জ-ন্যান্সি দম্পতি বাড়িটি কেনার পর এটিকে টাম্পা বে দিয়ে ভাসিয়ে ২০ মাইল উজানে গিয়ে তাদের নিজস্ব মালিকানাধীন পাঁচ কাঠা জায়গার ওপর বাড়িটিকে পুনঃস্থাপন করেন।

Pic

এটি ছিল ধনী এই দম্পতির কাছে খুবই আবেগী একটি প্রকল্প। ২২০ টন ওজনের এই পরিত্যক্ত বাড়িটিকে পানির ওপর দিয়ে ভাসিয়ে নিয়ে এসে রাস্কিনে পুনঃস্থাপন করতে তাদের আনুমানিক খরচ হয়েছিল ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার।

পূর্বে আরো ছয়টি বাড়ি পুনঃস্থাপন বা মেরামতের অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও এই বাড়িটি মেরামত যে কত বড় একটি কাজ হতে যাচ্ছে তারা তা অনুধাবন করতে পারেননি।

Pic

করবেট দম্পতি প্রথমে ভেবেছিলেন যে তারা এই বাড়িটি সংস্কারে সর্বোচ্চ তিন বছর সময় ব্যয় করবেন, কিন্তু তাদের দ্বিগুণেরও বেশি সময় লাগে বাড়িটি সংস্কারে। তারা প্রথমে একটি দ্বিতীয় তলা নির্মাণ করেন। পরবর্তীতে আরো দুই তলা নির্মাণ করেনে তারা।

বর্তমানে সাত হাজার বর্গফুটের চারতলা এই প্রাসাদটিতে সাতটি বেডরুম, পাঁচটি ফায়ারপ্লেস, একটি লিফট রয়েছে। এর পার্টিশন ও দরজা-জনালায় ব্যবহৃত হয়েছে দামী বাদামি রংয়ের ওক কাঠ এবং স্টেইনড গ্লাস।

পাশে আছে একটি পৃথক দুই তলা অতিথিশালা, ছোট ঝরনা, চার গাড়ি রাখা যায় এরকম একটি গ্যারেজ এবং বাইরের জলাধার পর্যন্ত বিস্তৃত একটি ডক। টাম্পা বের পাশে এটি এখন সেখানকার ঐতিহাসিক স্থান হিসেবে জাতীয় নিবন্ধন তালিকাভুক্ত।

Pic

২০১৪ সালে এ বাড়িটির দাম হাঁকা হয়েছিল ৪৯ লাখ ৯৫ হাজার ডলার। তখন জর্জ টাম্পা বে টাইমসকে বলেন, ‘আর্থিক মূল্য দিয়ে এর বিচার করা যাবে না। এটা আসলে একটা স্বপ্ন, যা আমরা পূরণ করতে চেয়েছিলাম।’

কিন্তু সম্পত্তি বিকিকিনি সম্পর্কিত ওয়েবসাইট জিলৌর তথ্য অনুযায়ী বাড়িটি সেসময় ১১ লাখ ৫০ হাজার ডলারে বিক্রি হয়। যদিও এটি এখনো জানা যায়নি যে ২০১৪ সালে বাড়িটি ওই দামে কে ক্রয় করেছিলেন। গত সপ্তাহে বাড়িটি আবার নিলামে তোলা হয় এবং এটির দাম ওঠে ২৪ লাখ ডলার।


রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৩ নভেম্বর ২০১৬/ফিরোজ/এএন/এনএ

unknown things! !!!!!!!!

রহস্যঘেরা বস্তুটি ফ্লাইংসসার?

এসএন : রাইজিংবিডি ডট কম
Published:17 Nov 2016   11:02:50 AM   Thursday   ||   Updated:18 Nov 2016   12:18:08 PM   Friday
রহস্যঘেরা বস্তুটি ফ্লাইংসসার?
সিয়াম সারোয়ার জামিল : মিয়ানমারের পাহাড়বেষ্টিত প্রত্যন্ত অঞ্চল জেন মাইন। তার ভেতরে ক্ষুদ্র গ্রাম লোন খিনে ভোরে আকাশ থেকে নেমে এল অদ্ভুত অচেনা এক বস্তু। বিকট শব্দে বস্তুটি পড়ার সঙ্গে সঙ্গে গ্রামবাসী ঘুম থেকে উঠে পড়ে।

আহত হওয়ার কোনো খবর পাওয়া না গেলেও সেই বস্তুটিকে ঘিরে শুরু হয় রহস্য।

কেউ বলছেন, এটা ফ্লাইংসসার। কেউ বলছেন মহাকাশ যান বা রকেটের ভগ্নাংশ। গত এক সপ্তাহে এ রহস্যের সন্ধান মেলেনি। বিজ্ঞানীরা একে আনআইডেন্টিফাইড ফ্লাইং অবজেক্ট হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। ওই গ্রামের ডমে কাইয়ি নামে এক ব্যক্তি গণমাধ্যমকে বলেন, এটি পড়ার পর আমাদের বাড়ি কেঁপে উঠেছে। প্রথমে ভেবেছিলাম বোমা পড়েছে। আমি তামার তার দেখেছি। বস্তুটির লেজের দিকে এমনটাই দেখা গেছে, যা অনেকটা জেট ইঞ্জিন ব্লকের মতো দেখতে। লম্বায় ১২ ফুট।

সরকারি কর্মকর্তারা বলেছেন, আমরা এখনো বস্তুটি চিহ্নিত করতে পারিনি। তবে বিশেষজ্ঞরা এটা নিয়ে গবেষণা করছেন। ফেসবুকে এর ছবি প্রচার করা হয়েছে। এটা অনেকটা ইউএফওর মতো। কিংবা কোনো বাণিজ্যিক বিমানের অংশ।

সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, ৯ নভেম্বর চীন রকেট ১১ উৎক্ষেপণ করেছিল। ৫৩০ পাউন্ড ওজনের মহাকাশযানটিতে স্যাটেলাইটের অনেক অংশ থাকে, যা অপ্রয়োজনীয় এবং এগুলো বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এসব বিচ্ছিন্ন অংশের কোনোটি হতে পারে এটি।

তবে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, মহাকাশে ৫০ হাজার যান্ত্রিক বর্জ্য পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ঘুরছে। এই বস্তুটি এসব বর্জ্যেরও অংশ হতে পারে।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৭ নভেম্বর ২০১৬/এসএন/ইভা/এএন

500 kg human !!!!!!!!!

তার ওজন ৫০০ কেজি (ভিডিও)

সিয়াম সারোয়ার জামিল : রাইজিংবিডি ডট কম
Published:18 Nov 2016   02:03:12 PM   Friday   ||   Updated:21 Nov 2016   07:07:43 PM   Monday
তার ওজন ৫০০ কেজি (ভিডিও)
সিয়াম সারোয়ার জামিল : গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত পৃথিবীর সবচেয়ে মোটা মানুষ ছিলেন এক মেক্সিকান।তার নাম আন্দিয়ান মোরেনো।

মাত্র ৩৮ বছর বয়সে তিনি মারা যাওয়ার পর সবচেয়ে মোটা মানুষের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন আরেক মেক্সিকান। জুয়ান পেদ্রো ফ্রাঙ্কো সালাস নামে ৫০০ কেজি ওজনের ওই মেক্সিকান নাগরিককেই এখন বিশ্বের সবচেয়ে মোটা মানুষ বলে গণ্য করা হচ্ছে।

স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, গত মঙ্গলবার জুয়ান পেদ্রো হাসপাতালে যাওয়ার উদ্দেশে বিছানা থেকে উঠে বাড়ির বাইরে অপেক্ষায় থাকা অ্যাম্বুলেন্স পর্যন্ত হেঁটে যান। তিনি গত ছয় বছর পর বিছানা থেকে উঠে দাঁড়ান।

জুয়ানের মা জানান, জুয়ান দীর্ঘ ছয় বছর পর উঠে দাঁড়াল। এটা আমাদের জন্য খুব আনন্দের। গত ছয় বছর সে প্রায় শয্যাশয়ীই ছিল। বিছানাতেই সবকিছু করত।আমরা তাকে নিয়ে খুব চিন্তিত ছিলাম। তবে এখন সে চিকিৎসা নিচ্ছে।

জানা যায়, জন্মের সময় ফ্রাঙ্কো সালাসের ওজন ছিল ৩ দশমিক ৪ কেজি। প্রতি বছর তা বেড়েছে গড়ে ১০ কেজি করে। ৬ বছরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬০ কেজিতে। তার শরীরের ওজন যখন ২০০ কেজি সেই সময় তিনি এক দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। সেই দুর্ঘটনায় তার পাকস্থলি কেটে ফেলা হয়। এতে হজম শক্তি কমে অস্বাভাবিক হারে বাড়তে থাকে তার ওজন।

ফ্রাঙ্কোর মা আরো জানান, দেশটির গুয়াদালাজারার একটি হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ সার্জন জোসে অ্যান্টোনিও ক্যাস্টানেদার কাছে ওজন কমানোর চিকিৎসা নিচ্ছেন ফ্রাঙ্কো।

ক্যাস্টানেদা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আমরা দীর্ঘ মেয়াদী কিছু চিকিৎসার পরিকল্পনা নিয়েছি। ধীরে ধীরে তার ওজন স্বাভাবিকে নেমে আসবে বলে আশাবাদী। তবে এজন্য তাকেও বেশ শ্রম ও ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হবে।

 http://www.risingbd.com/%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%93%E0%A6%9C%E0%A6%A8-%E0%A7%AB%E0%A7%A6%E0%A7%A6-%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%9C%E0%A6%BF-%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%93/211294

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ নভেম্বর ২০১৬/সিয়াম সারোয়ার/ইভা

Monday, 21 November 2016

হানিফের যত আবিষ্কার

স্বপ্নীল মাহফুজ : রাইজিংবিডি ডট কম
Published:22 Nov 2016   08:45:59 AM   Tuesday   ||   Updated:22 Nov 2016   12:05:59 PM   Tuesday
হানিফ আলী সোহাগ

হানিফ আলী সোহাগ

স্বপ্নীল মাহফুজ : হানিফ আলী সোহাগ। পড়ালেখা করেছেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ কৌশল এবং ইলেক্ট্রনিক বিভাগে। ইতিমধ্যে তার আবিষ্কৃত বিভিন্ন যন্ত্র ও সফটওয়্যার বাংলাদেশের প্রযুক্তির দুনিয়ায় সুনাম কুড়িয়েছে।

দিনাজপুর শহরের কালিতলার বাসিন্দা আইনজীবী সলিমুল্লাহ সেলিমের তৃতীয় সন্তান হানিফ আলী সোহাগের ছোটবেলা থেকেই নতুন কিছু করার ইচ্ছা। তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি হলেন দিনাজপুরের জিলা স্কুলে। অংশ নিতেন বিভিন্ন বিজ্ঞান মেলায়। কিন্তু তেমন কোনো ফল হতো না। তাতে দমে যাননি এই ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের প্রযুক্তিবিদ। নবম শ্রেণিতে থাকতে দিনাজপুরের আঞ্চলিক পর্যায় অনুষ্ঠিত গণিত অলিম্পিয়াডে প্রথম রানার্সআপ হন হানিফ আলী সোহাগ।

হানিফের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, ‘আমার প্রযুক্তির বিষয়ে আগ্রহ তৈরি হওয়ার অন্যতম কারণ আমার বাবা অনেক ছোট থাকতেই কম্পিউটার কিনে দেন। যেখানে অন্য বাবা-মা কম্পিউটার কিনে দিলে ছেলের ক্ষতি হবে ভাবেন, তখন আমার মা-বাবা তা করেননি। এর ফলে ছোট থেকেই কম্পিউটারের কাছাকাছি থাকা। আর ভাবতে থাকা এটা দিয়ে নতুন কী করা যায়। সপ্তম, অষ্টম শ্রেণিতে থাকতে ভিজ্যুয়াল বেসিক দিয়ে ছোটখাটো সফটওয়্যার বানাতাম। কিন্তু তেমন পূর্ণাঙ্গ জ্ঞান না থাকায় বড় কোনো প্রজেক্ট চাইলেও করতে পারতাম না।’

দিনাজপুরের জিলা স্কুলের থেকে এসএসসি পাস করে সোহাগ ভর্তি হন ঢাকা নটর ডেম কলেজে। সেখানে অনুষ্ঠিত বিজ্ঞান মেলায় সোহাগ দেখান কীভাবে সাইকেলে প্যাডেল দিয়েই বিদ্যুৎ সহজেই উৎপন্ন করা যায়। এ জন্য গিয়ার পদ্ধতি ব্যবহার করেন, যেন অল্প পরিশ্রমে অনেক শক্তি তৈরি হয়। পরবর্তী সময়ে বড় পরিসরে তা করার জন্য অর্থ বরাদ্দের কথা থাকলেও কোনো কারণে তা আর করা হয়নি।

এইচএসসির পর ভর্তি হলেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ কৌশল এবং ইলেক্ট্রনিক বিভাগে। প্রথম সেমিস্টারে মনের মতো ল্যাপটপ বাজারে না থাকার কারণে হাতে কোনো কম্পিউটারই ছিল না সোহাগের। কিন্তু তিনি প্রথম সেমিস্টারে থাকতেই কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বড় ভাইদের আয়োজিত সি প্রোগ্রামিং কর্মশালায় অংশ নেন। কম্পিউটার না থাকায় খাতায় কোড লিখতেন। এর ফলে হানিফের বরং সুবিধাই হয়। কারণ প্রতিটা লাইন বুঝে বুঝে লিখতে হতো, যেহেতু খাতায় কোনো কম্পাইলার নেই। তাই ভুলও নিজের বুঝতে হতো। সারা দিনে হয়তো আধ ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা রুমমেটের কম্পিউটার নিয়ে খাতায় লেখা প্রোগ্রামগুলো রান করাতেন। এভাবেই কেটে যায় তার প্রথম সেমিস্টার।
 Hanif

অবসর পেলেই হানিফ বসে যেতেন কীভাবে নিজের প্রোগ্রামিং দক্ষতা বাড়ানো যায়। শেখার চেষ্টা করতেন নতুন নতুন প্রোগ্রামিং এর ভাষা। আর যাই শিখতেন তা দিয়েই নতুন কোনো প্রজেক্ট বানানো যায় কি না, চিন্তা করতেন। যেমন জাভা ল্যাঙ্গুয়েজ শেখার পর তৈরি করেছিলেন আল-কোরআনের একটা সফটওয়্যার। যার কাজ ছিল আল-কোরআনের সব সুরার বাংলা অনুবাদ।

চলুন জেনে নেওয়া যাক, হানিফের উদ্ভাবিত প্রযুক্তিগুলোর মধ্যে থেকে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি।

হানিফ ওয়েব সিস্টেম : হানিফের উদ্ভাবিত এই সিস্টেমটির মাধ্যমে দূর থেকেই যন্ত্র পরিচালনা সম্ভব। যেমন ধরুন আপনি জরুরি দরকারে বাইরে গেছেন কিন্তু রুমের ফ্যান, লাইট বন্ধ করতে ভুলে গেছেন। হানিফ ওয়েব সিস্টেম ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই বাইরে থেকেও মোবাইলে এগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। দেখে নিন, হানিফের উদ্ভাবিত ওয়েব সিস্টেম।

তারবিহীন মাউস : তারবিহীন মাউস সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি। যা মূলত ব্লুটুথ মাউস হিসেবে বাজারে পাওয়া যায়। কিন্তু হানিফের তারবিহীন মাউসটি ভিন্ন রকমের, এতে মোবাইলের অ্যাকসিলেরোমিটার সেন্সর ব্যবহার করা হয়েছে।

ল্যাপটাচ : যখন শখের বশেই হানিফ ইমেজ প্রসেসিংয়ের কাজ শিখছিলেন তখন মাথায় এল এটা দিয়ে নতুন কিছু করা যায় কি না। এমন চিন্তা যখন মাথায় ঘুরছিল তখনই মনে হলো যদি যেকোনো সাধারণ ডেস্কটপ কিংবা ল্যাপটপের স্ক্রিনকে টাচস্ক্রিনে পরিণত করা যায় তাহলে কেমন হয়। আর তাও যদি অল্প মূল্যে করা যায়।

সেই চিন্তা মাথায় নিয়েই কাজে নেমে পড়া। ঘটনাটা ২০১৫ এর মাঝামাঝি, হানিফ তৈরি করে ফেলল ল্যাপটাচ নামক এক সফটওয়্যার। যার কল্যাণে যেকোনো সাধারণ ডেস্কটপ কিংবা ল্যাপটপের স্ক্রিনকে টাচস্ক্রিনে পরিণত করা যাবে। এ বছরের শুরুতে কুয়েটে অনুষ্ঠিত ‘ইন্টার ইউনিভার্সিটি টেক ফিয়েস্তা’-তে ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীর মধ্যে সফটওয়্যার ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান অধিকার করে নেয় হানিফের ‘ল্যাপটাচ’। এ ছাড়া সম্প্রতি ঢাকায় অনুষ্ঠিত ব্র্যাক মন্থন ডিজিটাল ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড জিতেছে হানিফের এই সফটওয়্যার।

অটোমেটিক রেলওয়ে গেট কন্ট্রোলিং : রেল ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনা অহরহ ঘটে। কখনো ঠিক সময়ে রেল ক্রসিং গেট বন্ধ না হওয়া অথবা মানুষের অসচেতনতার জন্য এমন হয়। কিন্তু হানিফের উদ্ভাবিত অটোমেটিক রেলওয়ে গেট কন্ট্রোলিং ডিভাইস এমন দুর্ঘটনা থেকে বাঁচাবে। ট্রেন আসার আগেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে গেট বন্ধ হয়ে যাওয়ার সুবিধা দেবে ডিভাইসটি।

বাংলা ওসিআর : ধরুন আপনার বন্ধুর একটা বই আছে, আপনার নেই তখন কী করবেন? খুব সহজ এখন, ছবি তুলে নেবেন মোবাইলে। কিন্তু পরে দেখলেন ছবিতে কিছু ঠিক করতে হবে, মানে কিছু লেখা পরিবর্তন করতে হবে। তখন কী করবেন?

ওটাকে টেক্সট ফাইল করে নিতে হবে। কিন্তু তা কীভাবে সম্ভব। হ্যাঁ, তাও সম্ভব। এটাই সম্ভব করেছেন হানিফ। তিনি উদ্ভাবন করেছেন ব্লাইন্ডসাইট বাংলা ওসিআর নামক সফটওয়্যার। এর মাধ্যমে ইমেজের লেখাকে টেক্সটে রূপান্তর করা যাবে।

যানবাহন চুরি প্রতিরোধক ডিভাইস : মোটরসাইকেল বা প্রাইভেট কার চুরির ঘটনা নানা সময়েই ঘটে থাকে। এসব যানবাহন চুরি প্রতিরোধে হানিফ উদ্ভাবন করেছেন চুরি প্রতিরোধক সিস্টেম। এই সিস্টেমের আওতায় মোবাইলের এসএমএসের মাধ্যমে গাড়ি লক করে ফেলা যাবে। চোর যদি লক করা গাড়িটি কোনো মাধ্যমে তুলে নিয়ে যেতে চায়, তাহলে সেই সতর্কতামূলক এসএমএস আসবে মোবাইলে। 

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে হানিফ জানান, তিনি উচ্চতর শিক্ষার জন্য বাইরে যেতে চান এবং নিজেকে একজন সফল প্রযুক্তিবিদ হিসেবে দেখতে চান।

* আলোহীন পৃথিবীতে স্বপ্নই শাহীনের আলো

* শুভ্র দ্য ফাইটার

 http://www.risingbd.com/%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%AB%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AF%E0%A6%A4-%E0%A6%86%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0/212418

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২২ নভেম্বর ২০১৬/ফিরোজ/এসএন/এএন

Bangali Khalish Ahmed success

কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর আসনে প্রার্থী মাগুরার খালিশ

মো. আনোয়ার হোসেন শাহীন : রাইজিংবিডি ডট কম
Published:22 Nov 2016   10:47:26 AM   Tuesday   ||   Updated:22 Nov 2016   12:25:53 PM   Tuesday
খালিশ আহমেদ

খালিশ আহমেদ

মো. আনোয়ার হোসেন শাহীন, মাগুরা : কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হারপারের ছেড়ে দেওয়া আসনে অনুষ্ঠেয় উপনির্বাচনে এনডিপির প্রার্থী হচ্ছেন বাংলাদেশের মাগুরার ছেলে খালিশ আহমেদ।

গত বছরের আগস্ট মাসে স্টিফেন হারপার হাউস অব কমন্স থেকে পদত্যাগ করলে ক্যালগেরি হেরিটেজ আসনটি শূন্য হয়ে যায়। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এই আসনে নতুন নির্বাচন হতে হবে।

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার রাজনীতিক খালিশ আহমেদের বাড়ি মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা সদরের হরেকৃষ্ণপুর গ্রামে।

বাংলাদেশের নিভৃত গ্রাম থেকে কানাডার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খালিশের প্রার্থী হওয়ার গল্প এখন মাগুরার মানুষের মুখে মুখে। প্রথম কোনো বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তরুণের কানাডার জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে।

জানা গেছে, ক্যালগেরি হেরিটেজ আসনের আসন্ন উপনির্বাচনে বিশিষ্ট জ্বালানি বিজ্ঞানী খালিশ আহমেদের মনোনয়ন নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এই আসনটি কনজারভেটিভ পার্টির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। গত জাতীয় নির্বাচনে খালিশ আহমেদ ক্যালগেরি সিগন্যাল এলাকা থেকে এনডিপির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সেই নির্বাচনে তিনি হেরে যান।

এবার মূলধারার মিডিয়া এবং জনগণের মধ্যে খালিশ আহমেদের বক্তব্য বিশেষ গুরুত্ব পাওয়ায় স্টিফেন হারপারের ছেড়ে দেওয়া আসনে খালিশ আহমদের মনোনয়নের ব্যাপারে চিন্তাভাবনা শুরু করে সেখানের জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল এনডিপি। এখন পর্যন্ত তিনিই একমাত্র সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে এনডিপির বিবেচনায় রয়েছেন।

এই ব্যাপারে খালিশ আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, প্রার্থিতার ব্যাপারে তিনি এনডিপির সবুজ সংকেত পেয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ছেড়ে দেওয়া আসন হিসেবে ক্যালগেরি হেরিটেজ আসনটি রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সংগত কারণেই রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও মিডিয়ার বিশেষ গুরুত্ব থাকবে এই আসনের উপনির্বাচনের দিকে। ফলে এই আসনের প্রার্থীরা বড় ধরনের প্রচারণাও পাবেন।’

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত নির্বাচনে হেরে গেলেও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তরুণের বক্তৃতা-কথাবার্তা আলবার্টাবাসীর বিশেষ নজর কাড়তে সমর্থ হয়। আলবার্টার মূলধারার মিডিয়াগুলোও তাকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়। নির্বাচনী প্রচারণায় দেওয়া তার ভাষণ স্থানীয় কয়েকটি টিভি চ্যানেল গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করায় তিনি নির্বাচনী আলোচনার কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। কনজারভেটিভ পার্টি এই আসনে ব্যবসায়ী বব বেনজেনকে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছে।

প্রসঙ্গত, খালিশ আহমেদ মহম্মদপুর উপজেলা সদরের হরেকৃষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া শুরু করেন। সেখান থেকে উপজেলা সদরের ঐতিহ্যবাহী আরএসকেএইচ ইনস্টিটিউশনে ভর্তি হন। তার বাবা আফছার উদ্দিন আহমেদ এই প্রতিষ্ঠানের স্বনামধন্য শিক্ষক ছিলেন। মাতা খুরশিদা পারভীন গৃহিণী। 

১৯৮৮ সালে এসএসসি পাস করার পর নানাবাড়ির এলাকা রাজবাড়ী সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূ-তত্ত্বে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে পিএইচডি করতে নরওয়ে যান। সেখানে আরেক দফা এমএ ডিগ্রি নিয়ে চলে আসেন কানাডার ক্যালগেরিতে। সেখানে তেল কোম্পানিতে ভূতত্ত্ববিদ হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ে তোলেন।

ভূতত্ত্ববিদ হিসেবে বিশেষ অবদান রাখায় তিনি কানাডায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান। একসময় মূলধারার রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। স্ত্রী হামিদা নাসরিন, এক ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে কানাডায় বাস করেন খালিশ আহমেদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ করা হামিদা নাসরিন কানাডার একটি কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানে চার্টার্ড প্রফেশনাল অ্যাকাউনটেন্ট পদে কর্মরত আছেন।

খালিশ আহমেদের গর্বিত পিতা আফছার উদ্দিন আহমেদ ও মা খুরশিদা পারভীন বলেন, কানাডার জাতীয় নির্বাচনে আমার ছেলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে- এটা আমাদের জন্য খুবই আনন্দের।  বিজয়ী হয়ে মহম্মদপুর তথা দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে, এটাই তাদের প্রত্যাশা। এ জন্য দেশবাসী ও কানাডাপ্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে দোয়া ও সহযোগিতা চান তারা।

খালিশ আহমেদ জানান, নির্বাচনে জয়ী হলে নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে কাজ করবেন এবং নতুন প্রজন্মের সম্ভাবনা কাজে লাগাবেন। পাশাপাশি নিজের জন্মভূমির জন্য কাজ করার জন্য অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তিনি সবার কাছে দোয়া চান।



রাইজিংবিডি/মাগুরা/২২ নভেম্বর ২০১৬/আনোয়ার শাহীন/টিপু/এএন

life recycle and effect info

তেলাপোকা বিলুপ্ত হলে যে ক্ষতি হবে

সিয়াম সারোয়ার জামিল : রাইজিংবিডি ডট কম
Published:13 Nov 2016   09:52:11 AM   Sunday   ||   Updated:14 Nov 2016   01:54:07 PM   Monday
তেলাপোকা বিলুপ্ত হলে যে ক্ষতি হবে
সিয়াম সারোয়ার জামিল : তেলাপোকা খুবই বিরক্তিকর প্রাণী। অনেকেই এটা দেখে ভয় পায়। আবার অনেকেই ঘৃণার চোখে দেখে তেলাপোকাকে।

তাই হয়তো এই হিতৈষী প্রাণীকে ধ্বংস করতে ঘরের কোনায় কোনায় ছোটাছুটি করে মানুষ। কিন্তু আমাদের অস্তিত্বের জন্য তেলাপোকার ভূমিকাও আছে, এটা কখনো ভেবেছেন?

টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শ্রিনি কামভাপটিয়া জানান, পৃথিবীতে অনেক প্রাণীই আছে যারা তেলাপোকা শিকার করে বেঁচে থাকে। যেমন- ইঁদুর। আবার পৃথিবীর কিছু অঞ্চলের মানুষও তেলাপোকা খায়। তেলাপোকা বিলুপ্ত হয়ে গেলে, মানুষ ও ইঁদুর বিলীন হয়ে যাবে- এমন নয়। তবু তেলাপোকা না থাকার প্রভাব পড়বে পৃথিবীতে। নির্দিষ্ট কিছু প্রাণী আছে যেমন- একধরনের বোলতা বেঁচে থাকার জন্য পুরোপুরিভাবে তেলাপোকার ওপর নির্ভর করে। তাই তেলাপোকা না থাকলে এই ধরনের বোলতা পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে যাবে।

এই জীববিজ্ঞানী আরো জানান, তেলাপোকা বিলীন হলে তেলাপোকা ভক্ষণকারী পাখি ও প্রাণী, যেমন- বিড়াল, নেকড়ে, নির্দিষ্ট সরীসৃপ, ঈগল ও পাখিদের বিভিন্ন প্রজাতি ইত্যাদির ওপর প্রভাব পড়বে।

তিনি জানিয়েছেন, তেলাপোকা উষ্ণ ও গ্রীষ্মমণ্ডলীয় আবহাওয়ায় বাস করে। ৩০০ মিলিয়ন বছর আগের তেলাপোকার জীবাশ্ম পাওয়া গেছে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, তেজস্ক্রিয়তার মধ্যেও তেলাপোকা বেঁচে থাকতে পারে, যা মানুষের পক্ষে সম্ভব নয় এবং এরা এক মাস পর্যন্ত না খেয়েও বাঁচতে পারে। এদের সহ্য ক্ষমতাও অত্যধিক।

ওই বিজ্ঞানীর মতে, বেশির ভাগ তেলাপোকা ক্ষয়িষ্ণু জৈব পদার্থ আহার করে থাকে, যা বায়ুমণ্ডলের নাইট্রোজেনকে বন্দি করে। জঙ্গলে তেলাপোকা ক্ষয়িষ্ণু পাতা ও কাঠ ভক্ষণ করে। যখন তেলাপোকা মলত্যাগ করে তখন মাটির সঙ্গে নাইট্রোজেন মিশে যায়। গাছের বৃদ্ধির জন্য নাইট্রোজেন অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি উপাদান এবং তাই অরণ্যের জন্যও অত্যাবশ্যকীয়। অরণ্য আমাদের টিকে থাকার জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বলাই বাহুল্য।

শ্রিনি বলেন, পৃথিবীতে প্রায় ১০ হাজার প্রজাতির তেলাপোকা আছে। এদের মধ্যে কিছু প্রজাতি আছে যারা আসলেই বেশ আকর্ষণীয়। কিছু আছে যা জোনাকির মতোই অন্ধকারে আলো বিকিরণও করতে পারে।


রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৩ নভেম্বর ২০১৬/ইভা/এসএন/এএন

20 web sites info

পনাকে আনন্দ দেবে এবং আপনাকে বলতে বাধ্য করবে এটা কি ছিল!

১. zombo.com
যদি আপনি আফ্রিকান কথা পছন্দ করে থাকেন তবে, ওয়েবসাইটটিতে নিজের অভ্যর্থনার জন্য প্রস্তুত হয়ে থাকেন, তাহলে নিজ দায়িত্বে একবার zombo.com এ ক্লিক করেই দেখুন।

২. isitchristmas.com
কি মনে হয়, এই ওয়েবসাইট আপনাকে জানাবে কবে ক্রিসমাস? আসলেই কি তাই? ভিজিট করেই দেখুন।

৩. mockery.org
এই ওয়েবসাইট আই কিউ টেস্ট এর ব্যবস্থা রেখেছে। কিন্তু সাবধান, আপনি তা সঠিক ভেবে সমাধান করতে গেলে বোকা বনে যাবেন।

৪. newsoffuture.com
এই সাইটটি ভবিষ্যতের খবর দেবে। ২০৪০ সালের পরের কথা এখানে প্রকাশ পায়। ভবিষ্যতে কি কি হতে পারে এমন সব আজব কথা নিয়ে এই ওয়েবসাইট।

৫. godhatersshrimp.com
এই ওয়েবসাইট চার্চের মলাস্কা গোত্রীয় প্রণীদের খাওয়ায় যে বিরোধ আছে তা নিয়ে কৌতুকাবহ পোস্ট রয়েছে।

৬. heyyeyaaeyaaaeyaeyaa.com
আমি এ ব্যাপারে কিছুই বলবো না। নিজে ক্লিক করেই দেখুন।

৭. eelalap.com
অফুরন্ত আনন্দ। আপনি যদি পাঁকাল মাছ দিয়ে থাপড়ানো পছন্দ করে থাকেন তবে এটা আপনাকে আনন্দ দেবে।

৮. procatinator.com
হতে পারে এই সাইটের নির্মাতাগণ খুবই মেধাসম্পন্ন অথবা তাদের হাতে অফুরন্ত ফালতু সময় ছিল। কিছুক্ষণ এই সাইটটিতে থাকলেই তা বুঝতে পারবেন।

৯. emergencyyodel.com
কার এটা প্রয়োজন নয়! যদি এমন হতো যে, আপনার দেখাশোনা করার জন্য ইমারজেন্সি কিছু আছে তবে লিখে রাখুন এটাই সেই উপযুক্ত ওয়েবসাইট!

১০. anasomnia.com
অনেকটা ছমছমে ধরণের কিন্তু প্রচুর আনন্দেরও উৎস। চিন্তা করবেন না এখানে কোনো লাফ দেয়ার ভয় নেই। শুধু একটু অস্বস্তি থাকতে পারে।

১১. pointerpointer.com
এটি আসলেই একটি দারুন সাইট! এ সাইটটি মানুষের ইশারা বুঝতে পারে এবং সেই ইশারা অনিযায়ী ছবি তৈরি করে যা আপনার ইশারাকে অনুকরণ করে।

১২. theuselessweb.com
যদি আগের ওয়েবসাইটগুলো আপনার মধ্যে বিরক্তি তৈরি না করে, তবে আপনি এই ওয়েবসাইটটিতে ঢুকুন   যেখানে শুধু ক্লিক করলেই দুনিয়ার যতসব ফালতু জিনিস আপনার সামনে চলে আসবে!

১৩. essaytyper.com
এই ওয়েবসাইট খুব সহজেই রচনা লিখে দিবে! সাইটটির নাম তো তাই বলছে। কি ভাবছেন, এটা তখন কেন ছিল না, যখন আপনি স্কুলে পড়তেন। তাহলে আগেই বলে রাখি, নামের সঙ্গে সাইটটির কিন্তু কাজের মিল নেই।

১৪. thenicestplaceontheinter.net
এটি এমন একটি ওয়েবসাইট যেখানে পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গার মানুষের ভালোবাসা মিশ্রিত হাজার হাজার ভিডিও আছে, পৃথিবীর সকল একাকী মানুষকে ভালোবাসার অনুভব যোগান দেয়!

১৫. zoomquilt.org
আপনি এই ওয়েবসাইটটিতে ঢুকলে অবাক হবেন। এটিতে এমন কিছু চিত্রকর্ম আছে যা শুধু আপনাকে অবাক করবে না বরং তার মধ্যে আপনাকে ডুবিয়ে ফেলবে।

১৬. rainymood.com
ধরেন আপনি বৃষ্টি উপভোগ করতে চান। তবে এখনই এই ওয়েবসাইটে যান যেখানে আপনি বিদ্যুৎ চমকানোর শব্দ শুনতে পারবেন।

১৭. haneke.net
এখানে আসলে কি হয় তা ঠিক করে বলা যায় না। কিন্তু ধরে নেওয়া হয় এটি মানুষের জন্য একটি ভালো শরীরচর্চার বিষয়!

১৮. omglasergunspewpewpew.com
এখানে আসলে কী হয় তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। তবে যাই হোক না কেন এটি আপনাকে আনন্দ দিবে। এখনই এ সাইটটি ব্রাইজ করুন।

১৯. instantcosby.com
আপনি যখনি এটিতে ঢুকবেন তখনি হাসতে হাসতে মাটিতে গড়াগড়ি খাবেন। আপনি অবশ্যই এই সাইটটি পছন্দ করবেন।

২০. hristu.net
এখানে এমন কিছু আছে যা দেখার জন্য আমরা বেঁচে আছি!


রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ নভেম্বর ২০১৬/ফিরোজ

Golden fiber now Golden stick also in bangladesh

রতনের সন্ধান দিল পাটখড়ির ছাই

আনোয়ার শাহীন : রাইজিংবিডি ডট কম
Published:21 Nov 2016   03:20:33 PM   Monday   ||   Updated:21 Nov 2016   03:51:11 PM   Monday
ছাই তৈরির জন্য কারখানায় পাটখড়ি ঢোকানো হচ্ছে

ছাই তৈরির জন্য কারখানায় পাটখড়ি ঢোকানো হচ্ছে

মো. আনোয়ার হোসেন শাহীন, মাগুরা : যেখানে দেখিবে ছাই, উড়াইয়া দেখ তাই, পাইলেও পাইতে পারো, অমূল্য রতন। সত্যি এবার পাঠকাঠি পুড়িয়ে তৈরি করা ছাইয়ের মধ্যে রতনের সন্ধান মিলেছে।

মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার নাকোল ও মহম্মদপুর উপজেলার রুইজানি এলাকায় দুটি কারখানা থেকে পাঠকাঠির ছাই বিদেশে রপ্তানী হচ্ছে। পাটখড়ি  বা পাটকাঠির ছাই চারকোল নামেও পরিচিত। ব্যতিক্রম এ পণ্যের রপ্তানি করে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের উজ্জ্বল সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।

চীনসহ বিভিন্ন দেশে পাটকাঠির ছাই থেকে কার্বন পেপার, কম্পিউটার ও ফটোকপিয়ারের কালি, আতশবাজি ও ফেসওয়াশের উপকরণ, মোবাইলের ব্যাটারি, প্রসাধনপণ্য, দাঁত পরিষ্কারের ওষুধ ও ক্ষেতের সার  ইত্যাদি পণ্য তৈরি হচ্ছে বলে কারখানার মালিকরা জানিয়েছেন।
magura
ছাই তৈরির জন্য ক্রয় করা পাটখড়ির স্তুপ

সংশ্লিষ্ট কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, দেশের অন্যতম পাট উৎপাদকারী জেলা মাগুরা।  কিছু দিন আগেও অনাদরে-অবহেলায় পড়ে থাকত পাটকাঠি। কৃষকের রান্নার জ্বালানি, ঘরের বেড়া পানের বরজের ছাউনি অথবা বড়জোর পার্টিকেলবোর্ড তৈরিতে  ব্যবহৃত হতো পাটকাঠি। এখন ছাই তৈরির মিলে ব্যবহৃত হওয়ায় পাটকাঠির চাহিদা বেড়ে গেছে। ভালো দাম পেয়ে লাভবান হচ্ছেন কৃষক। এতে সবার আশা পাটকাঠিতেই আবার ফিরবে পাট চাষিদের।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়,  গত মৌসুমে মাগুরা জেলার চারটি উপজেলায় ৩২ হাজার ৭৭২ হেক্টরে পাট আবাদ হয়। প্রতি হেক্টরে প্রায়  ১৩ বেল ( এক বেল = ৫ মণ) পাট উৎপাদন হয়। জেলায় এবার ৪ লাখ ৩৬ হাজার ৬৭০ বেল পাটের উৎপাদন হয়েছে।

প্রতি হেক্টরে পাটকাঠি হয় প্রায় ২৫০ মণ। সে হিসেবে জেলায় ৮১ লাখ ৯৩ হাজার মেট্রিকটন  পাটকাঠি উৎপাদন হয়েছে। জেলার নাকোলে চীনের নাগরিক ও মহম্মদপুরের রুইজানিতে দেশের দুই উদ্যোক্তা পাটকাঠির ছাই রপ্তানির জন্য  দুটি কারখানা স্থাপন করার পর পাটকাঠির ব্যবহার ও চাহিদা নিয়ে বদলে গেছে পুরনো ধারণা।

আজ সোমবার সকালে মহম্মদপুর উপজেলার সদরের মধুমতি নদীর তীরে স্থাপিত পাটকাঠির ছাই তৈরির কারখানায় গিয়ে জানা গেছে, ছাইয়ের প্রধান আমদানিকারক দেশ হচ্ছে চীন। চার বছর আগে পাটকাঠিকে ছাই বানিয়ে তা রপ্তানির পথ দেখান ওয়াং ফেই নামের চীনের এক নাগরিক। তাইওয়ান, ব্রাজিলেও এটি রপ্তানি হচ্ছে। এর বড় বাজার রয়েছে মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জাপান, ব্রাজিল, তুরস্ক, দক্ষিণ কোরিয়া, জার্মানিসহ ইউরোপের দেশগুলোতে। বিদেশে পাটকাঠির ছাই থেকে মূল্যবান নানা পণ্য তৈরি হওয়ায় দিন দিন চাহিদা বাড়ছে ।

এ খাত থেকে বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রা আয় হচ্ছে ১৫০ কোটি টাকা। সঠিক ব্যবস্থাপনা  ও বাজার ধরতে পারলে বছরে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা সহজেই আয় হওয়া সম্ভব।


একটি কারখানায় দৈনিক ৫০০ মণ পাটকাঠির চাহিদা রয়েছে। মৌসুমে প্রতি মণ পাটকাঠি কিনতে হয় ১৮০-২০০ টাকা দরে। যখন মৌসুম থাকে না, তখন দাম পড়ে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। জুন-জুলাই দুই মাস ছাড়া সারা বছর মিল চালু থাকে। দেশে বর্ষাকালে ও চীনে গরমে দুই মাস কারখানা বন্ধ থাকে। একটি কারখানায় মাসে ১৫০-২০০ মেট্রিকটন ছাই উৎপাদন হয়। প্রতিটন ছাই বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৫০ হাজার টাকা বিক্রি হয়। নতুন এই রপ্তানি পণ্যের উৎপাদন ঘিরে জেলায় প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে প্রায় ৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে।


দেখা গেছে, বিশেষ চুল্লির মাধ্যমে পাটকাঠি পুড়িয়ে ছাই করা হচ্ছে। পোড়ানোর পর প্রযুক্তির মাধ্যমে কার্বনগুলোকেই মূলত ধরে রেখে প্যাকেট করা হচ্ছে।এ কারখানায় বিদ্যুৎ বেশি লাগে না, কারখানা স্থাপনে বিনিয়োগের পরিমাণও খুব বেশি নয়। তা ছাড়া পাট প্রধান এলাকায় কাঁচামাল পাওয়া যায় সহজেই।

সদরের জাঙ্গালিয়া গ্রামের কৃষক আকরাম আলী শেখ (৫৫) জানান, ‘পাটের সঙ্গে সঙ্গে পাটকাঠি বিক্রি করে আমরা বেশি লাভবান হচ্ছি।’
magura
রপ্তানীর জন্য প্রক্রিয়াজাত করে রাখা ছাই

গোপাল নগর গ্রামের পাটকাঠি ব্যবসায়ি কবির মোল্যা (৫০) বলেন, ‘আগে পাটকাঠির তেমন চাহিদাই ছিল না। এখন প্রতিমণ বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২০০ টাকায়।’

পূূর্বনারায়ণপুর গ্রামের মাজহারুল ইসলাম (২৮) বলেন, ‘বেকার ছিলাম। পাটকাঠির মিলে তারমতো অনেক যুবকের কর্মসংস্থান হয়েছে।’

সদরের রুইজানির পাটকাঠির ছাই তৈরির কারখানার মালিক আব্দুল মান্নান জানান, ‘ছাই ছাড়াও পাটকাঠি থেকে কয়লা বা অ্যাকটিভেটেড চারকোল উৎপাদন  করতে পারলে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে যাবে। ইউরোপে ওয়াটার পিউরিফিকেশন প্লান্টে এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে। তারা এই লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারলে পাটে হারানো দিন ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।’

তিনি আরও বলেন, পাটখড়ির ছাই উৎপাদন ও রপ্তানি বৃদ্ধিতে সরকার ইতিবাচক। চীনে শুল্কমুক্ত ছাই রপ্তানির সুযোগ দিলে পরিবেশবান্ধব এ শিল্প আরও এগিয়ে যাবে। এজন্য একটি নীতিমালা তৈরি করা দরকার বলে তিনি মনে করেন।’




রাইজিংবিডি/মাগুরা/২১ নভেম্বর ২০১৬/আনোয়ার শাহীন/টিপু