Tuesday, 18 October 2016

dot bangla domain started ......

১৬ ডিসেম্বর ডটবাংলা ডোমেইনের আনুষ্ঠানিক যাত্রা

নঈমুদ্দীন : রাইজিংবিডি ডট কম
Published:18 Oct 2016   02:35:13 PM   Tuesday   ||   Updated:18 Oct 2016   05:42:38 PM   Tuesday
১৬ ডিসেম্বর ডটবাংলা ডোমেইনের আনুষ্ঠানিক যাত্রা
সচিবালয়  প্রতিবেদক : ১৬ ডিসেম্বর থেকে ডটবাংলা ডোমেইন এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হচ্ছে।

এ সময়ের মধ্যে ডোমেইন চার্জ, লোকবল নিয়োগসহ সব কাজ সম্পন্ন করা হবে।

মঙ্গলবার দুপুরে  সচিবালয়ে ডাক, তার ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য  জানান।

তিনি বলেন, ‘সব কাজ  শেষ করে ডটবাংলা ডোমেইন ১৬ ডিসেম্বরে চালু করতে আমরা বদ্ধপরিকর। ওই দিন থেকে জনগণ সেবা পাবে। ডটবাংলা ডোমেইন যাত্রার মাধ্যমে সারা বিশ্বের বাংলা ভাষাভাষী মানুষ ইন্টারনেটে নিজের ভাষাতে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারবে।’


রাইজিংবিডি/ ঢাকা/১৮ অক্টোবর ২০১৬/নঈমুদ্দীন/সাইফুল

cats recreation look video

আহ্ কি শান্তি (ভিডিও)

এসএন : রাইজিংবিডি ডট কম
Published:18 Oct 2016   11:33:36 AM   Tuesday   ||   Updated:18 Oct 2016   03:59:00 PM   Tuesday
আহ্ কি শান্তি (ভিডিও)
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বাথটাব, বালতি বা গোসলের গামলায় পানি দিয়ে তার মধ্যে শিশুদের ছেড়ে দিলে, যে দৃশ্য দেখা যায় তা অত্যন্ত সুখকর বা আনন্দময় মুহূর্ত। হাত-পা ছুড়ে শিশুদের আনন্দ করার মুহূর্ত সত্যিই ভুলিয়ে দেয় অনেক কষ্ট।

অনেকে নিজের সন্তানের মতোই লালনপালন করেন পোষা প্রাণীকে। তাই কখনো কখনো পোষা প্রাণীটিও শিশুদের মতোই আচরণ করে থাকে। কারণ শিশুদের মতোই বাড়ির সবার কাছে আদুরে সেও।

তাই তো ট্যাপ ছেড়ে ছোট ছোট পা ছড়িয়ে পুষি বিড়াল বসে আছে বাথরুমের বেসিনে। পানির প্রবাহ নির্দিষ্ট করে আয়েশ করে গোসল করছে। দেখেই বোঝা যায় কত আনন্দ পাচ্ছে সে। ঠিক যেন একটি শিশু!

Cat

কি অদ্ভুত তার চাহনি। পানিতে পা ভিজিয়ে চেটে চেটে তার স্বাদও পরখ করছে? আবার ট্যাপের নিচে মাথা দিয়ে ভিজিয়ে নিচ্ছে নিজেই। কি অনাবিল শান্তি আর সন্তুষ্টি তার দৃষ্টিতে।

Cat

সাধারণত বিড়াল পানি থেকে দূরে থাকে। অধিকাংশ বিড়ালই পানি পছন্দ করে না অথবা ভয় পায়। কিন্তু এ বিড়ালটির ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে ব্যতিক্রম। ভিডিওতে দেখুন আদুরে এই বিড়ালটির গোসলের অসাধারণ দৃশ্য।

ভিডিও লিংক :http://www.risingbd.com/%E0%A6%86%E0%A6%B9%E0%A7%8D-%E0%A6%95%E0%A6%BF-%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%93/202036


রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ অক্টোবর ২০১৬/এসএন/এএন

Thursday, 13 October 2016

Vegetable for good health

শরীরে ম্যাগনেসিয়ামের অভাবে যা হয়

আফরিনা ফেরদৌস : রাইজিংবিডি ডট কম
Published:07 Oct 2016   08:29:19 AM   Friday   ||   Updated:08 Oct 2016   11:32:28 AM   Saturday
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

আফরিনা ফেরদৌস : ম্যাগনেসিয়াম শরীরের জন্য অতি প্রয়োজনীয় একটি খনিজ। আমরা আমাদের খাদ্য তালিকা থেকে এই খনিজটিকে এক প্রকার দূরেই সরিয়ে রাখি। এর অভাবে শরীরে সঙ্গে সঙ্গে কোনো সমস্যা দেখা না দিলেও, এর অনেক সমস্যা রয়েছে যা আমরা জানি না। ম্যাগনেসিয়ামের অভাবে ধীরে ধীরে অনেক রোগ শরীরে বাসা বাধতে পারে।

ম্যাগনেসিয়াম অনেক শারীরিক কার্যাবলীর সঙ্গে সংযুক্ত। যেমন উদ্বেগ থেকে মুক্তি প্রদান, পেশির শক্তি সঞ্চয় করে। নিউ ইয়র্ক সিটির মস ওয়েলনেসের হোলিস্টিক নিউট্রিশনের কোচ অ্যান্ডরে মস বলেন, ‘আমাদের রোগীরা এটা শুনে খুব আশ্চর্য হোন যে, তাদের বেশ কিছু রোগের মূল কারণ হলো ম্যাগনেসিয়াম। যা তারা চিন্তাই করেন নাই।’

জেনে নিন, ম্যাগনেসিয়ামের অভাবে শরীরে যেসব সমস্যা দেখা দিতে পারে।

১) শাকসবজিতে অরুচি
ম্যাগনেসিয়াম অভাবে প্রথম যা ঘটতে পারে তা হলো শাকসবজিতে অরুচি। আর মূলত শাকসবজির মধ্যেই বেশি ম্যাগনেসিয়াম নামক খনিজ থাকে। ‘শরীরে ম্যাগনেসিয়ামের অভাব থাকলে বেশি বেশি রিচ ফুড খেতে ভালো লাগে।’- মস বলেন। আমাদের শরীরে ম্যাগনেসিয়ামের অভাব হওয়ার মূল কারণ হলো আমরা ম্যাগনেসিয়াম যুক্ত খাবার খাই না। এজন্য বেশি করে ম্যাগনেসিয়াম যুক্ত খাবার যেমন- শাকসবজি, ব্রাউন রাইস, বাদাম ও শষ্য জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত।

২) ক্লান্তি বোধ
অতিরিক্ত কাজের চাপ থাকলে আপনার শরীরে রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া হতে পারে এবং ম্যাগনেসিয়ামের মাত্রা প্রভাবিত হতে পারে। মস বলেন, যদি আপনার কাজের চাপ আপনাকে অতিরিক্ত ঘামিয়ে তোলে তাহলে বুঝবেন আপনার ম্যাগনেসিয়ামের অভাব রয়েছে। কাজের চাপ কমাতে মস্তিষ্ক ঠান্ডা রাখুন এবং সব কিছু স্বাভাবিক ভাবে নিন।

৩) জাঙ্ক ফুড
শরীরে ম্যাগনেসিয়ামের অভাব থাকলে মানুষ জাঙ্ক ফুডের প্রতি বেশি ঝুঁকে পড়ে। এ সময় জাঙ্ক ফুড খেতে বেশি ভালো লাগে। ফ্লোরিডার এসেন্স নিউট্রিশনের ফাউন্ডার ডাক্তার মনিকা বলেন, একজন সুস্থ মানুষের প্রতিদিন যে ম্যাগনেসিয়ামের চাহিদা রয়েছে তা পূরণ করার জন্য তাকে প্রতিদিন তাজা ফল ও শাকসবজি খাওয়া উচিত।

৪) অল্পতে মাথাব্যথা
শরীরে ম্যাগনেসিয়ামের অভাব থাকলে অল্পতেই মাথাব্যথা হয়। ডাক্তার মনিকা বলেন, অল্প চিন্তা বা কাজ করলেই তাদের মাথাব্যথা হয় যাদের শরীরে ম্যাগনেসিয়ামের মাত্রা খুবই কম। তাই দেরি না করে আজই পরীক্ষা করে ফেলুন আপনার শরীরে ম্যাগনেসিয়ামের মাত্রা।

৫) কোষ্ঠ্যকাঠিন্য
শরীরে অতিরিক্ত মাত্রায় ম্যাগনেসিয়াম কম থাকলে কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দেখা দিতে পারে। ডাক্তার মনিকা বলেন, যারা কোষ্ঠ্যকাঠিন্যতে ভোগেন তারা কখনো চিন্তা করেন না যে ম্যাগনেসিয়ামের অভাবেও এটি হতে পারে।

৬) শরীরে কম্পন
শরীরের বিভিন্ন স্থানে কম্পন হওয়াটা আমরা খুব একটা বড় করে দেখি না। কিন্তু এটিও একটি শারীরিক সমস্যা যা ম্যাগনেসিয়ামের অভাবে হয়ে থাকে। নিউট্রিশনিস্ট লিভাইন বলেন, ম্যাগনেসিয়ামের অভাবে অনিয়মিত হৃদ কম্পন বা হার্টজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।

৭) অপর্যাপ্ত ঘুম
অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণ হতে পারে ম্যাগনেসিয়ামের অভাব। এছাড়া বার বার ঘুম ভেঙে যাওয়াটাও হয় ম্যাগনেসিয়ামের অভাবে। ডাক্তার বোডেন বলেন, যেসব রোগীর অনিয়মিত ঘুমের সমস্যা রয়েছে আমরা তাদেরকে ম্যাগনেসিয়াম থেরাপি দেই সুস্থ হয়ে উঠার জন্য।

৮) হাড়ের সমস্যা
অতিরিক্ত পরিমাণ ম্যাগনেসিয়ামের অভাবে হাড়ের সমস্যা হতে পারে। হাড় ক্ষয়ও হতে পারে। তাই হাড় ক্ষয় রোধ করার জন্য বেশি বেশি ম্যাগনেসিয়াম যুক্ত খাবার যেমন শাকসবজি, তাজা ফল, বাদাম ও শস্য জাতীয় খাবার বেশি করে খান।


রাইজিংবিডি/ঢাকা/৭ অক্টোবর ২০১৬/আফরিনা/ফিরোজ

Ear info

কানের খইল যে সমস্যা ইঙ্গিত করে

আফরিনা ফেরদৌস : রাইজিংবিডি ডট কম
Published:06 Oct 2016   07:59:02 AM   Thursday   ||   Updated:06 Oct 2016   01:17:31 PM   Thursday
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

আফরিনা ফেরদৌস : মানুষের শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গের মতো কানের ভেতরেও ময়লা বা খইল জমে। এটি নিয়মিত পরিষ্কার করতে হয়। তা না হলে কানের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে আমাদের মধ্যে এমন অনেকে আছেন যারা কানের ময়লা বা খইল নিয়ে খুব একটা ভাবেন না।

আমাদের শরীরের ভেতরকার সমস্যা শরীরের বাইরে প্রভাব ফেলে। যেমন শরীরের ভেতরে কোনো রোগ হলে তার প্রভাব পড়ে আমাদের ত্বকে, সাধারণ কাজকর্মে, ঘুম, খাওয়াসহ সবকিছুতে অর্থাৎ শারীরিক এবং মানসিকতায়।

কানের ভেতরে যে ময়লা জমে তা আমাদের শরীরের এক প্রকার উচ্ছিষ্ট। কানে ধুলাবালি ঢুকতে পারে কিন্তু তার পরিমাণ খুবই কম। কারণ কানের পশম কানের ভেতরে ধুলাবালির প্রবেশ রোধ করে। কিন্তু কানের একদম ভেতরে যে ময়লাগুলো জমে সেগুলো শরীর থেকেই আসে। এবং তা আমাদের শরীরের নানা ধরনের সমস্যা নির্দেশ করে।

সাধারণত কানের খইলের রং হয় হালকা কমলা থেকে গাঢ় বাদামি কিন্তু এই রং যদি পরিবর্তন হয়ে হলুদ, সবুজ, সাদা বা কালো হয়ে যায় তাহলে বুঝতে হবে কানে কোনো সমস্যা রয়েছে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।

নিউ ইয়র্ক সিটির মাউন্ট সিনাই হাসপাতালের ডাক্তার বেঞ্জামিন টুয়েল বলেন, ‘সাধারণের থেকে কানের ময়লার রং পরিবর্তন হতে দেখলে বুঝতে হবে কানে ইনফেকশন হয়েছে এবং তা কী পর্যায়ে আছে তা তাড়াতাড়ি জানা দরকার। তাই যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া দরকার।’

আসুন জেনে নেওয়া যাক কানের ময়লা থেকে কী কী রোগের উপসর্গ পাওয়া যেতে পারে।

* আপনার কানের খইল যদি পরতে পরতে জমতে থাকে তাহলে বুঝবেন এটি একটি চর্মরোগ যার নাম কাউর। ডাক্তার বেঞ্জামিন বলেন, ‘বেশির ভাগ মানুষেরই কাউরের সমস্যা রয়েছে এবং তার মধ্যে খুব কমসংখ্যক মানুষ এর চিকিৎসা করান।’ কাউরের ফলে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় র‌্যাস উঠতে পারে।

* স্বাভাবিক কানের ময়লার কোনো গন্ধ হয় না। যদি এর থেকে গন্ধ আসে তাহলে বুঝতে হবে যে ইনফেকশন হয়েছে। এবং দ্রুত ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।

* সাধারণত ভারী কাজের পর কান ঘামতে পারে এবং কান থেকে পানি পড়তে পারে। ডাক্তার বেঞ্জামিনের মতে, যদি আপনি সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে দেখেন যে আপনার কানের পানিতে বালিশ ভিজেছে তবে তা স্বাভাবিক নয়। এটি কানের দীর্ঘমেয়াদি ইনফেকশন নির্দেশ করে।

* কানের ময়লা সাধারণত খুব হালকা হয় এবং তা অনুভব করা যায় না কিন্তু আপনি যদি তা অনুভব করতে পারেন যেমন আপনার মনে হচ্ছে যে কান ভর্তি ময়লা এবং আঙুলের সাহায্যে বেরিয়ে আসছে তাহলে এখনি ডাক্তারের কাছে যান। ডাক্তার টুয়েল বলেন, সাধারণত কটন বাড আমাদের কানকে পুরোপুরি পরিষ্কার করতে পারে না। তাই যখন আপনি আপনার কানের ময়লা অনুভব করতে পারবেন তখন নিজে পরিষ্কার না করে ডাক্তারের কাছে যেয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নেওয়া উচিত।

* আপনার কানের ময়লা থেকে যদি চুলকানি হয় তাহলে বুঝবেন এটিও একধরনের ইনফেকশনের লক্ষণ। এতে শুধু কানে চুলকানি হয় না বরং শরীরের বিভিন্ন স্থানে চুলকানি হয়, বলেন ডাক্তার টুয়েল।

* আপনি যদি দেখেন আপনার কানের ময়লা পূর্বের তুলনায় শুষ্ক এবং কালো দেখাচ্ছে তাহলে অতটা ভয়ের কিছু নেই। কারণ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এটা হয়ে থাকে বলে মনে করেন ডাক্তার টুয়েল। তবে কোনো ছোট বাচ্চার যদি এমনটা দেখেন তাহলে আর দেরি না করে তাড়াতাড়ি ডাক্তারের কাছে যান।

কানের এই সমস্যাগুলোকে অবহেলা করবেন না। কারণ কান আমাদের একটি অতিব প্রয়োজনীয় ইন্দ্রিয়। কান না থাকলে আপনার শ্রবণশক্তিও থাকবে না। তাই নিজের কানের যত্ন নিন। ভালো থাকুন।

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৬ অক্টোবর ২০১৬/আফরিনা/ফিরোজ/এএন

কানের খইল যে সমস্যা ইঙ্গিত করে

আফরিনা ফেরদৌস : রাইজিংবিডি ডট কম
Published:06 Oct 2016   07:59:02 AM   Thursday   ||   Updated:06 Oct 2016   01:17:31 PM   Thursday
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

আফরিনা ফেরদৌস : মানুষের শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গের মতো কানের ভেতরেও ময়লা বা খইল জমে। এটি নিয়মিত পরিষ্কার করতে হয়। তা না হলে কানের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে আমাদের মধ্যে এমন অনেকে আছেন যারা কানের ময়লা বা খইল নিয়ে খুব একটা ভাবেন না।

আমাদের শরীরের ভেতরকার সমস্যা শরীরের বাইরে প্রভাব ফেলে। যেমন শরীরের ভেতরে কোনো রোগ হলে তার প্রভাব পড়ে আমাদের ত্বকে, সাধারণ কাজকর্মে, ঘুম, খাওয়াসহ সবকিছুতে অর্থাৎ শারীরিক এবং মানসিকতায়।

কানের ভেতরে যে ময়লা জমে তা আমাদের শরীরের এক প্রকার উচ্ছিষ্ট। কানে ধুলাবালি ঢুকতে পারে কিন্তু তার পরিমাণ খুবই কম। কারণ কানের পশম কানের ভেতরে ধুলাবালির প্রবেশ রোধ করে। কিন্তু কানের একদম ভেতরে যে ময়লাগুলো জমে সেগুলো শরীর থেকেই আসে। এবং তা আমাদের শরীরের নানা ধরনের সমস্যা নির্দেশ করে।

সাধারণত কানের খইলের রং হয় হালকা কমলা থেকে গাঢ় বাদামি কিন্তু এই রং যদি পরিবর্তন হয়ে হলুদ, সবুজ, সাদা বা কালো হয়ে যায় তাহলে বুঝতে হবে কানে কোনো সমস্যা রয়েছে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।

নিউ ইয়র্ক সিটির মাউন্ট সিনাই হাসপাতালের ডাক্তার বেঞ্জামিন টুয়েল বলেন, ‘সাধারণের থেকে কানের ময়লার রং পরিবর্তন হতে দেখলে বুঝতে হবে কানে ইনফেকশন হয়েছে এবং তা কী পর্যায়ে আছে তা তাড়াতাড়ি জানা দরকার। তাই যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া দরকার।’

আসুন জেনে নেওয়া যাক কানের ময়লা থেকে কী কী রোগের উপসর্গ পাওয়া যেতে পারে।

* আপনার কানের খইল যদি পরতে পরতে জমতে থাকে তাহলে বুঝবেন এটি একটি চর্মরোগ যার নাম কাউর। ডাক্তার বেঞ্জামিন বলেন, ‘বেশির ভাগ মানুষেরই কাউরের সমস্যা রয়েছে এবং তার মধ্যে খুব কমসংখ্যক মানুষ এর চিকিৎসা করান।’ কাউরের ফলে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় র‌্যাস উঠতে পারে।

* স্বাভাবিক কানের ময়লার কোনো গন্ধ হয় না। যদি এর থেকে গন্ধ আসে তাহলে বুঝতে হবে যে ইনফেকশন হয়েছে। এবং দ্রুত ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।

* সাধারণত ভারী কাজের পর কান ঘামতে পারে এবং কান থেকে পানি পড়তে পারে। ডাক্তার বেঞ্জামিনের মতে, যদি আপনি সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে দেখেন যে আপনার কানের পানিতে বালিশ ভিজেছে তবে তা স্বাভাবিক নয়। এটি কানের দীর্ঘমেয়াদি ইনফেকশন নির্দেশ করে।

* কানের ময়লা সাধারণত খুব হালকা হয় এবং তা অনুভব করা যায় না কিন্তু আপনি যদি তা অনুভব করতে পারেন যেমন আপনার মনে হচ্ছে যে কান ভর্তি ময়লা এবং আঙুলের সাহায্যে বেরিয়ে আসছে তাহলে এখনি ডাক্তারের কাছে যান। ডাক্তার টুয়েল বলেন, সাধারণত কটন বাড আমাদের কানকে পুরোপুরি পরিষ্কার করতে পারে না। তাই যখন আপনি আপনার কানের ময়লা অনুভব করতে পারবেন তখন নিজে পরিষ্কার না করে ডাক্তারের কাছে যেয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নেওয়া উচিত।

* আপনার কানের ময়লা থেকে যদি চুলকানি হয় তাহলে বুঝবেন এটিও একধরনের ইনফেকশনের লক্ষণ। এতে শুধু কানে চুলকানি হয় না বরং শরীরের বিভিন্ন স্থানে চুলকানি হয়, বলেন ডাক্তার টুয়েল।

* আপনি যদি দেখেন আপনার কানের ময়লা পূর্বের তুলনায় শুষ্ক এবং কালো দেখাচ্ছে তাহলে অতটা ভয়ের কিছু নেই। কারণ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এটা হয়ে থাকে বলে মনে করেন ডাক্তার টুয়েল। তবে কোনো ছোট বাচ্চার যদি এমনটা দেখেন তাহলে আর দেরি না করে তাড়াতাড়ি ডাক্তারের কাছে যান।

কানের এই সমস্যাগুলোকে অবহেলা করবেন না। কারণ কান আমাদের একটি অতিব প্রয়োজনীয় ইন্দ্রিয়। কান না থাকলে আপনার শ্রবণশক্তিও থাকবে না। তাই নিজের কানের যত্ন নিন। ভালো থাকুন।

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৬ অক্টোবর ২০১৬/আফরিনা/ফিরোজ/এএন

Fruits and process

ফল বিষমুক্ত করার উপায়

মনিরুল হক ফিরোজ : রাইজিংবিডি ডট কম
Published:11 Oct 2016   08:09:06 AM   Tuesday   ||   Updated:11 Oct 2016   04:50:20 PM   Tuesday
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

দেহঘড়ি ডেস্ক : ফল প্রতিদিন খাওয়া উচিত। কারণ ফল শুধু মুখরোচক খাবারই নয়, বরঞ্চ স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারি। কিন্তু দু:খজনক ব্যাপার হচ্ছে, ভেজালের খপ্পরে পড়ে ফল এখন ভেজাল। ফলে ফল খেয়ে স্বাস্থ্য উপকারিতার পরিবর্তে উল্টো নানা রকম রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ।

বিশেষ করে শহরাঞ্চলের বাজারে ভেজাল ফলের উপস্থিতি বেশি। ফলে ফল কেনা ও খাওয়ার ক্ষেত্রে সচেতন প্রত্যেকের মনেই যে সন্দেহটি দেখা দেয় তা হলো- এগুলো ক্যালসিয়াম কার্বাইড, ইথিলিন, ফরমালিন ইত্যাদি ক্ষতিকর রাসায়নিকমুক্ত কি-না?

কেননা বাজারে যে আম, পেঁপে, কলা, বিক্রি হয় তার বেশিরভাগই বিষাক্ত ক্যালসিয়াম কার্বাইডে পাকানো। ফল পাকানোর ক্যালসিয়াম কার্বাইড নিয়মিতভাবে শরীরে প্রবেশ করলে কিডনির দফারফা। কার্বাইডে পাকানো ফল খেলে হতে পারে ইনসমনিয়া, আলসার জাতীয় অসুখ। হজম প্রক্রিয়াও বিঘ্নিত হয় কার্বাইডে।

আনারসের ভেতরটা হলুদ করতে ‘মেটানীল ইয়েলো’ নামক রঙ ব্যবহার করা হয়। কৃত্রিম এই রঙ যকৃৎ-এর ক্যানসারের অন্যতম কারণ। আপেলের বাইরে যে মোম ব্যবহৃত হয়, তাও শরীরের পক্ষে মারাত্মক। লেড নাইট্রেট জাতীয় এই মোম স্নায়ুতন্ত্রের ওপর আঘাত হানে। তরমুজ সহ বিভিন্ন ফল মসৃণ করতে অনেক সময় কপার সালফেটে চুবিয়ে রাখা হয়। কপার সালফেট শরীরে প্রবেশ করলে অ্যানিমিয়া অবশ্যম্ভাবী। হতে পারে হার্টের একাধিক অসুখ।

লিচু, বাঙ্গি, আনারস, আঙুর সহ অন্যান্য ফলেও দেখা মিলছে রাসায়নিক। রাসায়নিক মিশ্রিত বা রাসায়নিক দিয়ে পাকানো যেকোনো ফল নিয়মিত খেলে দীর্ঘ মেয়াদে তা হার্ট, কিডনি ও লিভারের জন্য ক্ষতিকর।

যা হোক, ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন অনুসারে জেনে নিন বিষমুক্ত ফল খাওয়ার উপায়।

* রাস্তার ফল কিনেই মুখে দেবেন না। বাড়িতে আনুন। এক দু’দিন পরে খান।

* ফল খাওয়ার আগে পানিতে ডুবিয়ে রাখুন। পরবর্তীতে ধুয়ে নিন।

* হালকা গরম পানিতে ফল ডুবিয়ে রাখলে ভালো। সাধারণত ৮০ ডিগ্রি বা তার বেশি তাপে ফরমালিন বা অন্য রাসায়নিক ধুয়ে যায়।

* ফলের খোসা ছাড়িয়ে খান। কার্বাইড জাতীয় রাসায়নিক খোসায় বেশি থাকে।

* তিনভাগ পানিতে একভাগ ভিনিগার মিশিয়ে স্প্রে তৈরি করুন এবং ফল-এ স্প্রে করে নিন। এরপর ধুয়ে খান।

* আপেল, লেবুর বাইরের কৃত্রিম মোম ছাড়াতে নরম ব্রাশ দিয়ে পানির তলায় রেখে ঘষে নিন। মাইক্রোওয়েভ থাকলে তার মধ্যে আপেল রেখে অল্প তাপমাত্রায় ১০ সেকেন্ড রাখলেই মোম ছেড়ে যাবে।


রাইজিংবিডি/ঢাকা/১১ অক্টোবর ২০১৬/ফিরোজ

Extra salt !!! ???

অতিরিক্ত লবণ খেলে যা হয়

আফরিনা ফেরদৌস : রাইজিংবিডি ডট কম
Published:09 Oct 2016   07:43:41 AM   Sunday   ||   Updated:09 Oct 2016   01:29:19 PM   Sunday
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

আফরিনা ফেরদৌস : অনেকে খাবারের সঙ্গে অতিরিক্ত লবণ খেতে পছন্দ করেন। তবে এটি কতখানি স্বাস্থ্যকর তা জানেন কী? এটি মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। অতিরিক্ত লবণ বা সোডিয়াম ক্লোরাইড শরীরের জন্য খুবই খারাপ। এই অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার কারণে আপনার শরীরে অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

এক বা দুই দিন অতিরিক্ত লবণ খুব একটা দোষের নয় কিন্তু যারা নিয়মিত অতিরিক্ত লবণ খান তাদের জন্য এটি বিষ পান হয়ে উঠতে পারে। নিচের লক্ষণগুলো দেখে বুঝবেন যে, আপনার লবণ খাওয়ার মাত্রা বেশি এবং সেই বেশি মাত্রার লবণ এখনই পরিহার করুন।

স্মৃতির ক্ষয়
অতিরিক্ত লবণ খাওয়া স্মৃতি ক্ষয়ের কারণ হতে পারে। এতে করে মস্তিষ্ক কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে থাকে। কোনো তথ্য সহজে মনে পড়ে না। বা অল্প সময়ের ব্যবধানে অনেক তথ্য ভুলে যান। ২০১১ সালে ১২০০ মধ্য বয়স্ক ব্যক্তির ওপর করা একটি কানাডিয়ান গবেষণা থেকে বলা হয় যে, লবণ বেশি খাওয়া ব্যক্তির স্মৃতি লবণ কম খাওয়া ব্যক্তিদের তুলনায় কম হয়ে থাকে।

বারবার তৃষ্ণা পাওয়া
অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার খেলে বারবার তৃষ্ণা পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ ক্ষেত্রে যেটা হয় যে, অতিরিক্ত লবণ শরীরের ফ্লুইডের সঙ্গে মিশে যায় এবং শরীরকে বারবার পানির চাহিদার কথা জানান দেয়। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে লবণ খাওয়া কমান। আর পানি বেশি করে খান।

শরীর ফুলে ওঠা
শরীরে লবণের পরিমাণ বেড়ে গেলে শরীর ফুলে যেতে পারে। তবে তা হতে পারে কোনো নির্দিষ্ট স্থানে অর্থাৎ পুরো শরীর এক বারে ফুলে যায় না। শরীরের বিভিন্ন স্থান ফুলে যায়। শরীরের এই বিভিন্ন স্থান ফুলে যাওয়াকে স্বাভাবিকভাবে নেবেন না বরং আপনার খাদ্যতালিকা থেকে লবণ খাওয়ার মাত্রা কমান।

কিডনিতে পাথর
অতিরিক্ত লবণ কিডনি ফাংশনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। যেমন শরীরে লবণের মাত্রা বেড়ে গেলে প্রস্রাবের সঙ্গে বেশি বেশি প্রোটিন বের হয়ে যায়। এতে করে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই কিডনিতে পাথর এড়াতে অতিরিক্ত মাত্রায় লবণ খাওয়া বন্ধ করুন।

পাকস্থলীতে আলসার
সবাই মনে করেন শুধু গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে আলসার হয়ে থাকে। কিন্তু না, অতিরিক্ত পরিমাণ সোডিয়াম বা লবণ খেলে পাকস্থলীতে আলসার হতে পারে। কারণ লবণ খাবার হজমে বাধা প্রদান করে। ফলে খাবার পাকস্থলীতে জমা হয় এবং ঠিকভাবে হজম না হতে পারার কারণে গ্যাস্ট্রিকের উৎপাদন ঘটায়।

রক্তচাপ বৃদ্ধি
লবণ রক্তের চাপ বৃদ্ধি করে বা উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টি করে। যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে ডাক্তাররা তাদের লবণ কম খাওয়ার উপদেশ দেন। অন্যদিকে যাদের নিম্ন রক্তচাপ রয়েছে তাদের রক্তচাপ কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তাররা লবণ ও গ্লুকোজ মেশানো পানি খেতে বলেন।

অতিরিক্ত লবণ খাওয়া আসলেই আমাদের শরীরের জন্য খুবই খারাপ। ধীরে ধীরে এই অভ্যাসটিকে ত্যাগ করুন। তরকারির সঙ্গেও কম লবণ ব্যবহার করুন। আর ভাতের সঙ্গে ভুলেও অতিরিক্ত লবণ নেবেন না। অবশ্যই খাবার টেবিল থেকে লবণের পাত্রটি উঠিয়ে ফেলবেন আজই। এ ছাড়া অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার যেমন, চিপস, স্পাঘেটি সস, পেপেরনি পিৎজা না খাওয়ার চেষ্টা করবেন।


রাইজিংবিডি/ঢাকা/৯ অক্টোবর ২০১৬/আফরিনা/ফিরোজ/এএন

Tea time info

খালি পেটে চা খেলে যা হয়

মনিরুল হক ফিরোজ : রাইজিংবিডি ডট কম
Published:12 Oct 2016   10:22:19 PM   Wednesday   ||   Updated:13 Oct 2016   11:08:49 AM   Thursday
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

লাইফস্টাইল ডেস্ক : সকাল বেলা এক কাপ চা খাওয়ার যে ভালোলাগা, তা নতুন করে বর্ননা করার কিছু নেই। কিন্তু সকালের চা অবশ্যই সকালের নাস্তার সঙ্গে বা নাস্তার পর খাওয়া উচিত। সকালের নাস্তার আগে খালি পেটে চা খাওয়ার অভ্যাস থাকলে ত্যাগ করুন।

কেননা সকালে খালি পেটে পানি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য যতটা ভালো, চা কিন্তু নয়। সকালের আড়মোড়া ভাঙতে ‘বেড টি’ অর্থাৎ  খালি পেটে চা খেয়ে নানা রোগের শিকার হতে পারেন। ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে জেনে নিন, খালি পেটে চা খাওয়ার কিছু অপকারিতা।

* ক্ষুধামান্দ্য: খালি পেটে চা খাওয়ার অন্যতম কুফল হলো খিদে নষ্ট করে।

* পাকস্থলি স্ফীতি: খালি পেটে র-চা আপনার পাকস্থলি স্ফীতিরও কারণ হয়ে উঠতে পারে। অর্থাৎ পেট ফোলার মতো অস্বস্তি অনুভূত হতে পারে।

* অ্যাসিডিটি: চা অ্যাসিডিক প্রকৃতির খাবার। তাই খালি পেটে চা খেয়ে অ্যাসিডিটি হতে পারে।

* বমি ভাব: চায়ে থাকা ট্যানিন থেকে বমি ভাব আসতে পারে।

* প্রস্টেট ক্যানসার: প্রতিদিন ৪-৫ কাপ করে চা ছেলেদের প্রস্টেট ক্যানসারের আশঙ্কা বাড়িয়ে তোলে।

* ক্লান্তি: ক্লান্তি দূর করতে আমরা সকালে উঠে চা খাই। কিন্তু খালি পেটে দুধের চা তাৎক্ষণিক আমেজ আনলেও সারাদিন ক্লান্তির সৃষ্টি করতে পারে। যার জন্য মেজাজও খিটখিটে হতে পারে।

* আলসার: খালি পেটে কড়া করে চা, আপনাকে আলসারের দিকে ঠেলে দিতে পারে।

* গ্যাসট্রিকের সমস্যা: আদা দেওয়া চা রোজ খালি পেটে খাবেন না। গ্যাসট্রিক অনিবার্য।

* বদহজম: চায়ে থাকা ক্যাফেইন, থিওফিলিন জাতীয় পদার্থের জন্য আপনি বদহজমে ভুগতে পারেন। তাই বেড-টি খেয়ে আলসেমি কাটানো আগে দ্বিতীয়বার ভাবুন।

* রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বাড়ে:  খালি পেটে চা পান করলে রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে যায়, যা কিডনি রোগীদের জন্য বিশেষভাবে ক্ষতিকর।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১২ অক্টোবর ২০১৬/ফিরোজ

Wednesday, 12 October 2016

Human Tail info

লেজ নিয়ে বিপাকে
 
 

তৈয়বুর রহমান : রাইজিংবিডি ডট কম
Published:08 Oct 2016   05:51:36 PM   Saturday   ||   Updated:10 Oct 2016   01:23:19 PM   Monday
লেজ নিয়ে বিপাকে
ডেস্ক রিপোর্ট : বানরের সঙ্গে লেজ খুব মানানসই, বাঁদরামির সঙ্গে তো বটেই, লেজ না থাকলেই বেমানান মনে হতো। এমন কি, বানরের কীর্তিকলাপের সঙ্গেও।

মানুষের লেজ হলে সেও কি বানরের মতো সারাদিন লাফালাফি করতো? কি করতো, না করতো, সে ব্যাপারে নানা জল্পনা-কল্পনা করা যেতে পারে। কিন্তু সে যে মহাবিপাকে পড়তো, সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।

বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, ভারতে ১৮ বছর বয়সের এক যুবকের সত্যি সত্যি একটি লেজ গজিয়েছে। লেজটি কিন্তু তার একদিনে গজায়নি কিংবা রাতে ঘুমালাম ভালভাবে, সকালে উঠে দেখলাম লেজ গজিয়েছে মোটেও সেরকম ব্যাপার নয়। বরং লেজটি গজিয়েছে তার বহুদিন আগে, ১৪ তম জন্মদিনের শুরুতে। আর এখনতো রিতিমতো ২০ সেন্টিমিটার লম্বা।

এতদিন লেজটির কথা গোপন রেখেছিল ছেলেটি। অবশ্য পরিবারেরও সহায়তা ছিল এতে। কিন্তু সমস্যা হলো বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লেজও বড় হতে লাগল। ফলে সেটির কথা গোপন রাখাই বড় কঠিন হয়ে পড়ে তার কাছে।

বন্ধু-বান্ধবদের মধ্যে দু-একজন জানতে পেরে শুরু হয়ে যায় ছেলেটির সঙ্গে ইয়ার্কি-ফাজলামো। কোনো কোনো সময় তা মাত্রা ছাড়িয়ে যেতো। ফলে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয় ছেলেটিকে। কিন্তু ততদিনে লেজের মধ্যে আবার হাড় গজিয়ে ওঠা শুরু করেছে।

মানুষের লেজ গজিয়ে ওঠার ঘটনা সচরাচর শোনা কিংবা দেখা যায় না, রীতিমতো বিরল। ‘তবে লেজটি শরীরের ভেতরে গজিয়ে উঠলে কোনো অসুবিধা হতো না কিন্তু সমস্যা হলো লেজটি গজিয়েছে ঠিক জায়গা মতো, ঠিক যেখানে লেজ গজিয়ে থাকে,’ বললেন ছেলেটির মা। তিনি তার নাম প্রকাশ করতে চাননি।

‘যতবারই সে লেজটি খাড়া করে ততবারই কাপড় পাল্টাতে হয়’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি তাকে সে অবস্থায় দেখেছি। খুবই বেদনাদায়ক মুহূর্ত সেটি। বিশেষ করে তার (ছেলেটি) জন্য। তাই তাকে আমি হাসপাতালে নিয়ে এসেছি।’

ডাক্তাররা বলছেন, গর্ভাশয়ে থাকা অবস্থায় লেজ গজিয়ে থাকতে পারে। মেরুদণ্ডের হাড়ে বিকৃতির কারণেও এটি সৃষ্টি হয়ে থাকতে পারে।

‘বেড়ে ওঠার পর লেজটির চাপ পড়ে পিঠে,’ বললেন ডা. প্রমোদ গিরি। তিনি বলেন, লেজ অপসারণ জটিল কোনো বিষয় নয়। তারপরও নিউরোসার্জন দিয়ে এই অপসারণ করা প্রয়োজন। কেননা লেজটির বেড়ে ওঠা মেরুদণ্ডের হাড়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৮ অক্টোবর ২০১৬/তৈয়বুর রহমান/সাইফ

Sunday, 2 October 2016

Healthy sleep side

শুধু বাম পাশ ফিরে ঘুমোলেই মিটবে শরীরের হাজারো সমস্যা! জেনে নিন কীভাবে…

Screenshot_386আপনি কীভাবে ঘুমোচ্ছেন, তার উপর অনেকখানি নির্ভর করে আপনার স্বাস্থ্য এবং সুস্থতা। জার্নাল ফর অল্টারনেটিভ অ্যান্ড
কমপ্লিমেন্টারি মেডিসিনে প্রকাশিত ডাক্তার জন ডাউলার্ড রচিত একটি গবেষণাপত্রে তেমনটাই দাবি করা হচ্ছে।
ঘুমের মতো আরামপ্রদ কাজ কমই আছে। আর ঘুমের ক্ষেত্রে প্রত্যেকেরই নিজস্ব কিছু পছন্দের মুদ্রা থাকে। কেউ চিৎ হয়ে ঘুমোতে
পছন্দ করেন, কেউ ডান পাশ ফিরে ঘুমোতে ভালবাসেন, কেউ বা বাঁ পাশ ফিরে।
কিন্তু জানেন কি, আপনি কীভাবে ঘুমোচ্ছেন, তার উপর অনেকখানি নির্ভর করে আপনার স্বাস্থ্য এবং সুস্থতা। জার্নাল ফর
অল্টারনেটিভ অ্যান্ড কমপ্লিমেন্টারি মেডিসিনে প্রকাশিত ডাক্তার জন ডাউলার্ড রচিত একটি গবেষণাপত্রে তেমনটাই দাবি করা হচ্ছে।
কীরকম? আসুন, জেনে নিই।
ওই গবেষণাপত্রে বলা হচ্ছে, চিৎ হয়ে ঘুমনো একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। বিশেষত যাঁরা হাপানিতে ভুগছেন কিংবা ঘুমের মধ্যে
শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয় যাঁদের (স্লিপ অ্যাপনিয়া), তাঁদের চিৎ হয়ে ঘুমনো একেবারেই উচিৎ নয়। কারণ চিৎ হয়ে ঘু‌মোলে শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা দেখা দেয়।
ডান পাশ ফিরে ঘু‌মনোও ভাল নয়। কারণ ডান পাশ ফিরে যাঁরা ঘুমোন, তাঁদের অনেকের মধ্যেই হজমের গোলমাল দেখা দেয়।
পরিণামে কম এবং অগভীর ঘু‌মের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
গবেষণাপত্রটির পরামর্শ, বাঁ পাশ ফিরে ঘুমনোই সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর। বাঁ পাশ ফিরে ঘুমোলে গৃহীত খাদ্য দ্রুত হজম হয়। সেইসঙ্গে
খাবারের পুষ্টিগুণও সহজে গৃহীত হয় শরীরে। পাশাপাশি শরীরে রক্তসঞ্চালন ব্যবস্থার উন্নতি ঘটে। অন্যদিকে, বা পাঁশ ফিরে ঘুমনোর
ফলে পিত্তরস ও শরীরের বর্জ্য পদার্থ তাদের নিজস্ব পথে যথাযথভাবে প্রবাহিত হয়। পরিণামে শরীর থাকে তরতাজা এবং স্ট্রেসের পরিমাণ যায় কমে।
ডাক্তার ডাউলার্ডের পরামর্শ, যে পাশ ফিরে ঘুমনোই আপনার অভ্যাস হোক না কেন, চেষ্টা করুন অভ্যাস বদল করে বাঁ পাশ ফিরে ঘুমোতে।
এই অভ্যাস বদল করা অবশ্য সহজ নয়। কিন্তু একেবারে অসম্ভবও নয়। শারীরিক সুস্থতার জন্য এটুকু তো করাই যায়।
http://hintbd.com/bn/?p=50
I feel as per hadish right side sleep is better than others.  need research more on human parts. 

potato protect white hairs

আপনার কি চুল পেকে যাচ্ছে? সাদা চুলের যম আলুর খোসা! ব্যাবহার করার নিয়ম জেনে নিন

Screenshot_401বয়স হবার প্রমাণ দেখা যায় কালো চুলের মাঝে সাদার উঁকিঝুঁকিতে। মূলত সঠিক পুষ্টির অভাবে কম বয়সেই চুল পেকে যায়। বিশেষ করে ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি, কপার, মিনারেল, জিঙ্ক ও আয়রনের অভাবে এ সমস্যা দেখা দেয়। আবার বংশগত কারণেও অনেকেরই কম বয়সেও চুল পেকে।
তবে রাসায়নিক হেয়ারডাই ব্যবহার না করে একদম প্রাকৃতিক উপায়ে এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। আর এ কাজটি করার জন্য আপনার রান্নাঘরে একটি উপাদানই যথেষ্ট। তা হলো আলু। হ্যাঁ, রান্নার পর যে আলুর খোসা পরে থাকে, সেটা দিয়েই তৈরি হবে এই প্রাকৃতিক ‘ডাই’।
তৈরী করার উপাদান
৫/৬টি বড় আলুর খোসা, সসপ্যান, ঝাঁঝরি, পুরনো শ্যাম্পুর বোতল, চুলে ডাই দেবার ব্রাশ, ময়েশ্চারাইজিং শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার এবং তোয়ালা।
যা করতে হবে
সসপ্যানের ভেতরে এক কাপ আলুর খোসা নিন। এতে যোগ করুন দুই কাপ পানি এবং সসপ্যান ঢেকে দিন। জ্বাল বাড়িয়ে দিয়ে পানি ফুটিয়ে নিন। ফুটন্ত পানিতে আলুর খোসাগুলো ২০-৩০ মিনিট রান্না হতে দিন।
একটু নামিয়ে ঠাণ্ডা করতে দিন। ঠাণ্ডা হলে পানিটুকু ঝাঁঝরি দিয়ে আলাদা করে ঢেলে নিন একটি বোলে। খোসা ফেলে দিন। এই পানিটুকু ঠাণ্ডা হলে একটা পুরনো, পরিষ্কার শ্যাম্পুর বোতলে ঢেলে নিন।
এরপর ময়েশ্চারাইজিং শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে কন্ডিশনিং করে নিন। তারপর কন্ডিশনার ধুয়ে ফেলে চুল ধুয়ে নিন আলুর খোসার ডাইটি দিয়ে। এটা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন না। চুলে তোয়ালে পেঁচিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এরপর চুল শুকিয়ে ফেলুন।
এইভাবে আলুর খোসার ডাই দিয়ে প্রতিদিন চুল ধোয়ার চেষ্টা করুন। প্রতিদিন চুলে কন্ডিশনারও ব্যবহার করবেন কারণ পাকা চুল বেশি নাজুক হয়ে থাকে। তা করতে না পারলে সপ্তাহে অন্তত ২-৩দিন এই ডাই দিয়ে চুল ধুতে হবে।
যদি আলুর গন্ধ বেশি বাজে লাগে তবে এক ফোঁটা সুগন্ধি এসেনশিয়াল অয়েল দিয়ে দিতে পারেন এর মাঝে। রাসায়নিক ডাইয়ের মতো একদিনে পাকা চুল দূর হবে না ঠিক। কিন্তু কয়েক সপ্তাহ বা মাসখানেক নিয়মিত ব্যবহারে পাকা চুল আর দেখা যাবে না।
লেখাটি শেয়ার করুন বেশি বেশি তাহলে আরো অনেকে দেখবে মানুষতো মানুষের জন্য

Graps protect cancer

আঙুরের বীজ ২৪ ঘণ্টায় ক্যানসার বিনাশ করবে, জেনে নিন সঠিক উপায়…

Screenshot_381ব্রিটিশ মেডিকেল সাময়িকী সম্প্রতি ক্যানসারের চিকিৎসার একটি জনপ্রিয় পদ্ধতির ক্ষতিকর দিকগুলো প্রকাশ করেছে, যা মানুষকে
সুস্থ করার চেয়ে মৃত্যুর কোলে ঠেলে দেয়। এ পদ্ধতি গ্রহণ করে কয়েক দশক ধরে অনেকে মানুষ মারা গেছেন। আপনিও হয়তো
ভাবেননি এটার দোষ এত! ওই চিকিৎসা পদ্ধতির নাম কেমোথেরাপি।
মেডিসিন, চিকিৎসা ও ওষুধ প্রতিষ্ঠানের কাজ মানুষকে বাঁচানো, মেরে ফেলা নয়। তাই এর জন্য নতুন করে ভাবতে হবে।
ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার মেডিসিন ও ফিজিওলজি বিভাগের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক চিকিৎসক হার্ডিন বি জোনস তার এক
গবেষণায় খুঁজে পেয়েছেন, ‘কোমো আদৌ কাজ করে না’। ক্যানসার চিকিৎসা করানো রোগীদের আয়ু নিয়ে ২৫ বছর ধরে গবেষণা করে
তিনি এ তথ্য খুঁজে পেয়েছেন।
চিকিৎসক জোনস দাবি করেছেন, যেসব রোগী কেমোথেরাপি নেন, তারা ব্যথায় মারা যান। অন্য কোনো চিকিৎসা পদ্ধতির চেয়ে
কেমো নেওয়া রোগীরা দ্রুত মারা যান।
কিন্তু ক্যানসার চিকিৎসার জন্য প্রাকৃতিক প্রতিকারের চিত্র পুরো ভিন্ন। এগুলো সুপার কার্যকরী ও কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এ
প্রাকৃতিক প্রতিকারের পদ্ধতি থেকে চোখ দূরে রেখেছে বিশ্ববাসী, এমনকি গণমাধ্যমও। এগুলো মানুষের সামনে আনা খুবই জরুরি।
এ প্রাকৃতিক প্রতিকারের উপাদান মাত্র দুই দিনেই (২৪ ঘণ্টায়) ক্যানসার কোষ ধ্বংস করে। ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীর আরোগ্য
লাভের জন্যও এটার ব্যবহার বেশ কাজে দেয়
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক আঙুরের বীজের উপাদান নিয়ে গবেষণা করেছেন। তারা খুঁজে পেয়েছেন, ৭৬
শতাংশ লিউকেমিয়া ও ক্যানসার কোষ ধ্বংস করে আঙুরের বীজ। বৈজ্ঞানিক পরীক্ষাগারও এটা সমর্থন করেছে।
পরে গবষেণাটি আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর ক্যানসার রিসার্চ সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়। এতে দেখা গেছে, আঙুরের বীজে থাকা
উপাদান নিউকোমিয়া কোষকে ধ্বংস করে। আঙুরের বীজে জেএনকে নামের এক ধরনের প্রোটিন থাকে যা ক্যানসারের জন্য দায়ী
কোষগুলোকে দ্রুত ধ্বংস করে দেয়।
গবেষকরা জানান, ক্যানসার চিকিৎসা দেওয়া হয় এমন প্রতিষ্ঠানগুলো এ রোগকে কীভাবে দুরারোগ্য ব্যধি হিসেবে প্রমাণ করা যায় তা
নিয়ে চেঁচামেচি করছে।
তারা মানুষের মধ্যে ভয় ও আতঙ্ক ছড়িয়ে দিচ্ছে যে, ক্যানসার মৃত্যুর সমান রোগ।
তবে এ গবেষণা সমর্থন করেছে, যতটা ভাবি, ততটা বিপজ্জনক রোগ নয় ক্যানসার। আমরা যদি সঠিক পস্থায় ও গুরুত্ব দিয়ে ঠিক
চিকিৎসা নিই, তাহলে মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে জীবন শেষ হবে না।
এর আগে ব্রিটিশ ও ইসরায়েলের গবেষকরা জানান, মানুষ ক্যানসারে নয়, মরে কেমোথেরাপিতে। নতুন এ গবেষণা তাদেরই সমর্থন করল।
http://hintbd.com/bn/?p=29